Tag Archives: Bollywood

জন্মদিনে দেবের অন্তরঙ্গ রুক্মিণী, যুগলের ভালবাসার ছবি চর্চার ভরকেন্দ্রে

কলকাতা : নীলিমায় নীল দেব-রুক্মিণী (Dev Rukmini)৷ দু’জনের পরনেই ঘন নীল পোশাক ৷  রুক্মিণীর হাতে গোলাপি কেক ৷ পিছনে সাদা-সোনালি বেলুন জানান দিচ্ছে জন্মদিন উদযাপনের উচ্ছ্বাস ৷ একদিন কেটে গেলেও রুক্মিণীর জন্মদিনের ছবি এখনও সামাজিক মাধ্যমে চর্চার ভরকেন্দ্রে ৷ প্রেমিকাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেব লিখেছেন, ‘‘সবসময়ের মতো তুমি সূর্যালোক হয়ে থাকো৷’’

পাশাপাশি জন্মদিনের আনন্দে কালো পোশাকেও ফ্রেমবন্দি হয়েছেন দু’জনে ৷ সেখানে প্রেমিক যুগলের পিছনে পাল্টে গিয়েছে গৃহসজ্জা ৷ ফেসবুক, ট্যুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম, সামাজিকে মাধ্যমের সব শাখায় প্রেমিকাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেব ৷

টলিউডে বর্ণময় জুটিদের মধ্যে দেব-রুক্মিণী শীর্ষে ৷ দীর্ঘ দিন মডেলিং করার পর রুক্মিণীর বড় পর্দায় প্রথম অভিযান ২০১৭ সালে ৷ সে বছর তাঁর দু’টি ছবি মুক্তি পেয়েছিল ৷ ‘চ্যাম্প’ এবং ‘ককপিট’৷ দু’টি ছবিতেই নায়ক ছিলেন দেব ৷ ‘চ্যাম্প’ পরিচালনা করেছিলেন রাজ চক্রবর্তী ৷ কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় পরিচালনা করেছিলেন ‘ককপিট’ ৷

ইতিমধ্যেই বলিউডেও পা রেখেছেন রুক্মিণী ৷ অভিনয় করেছেন  বিপুল শাহের  অ্যাকশন থ্রিলার ‘সনক’-এ বিদ্যুৎ জামালের বিপরীতে ৷ ছবিটির পরিচালক কণিষ্ক বর্মা। রুক্মিণী-বিদ্যুৎ ছাড়াও আর একটি মুখ্য চরিত্রে চন্দন রায় সান্যাল অভিনয় করছেন।

মুম্বইয়ে এই ছবির শ্যুটিং করতে গিয়ে কোভিড আক্রান্ত হন রুক্মিণী ৷ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনও ছিলেন ৷ তাঁর মা-ও আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনাভাইরাসে ৷ পরে সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের দু’জনের সুস্থতার খবর জানান রুক্মিণী ৷  সুস্থ হওয়ার পর কাজেও ফিরেছেন তিনি ৷ এ বছরই দেবের সঙ্গে ষষ্ঠ বাংলা ছবি ‘কিশমিশ’-এও অভিনয় করছেন তাঁর প্রেয়সী, রুক্মিণী ৷

Amitabh Bachchan: বাঙালি সেতারবাদকের ভিডিও শেয়ার করে পঞ্চমদার স্মৃতিরোমন্থনে অমিতাভ বচ্চন!

