#মুম্বই : একটা সময় মদ ও মাদকের নেশায় চুর হয়ে কেরিয়ারের বারোটা বাজিয়েছিলেন তিনি। রীতিমতো মদ্যপ হয়ে পড়েছিলেন মহেশ ভাটের (Mahesh Bhatt) বড় মেয়ে পূজা ভাট (Pooja Bhatt)। অবশেষে সেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর নেশা না করেই কাটিয়ে দিলেন এই বলি অভিনেত্রী (Bollywood News)।
আরও পড়ুন: যেই তিনি বেল বাজিয়ে কফি চান… বিমানসেবিকাকে বাগে আনলেন কী করে?
একদিন বাবার উপদেশে হুঁশ ফেরে পূজার। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা চালাতে থাকেন তিনি।নেশামুক্তির পাঁচ বছর পূর্ণ করে উদযাপনে মেতেছেন পূজা (Pooja Bhatt)। ব্রালেটে একটি সাদা কালো ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, সংযত থাকাটাই আসলে সেক্সি।
Happy Birthday to me! Five years sober today. Gratitude. Humility. Liberty. ??? pic.twitter.com/MVYOEShGdK
— Pooja Bhatt (@PoojaB1972) December 23, 2021
টানা পাঁচ পাঁচটা বছর মদ থেকে দূরে থেকে তিনি উচ্ছ্বসিত, একই সঙ্গে কৃতজ্ঞও। নেশা ছাড়ার পর থেকে এক একটি বছর, এক একটি মাস, দিনের হিসাব রাখেন পূজা (Bollywood News)। এর আগে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রকাশ্যে পান করতাম। এখন প্রকাশ্যেই সংযত থাকার চেষ্টা করি।’
কেরিয়ারের শুরু থেকেই সাহসী হিসাবে নামডাক ছিল পূজার। এমনকি ম্যাগাজিনের কভারের জন্য নিজের বাবা মহেশ ভাটের সঙ্গে লিপলক করতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই সঙ্গে মাদক ও মদের নেশাতেও ডুবেছিলেন পূজা (Pooja Bhatt)। রীতিমতো বিতর্কিত অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। ছবি হিট হোক বা ফ্লপ সবেতেই মদ থাকতই তাঁর হাতে। কিন্তু পূজা জানান বাবার থেকে একটি মেসেজ পাওয়ার পরেই তিনি জীবনকে অন্য ভাবে দেখতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ‘অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ’ করছেন? পার্টনারকে এই ৩ প্রশ্ন করতে একদম ভুলবেন না! জানুন কেন…
প্রথম থেকেই নেশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য স্ট্রাগল নিয়ে কোনো লুকোছাপা করেননি পূজা (Pooja Bhatt)। সমস্যাটা লুকিয়ে ফেলতে চাননি তিনি। পূজা বুঝেছিলেন যে তিনি সর্বনাশা নেশার খপ্পরে পড়েছেন। এর থেকে বেরোনোর জন্য আগে বিষয়টাকে মেনে নিতে হবে।
এক সাক্ষাৎকারে পূজা বলেছিলেন তাঁর প্রথম ছবি ‘ড্যাডি’। সেখানে এক তরুণী তার বাবাকে নেশার হাতছানি থেকে বেরোতে সাহায্য করে। এমন একটি ছবিতে অভিনয় করেও তিনি নিজেই মদ্যপ! বিষয়টা নিয়ে বহুবার সরব হয়েছেন পূজা (Bollywood News)। বুঝিয়েছেন যে এই সমস্যাটা যে কারোর হতে পারে। মনের জোর আর অদম্য ইচ্ছার জোরে এত বছর নেশার থেকে দূরে রয়েছেন তিনি। এই বছর গুলোকে নিজের পুনর্জন্ম হিসাবে দেখেন পূজা।