Tag Archives: Bangladesh Cricket

স্পষ্ট লাগছে ব্যাটে বল, তারপরও এলবিডব্লিউ দিল আম্পায়ার, সাকিবের আউট নিয়ে জোর বিতর্ক

#অ্যাডিলেড: ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত থেকে বিরাট কোহলির ফেক থ্রো, উঠেছিল নানা বিতর্ক। এবার পাকিস্তান বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ম্যাচেও এড়ানো গেল না আম্পায়ারিং বিতর্ক। এবার উভয় দলেরই ডু অর ডাই ম্যাচে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বলে ব্যাট লাগা সত্ত্বেও তাকে ফিল্ড আম্পায়ার ও তৃতীয় আম্পায়র আউট দেয় বলে অভিযোগ।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ১১ তম ওভারে ঘটে এই বিতর্কিত আউটের ঘটনা। শাদাব খানের ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন সৌম্য সরকার। তারপর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। প্রথম বলেই শাদাবের লো ফুল টস প্যাডে গিয়ে লাগে। পাকিস্তানের আবেদনে সাড়া দিয়ে আউট দেয় ফিল্ড আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে সাকিব দাবি জানায় ব্যাটে বলে লেগেছে তার। রিভিউ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের সময় দেখা যায় বল ব্যাটে লাগার পর প্যাডে লাগে। স্নিকো মিটারও বল যখন ব্যাটের একেবারে কাছে সেখানে স্পার্ক হয়। তবে তৃতীয় আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দেন বল ব্যাটে লাগেনি, ব্যাট মাটিতে লাগার কারণে স্নিকো মিটারে স্পার্ক হয়েছে। তাই ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে আউট দেয় তৃতীয় আম্পায়রও। অবাক হয়ে যান সাকিব। তারপর আম্পায়ারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তারপর হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ধারাভাষ্যকারদেরও মত, আউট ছিলেন না সাকিব। ক্ষোভ উগরে দিয়েছে নেটিজেনরা।

প্রসঙ্গত, ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন নাজিমুল হাসান শান্তো। এছাড়া আফিফ হোসেন ২৪ ও সৌম্য সরকার ২০ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে দুরন্ত আগুন ঝরানো বোলিং করেন শাহিন আফ্রিদি। একাই ৪ উইকেট নেন তিনি। পাকিস্তানের টার্গেট ১২৮।

শাহিনের চার উইকেট, শান্তর লড়াই সত্ত্বেও বাংলাদেশকে ১২৭ রানে আটকে রাখল পাকিস্তান

#অ্যাডিলেড: রবিবার সকালটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরু হয়েছিল অঘটন দিয়ে। শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। এর ফলে ভারত যেমন সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছিল, তেমনই বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সামনে চলে এসেছিল বিশাল সুযোগ। সম্মুখ সমরের লড়াইয়ে যে দল জিতবে তারাই পেয়ে যাবে সেমিফাইনালের টিকিট।

টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন সাকিব আল হাসান। অ্যাডিলেড ব্যাটসম্যানদের পক্ষে বরাবর ভাল। তাই বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল প্রথমে ব্যাট করে বড় রান তুলে পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দেওয়া। ওপেন করতে নেমে শাহিন আফ্রিদির বলে দুর্দান্ত ছয় মেরেছিলেন লিটন। কিন্তু কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে আউট হলেন (১০)।

এরপর শান্ত এবং সৌম্য সরকার মিলে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন বাংলাদেশের ইনিংস। ১০ ওভার শেষে টাইগারদের রান ছিল ৭০/১। খেলা শুরু হতেই আউট সৌম্য। ব্যক্তিগত ২০ রান করে ফিরে গেলেন। চার নম্বরে এলেন সাকিব। প্রথম বলেই এল বি ডব্লিউ বাংলাদেশ অধিনায়ক। খাতা না খুলেই ফিরে গেলেন।

দুটো উইকেট নিয়ে ধাক্কা দিলেন শাদাব। শান্ত নিজের অর্ধ শতরান পূর্ণ করলেন। ইফটিকাতের বলে ৫৪ করে বোল্ড হলেন। মোসাদ্দেক হোসেন ব্যর্থ। আফ্রিদির বলে বোল্ড হলেন ৫ করে। উইকেট রক্ষক নুরুল হাসান ফিরে গেলেন খাতা না খুলে। শেষ পাঁচটা ওভার রান বাড়ানোর ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ব্যর্থ হল বাংলাদেশ।

