লাইফস্টাইল Benefits Of Oil In Belly Button: রাতে ঘুমনোর আগে নাভিতে ফেলুন ফোঁটা ফোঁটা তেল…কোন তেল আপনার জন্য? জেনে নিন! Gallery September 11, 2024 Bangla Digital Desk তেলে চুল তাজা! কে না জানে…তবে আমরা কিন্তু চুল নয়, ত্বকের পরিচর্যায়ও সমান তালে তেল মাখি। জানেন, রাতে ঘুমনোর অ্রআগে রের কোথায় তেল দিলে একসঙ্গে ম্যাজিকের মতো সারে সব রোগ? Photo: Representative Image শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল নাভি। এই নাভি দিয়েই যে সন্তান সংযুক্ত থাকে মাতৃজঠরে! নাভিতে তেল দিলেই তাই পৌঁছে যায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে। Photo: Representative Image নাভিতে কোন তেল দিলে তা কী ভাবে কাজে লাগে জানলে চমকে যাবেন! একে একে বলব ৩ তেলের নাভি-সংযোগ! Photo: Representative Image স্নানের আগে নাভিতে এবং পায়ের নখে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল দেওয়ার রেওয়াজ বহু পুরনো। অনেকেই বলেন, নিয়ম করে রোজ নাভিতে নারকেল তেল দিলে নানা রকম রোগবালাই দূরে থাকে। নাভির সঙ্গে গোটা শরীরের স্নায়ুর যোগ রয়েছে। সে কথা ভুল নয়। Photo: Representative Image ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি এফ মেডিসিন’-এর দেওয়া তথ্য বলছে, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে নারকেল তেল। আবার, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ নারকেল তেল হজম সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যা বশে রাখে। রাতে ঘুমোনোর আগে নাভিতে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল দেওয়ার অভ্যাস করলে আর কী কী উপকার মিলবে? Photo: Representative Image অস্থিসন্ধির ব্যথায় আরাম দেয় রাতে ঘুমোনোর আগে রোজ নাভিতে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল দিলে অস্থিসন্ধির ব্যথায় আরাম মেলে। নাভির সঙ্গে সারা শরীরের স্নায়ু, শিরা-উপশিরার যোগ রয়েছে। নারকেল তেল দিয়ে নাভি মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা, প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও নারকেল তেলের মালিশ দারুণ কাজ করে। Photo: Representative Image সংক্রমণের ভয় কমে নাভির মধ্যে ময়লা জমার প্রবণতা বেশি। রোজ সাবান মেখে স্নান করলেও আলাদা করে নাভি পরিষ্কার করার কথা মনে থাকে না। ফলে সহজেই সেখানে ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারে। কিন্তু নিয়মিত নাভিতে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল দিলে এই ধরনের সমস্যা বশে রাখা যায়। Photo: Representative Image হজমশক্তি ভাল হয় নাভিতে নারকেল তেল দেওয়ার রেওয়াজ আয়ুর্বেদে বহু পুরনো। পেট গরম, পেট খারাপ, গ্যাস, পেট ফাঁপা কিংবা হজমের গোলমাল— সবই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় নাভিতে নারকেল তেল দিলে। নিয়মিত ব্যবহার করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যারও নিরাময় হয়। Photo: Representative Image নাভিতে ক্যাস্টর অয়েল দিলে কি উপকার হয়? পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমায় – নাভিতে গরম ক্যাস্টর অয়েল লাগালে পিরিয়ডের ব্যথা উপশম হয়। উর্বরতা বাড়ায় – পেটের বোতামটি গর্ভধারণের সাথে দৃঢ়ভাবে সম্পর্কিত কারণ এটি মা এবং তার সন্তানের মধ্যে সংযোগ। নারকেল তেল তার ত্বক এবং চুলের সুবিধার জন্য সুপরিচিত, তবে এটি একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার যা উর্বরতা বাড়াতে পারে। Photo: Representative Image এ ব্যাপারে বিশিষ্ট চিকিৎসক কিংশুক প্রামানিক বলেন, নাভিতে তেল দিলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমে। অনেকেই জানেন, নাভির সঙ্গে গোটা শরীরের যোগ রয়েছে। তাই নাভির চারপাশ তেল দিয়ে মালিশ করলেও রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। Photo: Representative Image *ছোটবেলায় মা ঠাকুমারা নাভিতে তেল মালিশ করে দিত। ছোটবেলার এই অভ্যাসে মিলবে ফলাফল। নিয়ম মেনে নাভিতে তেল মালিশ করলে পাবেন ফলাফল। সংগৃহীত ছবি। নাভিতে সরষের তেল লাগালে ত্বকের শুষ্কতা রোধ হয়। ঠোঁট মসৃণ হবে এবং ফাটবে না। হিলও ফাটবে না, নরম ও মসৃণ হবে। পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে তেল বা ঘি (নাভিতে পরিষ্কার করা মাখন) প্রয়োগ করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। Photo: Representative Image Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
পশ্চিম মেদিনীপুর, লাইফস্টাইল Nail & Hair Care: বিশেষ ফলের জাদু-তেল! কমদামি এই তেলের গুণেই সুপার মজবুত নখ আর চুল! জানুন রূপরহস্যের সৌন্দর্য Gallery September 3, 2024 Bangla Digital Desk পূজোর আগে রূপচর্চা এবং চুলের যত্ন নেন সবাই । কিন্তু জানেন কি একটা তেলের আছে হাজার গুণ। জানলে অবাক হবেন। চুল থেকে ত্বক যেকোনও সমস্যায় উপযোগী এই তেল। একবার ব্যাবহার করলে ফল মিলবে হাতেনাতে। বাজারে পাওয়া যায় ক্যাস্টর তেল।বিশেষ এক ফল থেকে প্রস্তুত করা হয় এই তেল। চুলের বৃদ্ধি থেকে উজ্বল ত্বক পাওয়া যাবে এই তেল ব্যবহার করে। বিউটিশিয়ান সঙ্গীতার মতে ভঙ্গুর নখের যত্নে ক্যাস্টর তেল কার্যকর। প্রতিদিন সামান্য ক্যাস্টর তেল নখে ঘষে ঘষে লাগালে নখ মজবুত হবে । সামনেই শীতকাল ,ঠোঁট ফাটা দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার। দামী দামী প্রোডাক্ট এর প্রয়োজন নেই । ব্যাবহার করুন এই তেল ।
লাইফস্টাইল Constipation: রোজ সকালে দু-চামচ! কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে ভরসা রাখুন এই তেলে! ফল মিলবে ৭ দিনে Gallery May 8, 2024 Bangla Digital Desk কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা যা সবাইকে কষ্ট দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেক ঘরোয়া প্রতিকার পাওয়া যায়, যার মধ্যে ক্যাস্টর অয়েল একটি সুপরিচিত নাম। কিন্তু ক্যাস্টর অয়েল কি আসলেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকর? ক্যাস্টর অয়েল প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে। এর মানে এটি অন্ত্রের মধ্য দিয়ে মল সরাতে সাহায্য করে এবং মলত্যাগকে সহজ করে তোলে। ক্যাস্টর অয়েলে রিসিনোলিক অ্যাসিড থাকে, যা অন্ত্রের দেয়ালকে উদ্দীপিত করে, যার ফলে অন্ত্রের গতিবিধি বৃদ্ধি পায়। ক্যাস্টর অয়েল কি কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য নিরাপদ?ক্যাস্টর অয়েল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকরী হতে পারে, তবে এটি সাবধানে ব্যবহার করা উচিত। এটি প্রচুর পরিমাণে বা বারবার ব্যবহার করলে পেটে ব্যথা, ক্র্যাম্প এবং ডায়রিয়া হতে পারে। এছাড়াও গর্ভবতী মহিলা, স্তন্যদানকারী মহিলা এবং যারা নির্দিষ্ট ওষুধ গ্রহণ করেন তাদের ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। কীভাবে ব্যবহার করে?কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে এক বা দুই চামচ ক্যাস্টর অয়েল সকালে খালি পেটে বা রাতে ঘুমানোর আগে খেতে পারেন। আপনি এটি কিছু ফলের রস বা মধুর সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন, কারণ এর স্বাদ একটু তেতো। প্রভাব ফেলতে দুই থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অব্যাহত থাকে বা গুরুতর হয়ে ওঠে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। তারা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ খুঁজে বের করে উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
