Tag Archives: chandrima Bhattacharya

Chandrima Bhattacharya: ‘ঘাড়ধাক্কা’ দেওয়া হয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের? মুখ খুললেন চন্দ্রিমা! বললেন, ‘আমিও তো মা…’

কলকাতা: জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে শনিবারও হল না মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। চন্দ্রিমা জানিয়ে দেন, শনিবার আর বৈঠক সম্ভব না। এরপর ফিরে যান জুনিয়র ডাক্তাররাও। চিকিৎসকরা দাবি করেন, ভিডিও ছাড়াই মিটিংয়ে রাজি ছিলেন তাঁরা, শুধু মিনিটস-এ দু’পক্ষের সই চাওয়া হয়েছিল৷ তখন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এসে জানালেন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে আর সম্ভব নয় বৈঠক। এমনকী অভিযোগ করে জুনিয়র চিকিৎসকদের অনেকেই বলেন, ‘যেন ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হল’। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন চন্দ্রিমা নিজেই। বললেন, ”ঘাড় ধাক্কা! এই ধরনের কোনও কথা আমি বাড়িতেও বলি না। মুখ্যমন্ত্রী ডেকেছেন, আমি বলব কেন এমন! ভুল করেও বলিনি। ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ওরা। আমি বলেছি তিন ঘণ্টা সময় হয়ে গিয়েছে, আমরা চলে যাচ্ছি। ছেলেরা ছোট। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে অনেকে অনেক সময় অনেক কিছু বলেছেন। তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন। আমিও মা।”

তাঁর কথায়, ”খুব বৃষ্টি ছিল বাইরে। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে ছাতা ধরে চিকিৎসকদের মাথায়। রাত ৮টা নাগাদ নিজে বেরিয়ে এসে হাতজোড় করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আসুন কথা বলি। যদি সেটাও না চান, এক কাপ চা খেয়ে যাবেন।”

আরও পড়ুন: ‘এই’ এক জায়গাতেই বারবার হোঁচট, গ্রেফতার টালার সেই ওসি! শেষ মুহূর্তে ফাঁস করে দিলেন বড় ‘রহস্য’, চমকে যাবেন শুনে

চন্দ্রিমার সংযোজন, ” ৯টা পর্যন্ত কিছু বলেননি চিকিৎসকরা। সব কিছু প্রস্তুত ছিল। ৪০ জন এসেছিলেন চিকিৎসকরা। ওরা ছোট, ওদের কথাকে গুরুত্ব দিয়ে অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু রাত ৯টা পর্যন্ত কিছু বললেন না। তারপর আধিকারিকরা যখন বেরোতে যাচ্ছি, চিকিৎসকরা জানান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। কোনও পূর্বে দেওয়া শর্ত ছাড়াই আলোচনা করবেন বললেন তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর। এত যে সময় দেওয়া হল, তখন আলোচনা করলেন না। তারা যখন বলবেন, তখনই সরকারকে রেডি থাকতে হবে কথা বলার জন্য, এটা এরকম মনে হল।”

শনিবার দুপুরেই জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনাস্থলে চলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ কমিটি ভেঙে দেওয়া হল। সেই প্রসঙ্গ তুলেও চন্দ্রিমা বলেন, ”শনিবার মুখ্যমন্ত্রী দিদি হিসেবে ধরনা মঞ্চে গিয়ে অনুরোধ করেন, যা যা দাবি আছে, সেগুলো খতিয়ে দেখবেন। নিশ্চিত করেছিলেন বিচার পাবেন। বেশ কিছু দাবি তিনি মেনে নিয়েছিলেন, ঘোষণা করেছিলেন। যেমন রোগী কল্যাণ সমিতির সব কমিটি ভেঙে দেওয়া হল। আমরা এটাই বলব, যতটা মুখ্যমন্ত্রীর করার, তিনি করেছেন।”

রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ”আমি বিনীত ভাবে অনুরোধ করব, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সব শর্ত মেনেছেন, সেখানে আর কী বলার থাকতে পারে। এটা সাব জুডিস ম্যাটার, তিনি নিজেও বলেছেন। বিচারের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে পথে নেমেছেন। যাতে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা থেকে না বঞ্চিত হন, সেটাও তো দেখতে হবে।”

Chandrima Bhattacharya on junior doctors: ‘পিছনে রাজনীতির খেলা’, জুনিয়র চিকিৎসকদের নিশানা করলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা

কলকাতা: রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসা নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের অনড় মনোভাবের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে৷ এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ সরাসরি জুনিয়র চিকিৎসকদের নিশানা করে মন্ত্রী বলেন, রাজনীতি লুকিয়ে রয়েছে বলেই এই ধরনের ঘটনাপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে৷ যিনি নির্য়াতিতা হয়েছেন, মায়ের কোল ছেড়ে চলে গিয়েছেন, সেই মেয়েটি বিচার পাক, এটা তাঁরা চাইছেন না৷

শুধু তাই নয়, আলোচনা চেয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ করবে কি না, অথবা অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্য সরকার এবার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে কি না, তারও স্পষ্ট জবাব দেননি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী৷ ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে মন্ত্রী শুধু বলেন, যা হবে আপনারা জানতে পারবেন৷

আরও পড়ুন: কোনও শর্ত মেনে আলোচনা নয়, জানালেন মুখ্যসচিব! জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি খারিজ করল নবান্ন

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা কাটাতে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য সরকারের৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, গতকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র চিকিৎসকদের৷ যদিও আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকৎসকরা গতকাল দুপুর থেকে একটানা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসে রয়েছেন৷

এই অচলাবস্থা কাটাতে এ দিন ফের জুনিয়র চিকিৎসকদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়ে ই মেল করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ৷ তার পাল্টা জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, আলোচনায় বসার জন্য রাজ্যকে তাদের চার দফা শর্ত মানতে হবে৷ এর মধ্যে অন্যতম শর্ত ছিল,সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা এবং বৈঠকের লাইভ সম্প্রচারের দাবি৷ যদিও এ দিন সন্ধ্যায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন পূর্ব নির্ধারিত কোনও শর্ত মেনে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে না৷

এই প্রসঙ্গেই রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা প্রশ্ন করতে চাই, ভোর ৩.৪৫-এ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ফোন আসা কি স্বাভাবিক? এর পিছনে কি রাজনৈতিক উদেশ্য আছে? আজ দুপুর ৩. ২১- এ মুখ্যসচিব মেল করে ৬টায় আলোচনায় আসতে বললেন৷ তার উত্তর এল ২ ঘণ্টা বাদে। রাজ্য সরকার খোলা মনে আলোচনায় বসতে চাইছে। কোনও শর্ত দিয়ে খোলা মনে বসা যায় না। আসলে এর পিছনে রাজনীতির খেলা আছে। আমরাও চাই মেয়েটি বিচার পাক৷ আমরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দেব। মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু নেতিবাচক পদক্ষেপ করেননি। রোগীদের বঞ্চনা করা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের বলব, রাজনৈতিক প্ররোচনায় না গিয়ে যে মহৎ পেশায় আছেন, তাতে যোগ দিন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলুন। শর্ত এবং আলোচনা, পাশাপাশি চলতে পারে না। আমরা মানুষের সামনেই পুরোটা রাখছি৷ আমরা চেয়েছিলাম খোলা মনে আলোচনা৷’

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, এর পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা চেয়ে নতুন করে আর জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে কোনও প্রস্তাব পাঠান হবে কি না৷ পাশাপাশি, কাজে না ফিরলে রাজ্য সরকার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে কি না, সেই প্রশ্নও করা হয় মন্ত্রীকে৷ জবাবে তিনি শুধু বলেন, ‘কোনও পদক্ষেপ করা হলে অথবা নতুন করে জুনিয়র চিকিৎসকদের ই মেলের জবাব দেওয়া হলে সবাই জানতে পারবেন৷’

যদিও তাঁদের আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক যোগের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ মন্ত্রীর অভিযোগের জবাব দিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘আমাদের আন্দোলনে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকেই ঢুকতে দিইনি৷ তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস, বিজেপি- প্রথম দিন থেকে কোনও নেতাকেই আমরা আন্দোলনে ঘেঁষতে দিইনি৷ আমরাও খোলা মনেই আলোচনা চেয়েছিলাম৷’

NIA Bhupatinagar Blast Case: ‘বিজেপির থেকে সাদা প্যাকেটে মুড়ে টাকা নিয়েছে NIA’, বড় চক্রান্ত ফাঁস কুণাল-চন্দ্রিমার

ভূপতিনগর: বিজেপি-এনআইএ-র চক্রান্ত ফাঁস! সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা ভূপতিনগর পৌঁছলেন, সেখানকার মহিলাদের অভিযোগ তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। বিজেপি ও এনআইএ-র মধ্যে যোগসাজশ ও ষড়যন্ত্র ফাঁস হওয়ার পর আজই ভূপতিনগর যান তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও কুণাল ঘোষ।

তাঁরা সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। কুণাল ঘোষ ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, ‘এনআইএ আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা তদন্ত ও অভিযানের নামে তাঁদের উপর যে কী ভয়ঙ্কর অত্যাচার করেছেন, সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা আমাদের নেতৃত্বের সামনে তুলে ধরলেন ভুক্তভোগীরা। বিশেষ করে সেখানকার মহিলারা।’

আরও পড়ুন: অনলাইনে পাসপোর্টের নাম এবং ঠিকানা পরিবর্তন করবেন কীভাবে? জেনে নিন ধাপে ধাপে, খুব সহজ নিয়ম

ভূপতিনগরের বাসিন্দা মহিলাদের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যেই এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই মহিলাদের অভিযোগ, সিআইএসএফ এবং এনআইএ আধিকারিকরা ভোর-রাতে জোর করে তাঁদের ঘরের ভিতর ঢুকে পড়েন। তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন, শারীরিক নিগ্রহ করেন এবং শ্লীলতাহানি করেন।

আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! অ্যাপ ক্যাবের রাইড শেষে বিল এল ৭,৬৬,০০,০০০ টাকা, যাত্রীর অবস্থা কী তারপর জানেন?

রবিবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করা হয়, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি গোপনে এক উচ্চপদস্থ এনআইএ আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং সেই বৈঠকে সন্দেহজনক একটি সাদা প্যাকেট দেওয়া-নেওয়া করা হয়। শাসকদলের পক্ষ থেকে সাফ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, কেউ যদি এই ঘটনা অস্বীকার করেন, তাহলে দলের তরফে ওই বিজেপি নেতার সেদিন ওই এনআইএ আধিকারিকের বাসভবনে উপস্থিত থাকার প্রমাণ স্বরূপ সংশ্লিষ্ট সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হবে।

আবীর ঘোষাল

Lok Sabha Election 2024:‘মোদির গ্যারান্টি’-কে তীব্র আক্রমণ চন্দ্রিমা, শান্তনুর, প্রার্থীতালিকা নিয়েও করলেন কটাক্ষ

কলকাতা: পাঁচ ইস্যুতে মোদি সরকারের জিরো গ্যারান্টিকে তীব্র আক্রমণ করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও দলের মুখপাত্র ডাঃ শান্তনু সেন। এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্বেতপত্র প্রকাশের খোলা চ্যালেঞ্জ ও রাজ্যের সব আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে না পারায় বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেন তাঁরা। সাংবাদিক বৈঠকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ১৭৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেল। কিন্তু এখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জের জবাবে কোনও উত্তর দিতে পারল না বিজেপি। ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও এখনও রাজ্যের ৪২ আসনে প্রার্থীর নামও ঘোষণা করতে পারেনি তারা।

বুধবারের পর বৃহস্পতিবার ফের মোদির জিরো গ্যারান্টি নিয়ে সরব হল তৃণমূল । মোদি সরকার বলেছিল ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করা হবে। কিন্তু যদি দ্বিগুণ করতে হয় তাহলে ২০১৫ থেকে বছরে ১০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাস্তব বলছে দ্বিগুণ তো দূর কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারেনি তারা। কৃষকের আয় বেড়েছে মাত্র ৩.৫ শতাংশ। স্বচ্ছ ভারত মিশনেও ডাহা ফেল মোদির গ্যারান্টি। গত ৫ বছরে বিপজ্জনক ট্যাঙ্ক ও নর্দমা পরিষ্কার করতে গিয়ে গোটা দেশে ৩০৮জন সাফাই কর্মী প্রাণ দিয়েছেন। স্বচ্ছতা এল না, উল্টে প্রাণ গেল মানুষের।

ভারত মালা প্রকল্প যখন শুরু হয়েছিল তখন ছিল ৫৫০টি জেলা, আর এখন তা হয়েছে ৮০৬টি জেলা। তথ্য বলছে, এতদিনে এই প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩৯ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। উল্টোদিকে প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫৮ শতাংশ। মোদির সাধের আয়ুষ্মান ভারত নিয়েও বড়সড় দুর্নীতির তথ্য ফাঁস করেছে সিএজি।

সেই তথ্য তুলে ধরে চন্দ্রিমা বলেন, বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ৭.৫ লক্ষ ভুয়ো উপভোক্তাকে পাওয়া গিয়েছে। মৃত ঘোষণা করা ৪০০ জন রোগীকে এক কোটিরও বেশি টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনায় একই অবস্থা। বাস্তব ছবিটা বলছে, গত ২২-২৩ আর্থিক বছরে এই প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত ১.২ কোটি পরিবার একটি সিলিন্ডারও কেনেননি। ১.৫ কোটি পরিবার গোটা বছরে মাত্র একটি সিলিন্ডার কিনেছেন। গোটা প্রকল্পটি যে কতটা ফ্লপ এটাই তার প্রমাণ। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ব্রিটিশ আমলের থেকেও খারাপ।