জ্যোতিষকাহন, মুর্শিদাবাদ Bipadtarini Puja Laal Dhaga: বিপত্তারিণী পুজোয় কেন হাতে বাঁধা হয় লাল সুতো! ভক্তিভরে এই ধাগা না বাঁধলে বড়সড় অনর্থ, জানুন তাগা বাঁধার জ্যোতিষীর পরামর্শ Gallery July 13, 2024 Bangla Digital Desk বিপত্তারিণী পূজা উপলক্ষে মহিলারা উপবাস করেন। প্রথা অনুসারে হাতে “তাগা” এক গুচ্ছ পবিত্র লাল সুতো ও দুর্বা বাঁধা হয়। এই অলৌকিক সুতো সমস্ত অমঙ্গল, বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ রাখবে, এটাই বিশ্বাস। জ্যোতিষবীদ সুদীপ শাস্ত্রী জানাচ্ছেন, বিপত্তারিণী পুজো ছাড়াও পূরাণে লাল সুতো ব্যবহার করার কিছু উদাহরণ পাওয়া যায়। সাধারণত হিন্দু ধর্মের লোকেরা হাতে লাল সুতো বেঁধে থাকেন। ভক্ত প্রহ্লাদের পুত্র বলিরাজ ব্রহ্মার আশীর্বাদে স্বর্গ, মর্ত ও পাতালের অধিকারী হয়েছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্রের সিংহাসন রক্ষা করতে ভগবান বিষ্ণু বামন রূপে জন্ম গ্রহণ করে বলিরাজকে পাতালে পাঠিয়ে দেন। ভগবান বিষ্ণু বলিকে অমরত্ব দান করলে, আর্শীবাদ স্বরূপ তিনি তাঁর হাতে বেঁধে দেন লাল সুতো। সেই থেকেই হিন্দুদের মধ্যে হাতে লাল সুতো বাঁধার প্রচলন রয়েছে। এ ছাড়া আরও একটা মত প্রচলিত আছে। এক সময় দেবতা ও অসুরের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হয়। অসুরদের পরাক্রম দেখে দেবরাজ ইন্দ্র খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েন। স্বামীকে চিন্তিত দেখে স্ত্রী ইন্দ্রাণী তাঁর জন্য প্রার্থনা শুরু করলেন। ইন্দ্রাণী তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি একত্রিত করে লাল সুতো দিয়ে একটি সুতো তৈরী করেন। দেবরাজ ইন্দ্রের মঙ্গল কামনা করে সেই লাল সুতোর মালা তাঁর গলায় বেঁধে দেন। যাতে অসুরেরা তাঁকে আঘাত করতে না পারে। এরপর দেবতা ও অসুরের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ শুরু হয়। ইন্দ্রের নেতৃত্বে সেই যুদ্ধে দেবতারা জয়ী হন। তখন থেকেই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে হিন্দুরা লাল সুতো বাধার প্রচলন করে আসছে।
জ্যোতিষকাহন Bipattarini Puja Rules & Rituals: রাত পোহালেই বিপত্তারিণী পুজো! ভুলেও খাবেন না এই খাবার! করবেন না এই কাজ! সংসার তছনছ…জীবনে নামবে ঘোর বিপদ Gallery July 8, 2024 Bangla Digital Desk আষাঢ় মাসে রথযাত্রা এবং উল্টোরথের মধ্যে মঙ্গলবার ও শনিবার পালিত হয় বিপত্তারিণী ব্রত। সেইমতো এ বছর বিপত্তারিণী ব্রতপালনের প্রথম দিন মঙ্গলবার, ৯ জুলাই। অনেকে বছরভর মঙ্গল ও শনিবার বিপত্তারিণী মায়ের ব্রত ও পুজো পালন করেন। তবে তাঁর পুজোর সবথেকে বড় উদযাপন হয় আষাঢ় মাসে দু’টি রথযাত্রার মাঝেই। সাধারণত পরিবারের মঙ্গলকামনায় এই ব্রত পালন করেন মহিলারাই। তবে পুরুষরাও ব্রতী হন। কী কী নিয়ম পালন করবেন এই ব্রত ও পুজো পালনে, বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি। ১৩ টি ফুল এবং ১৩ টি ফল নিবেদন করা হয় বিপত্তারিণী দেবীর পুজোয়। ১৩ গাছি লাল সুতো, ১৩ টি ফল কেটে এবং ১৩ টি ফল গোটা নিবেদন করা হয়। ১৩ টি পান, ১৩ টি সুপুরি, ১৩ টি লুচি নিবেদন করুন দেবীকে। তাঁর নৈবেদ্যও হবে ১৩ রকম। যাঁরা ব্রত পালন করেন তাঁরা পুজোর আগের দিন নিরামিষ আহার গ্রহণ করেন। ব্রত পালন করলে সেদিন চাল বা অন্নজাতীয় খাবার গ্রহণ করা যাবে না। এই পুজোর তিথিতে ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত থাকুন। বাক সংযম পালন করে নিষ্ঠা ভরে পুজো করুন। পুজোর শেষে ১৩ গাছি দুর্বা, ১৩ টি গিঁট বাঁধা লাল সুতো মহিলারা পরুন বাঁ হাতে। পুরুষরা এই সুতো বাঁধুন ডান হাতে। পুজোর দিন কাউকে ধার দেবেন না। কারওর কাছ থেকে কোনও ধার গ্রহণ করবেন না।