সকালে কুয়াশার চিত্র

Summer Heat Fog: আচমকা কুয়াশায় ঢাকল চারিদিক, কী মারাত্মক দৃশ্য! অশোকনগরে অবাক কাণ্ড

উত্তর ২৪ পরগনা: গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ, দহন জ্বালায় জ্বলছে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি জেলার মানুষ। তবে তারই মাঝে এক অবাক করা ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা ও অশোকনগরের মানুষ। ভোরের সকালে ঘুম থেকে উঠেই হতবাক এলাকার মানুষ।

অনেকেই আবার ভাবলেন যেন গরমের কাল কাটিয়ে, ঘুমের ঘোরে স্বপ্নেই পৌঁছে গিয়েছেন শীতের দিনে। কারণ, এদিন এই এলাকাগুলির বিভিন্ন জায়গায় ভরা গরমে ভোরের সকালে দেখা মিলল ঘন কুয়াশার। রাস্তার পাশে, খোলা মাঠে এমনই কুয়াশায় ঢাকা আজব দৃশ্য চোখে পড়ল অনেকের। অনেকেই সেই সময়ের ছবি ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে করলেন পোস্ট। অনেকেই জানালেন তীব্র গরমের দিনেও, এ ধরনের কুয়াশা আগে কখনও দেখেননি এই এলাকার মানুষজন।

আরও পড়ুন: গাড়িতে টানা কতক্ষণ AC চললে ১ লিটার তেল পোড়ে জানেন? উত্তর জানলে মাথা ঘুরে যাবে!

কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেশি ছিল যে, সামান্য দূরের বস্তুকেও খালি চোখে দেখতে সমস্যা হচ্ছিল বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। মাঠের দিগন্ত রেখাও ঢেকে গিয়েছিল কুয়াশার জেরে। সকালে প্রাতঃভ্রমণকারী থেকে শুরু করে পথ চলতি বহু মানুষ দেখলেন এমনই আজব দৃশ্য। মূলত শীতকালে এই ধরনের দৃশ্য প্রায় প্রতিদিনই দেখা যায়। তবে তীব্র গরমের মাঝেও, সকালে এমন দৃশ্য দেখে বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্টই চিন্তার ভাঁজ দেখা গেল স্থানীয় মানুষদের কপালে।

আরও পড়ুন: সন্তানকে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে চান? KVS-এ পড়ানোর খরচ কত-কীভাবে আবেদন করবেন জানুন

এদিনের এই বিরল ঘটনার চর্চা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চায়ের দোকান থেকে বাজারঘাট এমনকী সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটেও। হাবরার বাসিন্দা রোহন দাস বলেন, “গরমকালে এরকম কুয়াশা আমি কখনও দেখিনি। চারদিক কুয়াশায় ঢাকা ছিল, অথচ গরম কাল! একেবারে অবাক করা কাণ্ড”। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত হাবরা অশোকনগরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা মিলেছে এই ধরনের কুয়াশার।

কেন এমন কুয়াশা! স্থানীয় পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে জানানো হয়, অতিরিক্ত বায়ুদূষণ, তাপমাত্রার তারতম্যের কারণেই বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে এমন দৃশ্যের সম্মুখীন হয়েছে এই এলাকার স্থানীয় মানুষজন। তবে, ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার মাঝেও শীতের সকালের এমন চিত্র দেখে অনেকেই মানসিক ভাবে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন বলে দাবি।

Rudra Narayan Roy