Tag Archives: Abhisek Banerjee

RG Kar Case: সোশ‍্যাল মিডিয়াতে CBI-কে তুলোধনা অভিষেকের! বেঁধে দিলেন তদন্তের সময়সীমা!

কলকাতাঃ আরজি করের তরুণী-চিকিৎসক খুনের ঘটনায় তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু তারপর দু-সপ্তাহ কেটে গেলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই নিয়েই সরব হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর ট্যুইট শেয়ার করে ন্যায়বিচার চাওয়ার ঝড় উঠল বলিউডেও। আরজি করের ঘটনায় ধর্ষকদের ‘এনকাউন্টার’-এর নিদান দিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ ‘হামলার ছক’…! বিশাল পুলিশ বাহিনী…! স্টেশনে স্টেশনে তল্লাশি! ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে টান টান উত্তেজনা শহর জুড়ে

দেশ জুড়ে নারী নির্যাতনের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান তুলে ধরে, অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, ‘দশ দিন কেটে গেলেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কেন অপরাধীদের এখনও ধরতে পারল না?’ একই সঙ্গে ৫০ দিন সময় বেঁধে দেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই পোস্ট নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরাও দাবি তুললেন, ‘জাগো ভারত’। আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে বারবার সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল।

রাজ্যের হাতে তদন্ত থাকাকালীন একদিনের মধ্যেই সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু সিবিআয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার পর থেকে তদন্ত-প্রক্রিয়া কোন দিকে মোড় নিচ্ছে তা নিয়ে সম্পূর্ণ ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে তীব্র প্রতিবাদী পোস্ট ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে ন্যায়বিচার চেয়ে সুর চড়ালেন মালাইকা আরোরা।

Mamata and Abhishek Banerjee: ‘কেউ কেউকেটা নয়’! অভিযোগ এলেই ব্যবস্থা…কর্মীদের বারবার কড়া বার্তা মমতা-অভিষেকের

কলকাতা: মমতা বললেন, ‘কোনও নেতা নেই। কেউ কেউকেটা নয়। কর্মীরাই সম্পদ’৷ আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘যাঁরা মানুষ কে বোঝাতে পারেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’ মোদ্দা কথা হল, দলীয় কর্মীদের নরমে গরমে বার্তা দিলেন নেত্রী থেকে সেনাপতি৷ বসে থাকলে হবে না, নিজেকে কেউকেটা ভাবলেও হবে না, আবার কেউ যদি ভাবেন নিজেরটা বুঝে নিলেই হবে, দলেরটা দল বুঝবে, সেটা হলেও চলবে না৷ ‘আত্মতুষ্টি’র কোনও জায়গা নেই৷ এখন থেকেই শুরু করে দিতে হবে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি৷

গুরু পূর্ণিমার শুভেচ্ছা দেওয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ৷ মমতার একুশের বক্তৃতায় উঠে এসেছে নানা প্রসঙ্গ৷ তার মধ্যে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ, নিজের দলের সাফল্যের খতিয়ান এবং অতিথি অখিলেশকে অভ্যর্থনা সবই ছিল৷ ছিল বিজেপি-কে জোরাল আক্রমণ৷ কিন্তু, এই সবের মাঝখানে দলীয় শৃঙ্খলা বিষয়ক বার্তা দিতেও ভোলেননি মমতা৷

আরও পড়ুন: ছাত্র-যুবদেরই জয়! হাইকোর্টের রায় বাতিল, ঐতিহাসিক রায় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের, চাকরিতে মেধাকেই প্রাধান্য

এদিনের মঞ্চ থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘সব পুরসভা, পঞ্চায়েতকে বলব। কারও বিরুদ্ধে দল যদি অভিযোগ পায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। বিধায়ক, সাংসদদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে। অন্যায় করবেন না। অন্যায় করলে ব্যবস্থা নেবে দল৷ কোনও নেতা নেই। কেউ কেউকেটা নয়। কর্মীরাই সম্পদ৷’’

মমতার কথায়, ‘‘অন্যায় করলে আমি কাউকে ছাড়ি না। অন্যায় করলে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের কাউকে ছাড়ি না। অন্যায় করবেন না। মহিলাদের সন্মান দেবেন।’’ দলীয় কর্মীদের কাছে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের সামাজিক বন্ধু হোক। আমি বিত্তবান চাই না। আমি মানুষ চাই। পঞ্চায়েত, মিউনিসিপালিটিগুলোকে বলব এখন থেকে যাতে কোনও অভিযোগ না আসে, না হলে আমি পদক্ষেপ নেব।’’

আরও পড়ুন: অভিষেকের মুখে NEET-এর প্রশ্নফাঁস! একুশের মঞ্চে হঠাৎ কেন তুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ?

মমতার আগেই একুশের মঞ্চে বক্তৃতা সেরে গিয়েছিলেন অভিষেক৷ তাঁর কণ্ঠেও প্রতিধ্বনিত হয়েছিল এই একই রকম বার্তা৷ ২০২৬-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে, কর্মীদের কথা ভাবতে হবে। পুরসভা দেখতে হবে। সবই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন অভিষেক৷ বলেছিলেন, ‘‘আপনি যত বড় নেতা হন দল ব্যবস্থা নেবে। আপনি পুরসভায় জিতবেন আর বিধানসভায় নয়। ভাববেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে একটা মিটিং করব আর জিতবেন। সেটা হবে না৷ দল ব্যবস্থা নেব।’’

এর পাশাপাশি, আত্মতুষ্টি পরিত্যাগ করার বার্তাও দেন অভিষেক৷ বলেন, ‘‘যদি ভেবে থাকি আগামীর লড়াই জিতব। আমরা জিতব। কিন্তু আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। আমাদের ২০১৬ থেকে বেশি ভোটে জিতব। নতুন তৃণমূলে যারা এসেছেন তাদের সংগ্রাম, ইতিহাস জানতে হবে। প্রবীণদের সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। নবীন আর প্রবীণ একই বৃন্তে দুটি কুসুম। আপনাদের শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে। সংযত হতে হবে।’’

সবশেষে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা দলকে জয় এনে দিয়েছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিজেপি কিনতে পারবে না। আপনারা বুথ সুনিশ্চিত করেছেন। যাঁরা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, যাঁরা মানুষকে বোঝাতে পারেননি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’’

TMC 21 July : কলকাতায় ফিরলেন অভিষেক, ২১ জুলাই নিয়ে কী বার্তা মমতার?

কলকাতা: রবিবার ২১ জুলাই। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে তৃণমূলের মহা সমাবেশ। সাজো সাজো রব শহর কলকাতায়। জেলায় জেলায় প্রস্তুতি বৈঠক। ধর্মতলায় মেগা শোয়ের প্রস্তুতি। উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন কর্মী-সমর্থকরা। বিধানসভা উপনির্বাচনে ঘাসফুলের সুনামির পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার অপেক্ষা। শুক্রবারই কলকাতায় ফিরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Lok sabha Elections 2024: আসানসোলে মেগা রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহাকে জেতানোর ডাক

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে দলের প্রার্থীর হয়ে মেগা রোড শো করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে বিশাল রোড শো করেছেন তিনি। হুড খোলা গাড়িতে চেপে দীর্ঘ দুই কিলোমিটার রাস্তায় রোড শো করেছেন প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে। গাড়িতে হাজির ছিলেন জেলা তৃণমূলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব।

এদিন আসানসোলের দুর্গা মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো। হুড খোলা গাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে ছিলেন প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। তাছাড়াও সেখানে দেখা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ,জামুরিয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। আর প্রচারের শেষ বেলায় এই রোড শো থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে ফের আসানসোলে জেতানোর আওয়াজ শুনেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, আসানসোলের দুর্গা মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু হওয়া এই রোড শো গিয়ে শেষ হয় আসানসোলের হটন রোড এলাকায়। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে উপনির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে এই রাস্তাতেই রোড শো করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ এর চেনা সেই রাস্তায় ফের ২৪’এর নির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে প্রচার করলেন তিনি।

আরও পড়ুন: Purulia News: ২-বারের মন্ত্রী, ৬-বারের বিধায়ক, আজও ঘুরে দেখেননি দিঘা-পুরী-দার্জিলিং!