যেভাবে সাহস দেখানোর প্রয়োজন ছিল সেটা দেখাতে পারল না টাইগার বাহিনী। একের পর এক উইকেট উপহার দিল পাকিস্তানকে। প্রথম দিকে হাতে উইকেট রাখার সুবিধা শেষ দিকে কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। এই ম্যাচ পাকিস্তানের। বিরাট অঘটন কিছু না ঘটলে আজকেই শেষ বাংলাদেশের বিশ্বকাপ।

বাংলাদেশ-জিম্বাবোয়ে ম্যাচে নো বল নিয়ে চূড়ান্ত নাটকীয়তা, খেলা শেষের পর ফের নামতে হল মাঠে

#গাব্বা: টি-২০ বিশ্বকাপে ভারত বনামা পাকিস্তান ম্যাচে শেষ ওভারে নো বল নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এবার বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবোয়ের ম্যাচেও শেষ ওভারে নো বল নিয়ে নাটকীয়তা। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর নেমে পড়েছিলেনে মাঠ কর্মীরা। জয় সেলিব্রেশন করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। কিন্তু তৃতীয় আম্পয়ারের সিদ্ধান্তের পর ফের মাঠে নেমে ১ বল খেলতে হলে দুই দলকে। তবে ভাগ্য দেবতা বাংলাদেশের পক্ষেই সহায় ছিলেন এদিন। শেষ পর্যন্ত তিন রানে ম্যাচে জেতে বাংলা টাইগার্সরা।

ম্যাচ জয়ের জন্য শেষ বলে জিম্বাবোয়ের দরকার ছিল ৫ রান। বল করছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। ব্যাটে জিম্বাবোয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি। শেষ বলে এগিয়ে এসে বিগ হিট করতে গিয়ে স্ট্যাম্প আউট হন মুজারবানি। ম্যাচে জয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার বেশ কিছু সময় দেখার পর শেষ বলটি নো বল বলে জানান। কারণ উত্তেজনার বশে উইকেটের আগেই বল তালুবন্দি করেছেন বাংলাদেশের উইকেট রক্ষক নুরুল হাসান। সেই কারণেই নো বল দেওয়ার হয়।

ফলে আরও একটি বল খেলার জন্য ফের মাঠে নামে দুই দল। জিম্বাবোয়ের জয়ের লক্ষ্য গিয়ে দঁাড়ায় ১ বলে ৪ রান। তাও আবার ফ্রি হিট। কিন্তু মোসাদ্দেক হোসেনের শেষ বলে মুজারবানি বোল্ড হয়ে যান। আউট না হলেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মত বল বেশি দূর যায়নি। শেষ পর্যন্ত ৩ রানে ম্যাচ জিতে মাঠে ছাড়ে শাকিব আল হাসানরা। তবে এমন কাণ্ড ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থেকে গেল।

 

আরও পড়ুনঃ রুদ্ধশ্বাসে ম্যাচে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৩ রানে জয়, সেমিতে যাওয়ার আশা টিকে থাকল বাংলাদেশের

 

প্রসঙ্গত, ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫০ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন নাজিমুল হাসান। রান তাড়া করতে নেমে জিম্বাবোয়ে ২০ ওভারে৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭-এ থামে। সিন উইলিয়ামস ৬৪ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেও শেষ রক্ষা হয়নি। বাংলােদশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এই জয়ের ফলে টি-২০ বিশ্বকাপে শেষ চারে যাওয়ার আশা টিকে থাকল বাংলাদেশের।

লড়লেন শুধু সাকিব, নিউজিল্যান্ডের কাছে হার বাংলাদেশের, অশনি সংকেত টাইগারদের

#ক্রাইস্টচার্চ: ব্যর্থতা থেকেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়। খারাপ সময় যা শিক্ষা দেয়, সেটা মনে রাখলে উন্নতি অবশ্যম্ভাবী। এটাই এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দর্শন। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা তৃতীয় হারের তিক্ত স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ক্রাইস্টচার্চে আজ আয়োজক নিউজিল্যান্ডের কাছে টাইগাররা হেরেছে ৪৮ রানে।

নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২০৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৭ উইকেটে ১৬০ রান তুলতে সমর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। রান তাড়ায় বাংলাদেশের হয়ে একাই লড়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ৪৪ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল একটি ছক্কা ও তিনটি চার। লিটন দাস ও সৌম্য সরকার দুজনই করেছেন ২৩ রান।

