Tag Archives: 21 July Rally

সাইকেলে চেপে ২১-এর মঞ্চে মশা! ধর্মতলায় স্পটলাইট ছিনিয়ে নিলেন কে?

কলকাতা: পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে সাইকেল নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। গন্তব্য ধর্মতলা। ২১ জুলাইকেই আদর্শ দিন হিসেবে বেছে নিয়েছেন তৃণমূল সমর্থক তৃণাঙ্কুর পাল। তবে তাঁকে তো আর চেনাই যায় না! মঞ্চের সামনে যখন এসে সাইকেল থেকে নামলেন, সবাই দেখলেন এক মশাকে!
এক ঢিলে দুই পাখির পরিকল্পনা ছিল তাঁর। মশা সেজে ডেঙ্গি সচেতনতার প্রচারও করবেন, আবার দলনেত্রীর ভাষণও শুনবেন।

মশাবাহিত ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে বর্ষায়। ঘরে ঘরে মানুষ এই রোগের শিকার। তাই মানবিক দিক থেকেই সচেতনতার বার্তা নিয়ে ধর্মতলা চত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণাঙ্কুর। মশার হাত থেকে বাঁচতে নিজেকে মশা সাজিয়ে সাধারন মানুষকে দিচ্ছেন সচেতনতার পাঠ। ‌তিনি বলছেন, “বাড়ির আশেপাশে জল জমতে দেবেন না। ‌ নিয়মিত বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখুন।” এভাবেই নানা বিষয়ে সাধারন মানুষকে অভিনব উদ্যোগে সচেতন করছেন।‌

আজকের দিনটাকেই কেন বেছে নিলেন? প্রশ্নের উত্তরে তৃণাঙ্কুর বললেন,”বর্ষা আসতে না আসতেই আমি আমার এলাকায় প্রচার করি যাতে সাধারণ মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত না হন। আর আজ যেহেতু ধর্মতলায় প্রচুর মানুষের সমাগম হবে সেই জন্যই একুশে জুলাই দিনটা বেছে নিলাম কলকাতায় আসার জন্য।”

আরও পড়ুন- ২১ জুলাইয়ের কথা ভেবেই শক্তিগড়ের ৩ কুইন্ট্যাল ল্যাংচা নষ্ট করল প্রশাসন! জেনে নিন কারণ

২১-এর সমাবেশে যোগ দিতে আজ‌ সব পথ মিশেছে ধর্মতলায়।‌ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শোনার জন্য সকাল থেকেই এসে পৌঁছেছেন ধর্মতলায়। তাঁদের মধ্যেই অন্যতম তৃণমূল কর্মী তৃনাঙ্কুর পাল। তবে তাঁর উদ্দেশ্য কিছুটা আলাদাও। সেখানেই তিনি কেড়ে নিয়েছেন স্পটলাইট।

21 July Rally: ‘কে কী করছেন, সব দেখা হচ্ছে’, একুশের মঞ্চ থেকে নেতাদের জরুরি বার্তা! ২৬-এর আগে নয়া স্ট্র্যাটেজি

কলকাতা: একুশের মঞ্চ থেকে দলের নেতাকর্মীদের জন্য জরুরি বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দেবেন, দলে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। লোকসভা ভোটে জয়ের পরে ঢিলেঢালা মনোভাব কাম্য নয়। সময় এখন সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে তোলার। জয় অবশ্যই উপভোগ করার। কিন্তু একটা ভোটে জিতে সব পেয়ে গেছি মনোভাব নিয়ে বসে থাকলে ভুল হবে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বর বার্তা থাকতে চলেছে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে। ২৪ এর ২১ জুলাই থেকে ২৬ লড়ার প্রস্তুতি শুরু হবে।

অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ঝেড়ে ফেলে সাংগঠনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী করার বার্তা দেবেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলকে আরও বেশি করে জনমুখী করার বার্তা। পারফরম্যান্স দেখেই পদ। পুরানো-নতুন ভারসাম্য রেখেই চলতে হবে। জাতীয় রাজনীতিতে আরও বেশি করে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রাসঙ্গিক করার বার্তাও দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ফেরানো হয়েছে ৭৭৮ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে, যোগাযোগ বাকি ৪০০০ জনের সঙ্গেও