এদিনের নির্বাচনী প্রচার থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন। তার বক্তব্যে একাধিক বিষয় উঠে এসেছে। অন্যদিকে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই রোড শো’কে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বড় সংখ্যায় ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাছাড়াও নির্বাচনী এই রোড শো’কে কেন্দ্র করে ছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

নয়ন ঘোষ

Lok Sabha Election 2024: দুয়ারে ভোট! প্রচারের শেষ লগ্নে আজ কোচবিহারে সভা অভিষেকের

কোচবিহারঃ কোচবিহার লোকসভা নিয়ে আজ, শেষ দফার প্রচার করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ দুপুরেই কোচবিহার জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে নিয়ে হবে তাঁর জনসভা। ভোট ঘোষণা হওয়ার পরেই বিজেপি বনাম তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক লড়াই তুঙ্গে এই লোকসভা আসনে। ২০১৯ সালে এই আসনে জয়লাভ করে বিজেপি ৷ ২০২১ সালেও ভাল ফল হয় তাঁদের। যদিও বিধানসভায় ঘুরে দাঁড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস শিবির৷ এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে গত ২ এপ্রিল বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সিতাইয়ে তিনি একটি রোড শো করেছেন।

আরও পড়ুনঃ হুড়মুড়িয়ে চড়ছে পারদ! তাপপ্রবাহ সতর্কতা একাধিক জেলায়, নবান্নে হঠাৎ জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব

সম্প্রতি উদয়ন গুহকে আক্রমণ করেছেন নিশীথ প্রামাণিক ঘনিষ্ঠরা৷ এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। পালটা অভিযোগ করেছে বিজেপিও ৷ এই অবস্থায় দলীয় নেতাদের সামনে আজ জনসভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেন, সকলের নজর সেদিকেই ৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য ওই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এলাকার আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার জন্য যারা অন্যদেরকে ভয় দেখাচ্ছে এবং সমাজবিরোধীদের সাহায্য করছে, তারা দেখিয়ে দিচ্ছে যে তাদের পায়ের তলার মাটি হারিয়ে গেছে। আমরা ব্যালটের মাধ্যমে বুলেটের জবাব দেব। কোচবিহারের মানুষ প্রমাণ করবে যে এই মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের কোনও স্থান নেই। যারা মানুষের শক্তিতে বিশ্বাস করে না, তারা কেবল এরকম সস্তা কৌশল এবং সহিংসতার পথ অবলম্বন করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ক্ষমতার কাছে ও মানুষের ক্ষমতার সামনে সত্যি কথা বলায় বিশ্বাস করি। আমি মনে করি সমগ্র কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার আগামী ১৯ এপ্রিল বিজেপিকে উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত। শুধু অপেক্ষা করুন এবং দেখুন। এইবার বাংলার এই অঞ্চল থেকে আমাদের চমকপ্রদ ফলাফল হবে ৷ যেখানে বিজেপিকে তাঁদের নিজেদের ওষুধই খাওয়াতে হবে এবং যে ভাষায় তাঁরা বোঝে, বাংলার মানুষের পক্ষ থেকে সেই ভাষাতেই উত্তর দেওয়া হবে।”

এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নবজোয়ার যাত্রা শুরু করেছেন কোচবিহার থেকে৷ গত চার তারিখ এই জেলায় সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মমতা বন্দোপাধ্যায় দিনহাটা ও রাসমেলা ময়দানে সভা করেন। এই লোকসভা আসনে সভা করেন প্রধানমন্ত্রীও। ফলে রাজনৈতিক দ্বৈরথ তুঙ্গে উত্তরের এই জেলায়।

Abhishek Banerjee: ‘গণতন্ত্রের মৃত্যু..,’ দিল্লির পুলিশ ‘স্বৈরতন্ত্রের দলদাস’! সোমবারের ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক অভিষেক

কলকাতা: গত সোমবার এনআইএ-এর মতো এজেন্সির অপব্যবহার রুখতে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়ে এবং জলপাইগুড়ি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি বাড়ি তৈরির অনুমতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল৷ কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দ্রুত সাক্ষাতের দাবিতে বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরের বাইরে ২৪ ঘণ্টার ধরনাতেও বসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সহ দলের দশজন নেতানেত্রী৷ কিন্তু, কিছুক্ষণ পরেই বলপ্রয়োগ করে তাঁদের সেখান থেকে হঠিয়ে দেয় পুলিশ৷ আটকও করা হয়৷ এমনকি, মহিলা সাংসদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও করা হয় বলে অভিযোগ৷

