দক্ষিণ দিনাজপুর: জেলা জুড়ে বিগত প্রায় এক মাস তীব্র তাপপ্রবাহ চলেছে। গড় তাপমাত্রা ৪০ এর উপরেই। ভয়াবহ গরমে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সেই কথা মাথায় রেখে জেলা স্বাস্থ্য দফতর তরফে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হল। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বিশেষ হিটস্ট্রোক আক্রান্তদের জন্য বিশেষ কক্ষ তৈরি করা হল।
ঘর পুরোপরি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। রাখা হয়েছে বরফ, ঠান্ডা জল, স্ট্যান্ড ফ্যান, তোয়ালে, রেকটাল থার্মোমিটার। প্রসঙ্গত, গত দু সপ্তাহ যাবৎ সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এই তীব্র তাপপ্রবাহের তাপমাত্রার পারদ প্রায় ৪২ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। তীব্র গরমে হিটস্ট্রোক হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করার জন্য বালুরঘাট হাসপাতালে এই হিট কর্নার খোলা হয়েছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: ২ বছর পিছিয়ে গেল বিয়ে, কিশোরী প্রেমিকার মাথা কেটে নিয়ে গেল যুবক! তারপর নিজেই…বীভত্স ঘটনা
এ বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বালুরঘাট হাসপাতালে গরমে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তাঁকে জরুরী পরিষেবা দেওয়ার জন্য হিট কর্ণার খোলা হয়েছে। এতে দুটি বেড থাকবে। মূলত হিট রিলেটেড ইলনেস মোকাবিলা করার জন্যই এই নতুন পরিষেবা প্রদান করা হবে। এখানে ঠান্ডা জল, ঠান্ডা নরমাল স্যালাইন, আইসপ্যাক, কভারিং কাপড়, টাওয়েল,থার্মোমিটার ইত্যাদি থাকবে।’’
এছাড়া জীবনদায়ী ওষুধপত্র এবং ইসিজি মেশিনও থাকবে। এই হিট কর্নারে বিশিষ্ট চিকিৎসকরা উপস্থিত থাকবেন যারা এই জরুরি পরিষেবা দিতে পারবেন। এই হিট কর্নার কোন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘর নয়। এটি সাধারণ ঘর কারন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের গাইডলাইন অনুযায়ী হিট কর্নার শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘর হতেই হবে এমনটা বলা হয়নি। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানা যায়, শুধু বালুরঘাট জেলা হাসপাতালই নয়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৮ টি ব্লকের হাসপাতালেই এই হিট কর্নার চালু করা হয়েছে।
এছাড়াও জেলায় ১৮ টি প্রাইমারি হেলথ সেন্টার রয়েছে। এই সমস্ত হেলথ সেন্টারগুলোতেও আলাদাভাবে হিট কর্ণার চালু করা হয়েছে। তাছাড়া গঙ্গারামপুর সাব ডিভিশনাল হসপিটালেও হিট কর্নার চালু হয়েছে। এতে আশা করা যায়, যদি কেউ গরমে রাস্তায় বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাদের জীবন বাঁচানো এই হিট কর্নারের মাধ্যমে সহজ হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জেলার সাধারণ মানুষদের সতর্কীকরণ করতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
সুস্মিতা গোস্বামী