আরজি করে ধর্ষণ-খুন মামলা তদন্ত। এবার CBI নজরে কেস ডায়েরিও। CBI স্ক্যানারে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার। তদন্ত ভুল পথে চালনার অভিযোগ। CBI-কেও বিভ্রান্ত করার অভিযোগ। টালা থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ CBI-এর। জিডি-তেও একাধিক গরমিলের অভিযোগ। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের নজরে কেস ডায়েরি। শনিবারই টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
কলকাতা: আর জি করে ধর্ষণ-খুন মামলা তদন্তে এবার CBI নজরে কেস ডায়েরিও। CBI স্ক্যানারে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার। তদন্ত ভুল পথে চালনার অভিযোগ। CBI-কেও বিভ্রান্ত করার অভিযোগ। টালা থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ CBI-এর। জিডি-তেও একাধিক গরমিলের অভিযোগ। এদিকে, আরজি কর খুন এবং ধর্ষণ মামলায় আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে সিবিআই হেফাজতে পাঠাল আদালত।
আরজি কর খুন এবং ধর্ষণ মামলায় আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। কিন্তু কী অভিযোগ টালা থানার প্রাক্তন ওসির বিরুদ্ধে, আদালতে জানাল সিবিআই।
সিবিআই টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল সম্পর্কে জানায়, উনি মূল অভিযুক্ত না হলেও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র জড়িত।
পাশাপাশি একাধিক অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। যার মধ্যে রয়েছে ষড়যন্ত্র, প্রমান লোপাট, দেরিতে এফআইআর-সহ একাধিক বিষয় আছে।
পাশাপাশি সিবিআই রবিবার আদালতে দাবি করে, খুন এবং ধর্ষণের ঘটনা জেনেও উনি সঠিক ভাবে তদন্ত করেনি। সেই সঙ্গে সিবিআই আদালতে বলে, “উনি ডিউটিতে ছিলেন, ১০টার পর খবর পান। উনি তদন্তের নিয়ম মানেননি।“
সেই সঙ্গে টালা থানার ওসির সম্পর্কে সিবিআই আরও অভিযোগ করে, “ওনার সন্দীপের সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ ছিল। উনি একজন অফিসার, নিয়ম জানেন। খুন এবং ধর্ষণের মামলায় যতটা সতর্ক থাকা উচিত ছিল, সেটা করেনি”।
এখানেই শেষ নয় আদালতে সিবিআই কর্তব্য গাফিলতি এবং প্রমাণ লোপাটেরও অভিযোগ তোলে সিবিআই। সেই প্রসঙ্গে সিবিআই আদালতে সওয়াল করে, “১০টায় জানাজানি হয়, উনি ১১টায় আসেন। এফআইআর হয় রাত সাড়ে ১১টায়”। পাশাপাশি প্রমাণ লোপাটেরও অভিযোগ তোলে সিবিআই। সব শুনে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই।
দুর্নীতি মামলার পর এবার আরজি কর মামলাতেও গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ। রবিবার আদালতে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সিবিআই হেফাজত দেওয়া হয়েছে। সিবিআই এই সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে আরজি কর মামলার বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে চায়।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এবং তারপর থেকেই এই ঘটনায় সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল।
হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল সন্দীপকে। বিশেষত কেন তিনি এফআইআর দায়ের করেননি, তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছিল।
এমনকি সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শেষ শুনানিতে সিবিআই-এর মুখবন্ধ খামের রিপোর্ট পড়ে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আরজি কর থেকে সন্দীপের বাড়ি কতক্ষণের পথ?’
সিবিআই রিপোর্টের বিষয়বস্তু বাইরে না এলেও খুন এবং ধর্ষণের মামলায় সন্দীপ যে সিবিআই -এর র্যাদারেই ছিল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর শেষ পর্যন্ত এই মামলায় গতকাল গ্রেফতার হন সন্দীপ ঘোষ।
তরুণী চিকিৎসকের যন্ত্রণাদায়ক এই মৃত্যুর তদন্ত যত এগিয়েছে ততই একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েছে এই চিকিৎসক তথা সরকারি মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষের নাম ঘিরে। আর সেই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজতেই এবার তৎপর সিবিআই টিম।
প্রশ্ন ১) সন্দীপ ঘোষ ঘটনার দিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে বলেছিলেন নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতে। কিন্তু সেখানেও কেন এত অসঙ্গতি? কখনও বলা হয় মেয়ে অসুস্থ। কখনও বলা হয় দ্রুত আসুন মেয়ে সুইসাইড করেছে। কেন এমন হয়েছে? পিছনে কি কোনও গভীর ষড়যন্ত্র?
প্রশ্ন ২ ) প্রথম থেকে ঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা লক্ষ্য করা গিয়েছে আরজি কর অধ্যক্ষ হিসেবে সন্দীপের বক্তব্যে। একের পর এক হোঁচট, স্ববিরোধী উত্তর কী বড় কোনও অভিসন্ধিতে? আর সিবিআই সূত্র বলছে, এই কারণেই ক্রমশ ‘ষড়যন্ত্র অভিযোগ’ জোরালো হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে।
প্রশ্ন ৩) সূত্রের খবর, প্রমাণ লোপাটে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিসাবে তাঁর ভূমিকা আছে বলেও মনে করছেন সিবিআই তদন্তকারী অফিসাররা। নয়ত কর্ডন এলাকা থেকে কীভাবে তথ্য প্রমাণ লোপাট হল? কেন? কী কারণ নেপথ্যে? উঠছে সে প্রশ্নও।
প্রশ্ন ৪) শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এবার সন্দীপ ঘোষকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জানতে চায় নৃসংশতার নজিরবিহীন এই খুন ও ধর্ষণের মামলায় আদতে কারা জড়িত? কোনও বড় মাথা কী রয়েছে এর পিছনে?
প্রসঙ্গত, দুর্নীতি মামলায় জেলেই ছিলেন তিনি। এরইমধ্যে আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও সন্দীপকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়। সেইসঙ্গে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
রিপোর্ট অনুযায়ী, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এবং দেরিতে এফআইআর দায়ের করায় তাঁদের গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখন আগামী কয়েকদিনে তদন্ত কোনদিকে মোড় নেয় সেদিকেই তাকিয়ে আছে দেশ ও রাজ্যবাসী।
RG Kar Arrest: RG Kar News : আর জি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলা তদন্ত। এবার CBI নজরে কেস ডায়েরিও। CBI স্ক্যানারে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার। তদন্ত ভুল পথে চালনার অভিযোগ। CBI-কেও বিভ্রান্ত করার অভিযোগ। টালা থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ CBI-এর। জিডি-তেও একাধিক গরমিলের অভিযোগ। দেখুন বাংলা নিউজ ভিডিও (Watch Bangla news video)৷
কলকাতা: আরজি কর খুন এবং ধর্ষণ মামলায় আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে সিবিআই হেফাজতে পাঠাল আদালত।
আরও পড়ুন: টালা থানার প্রাক্তন ওসির গ্রেফতারির পরে এবার কলকাতা পুলিশের আরও চার অফিসারকে তলব
অভিজিৎ মণ্ডল এবং সন্দীপ ঘোষকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল সিবিআই। এই প্রসঙ্গে সিবিআই আদালতে সওয়াল করে, উনি (টালা থানার ওসি) অভিযুক্ত নন, উনি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র জড়িত। টালা থানার সম্পর্কে সিবিআই আরও বলে, “ওনার সন্দীপের সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ ছিল। উনি একজন অফিসার, নিয়ম যানেন। খুন এবং ধর্ষণে মামলায় যতটা সতর্ক থাকা উচিত ছিল, সেটা করেনি”।
আরও পড়ুন: টালা থানার প্রাক্তন ওসির গ্রেফতারির পরে এবার কলকাতা পুলিশের আরও চার অফিসারকে তলব
পাশাপাশি কর্তব্য গাফিলতির অভিযোগ তোলে সিবিআই। সেই প্রসঙ্গে বলে “১০টায় জানাজানি হয়, উনি ১১ টায় আসেন। এফআইআর হয় রাত সাড়ে ১১টায়”। পাশাপাশি প্রমাণ লোপাটেরও অভিযোগ তোলে সিবিআই।
অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৯৯, ১৯৯ (ক্লস c), ৬৪, ৬৫ , ৬১ (ক্লস ২), ২৩৮ ধারায় মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি জামিনের আবেদনও করেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি, যদিও সেই আবেদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং সন্দীপ ঘোষ দুজনকেই আরজি কাণ্ডে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। শনিবার রাতের আগে পর্যন্ত সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরজি করে দুর্নীতির মামলায়।
এবার আদালতে সিবিআই তাঁকে খুন ও ধর্ষণের মামলায় ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখিয়েছে। কিন্তু কেন? কী করেছেন সন্দীপ ঘোষ? আদালতে কখন কাউকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখায়?
সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সিবিআই হেফাজতে থাকা প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তদন্তে অসহযোগিতা, ষড়যন্ত্র ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই মামলাতে সন্দীপ ঘোষকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করা হয়েছে বলে শিয়ালদহ অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে শনিবার জানিয়েছে সিবিআই। আইনি প্রক্রিয়ায় সন্দীপকে এরপর সশরীরে আদালতে হাজির করানো হবে বলে দাবি সিবিআইয়ের।
সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের মামলায় তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি অপরাধীকে রক্ষা করতে ভুল তথ্য দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সন্দীপ ও অভিজিতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৩৮ নম্বর ধারা, ১৯৯ নম্বর ধারা ও ৬১ (২) ধারায় প্রমাণ লোপাট, অপরাধীকে আড়াল করতে ভুল তথ্য দেওয়া, সরকারি কর্মী হয়ে আইন না মানা ও ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
কখন কোনও অভিযুক্তকে শোন এরেস্ট (Shown Arrest) দেখানো হয়? ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৩৫১ অনুযায়ী, গ্রেফতার বা সমন ছাড়া কোনও আমল গ্রহণকারী আদালতে উপস্থিত যে কোনও ব্যক্তিকে আদালত গ্রেফতার দেখাতে পারেন।
যদি সাক্ষ্যপ্রমাণে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ওই ব্যক্তি আদালতে বিচারাধীন অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা এই অপরাধটি সে সংঘটন করেছে। আদালত তার বিরুদ্ধে এমন ভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবেন যেন সে সমন পেয়ে বা গ্রেফতার হয়ে আদালতে উপস্থিত হয়েছে।
আদালতের বিচার ব্যবস্থা উন্মুক্ত হওয়ায় অনেক সময় প্রকৃত অপরাধী ও সন্দেহের বাইরে থেকে আদালতে বিচার দেখতে আসে বা সে এই মামলার বাদী অথবা সাক্ষীও হতে পারে। যদি তখন আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণে বোঝা যায় যে, সেই প্রকৃত অপরাধী তাহলে আদালত তাকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার দেখাতে পারেন।
এভাবে গ্রেফতার দেখানোকে বলা হয় Shown Arrest। ধারা ৩৫১/২ অনুযায়ী, বিচার শুরু হওয়ার পর এভাবে গ্রেফতার হলে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে মামলা নতুন ভাবে আরম্ভ করতে হবে এবং সাক্ষীদের বক্তব্য পুনরায় শুনতে হবে আদালতকে। সন্দীপ ঘোষের ক্ষেত্রেও আরজি করে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছে সিবিআই।
প্রথমে আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার। আর শনিবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও গ্রেফতার করল সিবিআই। সেই সন্দীপ, যার বিরুদ্ধে একের পর এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠে আসছে নিত্যদিন।
এবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আরও মারাত্মক উঠল। কর্মসূত্রে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে বেশ কিছুদিন কর্মরত ছিলেন সন্দীপ। সেই সময়ই তিনি নাকি রূপান্তরকামীদের যৌন নিগ্রহও করতেন বলে অভিযোগ উঠল এবার।
নিউজ ১৮ বাংলা-র ক্যামেরার সামনে এমনই একজন রূপান্তরকামী অভিযোগ করেছেন, মুর্শিদাবাদে থাকাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রূপান্তরকামীদের অনেকের ফোন নম্বর জোগাড় করতেন সন্দীপ। তারপর তাঁদের ডেকে পাঠাতেন নিজের ‘ডেরায়’।
অভিযোগ, সেখানে রূপান্তরকামীদের রীতিমতো যৌন নিগ্রহ করতেন সন্দীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, রাতভর রীতিমতো অত্যাচার চালাতেন সন্দীপ। এমনকী তাঁদের অনেকেই এ কারণে রক্তাক্তও হন বলে অভিযোগ। এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। সেই সমস্ত তথ্য তাঁরা এবার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে চান বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা।
অবশ্য শুধু বাংলাতেই নয়, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে সুদূর হংকংয়েও সন্দীপ ঘোষের ‘কুকীর্তি’র অভিযোগ সামনে এসেছে। সেখানে সন্দীপের যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন একজন ‘মেল নার্স’।
আরজি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। শনিবার সেই মামলাতে গ্রেফতারও হয়েছেন সন্দীপ। একই সঙ্গে হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।
তার মাঝেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এক পুরনো যৌন হেনস্থার ঘটনা সামনে এসেছে। যাকে ঘিরে রীতিমত শুরু হয়েছে জোর চর্চা। বাংলার একাধিক হাসপাতালে ‘সন্দীপ ঘোষ অ্যান্ড গ্যাংয়ের একাধিক’ কুকীর্তি সামনে এসেছে।
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কয়েকবছর আগে হংকংয়ের এক হাসপাতালে পুরুষ নার্সিং পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহ করেছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। দাবি করা হয়েছিল, তিনি ওই নার্সের যৌনাঙ্গ ছোঁয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ঘটনার জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। অভিযোগকারী নার্সিং পড়ুয়া জানিয়েছিলেন, সন্দীপ ঘোষ মাঝেমধ্যেই তাঁর গায়ে হাত দিতেন। একবার পোশাক বদলানোর সময়ে গোপনাঙ্গে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন! আর এবার সামনে এল মুর্শিদাবাদের রূপান্তরকামীদের আরও ভয়াবহ অভিযোগ।
আরজি কর মামলায় টালা থানার প্রাক্তন ওসির গ্রেফতারির পরে এবার কলকাতা পুলিশের আরও চার অফিসারকে নোটিস সিবিআইয়ের।
তদন্তের এই পুলিশ অফিসারদের থেকে কোনও সূত্র পাওয়া যায় কিনা সেটাই জানতে চাইছে সিবিআই।
শনিবারই জিজ্ঞাসাবাদের পরে টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। রবিবার যেই দুই অফিসারকে তলব করা হয়েছে, তাদের মধ্যে দু’জন সাব ইন্সপেক্টর পদ মর্যাদার।
সিবিআই সূত্রের দাবি, কলকাতা পুলিশের তরফে যখন তদন্ত চলছিল এই চার অফিসার সেই দলে ছিলেন। সেই দুই অফিসারকে তলব করে কোনও সূত্র পাওয়া যায় কিনা সেটাই দেখতে চাইছে সিবিআই।
টালা থানার ওসি-কে কোন সূত্র ধরে গ্রেফতার করল সিবিআই? জানা গিয়েছে, অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রমাণ লোপাট, এফআইআর করায় বিলম্বের অভিযোগ আনা হয়েছে। ১২০বি, ২৩৮/১৯৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় শনিবার রাতে গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার সদ্য প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এই প্রথম ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতারির ঘটনা ঘটল। একই সঙ্গে দুর্নীতি মামলায় জেলে থাকা সন্দীপ ঘোষকেও ধর্ষণ ও দুর্নীতি মামলায় শনিবার গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
কিন্তু টালা থানার ওসি-কে কোন সূত্র ধরে গ্রেফতার করল সিবিআই? জানা গিয়েছে, অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রমাণ লোপাট, এফআইআর করায় বিলম্বের অভিযোগ আনা হয়েছে। ১২০বি, ২৩৮/১৯৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে।
সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনার দিন অর্থাৎ ৯ অগাস্টের ঘটনাক্রম অর্থাৎ সময় সারণী নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বারে বারে হোঁচট খান টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।
ঘটনার পর কেন সন্দীপ ঘোষের বয়ান রেকর্ড করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে অভিজিৎবাবুকে। কেন সন্দীপের বয়ান কলকাতা পুলিশ ঘটনার চার দিন পর নিয়েছিল? সিবিআই সূত্রে দাবি, গ্রেফতারের আগের মুহূর্তে টালা থানার সদ্য প্রাক্তন ওসি দাবি করেছেন, ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সন্দীপের বয়ান প্রথমে নেওয়া হয়নি। পরে চাপে পড়ে বয়ান রেকর্ড করে লালবাজার।
প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে পরের দিনই সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ৷ এরপর এই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।
সন্দীপ ঘোষকে দিনের পর দিন টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই৷ তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টও করা হয়৷ এরপর আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ এবার মূল মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হল৷ একই সঙ্গে গ্রেফতার হলেন টালা থানার সেই সময়ের ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও।
Posts navigation
Just another WordPress site