Tag Archives: Anil Kumble
অনিল কুম্বলে: জীবন, পুরস্কার, কেরিয়ার এক ঝলকে
পুরো নাম
অনিল কুম্বলে
জন্ম
১৭ অক্টোবর, ১৯৭০
উচ্চতা
৬ ফুট ১ ইঞ্চি (১.৮৫ মিটার)
জাতীয়তা
ভারতীয়
ক্রীড়াবিদ
বোলার/ডানহাতি লেগ ব্রেক
পরিবার
বাবা: কৃষ্ণস্বামী
মা: সরোজ
স্ত্রী: চেথানা রামতীর্থ
কেরিয়ারের সূচনা
ভারতের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার এবং বোলার অনিল কুম্বলের জন্ম ১৭ অক্টোবর, ১৯৭০ সালে। ১৯৯২ সালের ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়ই তিনি নিজেকে ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম জাদুকরী স্পিনার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি ভারতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হিসাবে তাঁর সফর শেষ করেন। এর মধ্যে জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় টেস্টে তার ৫৩ রানে ৬ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও রয়েছে।
পরের বছর ইংল্যান্ডের ভারত সফরে কুম্বলে তিনটি টেস্টে ২১ উইকেট নিয়ে এক রেকর্ড গড়েন এবং শেষ টেস্টে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।
তিন ম্যাচের সিরিজে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয়ের মাধ্যমে কুম্বলে তার ক্রিকেট জীবনের সূত্রপাত করেন। ২৭ বছরের মধ্যে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেটাই ছিল ভারতের প্রথম জয়। তিনি ২০০৮ সালে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক স্মরণীয় জয়ে ভারতকে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন।
অভিষেক
৩০ নভেম্বর ১৯৮৯ সালে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কর্ণাটকের হয়ে প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। কেরিয়ার যখন শুরু হয় তখন তিনি একক ভাবে ১৩/১৩৮-এর দুর্দান্ত স্কোরের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ভারতকে দুর্দান্ত জয় এনে দেন।
উত্থান
১৯৯৯ সালে তিনি টেস্ট ইনিংসে দশ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন ও দ্বিতীয় রেকর্ডের অধিকারী হন। কুম্বলের আগে ১৯৫৬ সালে জিম লেকার এই রেকর্ড অর্জন করেন।
চোট-আঘাত
২০০২ সালে অ্যান্টিগুয়ায় কুম্বলে অসাধারণ দক্ষতায় চোট আঘাত-সহ এক আলোড়ন সৃষ্টিকারী স্পেল দিতে মাঠে ফিরে আসেন। ১৯৯৩ সালে হিরো কাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার ৬/১২-এর পরিসংখ্যান এখনও ভারতীয় বোলিং ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স হিসাবে রয়ে গিয়েছে।
তাঁর এই হাল না ছাড়া মনোভাবের কারণেই তাকে ২০০৭ সালে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক মনোনীত করা হয়। তিনি ১৪টি টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচে তিনি জয় লাভ করেন ও পাঁচটিতে হেরে যান। বাকি ছয়টি ম্যাচ ড্র হয়েছিল।
রেকর্ড
১৮টি দুর্দান্ত রেকর্ড অসাধারণ কেরিয়ার, পদ্মশ্রী এবং অর্জুন পুরস্কার বিজয়ী, ১৩২টি টেস্ট এবং ২৭১টি একদিনের আন্তার্জাতিক ম্যাচ খেলার বহুল অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এই ক্রিকেটার তাঁর সম্পূর্ণ জীবনে যথাক্রমে ৬১৯টি এবং ৩৩৭টি উইকেট নিয়েছেন।
অভিজ্ঞ বোলার মুথাইয়া মুরালিধরন এবং শেন ওয়ার্নের পরে টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হিসেবে রেকর্ড গড়েন তিনি।
২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্বকাপে ভারতের হতাশাজনক প্রস্থানের পর অনিল কুম্বলে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন। যদিও তিনি টেস্ট ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যান এবং এক বছর পর ২৮ অক্টোবর ২০০৮-এ দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
কুম্বলে ২০১৬ সালে জুন মাসে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন এবং প্রায় এক বছর তিনি দায়িত্ব পালন করেন। এমনকী কোচ হিসাবে তার সংক্ষিপ্ত মেয়াদে, কুম্বলে অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন এবং ভারতকে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর স্থানে নিয়ে গিয়েছেন।
কুম্বলের চোটের স্মৃতি ফিরল! রক্তারক্তি কাণ্ড, এই ক্রিকেটার যা করলেন, গর্ব হবে