#মুম্বই: ১৯৩৯ সালের ২৭ জুন জন্মেছিলেন বলিউডের বিখ্যাত সুরকার ও গায়ক রাহুল দেব বর্মণ (RD Burman birth anniversary)। যাঁকে আর ডি বর্মণ ও পঞ্চমদা নামেই বেশিরভাগ মানুষ ভালোবাসেন। বেঁচে থাকলে রবিবার তাঁর ৮২ বছর বয়স হত। প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পীর জন্মদিবস উপলক্ষে বলিউডের নানা গুণীজনেরা ট্যুইট করে স্মৃতিরোমন্থন করেছেন পঞ্চমদার। তালিকায় ঢুকে পড়েছেন অমিতাভ বচ্চনও (Amitabh Bachchan)। ১৯৭২ সালে তৈরি ‘পরিচয়’ ছবির ‘বিতি না বিতায়ে রয়না’ গানের একটি অন্য স্বাদের ভিডিও শেয়ার করেছেন বিগ বি।

বাঙালি সেতারবাদক পূর্বায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের সেতার বাজিয়ে ‘বিতি না বিতায়ে রয়না’ গানের একটি ভিডিও এদিন প্রথম শেয়ার করেছিলেন বিশিষ্ট তবলাবাদক জাকির হুসেন। পূর্বায়ণ এদিন এই গানটি সেতারে বাজিয়ে মায়েস্ত্রো আর ডি-কেই সম্মান জানাতে চেয়েছেন। সেটি স্বাভাবিক ভাবেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং চোখে পড়ে জাকির হুসেনের। তিনি এই ভিডিও শেয়ার করার পর অমিতাভেরও মনে ধরে সেটি। জাকির হুসেনের ট্যুইটটি নিজের হ্যান্ডেল থেকে ফের শেয়ার করে অমিতাভ আর ডি বর্মণকে স্মরণ করেন।

ভিডিওটি শেয়ার করে অমিতাভ লিখেছেন, ‘ওয়াহ… অদ্ভুত… কী সুন্দর এক মুহূর্ত ছিল পরিচয় ছবিটার… জিতেন্দ্র, জয় ও সঞ্জীব কুমার… পরিচালক গুলজার… বিতি না বিতায়ে রয়না। এই গানটার পিছনে দারুণ সব গল্প রয়েছে।’ ১৯৭৫ সালে ‘পরিচয়’ ছবিটি তৈরি করেছিলেন গুলজার। প্রযোজনা করেছিলেন ভি কে সোবতি। এই ছবিতে দেখা গিয়েছিল জিতেন্দ্র, জয়া ভাদুড়ি, বিনোদ খান্না ও সঞ্জীব কুমারকে। এই ছবির সুরকার ছিলেন আর ডি বর্মণ। গানটি ভীষণ ভাবে জনপ্রিয় আজও।

১৯৬৫ সালের ‘দ্য সাউন্ড অফ মিউজিক’ ছবি এবং রাজ কুমার মৈত্রের লেখা বাংলা উপন্যাস ‘রঙিন উত্তরণ’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ছবিটি তৈরি করেছিলেন গুলজার। এই ছবি ছাড়াও গুলজারের সঙ্গে একাধিক ছবিতে সুর দিয়েছিলেন আর ডি বর্মণ। এই ছবিতে ‘সারে কে সারে’, ‘মুসাফির হুঁ ইয়ারো’ মতো চিররঙিন সব গান রয়েছে। ১৯৬০ থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৩১ টি ফিল্মের সুরকারের কাজ করেছেন আর ডি বর্মণ। তাঁর শেষ ছবি ‘১৯৪২: আ লভ স্টোরি’।

Kirron Kher Birthday : স্ত্রী কিরণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আবেগঘন পোস্ট অনুমপের! দেখুন জন্মদিনের কিছু সেরা মুহূর্ত…

 

#মুম্বই : আজ ৬৯-এ পা রাখলেন অভিনেত্রী সাংসদ কিরণ খের (Kirron Kher ) ৷ স্ত্রী কিরণকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা অনুমপ খেরের  (Anupam Kher)৷ ট্যুইটারে শুভেচ্ছা জানালেন অভিনেতা। পোস্টে অভিনেতা অনুমপ খের লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়তম #Kirron (কিরণ) ৷ ভগবান তোমাকে দীর্ঘ, সুস্থ ও সুখী জীবন দান করুক ৷ পৃথিবীর মানুষ তোমাকে ভালবাসে কারণ তুমি তোমার মতন ৷ তোমার অসাধারণ আভ্যন্তরীণ শক্তি ও অনুগ্রহের সঙ্গে সব সমস্যার মুখোমুখি হও ৷ সুস্থ থাকো এবং নিরাপদ থাকো ! ভালবাসা ও প্রার্থনা রইল !!”

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ এপ্রিলই একটি পোস্ট করেছিলেন অনুমপ খের ৷ সেই পোস্টে তিনি জানিয়ে ছিলেন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন কিরণ খের ৷ তবে আপাতত অভিনেত্রী সুস্থ আছেন বলেই খবর ৷ ট্যুইট করে একটি ভিডিওর মাধ্যমে সেকথা জানিয়েছিলেন অনুপম। সঙ্গে নিজের অনুরাগী ও জনসাধারণের উদ্দেশে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন কঠিন সময়ে তাঁর ও কিরণের পাশে থেকে ভরসা জোগানোর সুবাদে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতি ও স্ত্রী কিরণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে সম্প্রতি অভিনেতা অনুপম খের জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী তথা অভিনেত্রী কিরণ আগের তুলনায় এখন ভাল আছে। প্রায়ই তিনি করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউনের সমস্যা নিয়ে নানা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এমন কিছু দিন আছে যখন তিনি ইতিবাচক থাকেন এবং তারপরে এমন কিছু দিন আসে যখন কেমোথেরাপি তার ওপর ভিন্নভাবে প্রভাব পড়ে। আমরা সকলেই যথাসাধ্য চেষ্টা করছি এবং তিনিও সেটা করছেন। চিকিৎসকরা তাদের কাজটি করেন, তবে এইরকম কঠিন চিকিৎসার জন্য নিজের মানসিক অবস্থাকে শক্তিশালী রাখতে হয়। তিনি সে দিকে সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন এবং আমরাও তাই করছি’।

Akshay Kumar: খিলাড়িও কা খিলাড়িতে আন্ডারটেকারকে হারিয়েছিলেন অক্ষয়? ২৫ বছর পর রহস্যফাঁস!

#মুম্বই: বলিউডের ‘খিলাড়ি’ কুমার হিসেবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত হয়েছেন অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar)। রবিবার অক্ষয়ের সর্বকালের সেরা ছবির অন্যতম ‘খিলাড়িও কা খিলাড়ি’ (Khiladiyon Ka Khiladi) ছবির ২৫ বছর পূর্ণ হল। আর এদিনই ট্যুইটারে সেই দিনের উল্লেখ করে ছবি সম্পর্কে একটি রহস্যফাঁস করলেন অভিনেতা নিজে। নিজেদের কেরিয়ারে কারা রেস্টলিংয়ের সেরার সেরা খেলোয়াড় আন্ডারটেকারকে হারিয়েছে, তা নিয়ে সম্প্রতি একটি মিমের জবাব দিয়েই এদিনের পোস্ট করেছেন অক্ষয়। মিমে অক্ষয়ের ছবিও রয়েছে।

যদিও অক্ষয় জানিয়েছেন, ওই ছবিতে আন্ডারটেকার ছিলেনই না। অভিনেতার কথায়, ছবিতে আন্ডারটেকারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রেস্টলার ব্রায়ান লি। ট্যুইটে এদিন অক্ষয় লিখেছেন, ‘একটা দারুণ কথা জানাই খিলাড়িও কা খিলাড়ির ২৫ বছর উপলক্ষে। যদিও এটা মজার একটি তথ্য, ছবিতে আন্ডারটেকারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রেস্টলার ব্রায়ান লি।’ ফ্যানেরা যাঁরা এতদিন গর্ব করে অন্য নায়কদের ফ্যানেদের সঙ্গে আন্ডারটেকারকে অক্ষয়ের হারানো নিয়ে বাগবিতন্ডায় জড়িয়েছেন, তাঁরা এদিন থেকে সাবধান হবেন।

