বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনা প্রকল্পের অধীনে বাংলার ন্যায্য পাওনা আটকে রেখেছে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে। ‘আদিবাসী ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে, শুভেন্দু অধিকারীর বিরক্তি তাঁর আদিবাসী বিরোধী মানসিকতা এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে’। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর কীর্তি ফাঁস করে বলেছেন যে, আজ খেজুরিতে বিজেপির একটি জনসভায় তাঁর করা মন্তব্য প্রমাণ করে, নিজেদের রাজ্যে নির্বাচন জেতা নিয়েই বিজেপি উদ্বিগ্ন হয়ে আছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি চলো অভিযান এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সৰ্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজভবন অভিযানের পরেও, বিজেপির বিভিন্ন নেতৃত্বের কথায় ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার জন্য তহবিল আটকে রাখার প্রসঙ্গ বারবার উঠে এসেছে, যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল। সম্প্রতি ২৯ নভেম্বর জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করার জন্য বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেইসঙ্গে তৃণমূলের অভিযোগ, ১ ডিসেম্বর আদিবাসীদের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলেও তা অস্বীকার করেছেন বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন- বিয়ের আংটি খুলে ফেলেছেন অভিষেক! ঐশ্বর্যর সঙ্গে কি পাকাপাকি ভাবে সংসার ভাঙছেন অমিতাভ পুত্র?
আরও পড়ুন-সম্পূর্ণ ‘নগ্ন’ অ্যানিমাল রণবীর! সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে ভাইরাল ক্লিপ, দেখেছেন কি?
শুভেন্দু অধিকারীকে তার মন্তব্যের জন্য নিন্দা করে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ডাঃ শশী পাঁজা বলেছেন, ‘আজ খেজুরিতে, শুভেন্দু অধিকারী প্রকাশ্যে বলেছেন যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন যাদের MGNREGA-এর অধীনে মজুরি বাকি ছিল। এটিই প্রমাণ যে, তিনি স্বীকার করছেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক কারণে বাংলাকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। আমরা এই মনোভাবের নিন্দা জানাই এবং আগামী দিনে আমাদের আন্দোলন নিয়ে এগিয়ে যাব।’
আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করার জন্য, শনিবার, তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে রাজ্যব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা ১০০ দিনের কাজের বকেয়ার দাবিতে বিক্ষোভের জন্য জড়ো হয়েছিলেন, সেই আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী একটি ‘শুদ্ধিকরণ অভিযান’ করেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন যে, প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্যরা জায়গাটিকে ‘অশুদ্ধ’ করে তুলেছিল।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সময়, আপত্তিকর স্লোগান দিতে দিতে শুভেন্দু অধিকারীর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ভিতরে প্রবেশের চার দিনেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ফ্লপ ইভেন্ট’-এর পরপরই ঘটেছিল। কিন্তু বিজেপি নেতাদের কেউই জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি দেখানো অসম্মানের জন্য ক্ষমা চাননি।