পশ্চিম মেদিনীপুর: হাতের কাজ অত্যন্ত নিখুঁত। সৌখিনতার যুগে মাটির থালা, বাটি, গ্লাসের উপর এমনকি বিয়ের তত্ত্বের জিনিসের উপর নানা ডিজাইন ফুটিয়ে তুলে স্বনির্ভর হচ্ছেন এক কলেজ ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁর স্বনির্ভর হওয়ার চিন্তা ভাবনা এবং তাঁর শিল্প নিপুণতা নজর কেড়েছে সকলের। বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন জিনিসের উপর রং তুলি দিয়ে ডিজাইন করে ফুটিয়ে তুলছেন নানা ছবি। তার এই চিন্তা ভাবনা এবং তাঁর হাতের কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। পড়াশোনার অবসরে চলে এই কাজ।
ইতিহাস বিষয় নিয়ে স্নাতকোত্তর বিভাগে প্রথম বর্ষের ছাত্রী সে। মেদিনীপুরে একটি কলেজে পড়াশোনা করছে। তবে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই মূলত কলেজ জীবনের শুরু হয় তার এই হাতের কাজ। প্রথম প্রথম চাহিদা না থাকলেও ধীরে ধীরে মানুষের চাহিদা বাড়ছে এই সকল হাতে আঁকা জিনিসের প্রতি। বর্তমান দিনে জন্মদিন হোক কিংবা অন্যান্য অনুষ্ঠান ডিজাইন করা মাটির থালায় খাবার খেতে দেওয়া চাই। বিয়ের অনুষ্ঠানে তত্ত্ব সাজানোর জন্য নিত্যনতুন ডিজাইনের হাঁড়ি, কলসি, সরা ব্যবহার করেন প্রত্যেকে। সাধারণ মানুষের চাহিদা মত এই সকল মাটির জিনিসের উপর বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন ফুটিয়ে তুলছেন এই কলেজ ছাত্রী। পাশাপাশি এই জিনিস বানিয়ে স্বনির্ভরতা বিষয়ে দেখাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঝপাঝপ কমিয়ে দেবে কোলেস্টেরল…! পাতে রাখুন ‘৯’ ম্যাজিক ফল! মুঠোয় থাকবে LDL / HDL
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের ডি কেশিয়াড়ির বাসিন্দা প্রতিমা বেরা। নাচ, কলেজের পড়াশোনার পাশাপাশি চলে এই হাতের কাজ। কুমোর পরিবার। বাড়িতে বিভিন্ন জিনিসের উপর রং করা এবং ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা পারিবারিক ভাবে শেখা। মা, দিদি, বাবার থেকেই মূলত শিখেছেন এই ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা। স্বাভাবিকভাবে গ্রাহকদের চাহিদা মতো মাটির থালা, বাটি, গ্লাস, বোতল এমনকি বিয়ের তত্ত্ব সাজানোর জন্য হাড়ি, ছোটকৌটোতে বিভিন্ন ডিজাইন এঁকে দিচ্ছেন তিনি। দামও রয়েছে গ্রাহকদের সাধ্যের মধ্যে। দেড়’শ টাকা থেকে শুরু সেট। এছাড়াও গ্রাহকদের পছন্দমত ডিজাইন কাস্টমাইজও করে দেন তিনি। পড়ার অবসরে চলে তার এই হাতের কাজ। মাসে বেশ কয়েকটা অর্ডার আস, তার থেকেই মেলে হাত খরচ।
স্বাভাবিকভাবে নিজের শিল্প প্রতিভা মাটির থালায়, বাটিতে ফুটিয়ে তুলে স্বনির্ভর হওয়ার দিশা দেখাচ্ছেন এই কলেজ ছাত্রী। বর্তমান যুব প্রজন্মকে দিচ্ছেন বিশেষ বার্তা। তার শিল্প নিপুণতা এবং ভাবনাচিন্তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
রঞ্জন চন্দ