আন্ডারটেকার একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত চরিত্র। ১৯৯১ সাল থেকে বিভিন্ন ছবিতে তাঁর চরিত্র ব্যবহার হয়ে আসছে। সেই সময় তাঁর চরিত্রে বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন রেস্টলার মার্ক ক্যালাওয়ে। ১৯৯৪ সালে আন্ডারটেকারের হয়ে ব্রায়ানও খেলেছেন। মার্কের আসল আন্ডারটেকার রিংয়ে ফেরার পর ব্রায়ানকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। এবং নিজের পরিচয় সকলের সামনে তুলে ধরেছিলেন।

এদিকে, বলিউডে অক্ষয়ের এই ছবিতে রবিনা ট্যান্ডন ও রেখাকে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় সুপারহিট হয়েছিল ‘খিলাড়িও কা খিলাড়ি’। উমেশ মেহরা পরিচালিত এই ছবি খিলাড়ি সিরিজের চতুর্থ ছবি ছিল।

Seher Aly Latif : প্রয়াত ‘ভাগ বিনি ভাগ’-এর প্রযোজক, সেহেরের অকাল প্রয়াণে অন্যরকম শোকপ্রকাশ স্বরার…

 

#মুম্বই : ফের শোকের ছায়া বলিউডে। গোটা দেশের মতোই করোনাকালে মৃত্যুশোকের ধাক্কা পিছু ছাড়ছে না বলিউডের। সোমবারও মৃত্যু ঘিরে থাকল ফিল্ম জগতকে। চল্লিশের কোঠাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন স্বরা ভাস্করের ‘ভাগ বিনি ভাগ’ ছবির প্রযোজক। বলিউডের (Bollywood) অন্যতম জনপ্রিয় কাস্টিং ডিরেক্টর সেহর আলী লতিফ (Seher Aly Latif )। কাছের মানুষের মৃত্যুতে শোক বিহ্ববল স্বরা ভাস্কর। একটি ভিডিও শেয়ার করলেন ভাল সময়ের।

‘লাঞ্চবক্স’, ‘মনসুন শ্যুটআউট’-এর মতো অন্যধারার ছবির কাস্টিংয়ের গুরু দায়িত্ব সামলেছিলেন সেহর। রেচনতন্ত্রের সমস্যা নিয়ে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সেহর, আজ সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তরলা যোশীর মৃত্যুর খবর সামনে আসবার পরেই যে খবর গোটা বলিউডকে নাড়িয়ে দিল তা- সেহর আলি লতিফের মৃত্যু। সেহর রেখে গেলেন স্বামী, মা-বাবা এবং ভাই জিশান লতিফকে।

সেহরের মৃত্যুর খবর সংবাদমধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পরিচালক নীরজ উধওয়ানি। পরিচালকের নেটফ্লিক্স ফিল্ম ‘মসকা’ (২০২০)-র প্রযোজক সেহর। নীরজ জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য, খুব কষ্ট হচ্ছে সত্যিটা মেনে নিতে। আমাদের বলা হয়েছিল উনি সেরে উঠছেন। আজ এই খবরটা পেলাম। ওঁর ইনফেকশন হয়েছিল, এরপর কিডনিতে সমস্যা দেখা যায়।গত সপ্তাহে উনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অ্যান্টিবায়োটিকস চলছিল…’।

সেহরের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন নিমরিত কৌর, সোফি চৌধুরীরা। প্রিয়জনকে হারিয়ে আবেগঘন বার্তা সকলের। ভাগ বিনি ভাগ, মসকা ছাড়াও বেশ কিছু আন্তর্জাতিক প্রোজেক্টের সঙ্গেও যুক্ত থেকেছেন সেহর। ইট, প্রে, লাভ, ভাইসরয় হাউস, ম্যাকমাফিয়া, সেন্স এইট-এর মধ্যে অন্যতম।

 

