Tag Archives: Biman Banerjee

শপথ নিয়ে টানাপোড়েন চলছেই, ক্লান্ত বিমান! আদৌ কাটবে জট?

কলকাতা: দুই নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ বাক্য পাঠ করানো নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। বরানগর ও ভগবানগোলার দুই জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে বুধবার শপথবাক্য পাঠের জন্য রাজভবনে যেতে বলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তবে তাঁরা বিধানসভায় শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন। রাজ্যপাল বিধানসভায় না আসায় ধরনায় বসেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। । সেই ধরনা এখনও অব্যাহত।

রাজ্যপাল বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন। দুই জনপ্রতিনিধি কবে শপথ নিতে পারবেন তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়ও দ্রুত শপথ পাঠ করানোর জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনও রাজ্যপালকে বলছেন বিধানসভায় এসে শপথ পাঠ করানোর আবেদন করছেন। কখনও রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখছেন। আবার কখনও উপরাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে ফোনে কথা বলেছেন। কিন্তু এরপরেও কোনও সমাধান সূত্র নজরে আসেনি।

আরও পড়ুন: কলকাতার বুকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় বামেদের! শুনতে অবিশ্বাস্য, কোথায় এল জয়?

এরই মধ্যে শনিবার বিধানসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিমান বন্দোপাধ্যায় বলেন, “খুব ক্লান্তিকর লাগছে আমার। এত ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি একটা শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে, এত টালবাহানা। রাজ্যপালকে আমি আবার অনুরোধ করছি, আপনি বিধানসভায় আসুন। বিধানসভা হল একমাত্র জায়গা যেখানে শপথগ্রহণ করান যেতে পারে। আমাদের অনেক কাজ রয়েছে সচিবালয়ে। লোকসভাতে প্রধানমন্ত্রী শপথগ্রহণ করার পরে উনি সচিবালয় টেবিলের সামনে গেলেন গিয়ে সই করলেন। সার্টিফিকেট জমা দিলেন৷ বিধায়কদের শপথের পর এইসব প্রক্রিয়াগুলি বিধানসভ তেই সম্ভব। এটা কেন যে উনি বুঝতে চাইছেন না আমি ঠিক জানি না। তবে আমি আপনাদের মাধ্যমে এখনও ওনাকে অনুরোধ করব, এটার একটা শেষ হওয়া দরকার রয়েছে।”

এদিকে বিধানসভায় শপথের দাবিতে ধরনা অব্যাহত রেখেছেন দুই নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। সোমবার পর্যন্ত কোনও মিমাংসা না হলে ফের ধরনা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন দুই বিধায়ক৷

TMC MLA oath taking ceremony: দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে কী করণীয়? বোসের উপর চাপ বাড়িয়ে ধনখড়কে ফোন বিমানের

কলকাতা: উপনির্বাচনে জয়ী দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে জটিলতা কাটেনি। ২৬ জুন, অর্থাৎ বুধবার রাজভবনে গিয়ে দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথ নিতে বলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি দুই বিধায়কের চেয়েছিলেন বিধানসভাতেই শপথ নিতে। শেষ পর্যন্ত তাঁদের শপথ আর হয়নি। সেই নিয়েই শুক্রবার উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফোনে কথা বললেন স্পিকার।

আরও পড়ুন: ‘কাজ না করলে ভোটে জেতা যায় না!’ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাবধানবাণী মমতার

সূত্রের খবর, উপরষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে শুক্রবার বেশ কিছু ক্ষণ ফেনে কথা বলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বরানগর এবং ভগবানগোলার দুই নব নির্বাচিত বিধায়কের শপথ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে সেই পুরো বিষয়টি উপরাষ্ট্রপতিকে জানান। শুধু তাই নয় এই বিষয়ে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখর যাতে হস্তক্ষেপ করেন তারও আবেদন করেন। বিষয়টি শুনে পুরোটা দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন উপরাষ্ট্রপতি। অন্য দিকে, শুক্রবারও বিধানসভা চত্বরে আম্বেদকরের মূর্তির নীচে প্রতীকী অবস্থানে বসেন দুই উপনির্বাচনে জয়ী দুই বিধায়ক।

বুধবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “রাজ্যপালের উচিত ছিল পরিষদীয় রীতি নীতি মেনে চলা। প্রধানমন্ত্রী প্রটেম স্পিকারের কাছে শপথ নিলেন। কিন্তু রাজ্যপালের কী অসুবিধা হল, সেটা বুঝতে পারছি না”। সেই সঙ্গে শপথগ্রহণ বিতর্ক নিয়ে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থও হতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন বিমান। এ দিন উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

TMC MLA oath taking: শপথ নিয়ে রেয়াত-সায়ন্তিকার পাশেই স্পিকার বিমান, প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার হুঁশিয়ারি

কলকাতা: নব নির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। এ বার সেই নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে পেলেন দুই বিধায়ক।

দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বলেন, “রাজভবন আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আমাকে জানিয়েছেন তাঁরা আজ বিধানসভায় থাকবে। তাঁরা এসেছেন”। সেই সঙ্গে রাজভবনে শপথ নেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছেন। শপথ গ্রহণের উপযুক্ত জায়গা বিধানসভা”।

আরও পড়ুন: বুধবারও হচ্ছে না সায়ন্তিকা এবং রেয়াত হোসেনের শপথগ্রহণ, কবে হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা

সেই সঙ্গে নব নির্বাচিত বিধায়কদের পাশে দাঁড়িয়ে বিধানসভার স্পিকার বলেন, “দেখি কতদূর যেতে পারেন। এর আগে বিধানসভায় বাম বিধায়করা অনেকদিন শপথ নেননি। আমি আজ সচিবকে এখানে বসিয়ে রেখেছি। অপেক্ষা করব যদি এখানে এসে শপথ করিয়ে দিয়ে যান। আমরা যথেষ্ট সহযোগিতা করছি। আমরা সংবিধান মেনেই কাজ করছি”।

দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার শপথগ্রহণ প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের উচিত ছিল পরিষদীয় রীতিনীতি মেনে চলা। প্রধানমন্ত্রী প্রটেম স্পিকারের কাছে শপথ নিলেন। কিন্তু রাজ্যপালের কী অসুবিধা হল, সেটা বুঝতে পারছি না”। সেই সঙ্গে শপথগ্রহণ বিতর্ক নিয়ে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থও হতে পারেন বলে জানালেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার রাজভবনে গিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় শপথ নিতে বলেছিলেন রাজ্যপাল, কিন্তু রাজভবনে শপথ নিতে রাজি নয় কোনও বিধায়কই। তাঁরা বিধানসভাতেই শপথ নিতে চান। পাশাপাশি বুধবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, তাই নব নির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ কবে হবে তাই বনিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।