১১ রান এসেছে ওপেনার নাজমুল শান্তর ব্যাট থেকে। কিউইদের পক্ষে ২৪ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম মিলনে। এছাড়া টিম সাউদি ও মাইকেল ব্রেসওয়েল দুটি করে উইকেট পেয়েছেন। এর আগে, বাংলাদেশের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৮ রান সংগ্রহ করে কিউইরা।

গ্লেন ফিলিপস মাত্র ২৪ বলে ৬০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ৪০ বলে ৬৪ রান করেন ওপেনার ডেভন কনওয়ে। অপর ওপেনার ফিন অ্যালেনের সংগ্রহ ১৯ বলে ৩২। ত্রিদেশীয় সিরিজে তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। তাই ফাইনালে খেলার আর কোনো সম্ভাবনা রইলো না সাকিবদের।

পাকিস্তান তিন ম্যাচে দুটিতে জিতেছে, আর ৪ ম্যাচে কিউইদের জয় তিনটি। শুক্রবার ফাইনালে লড়বে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। আগামীকাল বৃহস্পতিবার নিয়মরক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের।

ম্যাচের শেষে অধিনায়ক সাকিব জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলটা ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন তাদের হাতে বিকল্প কম। কিন্তু তাই বলে বিশ্বকাপে বিনা লড়াইয়ে কাউকে জমি ছেড়ে দেবে না বাংলাদেশ।

Bangladesh cricket team : ভারত – পাকিস্তানকেও ভয় পাই না ! এশিয়া কাপে নামার আগে হুঙ্কার বাংলাদেশ টাইগারদের

#দুবাই: এশিয়া কাপে আসার আগেই সাকিব আল হাসান জানিয়ে দিয়েছিলেন তাদের আসল লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এশিয়া কাপ বাংলাদেশের কাছে অ্যাসিড টেস্ট। নিজেদের শক্তি, দুর্বলতা দেখে নেওয়ার প্ল্যাটফর্ম। যদিও মিরাজ, মুশফিক, মুস্তাফিজুর এবং আরো কয়েকজন ক্রিকেটার আছে, যারা নিজেদের দিনে বিপক্ষকে চমকে দিতে পারে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামী মঙ্গলবার এশিয়া কাপ শুরু করবে বাংলাদেশ। এই আফগানরাই গতকাল আসরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে। এমনকী ৮ উইকেটে হেরে যাওয়ার পরও লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা দাবি করেছেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি তাদের জন্য সহজ হবে।

আরও পড়ুন – ইস্টবেঙ্গলকে হারালেও ডুরান্ডে টিকে থাকার গ্যারান্টি নেই এটিকে মোহনবাগানের, জটিল অঙ্ক

প্রকৃতপক্ষেই এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ খুবই দুর্বল। এই দুই দলকে হারিয়ে সুপার ফোর পর্বে যাওয়া টাইগারদের জন্য খুবই কঠিন কাজ হবে। তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সবগুলো ম্যাচই জিততে চান। ক্রিকেটারদের সাহস দিতে তিনি এখন আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন। সেখানেই সাংবাদিকদের পাপন বলেন, আমরা কাউকে ভয় পাই না।

আমরা প্রথম ম্যাচ থেকেই জিততে চাই। যাতে ভাল অবস্থানে থাকি। আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড় আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী। আমরা সবগুলো ম্যাচই জিতব। শ্রীলঙ্কাও ভাল দল। প্রত্যেকটা দলই ভাল। আমাদের কাছে প্রত্যেকটা ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ, আমরা এটার ওপরই মনোযোগ রাখছি।

এটা যদি জিতে যাই শ্রীলঙ্কার সাথেও জিতব। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় যে এত সহজ নয় তা বিসিবি সভাপতিও বুঝতে পেরেছেন। শ্রীলঙ্কার ১০৫ রান তাড়া করে আফগানরা জিতেছে ৫৯ বলে হাতে রেখে! বিসিবি সভাপতি মনে করেন, করোনার পর থেকে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স হতাশাজনক।

সেখান থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি, করোনার আগ পর্যন্ত আমরা খারাপ দল ছিলাম না। আমরা এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছি, শেষ ওভারে ভারতের কাছে হেরেছি। করোনা আসার পর এবং গত বিশ্বকাপে আমরা বেশ খারাপ করেছি। এটা থেকে বেরিয়ে আসার এখনই সুযোগ।