মঙ্গলবার এ নিয়ে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে ফের আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে কড়া আক্রমণ করে লেখেন, ‘কেন গণতন্ত্র আমার মাতৃভূমিতে লুণ্ঠিত হচ্ছে প্রতিপদে? গতকাল রাজধানীর বুকে আমাদের ১০ জন প্রতিনিধির সঙ্গে যা ঘটল, তা গণতন্ত্রের মৃত্যু ছাড়া আর কী? দিল্লির পুলিশ কি আদৌ মানুষের সেবা করছে, নাকি তারা দিল্লির স্বৈরতন্ত্রের দলদাস হয়ে গিয়েছে?’

আরও পড়ুন: তৃণমূলের মহিলা সাংসদদের হেনস্থা, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি! প্রতিবাদে থানার বাইরে অবস্থান ডেরেকদের

অভিষেকের কথায়, ‘ ৩ অক্টোবর ২০২৩-এর পর, আজ গোটা দেশ যে মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী থাকল, তা দেশের জন্য লজ্জার, দেশবাসীর জন্য লজ্জার। আমাদের প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে এবং ইডি, এনআইএ-র পক্ষপাতদুষ্ট পদক্ষেপের কথা বলতে, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাকা স্থায়ী বাড়ি তৈরী করার অনুমতি চাইতে! ধিক্কার নির্বাচন কমিশন!’

আরও পড়ুন: তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’! লোকসভা নির্বাচনের আগে BJP-NIA ‘যোগসাজশ’, বিস্ফোরক অভিযোগ অভিষেকের

এরপরে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক লেখেন, ‘কিন্তু মনে রাখবেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকদের কোনো জমিদারদের লেঠেলবাহিনী দিয়ে আটকানো যাবে না।কাল রাজভবনে আমরা মাননীয় রাজ্যপালকে সবিস্তারে বলেছি এবং অনুরোধ করেছি যে এই সকল বিষয়ে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। স্বৈরাচারী বিজেপি সরকরের পতন সময়ের অপেক্ষা।’

Abhishek Banerjee-Dev: দেব-গড়ে অভিষেকের ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রতিশ্রুতি! ভিড়ে ঠাসা ঘাটালের পরতে-পরতে চমক

