সূর্য মন্দির

Travel: বাঁকুড়াতেও রয়েছে সূর্য মন্দির! সৌন্দর্য দেখলে তাক লাগবে, পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন ইতিহাসের গন্ধ মাখা জায়গায়

বাঁকুড়া: সূর্য মন্দির বললেই সবার মাথায় প্রথম যে মন্দির চোখে ভাসে সেটি হল কোনারকের সূর্য মন্দির। যেটি ভারতের সপ্তম বিস্ময়ের একটি। গোটা ভারতবর্ষে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪ টি জায়গায় সূর্য মন্দিরের খোঁজ পাওয়া যায়। তবে এই প্রতিবেদনে পুরীর সূর্য মন্দিরের কথা নয়।বাঁকুড়াতেও রয়েছে একটি সূর্য মন্দির, যার কথা অনেকেই জানেন না।

শুধু তাই নয়, এই মন্দির আবার কোনারকের সূর্য মন্দিরের থেকেও পুরানো। তাই জাতীয় হেরিটেজের তকমা পেয়েছে বাঁকুড়ার সূর্য মন্দির। বাঁকুড়া থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার পশ্চিমে দারিকেশ্বর নদীর ঠিক দক্ষিণ তীরে অবস্থিত, সোনাতপলগ্রাম। এই গ্রামেই রয়েছে চিত্তাকর্ষক একটি সূর্য মন্দির। অত্যন্ত আকর্ষণীয় এই মন্দির কিছুটা রহস্যময়ও।

আরও পড়ুন: সেমিনার রুমেই নাকি অন্য কোথাও নির্যাতিতাকে ধর্ষণ-খুন? জায়গা ধরে ফেলল সিবিআই? বড় মোড়

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যে বোর্ডটি বাইরে লাগানো রয়েছে সেই বোর্ড থেকে জানা যায় যে এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছে আনুমানিক খ্রিস্টীয় একাদশ শতাব্দীতে। ওই সময় তৈরি হওয়া একটি ইটের “রেখা দেউল”। উঁচু ইটের শক্ত একটি ভিত্তি প্রস্তরের উপর তৈরি এই সূর্য মন্দিরের উচ্চতা কমপক্ষে ১২০ ফুট। এত উঁচু প্রাচীন মন্দির এই অঞ্চলে আর কোথাও নেই সেটা হলফ করেই বলা চলে।

তবে খুঁজে খুঁজে এই মন্দির আসতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। পাকা রাস্তা ভেঙ্গে সনাতপল গ্রামে প্রবেশ করে, কিছুটা হাঁটা পথ, সেই হাঁটা পথ পেরিয়ে মন্দিরের চূড়া লক্ষ্য করে এগিয়ে গেলেই যেন চোখের সামনে ভেসে উঠবে এক অন্য পৃথিবী। নিজের চোখকেই বিশ্বাস করাতে পারবেন না যে এত সুন্দর মন্দির রয়েছে বাঁকুড়াতে। সূর্যালোক প্রবেশ করে গর্ভগৃহে। তবে কোনদেব-দেবী পূজিত হতেন তা জানা যায় না। বর্তমানে ত্রিশূল এবং শিবলিঙ্গ স্থাপন করা রয়েছে।

আরও পড়ুন: শক্তি হারাচ্ছে নিম্নচাপ! কবে বিদায় নেবে অকাল বর্ষা? পুজোয় ‘আশার রোদ’ দেখা যাবে কি? আবহাওয়ার নতুন আপডেট জেনে নিন

মন্দিরের চূড়া ঢেকে গেছে আগাছা এবং বড় গাছে। বড় গাছের শিকড়ের থাবা জমেছে, মন্দিরের দেওয়ালে। গঠন শৈলী এবং আর্কিটেকচারাল দিক থেকে যথেষ্ট শক্তপোক্ত বলে এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে মন্দির। অপেক্ষা করছে শুধুমাত্র খুঁজে নেওয়ার জন্য। বৃদ্ধ সষ্টি মল্ল পারিবারিক সূত্রে করছেন মন্দিরটির পরিচর্যা। জানেন এই মন্দিরের খুঁটিনাটি। গাছ গাছালিতে ভরেছে মন্দির চত্বর। শুধুমাত্র একটু সংস্কারের জন্য আবেদন করেছেন তিনি, যাতে এই মন্দির আরও ১০০০ বছর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী