Tag Archives: Baba Siddique

সিদ্দিকি খুনের ২ শ্যুটার উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা, ছেলে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে বিশ্বাস হচ্ছে না বাড়ির লোকের

মুম্বই: বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জন উত্তর প্রদেশের বাহরাইচ জেলার বাসিন্দা। ধরমরাজ কাশ্যপ এবং শিবকুমার গৌতম। ধৃত দুই অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা বাড়ির ছেলের কীর্তিতে অবাক। এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁদের। তাঁরা বলছেন, “আমরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। কিন্তু সত্যিই যদি তাঁরা দোষী হয়, তাহলে ওদের সঙ্গে অপরাধীদের মতোই আচরণ করুন।’’

শনিবার ছেলে জিশানের অফিসের সামনে দশেরার উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। সেই সময় তাঁর উপর হামলা হয়। জানা গিয়েছে, বাবা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে ৬টি গুলি ছোঁড়ে আততায়ীরা। ৪টি গুলি লাগে শরীরে।

আরও পড়ুন– কার্নিভালের দিন দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, কলকাতায় কেমন থাকবে আবহাওয়া?

বাকি দুই বন্দুকবাজকেও শনাক্ত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তারা হল হরিয়ানার বাসিন্দা গুরমাইল বলজিৎ সিং এবং মহম্মদ জিশান আখতার। সিদ্দিকিকে ‘ওয়াই’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হত। ধৃত ২ শ্যুটার নিজেদের লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে দাবি করেছে। যদিও ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।

সিদ্দিকি খুনের ২ শ্যুটার উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা
সিদ্দিকি খুনের ২ শ্যুটার উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা

রবিবার সকালে পুলিশের সাইরেনের তীব্র শব্দে ঘুম ভাঙে গন্ডারার বাসিন্দাদের। এখানেই সিদ্দিকিকে গুলি করে খুন করা হয়। এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুরু হয় তল্লাশি। বিধায়ককে খুনের অভিযোগে ধৃত ধরমরাজ কাশ্যপের বাবা রাধেশ্যাম কাশ্যপ নিউজ 18-কে বলেন, “ভেবেছিলাম কিছু একটা তো হয়েছে। ওরা ভাল বন্ধু ছিল। মাস তিনেক আগে দুজনে পুণে গিয়েছিল।’’ এক্স প্ল্যাটফর্মে মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “ঘটনাস্থল থেকে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে দুটি পিস্তল এবং ২৮ রাউন্ড গুলি।’’

আরও পড়ুন– সলমন খানের ‘বন্ধু’ বলেই কি খুন হতে হল সিদ্দিকিকে? গ্রেফতার হওয়া ২ শ্যুটার কী জানাল?

কে এই ধরমরাজ কাশ্যপ: রাধেশ্যাম কাশ্যপ পেশায় মাছ বিক্রেতা। তাঁর পাঁচ ছেলেমেয়ে। ধরমরাজ সবার ছোট। রাধেশ্যাম জানান, শিবকুমারের সঙ্গে তাঁর ছেলের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠতা। দু’জনেই বড়লোক হওয়ার স্বপন দেখত। তাঁর কথায়, “আর্থিক টানাটানির সংসার। ছেলেমেয়েদের বেশি পড়াতে পারিনি। তবে সবসময় চেয়েছি, ওরা কঠোর পরিশ্রম করুক। সৎ হোক। পরিবারের পাশে দাঁড়াক।’’

গ্রামবাসীরাও বলছেন, বড়লোক হওয়ার স্বপ্নই ধরমরাজ আর শিবকুমারকে মিলিয়ে দেয়। ধরমরাজের মা সুষমাদেবী বলছেন, “মাস তিনের আগে ধরমরাজ পুণে যাওয়ার জন্য জোড়াজুরি শুরু করে। শিবকুমার আগে থেকেই ওখানে কাজ করতেন।’’ পুণে যাওয়ার পর প্রথমদিকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ধরমরাজের। পরে সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। তাঁর মা বলছেন, “জানি না কেন যোগাযোগ রাখা ছেড়ে দিল। আমি কয়েকবার ফোন করেছিলাম। কিন্তু ধরত না।’’

শিবকুমার গৌতমের পরিচয়: শিবকুমার গৌতমের স্ক্র্যাপ ট্রেডিংয়ের ব্যবসা। মোটা টাকা রোজগার করতেন। তবে বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না তিনিও। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর মা। তিনি বলেন, “প্রথমদিকে ফোনে কথা বলত। পরে আর ফোনও করত না। টাকাও পাঠাত না। কয়েক মাস আগে বোনের শরীর খারাপ হয়। তখন অনেক বলার পর ৩ হাজার টাকা পাঠিয়েছিল। কেন এমন ব্যবহার করছে জিজ্ঞাসা করায় বলেছিল, তাকে যেন আর ফোন না করি, দরকারে সে ফোন করবে।’’

Baba Siddiqui: পর পর বুকে গুলি! বাবা সিদ্দিকিকে খুন করতে কত টাকা পেয়েছিল তিন আততায়ী?

মুম্বই: অল্প কিছু দিন নয়, রীতিমতো একমাস ধরে এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে অনুসরণ করে তাঁকে খুন করার ছক কষেছিল তিন আততায়ী৷ প্রায় একমাস ধরে কুরলা এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে ছিল তারা৷ বাবা সিদ্দিকিকে খুন করার জন্য প্রত্যেক আততায়ীকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়াও হয়েছিল বলে মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর৷

শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় এই হত্যাকাণ্ডে যে বা যারা মাস্টারমাইন্ড, তারা বাবা সিদ্দিকিকে কোনওরকম হুমকি না দিয়ে সরাসরি প্রাণে মারার জন্য সুপারি কিলারদের নির্দেশ দিয়েছিল৷ শনিবার বাবা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে ছটি গুলি ছোড়ে তিন আততায়ী৷ তার মধ্যে দুটি গুলি বাবা সিদ্দিকির বুকে লাগে৷

আরও পড়ুন: পুজোয় থিকথিকে ভিড়, একাদশীর সকালে দিঘার সমুদ্রে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! আঁতকে উঠলেন পর্যটকরা

মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে কুরলা এলাকায় মাসিক ১৪ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে একটি ঘরে থাকছিল তিন আততায়ী৷ বাবা সিদ্দিকিকে খুন করার জন্য প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা করে পেয়েছিল৷ পুলিশ সূত্রে আরও খবর, বাবা সিদ্দিকে খুনে অভিযুক্ত তিন আততায়ী পঞ্জাবের একটি জেলে বন্দি থাকার সময় নিজেদের মধ্যে পরিচিত হয়েছিল৷ তিন আততায়ীর মধ্যে দু জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ৷ তৃতীয় আততায়ীকে গ্রেফতার করতে উত্তর প্রদেশ পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়েছে৷

গতকাল মুম্বাইয়ে নিজের বিধায়ক পুত্র জিশান সিদ্দিকির অফিসের বাইরে গুলি করে খুন করা হয় বাবা সিদ্দিকিকে৷ চার দশক ধরে কংগ্রেসে থাকার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে অজিত পাওয়ার পন্থী এনসিপি-তে যোগ দেন তিনি৷ ১৫ দিন আগে তিনি খুনের হুমকি পান বলেও খবর৷ প্রাণহানির হুমকি পাওয়ার পর বাবা সিদ্দিকিকে ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তাও দেওয়া হয়৷

বাবা সিদ্দিকে গুলি করেছিল যে তিন আততায়ী, তাদের মধ্যে দু জনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ৷ জেরায় হরিয়ানার বাসিন্দা কার্নেল সিং এবং উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ধর্মরাজ কাশ্যপ দাবি করেছে, তারা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য৷ গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই নিজে অবশ্য এখন জেল বন্দি রয়েছে৷ বাবা সিদ্দিকে খুনে অভিযুক্ত তৃতীয় আততায়ীকে৷

Baba Siddique-Salman Khan: সলমন খানের ‘বন্ধু’ বলেই কি খুন হতে হল সিদ্দিকিকে? গ্রেফতার হওয়া ২ শ্যুটার কী জানাল?

শনিবার রাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রা পূর্ব এলাকায় মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যা করে তিন জন। দশেরার দিনে হঠাৎই ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ড নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আসলে, বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার পিছনে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-ই যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্তই নিজেদের বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বলে দাবি করেছে। এই শ্যুটারদের একজনের নাম কর্নেল সিং, যিনি হরিয়ানার বাসিন্দা। দ্বিতীয় শ্যুটার ধর্মরাজ কাশ্যপ হলেন উত্তর প্রদেশের। পুলিশ সূত্রে খবর, মাত্র দেড় থেকে দুই মাস আগেই তারা বাবা সিদ্দিকির বাড়ির ‘রেইকি’ করেছিল।
শনিবার রাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রা পূর্ব এলাকায় মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যা করে তিন জন। দশেরার দিনে হঠাৎই ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ড নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আসলে, বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার পিছনে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-ই যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্তই নিজেদের বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বলে দাবি করেছে। এই শ্যুটারদের একজনের নাম কর্নেল সিং, যিনি হরিয়ানার বাসিন্দা। দ্বিতীয় শ্যুটার ধর্মরাজ কাশ্যপ হলেন উত্তর প্রদেশের। পুলিশ সূত্রে খবর, মাত্র দেড় থেকে দুই মাস আগেই তারা বাবা সিদ্দিকির বাড়ির ‘রেইকি’ করেছিল।
এই ঘটনায় যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের নাম কর্নেল সিং এবং ধরমরাজ কাশ্যপ। এক জন উত্তরপ্রদেশ এবং এক জন হরিয়ানার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে দু’জনই স্বীকার করে নিয়েছে যে তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য।
এই ঘটনায় যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের নাম কর্নেল সিং এবং ধরমরাজ কাশ্যপ। এক জন উত্তরপ্রদেশ এবং এক জন হরিয়ানার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে দু’জনই স্বীকার করে নিয়েছে যে তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য।
আসলে, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রোহিত গোদারাও গত বছর নিউজ 18 ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন যে ‘সলমন খানের যিনি বন্ধু, তিনি আমাদের শত্রু।’’ সলমন খানের সঙ্গে সিদ্দিকির বরাবরই ভাল সম্পর্ক ছিল। প্রতি বছর ইফতারে জমকালো পার্টি দিতেন বাবা সিদ্দিকি। সেখানে দেখা মিলত বলিউডের তাবড় তারকার। শাহরুখ-সলমনের সঙ্গে বাবা সিদ্দিকির ছবিও ভাইরাল হয়।
আসলে, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রোহিত গোদারাও গত বছর নিউজ 18 ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন যে ‘সলমন খানের যিনি বন্ধু, তিনি আমাদের শত্রু।’’ সলমন খানের সঙ্গে সিদ্দিকির বরাবরই ভাল সম্পর্ক ছিল। প্রতি বছর ইফতারে জমকালো পার্টি দিতেন বাবা সিদ্দিকি। সেখানে দেখা মিলত বলিউডের তাবড় তারকার। শাহরুখ-সলমনের সঙ্গে বাবা সিদ্দিকির ছবিও ভাইরাল হয়।
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং গত কয়েক বছর ধরে অভিনেতা সলমন খানের পিছনেই পড়ে গিয়েছে। লরেন্স গ্যাং-এর শ্যুটাররা সলমনকে এর আগেও টার্গেট করেছে। প্রথমবার ‘রেডি’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন, দ্বিতীয়বার পানভেলে সলমনের ফার্ম হাউসে। আমেরিকায় থাকা লরেন্স বিষ্ণয়ের ভাই আনমোল এই গ্যাং পরিচালনা করছেন। সলমনের বাড়িতে গুলি চালানোর মামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবেও উঠে আসে তার নাম। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আনমোল ‘সিগন্যাল’ অ্যাপের মাধ্যমে সলমনের বাড়িতে গুলি চালানো শ্যুটারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন এবং তাদের সব নির্দেশ দিয়েছিলেন। Photo: Viral Bhayani
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং গত কয়েক বছর ধরে অভিনেতা সলমন খানের পিছনেই পড়ে গিয়েছে। লরেন্স গ্যাং-এর শ্যুটাররা সলমনকে এর আগেও টার্গেট করেছে। প্রথমবার ‘রেডি’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন, দ্বিতীয়বার পানভেলে সলমনের ফার্ম হাউসে। আমেরিকায় থাকা লরেন্স বিষ্ণয়ের ভাই আনমোল এই গ্যাং পরিচালনা করছেন। সলমনের বাড়িতে গুলি চালানোর মামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবেও উঠে আসে তার নাম। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আনমোল ‘সিগন্যাল’ অ্যাপের মাধ্যমে সলমনের বাড়িতে গুলি চালানো শ্যুটারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন এবং তাদের সব নির্দেশ দিয়েছিলেন। Photo: Viral Bhayani
সিদ্দিকি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, এই খবর শোনার পরই ‘বিগ বস ১৮’-র শুটিং বন্ধ করে লীলাবতী হাসপাতালের পথে রওনা দেন সলমন খান। কিন্তু এ সময় তাঁর পক্ষে হাসপাতালে যাওয়া কতটা নিরাপদ, সে প্রশ্ন তোলা হয়। সলমনের মাথার উপরেও মৃত্যুর খাঁড়া ঝুলছে। এই ভাবে বাবা সিদ্দিকির উপর হামলার ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলিউডে।
সিদ্দিকি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, এই খবর শোনার পরই ‘বিগ বস ১৮’-র শুটিং বন্ধ করে লীলাবতী হাসপাতালের পথে রওনা দেন সলমন খান। কিন্তু এ সময় তাঁর পক্ষে হাসপাতালে যাওয়া কতটা নিরাপদ, সে প্রশ্ন তোলা হয়। সলমনের মাথার উপরেও মৃত্যুর খাঁড়া ঝুলছে। এই ভাবে বাবা সিদ্দিকির উপর হামলার ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলিউডে।

Who Was Baba Siddique: ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেয়েও গুলিবিদ্ধ ! কে ছিলেন বাবা সিদ্দিকি? খুনের পিছনে কারণ কী?

মুম্বই: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে মুম্বইয়ে ৬৬ বছর বয়সি নেতাকে গুলি করে খুন করা হয়। তাঁর বুকে এবং পেটে গুলি লেগেছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সিদ্দিকিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন– আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা কম, তারপর কি ফের হাওয়া বদল? জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

বাবা সিদ্দিকিকে খুনে মুম্বইয়ের গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রবিবার সকালে মুম্বই পুলিশের তরফে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের নাম কর্নেল সিং এবং ধরমরাজ কাশ্যপ। এক জন উত্তরপ্রদেশ এবং অন্য জন হরিয়ানার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে দু’জনই স্বীকার করে নিয়েছে, যে তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য।

আরও পড়ুন– রতন টাটার ভাই জিমিকে চেনেন? দুই কামরার ফ্ল্যাটে মধ্যবিত্ত জীবনযাপন করেন,রাখেন না মোবাইলও

বাবা সিদ্দিকির জন্ম বিহারের পটনায় ৷ কিশোর বয়সেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবন কিশোর বয়সে শুরু হয়েছিল যখন তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের ছাত্র শাখা ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া (NSUI)-তে যোগদান করেন। এর কিছুদিন পরে, তিনি মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেটর হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৯, ২০০৪ এবং ২০০৯-এ টানা তিন মেয়াদে ভান্দ্রে পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং খাদ্য, শ্রম এবং এফডিএ প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টিতে যোগদানের সময় একটি বড় পরিবর্তনের পথ ধরেছিলেন। সিদ্দিকি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘কংগ্রেসে আমার অবস্থা এমন ছিল যে কীভাবে খাবারের স্বাদ বাড়াতে কারি পাতা ব্যবহার করা হয়। কংগ্রেস পার্টিতে আমার সঙ্গে এমন আচরণই করা হয়েছিল।” সিদ্দিকির ছেলে, জিশান, মুম্বইয়ের বান্দ্রা (পূর্ব) বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্বকারী কংগ্রেস বিধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তবে পার্টি বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে অগাস্টে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সিদ্দিকি, ‘বান্দ্রা বয়’ নামেও পরিচিত, তাঁর গ্র্যান্ড ইফতার পার্টিগুলো দারুণ জমজমাট হত ৷ এবং সেখানে শাহরুখ, সলমনের মতো শীর্ষ বলিউড তারকারাও উপস্থিত থাকতেন ৷

মোট তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল। সিদ্দিকির বুকে এবং পেটে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি পড়ে যান। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকেরা জানান, শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্ত বেরিয়ে গিয়েছিল সিদ্দিকির। সেই কারণে বুলেট বার করা গেলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রাত ১১.২৭ মিনিটে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।