জলপাইগুড়ি: তীব্র গরমে জ্বলছে দক্ষিণবঙ্গ। ঝলসানো সূর্যের তাপে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। এদিকে পাল্লা দিয়ে তাপের দাপট উত্তরবঙ্গেও। অসুস্থ হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। ডিহাইড্রেশন হয়ে পালস্ রেট কমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে প্রচুর মানুষ।
গরমের এই দাপট থেকে বাঁচতে পারছে না পশুপাখিরাও। শুধু মানুষই নয়, অসুস্থ হয়ে পড়ছে পাখিরাও। এমনই চিত্র উঠে এসেছে জলপাইগুড়ি শহরে। জলপাইগুড়ি সংলগ্ন বয়েলখানা বাজার এলাকায় এদিন একটি গাছের নীচে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় একটি পাখিকে। দেরি না করে তৎক্ষণাৎ এলাকাবাসীরা খবর দেয় জলপাইগুড়ি পশু চিকিৎসালয়ের চিকিৎসককে। পাখিটির প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।
পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় বনদফতরের কর্মীদেরও। বিশিষ্ট পশু চিকিৎসক ড: রাজেশ্বর সিনহা জানান, পাখিটি অতিরিক্ত ডিহাইড্রেশনের কারণে পালস কমে গিয়ে জ্ঞান হারিয়েছিল। উপর থেকে পড়ে গিয়ে ডানা ভেঙে গুরুতর জখমও হয়েছে।
তবে এই ঘটনা প্রথম নয়। কিছুদিন যাবতই পাখিদের অসুস্থতার খবর পাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। মূল কথায় বলা যায়, হিট স্ট্রোকের কবল থেকে বাঁচতে পারছে না পাখিরাও। তা হলে এর সমাধান কি?
এই গরম থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষকে যেমন নিজের শারীরিক বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে, তেমনই পশু পাখিদের বিষয়ে ভাবাটাও আমাদের কর্তব্য। পাখিদের জন্যে বাড়ির ছাদে কিংবা উঠোনে, মাঠে-ঘাটে জলের যথেচ্ছ ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন জলপাইগুড়ির বিশিষ্ট পশু চিকিৎসক ড: রাজেশ্বর সিনহা।
যাতে পাখিরা উড়ে এসে জল পান করতে পারে, স্নান করতে পারে। পাখিদের শরীরের গঠন ছোট্ট। তাই দ্রুত ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা খানিক সচেতন হলেই পাখিরাও সুষ্ঠু ভাবে সুস্থ থাকতে পারে।
সুরজিৎ দে