লাইফস্টাইল Health And Beauty Tips: এই গাছের তেল ‘মহৌষধ’, মাখলে টাকে চুল গজায়, বন্ধ হয় চুল পড়া, দূর হয় বাতের ব্যথা-সহ ত্বকের যে-কোনও সমস্যা Gallery March 21, 2024 Bangla Digital Desk আমাদের দেশে শত শত প্রকারের গাছপালা ও ঘাস রয়েছে, যেগুলো ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এমন কিছুও গাছপালা আছে যেগুলো আমাদের চোখের সামনে থাকলেও সবসময় নজরে পড়ে না। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল মানুষ এগুলি সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। আজ এমন একটি ওষুধ সম্পর্কে জেনে নিন যা সাধারণত শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র পাওয়া যায়। ক্যাস্টর গাছ। ক্যাস্টর হল চওড়া পাতা বিশিষ্ট একটি ছোট আকারের উদ্ভিদ, যা প্রাকৃতিক ভাবে জন্মায়। তবে বাণিজ্যিক ভাবেও এর চাষ শুরু হয়েছে। ক্যাস্টর গাছ সর্বত্র জন্মায়। গ্রামাঞ্চলে শিশুরা এর বীজ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলে। অনেক রোগের চিকিৎসায় ক্যাস্টর অয়েল দারুন প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে এই উদ্ভিদটি বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত উদ্ভিদের মর্যাদা পেয়েছে। যা এটিকে বিষাক্ত করে তোলে তা হল এতে উপস্থিত রিসিন নামক রাসায়নিক। এটি বিষাক্ত হওয়া সত্ত্বেও এর থেকে ওষুধও তৈরি হয়। আসলে ক্যাস্টরের বীজে সবচেয়ে বেশি বিষ পাওয়া যায়। কেউ যদি এই বীজগুলি চিবিয়ে খায় বা এই বীজ পেটে যায় তবে পরিস্থিতি মারাত্মক হতে পারে। ক্যাস্টর গাছের পাতা, বীজ, ফুল, শিকড় সবই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কমলগঞ্জের আয়ুষ মেডিকেল অফিসার ডা. ধর্মেন্দ্র সিং যাদব জানান, ওষধি তেলের জন্য ক্যাস্টর চাষ করা হয়। এটি গুল্ম আকারে বেড়ে ওঠা একটি উদ্ভিদ যা বাণিজ্যিক ভাবে কৃষককে প্রচুর লাভ দেয়। আয়ুর্বেদে এর পাতা, বীজ, ফুল ও শিকড়ের প্রতিটি অংশ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মূল জলে সেদ্ধ করে ব্যবহার করলে চর্মজনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও ক্যাস্টর অয়েল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ক্যাস্টর অয়েল ত্বক সম্পর্কিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কার্যকর। এর ব্যবহারে ত্বকের ব্রণ ও কালচে দাগ দূর হয়। আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় কার্যকরক্যাস্টর অয়েল। ডা. ধর্মেন্দ্র সিং যাদব বলেন, ক্যাস্টর অয়েলে ভিটামিন ই পাওয়া যায় যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ক্যাস্টরের বীজ বাতের চিকিৎসায় সাহায্য করে। এটি জয়েন্ট এবং পেশির রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। ক্যাস্টর বীজে পাওয়া অলিক অ্যাসিড, রিসিনোলিক অ্যাসিড, লিনোলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য ফ্যাটি অ্যাসিড আর্থ্রাইটিস সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর। ডা. ধর্মেন্দ্র সিং যাদব আরও বলেন যে, ক্যাস্টর অয়েল চুলের বৃদ্ধির জন্যও সমান উপকারী। ক্যাস্টর বীজ গোড়া থেকে চুলকে পুষ্ট করে, চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং চুলকে মজবুত করে। চুলে ক্যাস্টর অয়েল লাগালে চুল লম্বা, ঘন ও মজবুত হয়। ক্যাস্টর বীজ পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ক্যাস্টর বীজে পাওয়া রিসিনোলিক অ্যাসিড পিরিয়ডের প্রবাহকে সহজ করে। এছাড়াও পিরিয়ডের সময় ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। ক্যাস্টর বীজ অতিরিক্ত রক্তপাতও রোধ করে। তবে পিরিয়ডের সময় ডাক্তারের পরামর্শেই ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা উচিত। ডা. ধর্মেন্দ্র সিং যাদব সচেতন করে জানান, ক্যাস্টর বীজ খেলে অ্যালার্জি, মূর্চ্ছা, বিভ্রান্তির মতো সমস্যা হতে পারে। ক্যাস্টর অয়েলের অত্যধিক ব্যবহারে ডায়রিয়া, বমি এবং পেটে ব্যথা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় এর ব্যবহার গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শেই ক্যাস্টর সিড বা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা উচিত।