দলীয় শৃঙ্খলাই শেষ কথা। দলের সিদ্ধান্ত না মানলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত। সাম্প্রতিক সময়ে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, বাঁকুড়ার ঘটনা তার প্রমাণ। লোকসভায় একাধিক আসন পেয়ে ঘরে বসে থাকলাম তা চলবে না। দল একাধিক কর্মসূচী নিচ্ছে। তার পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে জনসংযোগ করায় কোনও ফাঁকি দেওয়া যাবে না। পারফরম্যান্স শেষ কথা। পদ আঁকড়ে বসে থাকলাম, আর ফল দিতে পারলাম না, এটা চলবে না। পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে সাংগঠনিক নেতা। প্রত্যেকে কে কী কাজ করছেন? তার মূল্যায়ন করবে দল।

নেতা ধরে পদোন্নতি নয়৷ কাজ হবে দলীয় পদোন্নতি ও ভোটে লড়ার মাপকাঠি। বেশি করে সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। দলের কথা দলের অন্দরেই বলতে হবে। সাংসদ হয়ে গেলাম মানে দিল্লি অভিমুখে চলে গেলাম, তা নয়৷ নিজের সংসদীয় এলাকায় নিয়মিত সময় দিতে হবে। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর আরও চড়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোটে থাকার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে তৃণমূল। কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের দাদাগিরি না-পসন্দ। বিভাজনের রাজনীতি নয়, উন্নয়নের অস্ত্রেই বাজিমাত করা হবে।

21 July: রাত পোহালেই ২১-এর সমাবেশ…! সাইকেল চেপে কলকাতা পৌঁছলেন উত্তরের পাঁচ পড়ুয়া

ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ২১-এর সমাবেশে যোগ দিতে সাইকেলে চেপে কলকাতায় পৌঁছলেন পাঁচ পড়ুয়া। রাত পোহালেই সমাবেশ। ধর্মতলার মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শুনতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা আসতে শুরু করে দিয়েছেন কলকাতায়। কেউ আসছেন ট্রেনে, কেউ বাসে। তবে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত পাঁচ পড়ুয়ার।

উত্তরবঙ্গ থেকে এই পাঁচজন কলকাতার সেন্ট্রাল পার্কে এসে পৌঁছলেন সাইকেলে সওয়ার হয়ে। গত ১৭ জুলাই বিকালে উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ থেকে সাইকেল নিয়ে রওনা হন পাঁচ পড়ুয়া। দীর্ঘ সড়ক পথ পেরিয়ে ২১ জুলাইয়ের ঠিক আগের দিন শনিবার বিকেলে তাঁরা পৌঁছলেন কলকাতায়। কেউ রায়গঞ্জ, কেউ কালিয়াগঞ্জ হেমতাবাদ, আবার কেউবা ইটাহারের বাসিন্দা। মৃদুল বর্মণ, শাহাবাজ আলী, বিনু বর্মন, মুন্না রাজবংশী এবং সৌরভ বর্মন এই দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন।

প্রসঙ্গত, বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রবিবার ২১ জুলাইয়ের অনেক আগে থেকেই তাঁরা সেন্ট্রাল পার্কে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, কালিম্পং, কোচবিহার দার্জিলিং সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা ইতিমধ্যেই এসে উপস্থিত হয়েছেন সেন্ট্রাল পার্কে। পড়ুয়ারা রায়গঞ্জ থেকে সাইকেলে চেপে পা রাখলেন কলকাতার করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড লাগোয়া সেন্ট্রাল পার্কে।  ওঁদের কথায় বলছেন, ‘দিদিই আমাদের শক্তি।’

TMC 21 July : কলকাতায় ফিরলেন অভিষেক, ২১ জুলাই নিয়ে কী বার্তা মমতার?

কলকাতা: রবিবার ২১ জুলাই। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে তৃণমূলের মহা সমাবেশ। সাজো সাজো রব শহর কলকাতায়। জেলায় জেলায় প্রস্তুতি বৈঠক। ধর্মতলায় মেগা শোয়ের প্রস্তুতি। উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন কর্মী-সমর্থকরা। বিধানসভা উপনির্বাচনে ঘাসফুলের সুনামির পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার অপেক্ষা। শুক্রবারই কলকাতায় ফিরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।