SA vs BAN, Sakib Al Hasan: সাকিব, তামিমদের ব্যাটিং বিক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশের

বাংলাদেশ -৩১৪/৭

#সেঞ্চুরিয়ন: দেশ ছাড়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভাল কিছু করার আশ্বাস দিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।। প্রথম একদিনের ম্যাচে বাংলাদেশ জিতবে কিনা সময় বলবে। কিন্তু টাইগারদের ব্যাটিং সুপারহিট। সুপার স্পোর্টস পার্কে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। লুঙ্গি এনগিডির করা প্রথম ওভারটিই ছিল মেডেন। দুই ওপেনার শুরু করেছিলেন দেখেশুনে।

আরও পড়ুন – KKR, Shreyas Iyer: কেকেআর জার্সিতে গৌতম গম্ভীরের সাফল্য স্পর্শ করতে পারবেন শ্রেয়স আইয়ার ? আশাবাদী গাভাসকার

একটু সময় নিয়েই তামিম ইকবাল আর লিটন দাস উইকেটে সেট হন। পাওয়ারপ্লের ১০ ওভারে আসে ৩৩ রান। দুজনে গড়েন ৯৫ রানের ওপেনিং জুটি। যা দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড। আন্দিলে ফেলুকায়োর করা ২২ তম ওভারের তৃতীয় বলে তামিম এলবিডাব্লিউ হলে ভাঙে এই জুটি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ৬৭ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ৪১ রান করা তামিম। পরের ওভারে আরেক ওপেনার লিটনও বিদায় নেন।

পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন লিটন। ১০৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন দুই সিনিয়র সাকিব আর মুশফিক। ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক সমালোচিত সাকিব। ফেলুকায়োকে ছক্কা মেরে ৫০ বলে তুলে নেন ফিফটি। এরপর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠা সাকিব ৪২তম ওভারে লুঙ্গির করা ইয়র্কার অযথা স্কুপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন।

শেষ হয় ৬৪ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় ৭৭ রানের ইনিংস। এরই সঙ্গে ভাঙে ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৮২ বলে ১১৫ রানের জুটি। ইয়াসির ৪৩ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে আউট হন। শেষদিকে ছোট ছোট অবদানে স্কোরকার্ড বড় করেন মাহমুদউল্লাহ (১৭ বলে ২৫), আফিফ (১৩ বলে ১৭) এবং মেহেদি মিরাজ (১৩ বলে ১৯*)। বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৩১৪ রান।

মাঠের মধ্যেই সতীর্থকে ঘুঁসি মারতে দৌড়ে গেলেন মুশফিকুর, দেখুন ভয়ানক ভিডিও

#ঢাকা: বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম (Mushfiqur Rahim) ক্রিকেট মাঠে নিজের দেশের ক্রিকেটারের সঙ্গেই করলেন খারাপ ব্যবহার৷ আর এর জন্য কড়া সাজা দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (Bangladesh Cricket Board )৷ রহিম বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপের (bangabandhu t20 cup) ম্যাচ চলাকালীন সতীর্থের ওপর এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে তাঁকে ঘুঁসি মারতে উদ্যত হন৷ এরপর বোর্ড তাঁর ম্যাচ ফি-র ২৫ শতাংশ জরিমানা করে৷ এছাড়াও অনুশাসন বিধিভঙ্গের দায়ে তাঁর রেকর্ডে এক ডেমেরিট অঙ্ক দেওয়া হয়েছে৷

১৪ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টে ম্যাচে ব্যাক্সিমকো ঢাকা -র অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন মুশফিকুর রহিম৷ এই ম্যাচ চলাকালীনই তিনি দলের সতীর্থ নসুম আহমেদকে মারতে উদ্যত হন৷ এতেই শুরু বিতর্ক৷ দেখে নিন ম্যাচ চলাকালীন ঠিক কি হয়েছিল৷

ম্যাচের সময় প্রতিপক্ষ দলের ১৯ বলে ৪৫ রান প্রয়োজন ছিল৷ আর আরিফ হুসেন ভালো ব্যাট করছিলেন৷ ১৭ তম ওভারে আরিফ ভুল শট খেলেন তখন বলের দিকে দৌড়েছিলেন মুশফিকুর৷ ওই বল ক্যাচ করতে দৌড়েছিলেন নসুম আহমেদও৷ কোনওভাবে মুশফিকুর ওই ক্যাচ ধরে নেন তারপর নসুম আহমেদের দিকে ঘুঁসি মারতে ছুটে যান৷