Lok Sabha Election 2024: পঞ্চপ্রাপ্তির পথে জমিদার গ্রামের পিতলের রথ! ভোটের আগে করুণ আবেদন

বীরভূম: আর মাত্র ৯ দিনের অপেক্ষা। এর পর‌ই চতুর্থ দফায় ভোট হবে বীরভূমের দুটি লোকসভা আসনে। ফলে এক কথায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারছে সমস্ত রাজনৈতিক দল।বিভিন্নভাবে বিভিন্ন আঙ্গিকে সারাদিন প্রখর রোদ উপেক্ষা করে শেষ মুহূর্তের প্রচার চলছে সর্বত্র। তবে যারা নেতা ঠিক করে সেই জনতা জনার্দন কতটা উপকৃত হয়েছে দীর্ঘ পাঁচ বছরে। কী কাজ হয়েছে তাদের, কী অভাব অভিযোগ রয়েছে তাঁদের? এসবের খোঁজ নিয়েছি আমরা। সাধারণ মানুষের দাবি শুনতে আমরা পৌঁছে যাই বোলপুর লোকসভার অন্তর্ভুক্ত কুন্ডলা গ্রামে।

বীরভূমের সাঁইথিয়া স্টেশন থেকে মাত্র ৩০ মিনিট দূরত্বে অবস্থিত এই কুন্ডলা গ্রাম। এখানে প্রায় ৩০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল এক নতুন গৌরবময় অজানা ইতিহাস। এক জমিদার থেকে সৃষ্টি হয়েছিল অনেক জমিদারের। অনেক জমিদারের অনেকগুলি বাড়ি এখনও কুন্ডলার মাটিতে বর্তমান। সেগুলো অতীতের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। এই গ্রামেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী রথ। রাঢ় ভূমের এই জেলায় ইতিহাসের পাতা উল্টালে যে কয়েকটি রথের অতীত-কথা পাওয়া যায়, কুন্ডলা গ্রামের পিতলের রথ তাদের মধ্যে অন্যতম। অতি প্রাচীন এই পিতলের রথের সূচনা করেছিলেন তৎকালীন জমিদার কৃপাসিন্ধু মুখোপাধায়। এখানকার রথের সাবেকিয়ানার ধারা আজও অটুট। তবে অর্থ সহ কালের কবলে অনেকটাই জৌলুস হারিয়েছে রথ।

আর‌ও পড়ুন: নতুন উপাচার্য পেল গৌড়বঙ্গ

রথের উপর লম্বায় সাড়ে তিন ফুট ও উচ্চতায় তিন ফুটের দুটি পিতলের ঘোড়া ছিল। একটি বছর কুড়ি আগে চুরি হয়ে যায়। সেই থেকে একটি ঘোড়াই আছে। কালের স্রোতে মন্দির থেকে রথ সবই কিছুটা হলেও শ্রী হারিয়েছে। তবু সেই সাবেকিয়ানা, নিয়ম-নীতি ও নিষ্ঠায় আজও এতটুকু ভাটা পড়েনি। এই গ্রামে গেলেই অনুভূত হয় ইতিহাসের কথা। গ্রামে গেলেই পেয়ে যাবেন জমিদার আমলের অনেক ভগ্নপ্রায় নিদর্শন। কুন্ডলা গ্রাম থেকে দু-তিন কিলোমিটার দূরে সাঁইথিয়া-বহরমপুর রাজ্য সড়কের নিমপুরডাঙা বেলেমাঠ পিচ রাস্তায় মোড়া। এখান থেকেই যেতে হয় কুন্ডলা।

মূলত কুন্ডলা গ্রাম জমিদার গ্রাম হিসেবে পরিচিত। ইতিহাসের পাতা খুঁজলে এই গ্রামের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। তবে কালক্রমে এই গ্রাম হারিয়ে যাচ্ছে। গ্রামের বর্তমান বাসিন্দা থেকে শুরু করে জমিদার বংশের সদস্যরা, সকলের মূল দাবি হল লোকসভা নির্বাচনে যে দল‌ই জয়ী হোক না কেন জমিদার আমলের চালু হ‌ওয়া রথের ঐতিহ্য যেন ফিরিয়ে দেয়।

সৌভিক রায়