Ranvir and Konkona: একমাত্র সন্তানের জন্যই কাছে না থেকেও একে অন্যের কাছাকাছি দুই প্রাক্তন

মুম্বই : ব্যবধান আছে, তিক্ততা নেই ৷ বিচ্ছেদের ৬ বছর পরেও সৌজন্য হারায়নি রণবীর-কঙ্কণা সম্পর্ক ৷ একমাত্র সন্তান হারুণের কথা ভেবে বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক বজায় রেখেছেন দুই তারকা ৷ তাঁরা খেয়াল রেখেছেন যাতে তাঁদের বিচ্ছেদে হারুণ প্রভাবিত না হয় ৷

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে রণবীর জানিয়েছেন, তিনি এবং কঙ্কণা ইচ্ছে করেই বিবাহ-পরবর্তী পরিস্থিতির উপর দমবন্ধ করা কোনও শর্ত চাপিয়ে দেননি ৷ হারুণ যাতে বাবা মা দু’জনকেই পায়, সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর আছে তাঁদের ৷ তিনি বা কঙ্কণা শহর ছেড়ে না গেলে হারুণ এক সপ্তাহ বাবার কাছে, আবার পরের সপ্তাহ থাকে মায়ের সঙ্গে ৷

সম্পর্কে ফ্লেক্সিবিলিটি রেখেছেন হারুণের কথা ভেবেই ৷ হারুণ একই বাড়িতে তার বাবা মাকে না পেলেও হাতের কাছেই পাচ্ছে দুজনকে ৷ সম্প্রতি হারুণ তার ১০ বছর পূর্তির জন্মদিনও পালন করেছে বাবা মা, দু’জনের সঙ্গেই ৷ জন্মদিন উদযাপনের ছবিও রণবীর শেয়ার করেছেন সামাজিক মাধ্যমে ৷

দুই অভিনেতা রণবীর এবং কঙ্কণা বিয়ে করেন ২০১০ সালে ৷ ৫ বছর পর বিচ্ছেদ হয়ে যায় ৷ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কাউন্সেলিংও করিয়েছিলেন তাঁরা ৷ কিন্তু বিবাহিত সম্পর্ককে আর এগিয়ে না নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তেই অনড় ছিলেন ৷

রণবীর কঙ্কণাকে শেষ বার একসঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল ‘এ ডেথ ইন দ্য গঞ্জ’ ছবিতে ৷ ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবির পরিচালক ছিলেন কঙ্কণাই ৷ জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই অভিনেত্রীকে এর পর দেখা যাবে তাঁর মা অপর্ণা সেন পরিচালিত ইংরেজি ছবি ‘দ্য রেপিস্ট’-এ ৷ রণবীরের পরবর্তী ছবি ‘মুম্বইকর’ মুক্তি পাওয়ার কথা চলতি বছরেই ৷ পাশাপাশি, ‘টাইগার থ্রি’ ছবিতেও অভিনয় করছেন তিনি ৷

Shreya Ghoshal: চিকিৎসক থেকে পরিবারের অংশ, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে ট্যুইটারে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ শিল্পীর

কলকাতা : যখনই মনে কোনও উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা এসেছে, তিনি ছিলেন পাশে ৷ তিনি এখন কার্যত তাঁর পরিবারেরই অংশ ৷ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ কিরণ কোয়েলহো-কে আপ্লুত ধন্যবাদ জানিয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল ৷ বলিউডের প্লেব্যাক দুনিয়ায় প্রথমসারির এই শিল্পী ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘ চিকিৎসক কিরণ কোয়েলহোর তত্ত্বাবধানে সেবা যত্ন ভালবাসা এবং উষ্ণতায় এক অনবদ্য অভিজ্ঞতার শরিক হয়েছি ৷ অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার প্রথম দিন থেকে দেব্যানের জন্ম পর্যন্ত এই অসাধারণ অভিজ্ঞতা বজায় ছিল’ ৷ শ্রেয়ার কথায়, চিকিৎসক কোয়েলহো সব সময় তাঁর পাশে ছিলেন ৷