একদিকে দেব, অন‍্যদিকে অভিষেক। রবিবার দেবের সমর্থনে প্রচারে ঘাটালে রোড-শো করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই গাড়িতে একসঙ্গে দেখা গেল দেব এবং অভিষেককে।
ঘাটালে দেবের সমর্থনে ঘাটালে রোড-শো করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার ঘাটালের রাস্তায় তৃণমূলের দুই নেতার সমর্থনে দেখা গেল জনজোয়ার৷ রোড-শো শেষে ঘাটাল বাসীর উদ্দ্যেশ্যে ভাষণ দেন দুই নেতা৷ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান থেকে দেবের রাজনীতি ছাড়া, উঠে এল একাধিক প্রসঙ্গ৷
এদিন ঘাটালে জনজোয়ার দেখে অভিষেক বলেন, ‘‘২০২১ সালে এখানে রোড শো করি তখন যা দেখেছি তার চাইতে আজ তিনগুন বেশি’’৷
এদিন ঘাটালে জনজোয়ার দেখে অভিষেক বলেন, ‘‘২০২১ সালে এখানে রোড শো করি তখন যা দেখেছি তার চাইতে আজ তিনগুন বেশি’’৷
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘মানুষের ভালবাসা আছে৷ তখন দল ভাঙানির কথা বলেছিল। বিজেপি এখনও হুমকি দিচ্ছে৷ এখানে এলে প্রশ্ন করবেন৷’’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘মানুষের ভালবাসা আছে৷ তখন দল ভাঙানির কথা বলেছিল। বিজেপি এখনও হুমকি দিচ্ছে৷ এখানে এলে প্রশ্ন করবেন৷’’
এদিন অভিষেকের কথায় উঠে এল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথাও৷ তিনি বলেন, ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্লানের ৬০% টাকা কেন্দ্র দেয়নি কেন? বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পর ব্যবস্থা নেয়নি কেন?’’
এদিন অভিষেকের কথায় উঠে এল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথাও৷ তিনি বলেন, ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্লানের ৬০% টাকা কেন্দ্র দেয়নি কেন? বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পর ব্যবস্থা নেয়নি কেন?’’
দেবের পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও তোপ দাগলেন অভিষেক৷ তাঁর কথায়, ‘‘আজ থেকে ৬ বছর আগে ১৮ জুলাই পিএম কৃষকদের উন্নয়নের কথা বলেছিলেন। পরের দিন আমি সভা করেছিলাম। আজ বলতে চাই মেদিনীপুর হাওড়া হুগলি কৃষকদের চোখে জল কেন?’’
দেবের পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকেও তোপ দাগলেন অভিষেক৷ তাঁর কথায়, ‘‘আজ থেকে ৬ বছর আগে ১৮ জুলাই পিএম কৃষকদের উন্নয়নের কথা বলেছিলেন। পরের দিন আমি সভা করেছিলাম। আজ বলতে চাই মেদিনীপুর হাওড়া হুগলি কৃষকদের চোখে জল কেন?’’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান উচিত কি না? দেবকে বলেছে মানুষকে কথা দিয়েছি। কেন্দ্রকে জানিয়েছি। তারপরেও হয়নি। আমি বলেছি যারা মানুষের বাড়ির টাকা বন্ধ করে এটা করবে না৷ আমি সিএমকে ফোন করি। এরা দেবে না। ১ মাসে না দিলে আমার সরকার করবে৷ কেন্দ্র না দিলে যা লাগুক আমরা দেব। আমি কথা দিয়ে কথা রাখার লোক৷ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করে দেখাবো৷’’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান উচিত কি না? দেবকে বলেছে মানুষকে কথা দিয়েছি। কেন্দ্রকে জানিয়েছি। তারপরেও হয়নি। আমি বলেছি যারা মানুষের বাড়ির টাকা বন্ধ করে এটা করবে না৷ আমি সিএমকে ফোন করি। এরা দেবে না। ১ মাসে না দিলে আমার সরকার করবে৷ কেন্দ্র না দিলে যা লাগুক আমরা দেব। আমি কথা দিয়ে কথা রাখার লোক৷ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করে দেখাবো৷’’
এদিন তাঁর ভাষণে উঠে এল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথাও৷ তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। ১০০ দিনের টাকা পৌছে দেবে তৃণমূল৷ ১ এপ্রিল থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার দ্বিগুন৷ ২৫ হাজার কোটি খরচ করে লক্ষ্মীর ভান্ডার করতে পারি৷ ১৫০০ কোটি দিয়ে মাস্টার প্ল্যান করতে পারি৷ মাস্টার প্ল্যান হবে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় তৃণমূলের গ্যারান্টি৷’’

এদিন তাঁর ভাষণে উঠে এল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথাও৷ তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। ১০০ দিনের টাকা পৌছে দেবে তৃণমূল৷ ১ এপ্রিল থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার দ্বিগুন৷ ২৫ হাজার কোটি খরচ করে লক্ষ্মীর ভান্ডার করতে পারি৷ ১৫০০ কোটি দিয়ে মাস্টার প্ল্যান করতে পারি৷ মাস্টার প্ল্যান হবে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় তৃণমূলের গ্যারান্টি৷’’
দেব রাজনীতি ছাড়ার খবরে কয়েকদিন আগেও সরগরম হয়েছিল রাজনৈতিক মহল। পরে মত বদলান তৃণমূল সাংসদ৷ এদিন দেবের কথায় উঠে এল সেই প্রসঙ্গ৷
দেব রাজনীতি ছাড়ার খবরে কয়েকদিন আগেও সরগরম হয়েছিল রাজনৈতিক মহল। পরে মত বদলান তৃণমূল সাংসদ৷ এদিন দেবের কথায় উঠে এল সেই প্রসঙ্গ৷
দেবের কথায়, ‘‘রাজনীতিতে সবচাইতে বেশি অভাব বিশ্বাসের৷ কাকে বিশ্বাস কাকে নয়৷ বলেছিলাম রাজনীতি করব না৷ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান সত্যি হবে সেটা অভিসেক বাবু বলেন৷ কে জিতবে কে হারবে সেটা বড় কথা নয়। যে সুখে দুখে মানুষের সাথে থাকবে তার জেতা উচিত’’

দেবের কথায়, ‘‘রাজনীতিতে সবচাইতে বেশি অভাব বিশ্বাসের৷ কাকে বিশ্বাস কাকে নয়৷ বলেছিলাম রাজনীতি করব না৷ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান সত্যি হবে সেটা অভিসেক বাবু বলেন৷ কে জিতবে কে হারবে সেটা বড় কথা নয়। যে সুখে দুখে মানুষের সাথে থাকবে তার জেতা উচিত’’

Abhishek Banerjee: ‘বাড়ির টাকার প্রথম কিস্তি পেয়ে যাবেন..,’ কাটোয়ায় দাঁড়িয়ে বড় আশ্বাস দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! বেঁধে দিলেন তারিখ

কাটোয়া: পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় আজ নির্বাচনী জনসভা সারলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর এদিনের বক্তৃতাতেও কেন্দ্রীয় সরকারকে বঞ্চনা প্রসঙ্গে করলেন তুমুল আক্রমণ৷ পাশাপাশি, সিএএ নিয়েও কথা বলতে ছাড়লেন না তিনি৷

এদিন অভিষেক বলেন, ‘‘কেউ ১০ পয়সা পায়নি। বলেছিল ১৫ লাখ দেব। বলেছিল দুই কোটি চাকরি হবে বছরে। একটা চাকরি দেয়নি। সাংসদ হয়েছেন এস এস আহলুওয়ালিয়া। একটা বুথেও এলাকার কাজ হয়নি।’’

অভিষেকের কথায়, ‘‘এরা বাংলায় হেরে গিয়ে। বাংলার মানুষের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছে। আপনাদের ছাদ আর বাড়ির ব্যবস্থা আমাদের সরকার করবে। এদের দয়া দাক্ষিণ্যের দরকার নেই। আর আধার ও প্যান কার্ড লিঙ্ক করার নামে মোদিজি এক হাজার টাকা নিচ্ছে। আর দিদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে এক হাজার দিচ্ছে।’’

আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার মুখ্য সচিবকে নির্দেশ হাইকোর্টের! ৩ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট তলব

এরপরেই CAA নিয়ে আক্রমণ শানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, ‘‘সিএএ আইন পাশ করেছেন ২০১৯ সালে। নিয়মাবলি ফ্রেম করতে ৫ বছর লেগে গেল। এটা একটা জুমলা। ৪০ পাতার ফর্মে ৩৮ পাতা শুধু ফিলআপ করে যান। কবে নাগরিকত্ব পাবেন কেউ জানেন না। এই জুমলার ফাঁদে পা দেবেন না’’

পূর্ব বর্ধমানের প্রার্থী ডঃ শর্মিলা সরকারের হয়ে প্রচারে অভিষেক বলেন, ‘‘কাটোয়ার মেয়েকে প্রার্থী করেছি। উচ্চশিক্ষিত মার্জিত উনি। আপনারা প্রার্থী দেখে নিতে বলেছিলেন।’’ তবে এর পাশাপাশি জনসাধারণকে অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, ‘‘ভোট ব্যক্তিকে নয়৷ ভোট শত্রুঘ্ন সিনহা, কীর্তি আজাদ, শর্মিলা সরকারকে নয়। ভোট দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত শক্ত করতে বিজেপি বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসকে।’’

আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিব মন্দির কোথায় রয়েছে বলুন তো?…উত্তরটা কেদারনাথ বা অমরনাথ নয় কিন্তু, কীভাবেই বা যায় সেখানে?

সবশেষে অভিষেকের আশ্বাস, ‘‘পঞ্চায়েতগুলোকে জেতান। ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে বাড়ির টাকার প্রথম কিস্তি পেয়ে যাবেন। আমি আমার কাঁধে তুলে নিচ্ছি দায়িত্ব।’’