টোটো 

Success Story: ছিল টোটো, হয়ে গেল রেস্তরাঁ! টোটোতে বসে খাবার বিক্রি করে আকাশছোঁয়া লক্ষ্মীলাভ যুবকের

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: একটা আস্ত টোটোর মধ্যেই করা হয়েছে খাবারের দোকান। বলতে গেলে টোটোর মধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে যেন ছোটখাটো রেস্তরাঁ। সামনে থেকে দেখলে আর পাঁচটা সাধারণ টোটো মনে হলেও ,  সম্পূর্ণ অংশ দেখলে ভেঙে যাবে সেই ধারণা। হ্যাঁ এমনই এক টোটোর দেখা মিলল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে। এই টোটো দোকানের কর্ণধার অনুপ মণ্ডল।

অনুপের বাড়ি বীরভূম জেলায়। পরিবারে রয়েছেন মা , বাবা এবং তাঁর দুই মেয়ে। বর্তমানে পরিবারের পুরো দায়িত্বই এখন অনুপের কাঁধে। অনুপ জানান, একসময় সে কলকাতার একটি রেস্তরাঁয় কাজ করতেন। তাতে তাঁর সব কিছু সামলানো সম্ভব হচ্ছিল না। এবং সে কারণেই নিজে কিছু করার চিন্তাভাবনা নিয়ে অভিনব কায়দায় তিনি এই টোটোর মধ্যে ছোট্ট রেস্তরাঁ গড়ে তুলেছেন। এই প্রসঙ্গে অনুপ জানিয়েছেন, এই চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ তাঁর নিজের। দোকান করার জন্যই তিনি ৪৮ হাজার টাকা দিয়ে এই পুরনো টোটো কিনেছিলেন। এবং টোটো থেকে দোকানে রূপান্তরিত করতে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি টাকা।

আরও পড়ুন : ইতিহাস ও প্রকৃতি মিলেমিশে একাকার, ছোট্ট ছুটিতে বেড়াতে আসুন জঙ্গলমহলে

লক্ষাধিক টাকা খরচ করে , খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে তাঁর টোটোকে। টোটোর মধ্যেই রয়েছে গ্যাস, আভেন এবং রান্নার বিভিন্ন সরঞ্জাম। টোটোতেই বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করেন অনুপ। এখন এই দোকানে পাওয়া যায় চাউমিন, এগরোল এবং সবথেকে স্পেশাল খাবার মোমো। বর্ধমানের কাটোয়া শহরের পুরসভার পাশে সন্ধ্যা লাগলেই দেখা মিলবে এই টোটোর। নির্দিষ্ট জায়গায় টোটো এসে হাজির হলেই ভিড় জমাতে শুরু করেন ক্রেতারা। এখন ক্রেতাদের কাছেও বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই টোটো এবং টোটো স্টলের খাবার। এই প্রসঙ্গে এক ক্রেতা বলেন, তিনি আগে এই ধরনের অভিনব দোকান দেখেননি। এছাড়াও তাঁর এই দোকান এবং দোকানের তৈরি খাবার দুটোই খুব ভাল লেগেছে।

টোটোর মধ্যেই রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়াও ক্রেতাদের মনোরঞ্জনের জন্য ছোট্ট টোটোর মধ্যেই লাগানো হয়েছে এলসিডি টিভি এবং রঙিন আলো। একটা সাধারণ টোটোকে এহেন খাবারের দোকানে পরিণত করে রীতিমতো এখন শহর জুড়ে চর্চায় উঠে এসেছে বীরভূমের অনুপ। জানা গিয়েছে সপ্তাহের শুধুমাত্র রবিবার বাদে প্রত্যেকদিনই খোলা থাকে এই দোকান।