মুম্বই: বিজয় হাজারে ট্রফি ২০২৩-এর উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচ রাজকোটে আয়োজিত হয়েছিল। হরিয়ানা ও তামিলনাড়ুর মধ্যে খেলাটি হয়।
ম্যাচ চলাকালীন তামিলনাড়ুর ওপেনিং ব্যাটার বাবা ইন্দ্রজিৎ গুরুতর আহত হন। তবুও হাল ছাড়েননি তিনি। মুখে টেপ দিয়ে দলের হয়ে মাঠে লড়াই চালিয়ে যান বাবা ইন্দ্রজিৎ।
আরও পড়ুন- ডু অর ডাই ম্যাচে ভারতীয় দলে একাধিক বদল! কেমন হতে পারে টিম ইন্ডিয়ার একাদশ
তিনি দুরন্ত লড়াই করেও দলকে জেতাতে পারেননি। এই ম্যাচে হরিয়ানার কাছে তামিলনাড়ু ৬৩ রানে হেরে যায়। কিন্তু এই ম্যাচে আবার অনিল কুম্বলের চোটের স্মৃতি ফিরল।
বাবা ইন্দ্রজিত চোটচ পান ম্যাচের মাঝে। ভয়ঙ্কর চোট। মাঠে রক্তারক্তি কাণ্ড হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাটি ইনিংস বিরতির সময় ঘটেছিল। ঠোঁট ফেটে যায় তাঁর। মুখে ব্যান্ডেজ, টেপ লাগিয়ে খেলে যান তিনি।
প্রতিপক্ষ দলের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে তামিলনাড়ু ১৪ ওভারে ৫৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে। তখন ইন্দ্রজিৎ মুখে টেপ নিয়ে ব্যাট করতে মাঠে নামেন। ম্যাচ চলাকালীন ১৬তম ওভারে তাঁর জন্য মাঠে ডাক্তার ডাকতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন- রবি শাস্ত্রীর স্ত্রী হতেন! একটা শর্ত বদলে দিল সব, অমৃতা সিং হন সঈফের বেগম
জানা গিয়েছে, বিরতির সময় পা পিছলে বাথরুমে পড়ে আহত হন ইন্দ্রজিৎ। সেই কারণে তার ঠোঁটে মারাত্মক চোট লাগে। এর পরও তিনি হাল ছাড়েননি। নির্ধারিত নম্বরে ব্যাটিং করতে আসেন। ৭১ বলে ৬৪ রান করেন তিনি।
সিং ইজ কিং! জাহির, ইরফানের পর অর্শদীপকে পরবর্তী রত্ন সার্টিফিকেট কুম্বলের
#মেলবোর্ন: মাসখানেক আগে এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্যায়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই ফেলেছিলেন সহজ ক্যাচ। তার জেরে বিদ্ধ হয়েছিলেন তুমুল সমালোচনায়। চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল ‘খালিস্তানি’ অপবাদও। মানসিক যন্ত্রণায় ঘুমোতে পারেননি সেই রাতে। দুঃস্বপ্নে হানা দিয়েছিল ক্যাচ ফেলার মুহূর্ত। তবে সতীর্থরা পাশে থাকায় ভেঙে পড়েননি অর্শদীপ সিং।
আরও পড়ুন – কোহলি নিয়ে বিভোর গোটা বলিউড! নতুন গান বাঁধলেন গীতিকার জাভেদ আখতার
বরং আরও ভালো বোলার হয়ে ওঠার দিকেই দিয়েছিলেন নজর। তবু খেদটা থেকেই গিয়েছিল। রবিবার টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুরন্ত বোলিংয়ের পর সেই ক্ষতে পড়েছে মলম। ২৩ বছর বয়সি পেসার প্রথম বলেই বিপক্ষ অধিনায়ক বাবর আজমকে ফেরান। মহম্মদ রিজওয়ান, আসিফ আলিও তাঁর শিকার।
চার উইকেটে পাক-বধের অন্যতম নায়ক প্রচারমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা বাইরের আলোচনাকে শিবিরে ঢুকতে দিই না। কারা কোথায় কী বলছে, তা কানেই তুলি না আমরা। বরং একে অন্যের সাফল্য উপভোগ করি। খারাপ সময়ে পরস্পরের পাশে দাঁড়াই। এই হল টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিং রুম।
?| Anil Kumble on Arshdeep Singh. Here, he also speaks about Damien Wright’s role in Arshdeep’s success.#SaddaPunjab pic.twitter.com/9TStJUakfZ
— PBKS Report (@PBKSreport) October 24, 2022
অর্শদীপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কিংবদন্তি অনিল কুম্বলে। প্রাক্তন লেগস্পিনার আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের কোচ থাকাকালীন খুব কাছ থেকে দেখেছেন বাঁহাতি পেসারের উত্থান। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটে কুম্বলে বলেছেন, ওর বয়স কম। তা সত্ত্বেও ওকে দারুণ পরিণত মনে হয়। চাপের মুখে ঘাবড়ে যায় না। ওর টেম্পারামেন্ট অসাধারণ।
ভুললে চলবে না, এশিয়া কাপের সেই ম্যাচে ক্যাচ ফেলার পরও শেষ ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছিল। রবিবার মেলবোর্নে পাক ব্রিগেডের বিরুদ্ধে ৩২ রানে তিন উইকেট নেওয়া পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে কুম্বলেকে। তাঁর মতে, ‘প্রথম বলেই বাবরকে ফেরানো অসাধারণ কৃতিত্ব। পাকিস্তানের তিনজন প্রধান ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছে অর্শদীপ। হাইভোল্টেজ ম্যাচে যেভাবে ঠান্ডা মাথায় বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বলে করেছে, তা এক কথায় অনবদ্য।