Tag Archives: Birati

Child Trafficking at Birati Station: ট্রেনে বাচ্চা চুরির গুজব, চিরকুট খুঁজতে হন্যে বাবা! সন্তানহারা মায়ের কথা শুনলে চোখে জল আসবে

উত্তর ২৪ পরগনা: ট্রেন যাত্রীদের অযথা গুজবের কারণেই আজ সন্তান হারা মা! চাইল্ড লাইনে রয়েছে ৮ মাসের সন্তান, বাড়িতে রীতিমতো ছটফট করছেন চলন্ত ট্রেনে বাজারের ব্যাগে করে শিশু পাচারের অভিযোগে তুলে হেনস্থার শিকার হওয়া সেই মা। গতকাল বিরাটি স্টেশনে শিয়ালদহ দত্তপুকুর লোকালে মহিলা কামড়ায় এই মহিলা ও তাঁর সন্তানকে দেখেই বাচ্চা চুরির আতঙ্ক ছড়ায়।

বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সব জায়গায় চলে জোর চর্চা। ফুটফুটে শিশুটির প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে নানা মন্তব্য কমেন্ট এমনকি বিক্ষোভও দেখান ট্রেন যাত্রীরা। অবশেষে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে মহিলা সহ শিশুটিকে উদ্ধার করে রেল পুলিশ। তবে পরবর্তীতে পুলিশি তদন্তে আবারও প্রমাণিত হয় ট্রেনে বাচ্চা চুরির অভিযোগ একেবারেই গুজব। তাহলে ঠিক কি হয়েছিল!

আরও পড়ুন: মেঘ জমছে আকাশে, মুহূর্তে বদলে যাবে আবহাওয়া! বৃষ্টির স্বস্তির বড় খবর

ট্রেনে হেনস্থা হওয়া ওই মহিলার খোঁজে বেরিয়েছিলাম আমরা। অবশেষে জানা গেল দমদম নয়, মহিলার বাড়ি বামনগাছি-তেই। যদিও সামান্য মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলার ভাষাগত সমস্যা থাকায় তৈরি হয় এই জটিলতা বলেই দাবি। তবে কেন তিনি বাজারের ব্যাগে করে বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছিলেন এই বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন অনেকে। এদিন ওই এলাকায় পৌঁছে দেখা গেল ঘরের দরজার সামনেই দাঁড়িয়েই সন্তান হারা মা। তারপরই, প্রতিবেশী পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বামনগাছিতে অন্যত্র কয়েক মাস আগে ভাড়া থাকলেও, দুমাস যাবত বামনগাছি রেললাইন সংলগ্ন বস্তিতেই ভাড়া রয়েছেন পেশায় দিনমজুর স্বামী সহ ৮ মাসের সন্তান কোলে এই মহিলা।

আরও পড়ুন: ঘুমের মধ্যে হঠাৎ মনে হয় উঁচু থেকে পড়ে যাচ্ছেন? কী অর্থ এমন স্বপ্নের! জানলে চমকে যাবেন

সেদিন তিনি নীলরতন সরকার হাসপাতালে বাচ্চার ওষুধ আনতে ‌যাচ্ছিলেন। সকালে দিনমজুর স্বামী কাজে চলে গেলে, বাচ্চাকে কোলে নিয়ে এবং বাচ্চার পরনের জামা প্যান্ট ও মোছার ছোট কাপড় নিয়ে একটি থলে ব্যাগে ভরে রওনা দিয়েছিলেন। মাঝে বাচ্চার খিদে পেয়েছে ভেবেই স্তন্যপান করাতে একহাতে ওই ব্যাগ ধরেই কিছুটা লজ্জা নিবারণ করার জন্য শাড়ির আঁচল দিয়ে ঢেকে রাখেন। তবে হঠাৎই পাশে থাকা কিছু সহযাত্রী মহিলা, বাচ্চার কান্না শুনে ওই ব্যাগ ও তার উপর ঢাকা কাপড় দেখেই মহিলাকে চেপে ধরেন। এরপর মহিলা সঙ্গে কথা বলতে গেলে ভাষা না বুঝতে পেরেই, উত্তেজিত হয়ে ওঠেন সহযাত্রী মহিলারা।

এরপরই বাচ্চা চুরির গুজব ছড়ায় ওই কামরায়। মা-র কাছ থেকে টেনে হিঁচড়ে আলাদা করে দেওয়া হয় নিজের সন্তানকেই, চলে হেনস্থা। ঘটনার পর থেকে কিছু সময়ের জন্য সন্তানকে কাছে পেলেও, জিআরপির তরফ থেকে চাইল্ড লাইনে রাখা হয়েছে শিশুটিকে বলে জানানো হয়। জন্মের উপযুক্ত প্রমাণ পত্র দেখালে তবেই ফেরত পাবেন শিশুকে এমনই বলা হয়েছে পরিবারকে। আর তাই কাল রাত থেকেই জন্মের শংসাপত্রের সেই চিরকুট খুঁজতে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শিশুটির বাবা।

দিনমজুরির কাজ ফেলে এখন সন্তানকে ঘরে ফেরাতে লড়াই চালাচ্ছেন শিশুটির বাবা। অপরদিকে, অযথা গুজবের জেরে সন্তানকে হারিয়ে ফেলা মা, খাওয়া দাওয়া ফেলে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে দরজায়। কখন ফিরবে কোলের শিশু, কখন আবার স্নেহের স্পর্শে জড়িয়ে ধরবে মাকে সেই অপেক্ষাতেই প্রহর গুনছেন অসহায় মা। গুজবের জেরে মা ও সন্তানের এমন বিচ্ছেদের ঘটনায় রীতিমতো নিন্দার ঝড় উঠেছে নেটাপাড়ায়।

Rudra Narayan Roy

North 24 Parganas News: বিরাটির আবাসন ভেঙে মৃত গৃহবধুর বাড়িতে সৌগত রায়! পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস

উত্তর ২৪ পরগনা: বিরাটির বহুতল আবাসনের একাংশ ভেঙে মৃত্যু হওয়া গৃহবধূর বাড়িতে আসলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সৌগত রায়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাস্থল ঘুরে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ।

পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করারও আশ্বাস দেন সৌগতবাবু। এদিন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বেআইনিভাবে নির্মাণ হওয়া বহুতল আবাসনগুলির দিকে নজরদারিরও নির্দেশ দেন তিনি। এই ঘটনায় দোষীদের যাতে সঠিক সাজা মেলে সে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ জানান প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের মধ্যেই উত্তরবঙ্গে এবার ভূমিকম্প, প্রবল অতঙ্ক! কাঁপল কোথায় কোথায়?

উত্তর দমদম পৌরসভার অন্তর্গত বিরাটির শরৎ কলোনি এলাকার এই বহুতল ঘিরে আগেও নানাভাবে কাজ বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছিল প্রতিবেশীদের তরফে। তবে কোনও ভাবেই কাজ বন্ধ করেনি প্রোমোটার। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। এদিন সাংসদকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন এলাকাবাসীরাও।

আরও পড়ুন: ‘মমতা যা পারেন, তা কেউ পারে না! ভোট না দিলেও মমতা আসবেন’, দুর্যোগে দুর্গতদের আশ্বাস অভিষেকের

বছর পঞ্চান্নর মৃত গৃহবধূ কেয়া শর্মা চৌধুরীর স্বামী ও বারংবার অভিযোগ জানান, সাংসদের কাছেও এদিন সেই কথাই তুলে ধরেন তিনি। এদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর ডিসি ঐশ্বরিয়া গুপ্তা, আইসি সলিল কুমার মণ্ডল-সহ স্থানীয় কাউন্সিলর মহুয়া শীল। গার্ডেনরিচের পর বিরাটির এই ঘটনা কতটা প্রশাসনকে সক্রিয় করে এখন সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।

Rudra Nrayan Roy

Birati: গার্ডেনরিচের পরে বিরাটি! ফের নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে শহরে মৃত্যু মহিলার, গ্রেফতার প্রোমোটার সহ ৬

কলকাতা: গার্ডেনরিচের পর শহরে ফের বহুতল ভেঙে পড়ে মহিলার মৃত্যু৷ বিরাটির শরৎ কলোনিতে গত সন্ধে ৮টা নাগাদ ঘটে এই দুর্ঘটনা৷ মৃতের নাম কেয়া শর্মা চৌধুরী৷ প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রের খবর ওই নির্মীয়মান বহুতলের নীচে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন ওই মহিলা৷ আচমকাই তাঁর মাথায় এসে পড়ে ইট৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়৷

কেয়া শর্মা চৌধুরীর স্বামী কাজ করতেন এয়ার ইন্ডিয়ায়৷ বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত৷ তাঁর ২৮ বছরের এক ছেলেও রয়েছে৷ ছেলে সৌভিক শর্মা চৌধুরী দাবি, ‘‘অভিযুক্তদের শাস্তি হোক৷ এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে..অনেকবার বলেও লাভ হয়নি৷’’ মৃতার ননদ শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘পাশে আত্মীয়রা জমি প্রোমোটারকে দেয়৷ আগেও এই ধরনের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলাম আমরা৷ ওরা শোনেনি৷’’

আরও পড়ুন: এক মুহূর্তের মধ্যেই সব শেষ! মাঝ আকাশে অনর্গল বমি, হাসপাতালে নিয়ে যেতেই মৃত্যু…

মৃতার স্বামী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী ফোনে কথা বলছিল। সেই সময় ইট ভেঙে পড়েছে। আমি আইনি পদক্ষেপ করব। আর যেন কারও এ রকম ক্ষতি না হয়ে যায়।’’ মৃতার স্বামীর দাবি, বেআইনি ভাবে বাড়িটি তৈরি হচ্ছিল। তাঁর প্রশ্ন, ৮-১০ ফুটের রাস্তার পাশে কী ভাবে চার তলা বাড়ি তৈরি হয়? তাঁর কথায়, ‘‘যে ভাবে বাড়িটি তৈরি হচ্ছিল, তাতে আমার বাড়িতেও ধস নেমেছে।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, রাত সওয়া ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। ছাদের পাঁচিলের অংশ ভেঙে পড়েছে। নির্মীয়মাণ বাড়িটিতে ১৮ জন কাজ করছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃতার পরিবারের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে। অভিযোগ পেলে সেই মতো তদন্ত এগোবে।

আরও পড়ুন-  শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

বিরাটির এই ঘটনায় ৬ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ৷ তার মধ্যে রয়েছেন, তিন প্রোমোটার সহ কন্ট্র্যাক্টার, দু’জন লেবার ইনচার্জ। ধৃতদের নাম, সাজিব সেন ওরফে সাজু ( প্রোমোটার ).
গৌতম দে (প্রোমোটার), সৌভিক মজুমদার (প্রোমোটার), এঁরা তিনজন হল প্রোমোটার। অজয় পাতিল হলেন কন্ট্র্যাকটার৷ বাকি দু’জন লেবার ইনচার্জ৷