গত ২২ মে পুত্রসন্তানের মা হন শ্রেয়া ৷ নতুন অতিথির আগমনের প্রায় ১২ দিন পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সঙ্গে বাকি পৃথিবীর পরিচয় করিয়ে দেন শ্রেয়া ও তাঁর স্বামী শিলাদিত্য ৷ তারকা দম্পতি জানান, তাঁরা ছেলের নাম রেখেছেন ‘দেব্যান’ ৷ নবজাতকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর দিনই শ্রেয়া সামাজিক মাধ্যমে কুর্নিশ জানালেন তাঁর চিকিসককে ৷

তার আগে, মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়ার এক সপ্তাহ পরেই শ্রেয়া সামাজিক মাধ্যমে তাঁর সন্তানের জন্য ‘স্বাগত কেক’-এর ছবি শেয়ার করেন ৷ ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কেকের ছবি শেয়ার করে শ্রেয়া ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমাদের পুত্রসন্তানের জন্য স্বাগত-কেক৷’ সাদা নীল কেক সাজানো ছিল নানারকম টপিং দিয়ে ৷ শেফ মহেক মান্দলিকের তৈরি লোভনীয় এই আমের ফ্লেভারের কেকে মজেছিল নেটিজেনদের মন ৷

দাম্পত্যের ষষ্ঠ বছরে পৌঁছে সংসারে নতুন অতিথিকে স্বাগত জানিয়েছেন শ্রেয়া ও শিলাদিত্য ৷ এক দশকের প্রেমপর্বের পর ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বাল্যবন্ধু শিলাদিত্যকে বিয়ে করেন শ্রেয়া ৷ গত ৪ মার্চ শ্রেয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, তিনি মা হতে চলেছেন ৷ ব্যক্তিগত পরিসরকে সাধারণত আড়ালেই রাখতে ভালবাসেন খ্যাতনামী এই সঙ্গীতশিল্পী ৷ তবে অন্তঃসত্ত্বাপর্বে শ্রেয়ার ভার্চুয়াল সাধভক্ষণের ছবি জনপ্রিয় হয়েছিল নেটমাধ্যমে ৷

Sonu Sood: বার বার বাতিল হয়ে যাওয়া ম্যাগাজিনের কভারে এখন তিনিই আসল ‘হিরো’! ট্যুইট সোনু সুদের

#মুম্বই: বলিউডের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘স্টারডাস্ট’-এর এপ্রিলের কভারবয় সোনু সুদ (Sonu Sood)। একদিন এই ম্যাগাজিনে বার বার ছবি পাঠিয়েও কোনও লাভ হয়নি। একাধিকবার তাঁর ছবি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিনেতা। রবিবার, ট্যুইটারে নিজেই এই গল্প শেয়ার করেছেন সোনু। ‘স্টারডাস্ট’ ম্যাগাজিনের এপ্রিলের কভার ফোটো শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘একটা দিন ছিল যখন আমি পঞ্জাব থেকে স্টারডাস্টে অডিশনের জন্য ছবি পাঠাতাম। কিন্তু বাতিল হয়ে যেতাম। আজকে স্টারডাস্টকে ধন্যবাদ জানাই এই সুন্দর কভারের জন্য। গর্বিত।’

প্রসঙ্গত, ২০২০-তে লকডাউন শুরু হওয়ার পর পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন এই অভিনেতা। গাড়ি, বাস থেকে শুরু করে বিমান পরিষেবার মাধ্যমে সেই সব শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দেন তিনি। এর পর আনলক প্রক্রিয়া শুরু হলে অনেক দুঃস্থ মানুষের কর্মসংস্থান করে দেন সোনু। এর পর দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে আবার আর্তদের সাহায্য করতে শুরু করেন। সোনু সুদকে দেখে বর্তমানে অনেক তারকাই এগিয়ে আসছেন। দেশ জুড়ে অক্সিজেন, ওষুধের অভাব প্রবল। তাই দেশের অধিকাংশ তারকা যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছেন দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর।

