আজ তিনি সফল আইএএস অফিসার

Success Story: বাবার অকালমৃত্যুতে পড়াশোনায় ছেদ, সাইকেল সারাইয়ের মেকানিক আজ সফল আইএএস অফিসার

নয়াদিল্লি : সঙ্কল্প এবং দৃঢ়তা থাকলে সাফল্যের পথ বন্ধুর হতে পারে না-এই কথাটা বার বার প্রমাণিত হয়েছে ইউপিএসসি-র মেধাতালিকায়। সমাজের প্রত্যন্ত অংশ থেকে হার না মানা মনোভাব নিয়ে মেধাবীরা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করেছেন এবং করছেন। সেই তালিকায় অন্যতম বরুণ বরণওয়াল। বরুণের বাবার অকালমৃত্যুতে ছেদ পড়েছিল তাঁর স্কুলজীবনে। কিন্তু স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেননি। সফল হয়েছেন অন্যতম কঠিন পরীক্ষা ইউপিএসসি-তে। লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউয়ের বাধা পেরিয়ে আজ তিনি সফল আইএএস অফিসার।

মহারাষ্ট্রের পালঘাট জেলায় ছোট্ট গ্রাম বৈসরে জন্ম এবং বড় হওয়া বরুণের। ছোট থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়া। তাঁর বাবা পেশায় ছিলেন সাইকেল মেকানিক। তাঁর ছিল ছোট্ট একটা সাইকেল সারানোর দোকান। সংসারে সত অভাব সত্ত্বেও ছেলের পড়াশোনা যাতে বন্ধ না হয়, তার জন্য হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে গিয়েছেন বরুণের বাবা।

দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় দারুণ ফল করার পরও প্রথমে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারেননি বরুণ। কারণ যথেষ্ট টাকা ছিল না হাতে। সে সময় সদ্য বাবাকে হারিয়েছেন বরুণ। ঠিক করলেন তিনি সাইকেলের দোকান সামলাবেন লেখাপড়া ছেড়ে। সেটাই করছিলেন। কিন্তু করতে দিলেন না তাঁর মা। তিনি নিজে সাইকেলের দোকানের হাল ধরলেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তাঁদের পারিবারিক ডাক্তার। তিনিই বরুণের বাবার চিকিৎসা করেছিলেন৷

আরও পড়ুন : বসন্তর বদলে এ যেন ‘বর্ষন্ত’! ভরা চৈত্রে কেন অকালবর্ষা? কলকাতায় কি আজও বৃষ্টি? জানুন আপডেট

পারিবারিক ডাক্তারের আর্থিক সাহায্যে পড়াশোনা করেন বরুণ৷ ডাক্তারিতে উপার্জন করতে সময় লাগতে পেরে ভেবে স্বপ্ন অধরা রেখে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে শুরু করেন বরুণ৷ পুণের এমআইটি কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করেন স্কলারশিপ পেয়ে৷

ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি পান বরুণ৷ কিন্তু সে চাকরি তাঁর ভাল লাগল না৷ ঠিক করলেন সরকারি চাকরি করবেন৷ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যে শুরু করলেন প্রস্তুতি৷ ওই সংস্থা ও আরও একাধিক জনের সাহায্যে তিনি ২০১৬ সালে সফল হন ইউপিএসসি পরীক্ষায়৷ সর্বভারতীয় মেধাতালিকায় তাঁর স্থান ছিল ৩২৷ জীবনযুদ্ধে সফল বরুণ মনে করেন প্রথম পর্বে অনটনে দগ্ধ হয়েছেন বলেই পরবর্তীতে সাফল্য পেয়েছেন৷