বড়পর্দায় খলনায়ক হিসেবে পরিচিত হলেও বাস্তবে সোনু সুদ কিন্তু দেশবাসীর কাছে হিরো হয়ে উঠেছেন। অতিমারিকালে গতবছর থেকেই দুঃস্থ, অসহায় মানুষদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। কোথাও কেউ আটকে পড়লে, কারওর অক্সিজেনের দরকার পড়লে সোনু তাঁকে যথাসাধ্য দিয়ে সাহায্য করছেন। বলা বাহুল্য, বর্তমানে সোনু সুদ আর্তদের মসিহা হয়ে উঠেছেন। আর কয়েকদিন আগেই এই ‘ভগবানের’ পুজো করা হয়েছে দক্ষিণ ভারতে।

অনেকেই হয় তো জানেন বা দেখেছেন দক্ষিণী ছবির তারকাদের কোনও সিনেমা রিলিজ হলে তাঁর ছবিতে মালা পরিয়ে দুধ ঢেলে সেলিব্রেশন করেন ভক্তরা। সেই কাণ্ড এবার ঘটল সোনুর ছবিতে। অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর (Chittoor) জেলার শ্রীকালহস্তী (Srikalahasti) এলাকায় সোনুর ছবিতে বড় করে মালা পরিয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। আর তার পর সেই ছবিতে দুধ ঢালা হচ্ছে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়া মাত্রই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই ভিডিওটি নজরে আসে সোনুর।

Sanjay Dutt UAE : আরব আমিরশাহীর ‘সোনালি’ ছাড়পত্র! দীর্ঘমেয়াদি ভিসা পেয়ে কী লিখলেন মুন্নাভাই?

 

#মুম্বই : সংযুক্ত আরব-আমিরাশাহীর (United Arab Emirates) গোল্ডেন ভিসা (Golden Visa) পেলেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutt)। প্রথম সারির বলিউড অভিনেতা (Bollywood Actor) হিসেবে তিনিই প্রথম এ ভিসা পেলেন। বুধবার (২৬ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্যুইটারে একটি পোস্টে বিষয়টি জানান অভিনেতা নিজেই। জানান, UAE থেকে এই সম্মনা পেয়ে অভিভূত সঞ্জয়। হাতে ভিসা নিয়ে তোলা ছবিও অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেন মুন্নাভাই।

সঞ্জয় তাঁর ট্যুইটে লেখেন, ‘দুবাইয়ের জেনারেল ডিরেক্টরেট অব রেসিডেন্সি অ্যান্ড ফরেনারস অ্যাফেয়ার্স (জিডিআরএফএ)-এর ডিরেক্টর জেনারেল মোহাম্মদ আহমেদ আল মারির উপস্থিতিতে গোল্ডেন ভিসা হাতে পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। তাঁকে এবং UAE সরকারকে অনেক ধন্যবাদ।’

দুবাইতে দীর্ঘমেয়াদে বিদেশিদের থাকার সুবিধা দিতে ২০১৯ সালে গোল্ডেন ভিসা চালু করে UAE। প্রথমদিকে এই ভিসা শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের দেওয়া হত। পরে তার পরিধি বাড়িয়ে বিজ্ঞানী, ডাক্তার-সহ সমাজের বিশেষ ব্যক্তিদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ভিসার মেয়াদ দশ বছর।

সঞ্জয় সেই বলি তারকাদের মধ্যে পড়েন, যাঁরা ফাঁকা সময় পেলেই চলে যান দুবাইতে। এ বছর ইদও সপরিবারে দুবাইতেই পালন করেছিলেন সঞ্জয়। এমনকী, নিউ ইয়ারের ছুটিতেও মান্যতার সঙ্গে দুবাইতে গিয়েছিলেন সঞ্জয়। কাজের সূত্রে বেশ কয়েকটি হিন্দি ছবিতে খুব শীঘ্রই দেখা যাবে তাঁকে। ‘শমশেরা’, ‘কেজিএফ: চ্যাপ্টার ২’, ‘পৃথ্বীরাজ’, ‘ভুজ’-এ কাজ করার কথা রয়েছে তাঁর।

Yuvika Chaudhary: ‘নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত’, মুনমুনের পরে বেফাঁস মন্তব্যে ফাঁসলেন যুবিকা!

 

#মুম্বই :ক্ষমা চেয়েও বরফ গলল না। যুবিকা চৌধুরীকে (Yuvika Chaudhary) গ্রেফতার করার দাবিতে তোলপাড় হয়ে উঠল নেটদুনিয়া। অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষকে অপমান করেছেন বিগ বসের (Big Boss) প্রাক্তন প্রতিযোগী। কেন তিনি ওই নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষকে অপমান করলেন, সেই প্রশ্ন তুলে ‘ওম শান্তি ওম’ অভিনেত্রীকে গ্রেফতার করা হোক বলে দাবি জানান অনেকে। এরপরই ক্ষমা চেয়ে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেন বলিউড অভিনেত্রী (Actor)।

অভিনেত্রী মুনমুন দত্তের পর এবার জাতিবাদী মন্তব্য করে বিপাকে শোবিজ দুনিয়ার অপর সুন্দরী, যুবিক চৌধুরি। নিজের সাম্প্রতিকতম vlog-এ তাঁকে কতখানি খাপার দেখাচ্ছে সেকথা বলতে গিয়ে একটি অশালীন মন্তব্য করে বসেন যুবিকা। যে শব্দের ব্যবহার তিনি করেছেন, তা হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য শুধু অবমাননাকর তা নয়, সুপ্রিম কোর্টের বিধান অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সম্প্রতি ওই একই শব্দ ব্যবহার করে বিপাকে পড়েছিলেন ‘তারকা মেহতা কা উলটা চশমা’-খ্যাত অভিনেত্রী মুনমুন দত্ত। তাঁর বিরুদ্ধে এসসি, এসটি আইন অনুসারে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

একই কান্ড করে বসলেন যুবিকা। তবে এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। একটি পোস্টে যুবিকা বলেন, কোনও সম্প্রদায়ে কাউকে অপমান করার কোনও চিন্তাধারা তাঁর নেই। ‘ভাঙি’ (ঝাড়ুদার অর্থে) শব্দের মানে না বুঝেই তিনি তা ব্যবহার করেন। তাঁর ভিডিয়োতে ব্যবহার করা শব্দের জন্য কেউ অপমানিত হলে, তিনি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী বলেও জানান যুবিকা। অভিনেত্রীর পাশাপাশি তাঁর স্বামী প্রিন্স নরুলাও স্ত্রীর হয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Yuvikachaudhary (@yuvikachaudhary)

সম্প্রতি যুবিকা নিজের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেন। যেখানে স্বামী প্রিন্সের নয়া হেয়ার কাট দেখে তাঁর নিজেকে ‘ভাঙি’ বলে মনে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এরপরই যুবিকার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন নেট জনতার একাংশ। যা নিয়ে কার্যত তোলপাড় হয়ে যায় অন্তর্জাল।

প্রসঙ্গত এর আগে ‘তারক মেহতা কা উলটা চশমা’ খ্যাত অভিনেত্রী মুনমুন দত্ত-ও (Munmun Dutta) ওই একই শব্দ ব্যবহার করে নেটিজেনদের রোষের শিকার হন। মুনমুব দত্তের পর এবার যুবিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেন নেটিজেনরা। ওই শব্দ ব্যবহারের পর মুনমুন দত্ত-ও যেমন ক্ষমা চেয়ে নেন, এবার যুবিকা চৌধুরীকেও দেখা যায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে।