পাঁচমিশালি Indian Cobra vs King Cobra: কোবরা এবং কিং কোবরার মধ্যে পার্থক্য জানেন কী? কার বিষে একসঙ্গে মৃত্যু হতে পারে ২০ জনের! Gallery August 1, 2024 Bangla Digital Desk বর্ষাকাল এলেই বেড়ে যায় সাপের উপদ্রব। গ্রাম গঞ্জে তো বটেই, অনেক সময় শহরাঞ্চলেও সাক্ষাত্ পাওয়া যায় সাপের। এই ভয়ঙ্কর সুন্দর প্রাণী সম্পর্কে অনেক তথ্যই বেশিরভাগ সকলের অজানা। কোবরা এবং কিং কোবরা, দুই ধরনের সাপের নাম কমবেশি সবাই শুনেছে, কিন্তু কোন সাপকে বলে কোবরা, আর কাকে বলে কিং কোবরা জানেন কী? কোবরা আর কিং কোবরা কি একই সাপের নাম নাকি আলাদা দুই প্রজাতি? দুই বিষাক্ত, ভয়ঙ্কর সাপ সম্পর্কে অনেকের মনেই এই সাধারণ প্রশ্নগুলি ঘোরাফেরা করে। এই প্রতিবেদনে রইল কোবরা নিয়ে এই চেনা জিজ্ঞসার উত্তর। কোবরা আর কিং কোবরা কিন্তু মোটেই এক নয়। দুই জাতের সাপের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। আকার, আকৃতি থেকে শিকারের ধরন, পার্থক্য রয়েছে সবেতেই। সরীসৃপ বিশেষজ্ঞদের মতে, কোবরার চেয়ে কিং কোবরা আকারে বড় হয়। কোবরা ৬ থেকে ৭ ফুট এবং কিং কোবরা প্রায় ২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। খাবারের ক্ষেত্রেও ভারতীয় কোবরা এবং কিং কোবরার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ভারতীয় কোবরার প্রধান খাদ্য ইঁদুর, ব্যাঙ, টিকটিকি, পাখি ইত্যাদি। আবার কিং কোবরা অন্য প্রাণীর পাশাপাশি সাপের শিকারও করে। সরীসৃপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিং কোবরা নামের পেছনের কারণ হল এর খাবার। যেহেতু এটি ছোট-বড় কোবরা সাপকে গিলে খায় তাই এর নামকরণ করা হয়েছে ‘কিং’। একটি প্রাপ্তবয়স্ক কিং কোবরা হলুদ, সবুজ, বাদামী বা কালো রঙের হয় এদের শরীরে সাধারণত হলুদ বা সাদা ডোরা থাকে। কোবরা এবং কিং কোবরার গায়ের রঙে মিল রয়েছে। ভারতীয় কোবরা কালো, বাদামী, হলুদ বা সাদা রঙের হয়। এদের ফনায় ইংরেজি অক্ষর ‘V’-এর মতো চিহ্ণ থাকে। কিং কোবরার মারাত্মক দাঁত প্রায় ০.৫ ইঞ্চি(৮ থেকে ১০ মিলিমিটার) লম্বা হয়। কিং কোবরা হল একমাত্র প্রজাতির সাপ যে তার বসবাসের জন্য বাসা তৈরি করে এবং তাতে ডিম পাড়ে। কিং কোবরা এবং ইন্ডিয়ান কোবরার গড় বয়সও প্রায় সমান। দুই প্রজাতির সাপই প্রায় ১৮ থেকে ২০ বছর বেঁচে থাকে। কিং কোবরার চোখ এতটাই তীক্ষ্ণ যে এটি ৯০ মিটার দূর থেকেও শিকার দেখতে পায়। ভারতে প্রধানত চার প্রজাতির কোবরা পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে স্পেকট্যাক্লড কোবরা, মনোপ্লয়েড কোবরা, সেন্ট্রাল এশিয়ান কোবরা এবং আন্দামান কোবরা। অন্যদিকে, আমরা যদি কিং কোবরা সম্পর্কে কথা বলি তবে এটি প্রধানত পশ্চিমঘাট, পূর্ব ঘাট, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর পূর্ব অঞ্চলে পাওয়া যায়। কোবরা এবং কিং কোবরা উভয়ই অত্যন্ত বিষাক্ত প্রকৃতির সাপ। কিং কোবরা এক সঙ্গে এত বেশি বিষ ছড়ায় যে এটি প্রায় ২০ জনকে মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
পাঁচমিশালি, বিদেশ Snake: পৃথিবীর একমাত্র সাপমুক্ত দেশ কোনটি, নেই একটিও সাপ, কারণে লুকিয়ে মেগা চমক Gallery April 22, 2024 Bangla Digital Desk সাপ – দুটি অক্ষর পাশাপাশি বসলেই কীরকম শিরশির করে ওঠে গোটা শরীর৷ পৃথিবীতে পাওয়া সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রাণীদের মধ্যে একদম প্রথম সারিতে রয়েছে সাপ৷ বৃষ্টিভেজা, ভেজা অঞ্চলে সাপ পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি৷ সাপের মুখোমুখি হওয়া কতটা মারাত্মক তা সকলেই জানেন৷ এই বিপদজনক পরিস্থিতিতে যাঁরা পরেছেন তাঁরা জানেন পরিণতি কতটা মারাত্মক হতে পারে৷ কিন্তু জানেন কি এমন একটা দেশ আছে যেখানে কোনও সাপ নেই! বিশ্বের প্রায় সব দেশেই সাপ দেখতে পাওয়া যায়। তবে আশ্চর্যজনকভাবে অস্ট্রেলেশিয়া মহাদেশের নিউজিল্যান্ড সাপমুক্ত দেশ হিসেবে পরিচিত৷ এই দেশটি ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সাপমুক্ত। দক্ষিণ মেরুর বেশ কাছাকাছি অবস্থিত এই দেশ- এখানে বিভিন্ন প্রজাতির সরীসৃপের অভাব নেই, এখানে সাপের অভাব রয়েছে। মজার বিষয় হল, দেশের স্থলভাগের চারপাশে যে সমুদ্র রয়েছে সেখানে সাপের অস্তিত্ব রয়েছে কিন্তু দেশের মূল ভূখণ্ডে কোনও সাপের প্রজাতি পাওয়া যায় না৷ একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সরীসৃপদের সেই বিস্তৃত স্থলভাগে পৌঁছনো সম্ভব নয়৷ দেশের ভূমির ভর দিয়ে সরীসৃপদের পৌছনো সম্ভব হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না৷ যদি কেউ বাইরে থেকে সাপ নিয়ে আসে বা পাচার করে আনে তাহলে কী হবে? এই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ প্রতিবেদন অনুসারে, নিউজিল্যান্ডের আইন দেশের নাগরিকদের সাপকে পোষ্য প্রাণী হিসাবে রাখতে দেয় না, এমনকি বিদেশ থেকে সাপ আনাও নিষিদ্ধ৷ এই দেশে যে নিজস্ব বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রাণী আছে তাদের রক্ষার করার দায়িত্ব নিয়েছে এ দেশের সরকার৷ যেহেতু সাপ বিভিন্ন প্রাণী ভক্ষণ করে তাই বিভিন্ন প্রাণীদের প্রজাতিকে রক্ষা করার জন্য সাপ কোনওভাবেই অ্যালাউ করে না নিউজিল্যান্ড প্রশাসন৷ নিউজিল্যান্ডের চিড়িয়াখানাগুলিতেও একটি সাপও খুঁজে পাওয়া যায় না৷ দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে অবস্থিত, যা প্রায় ৮৫ মিলিয়ন বছর আগে ঘটে যাওয়া সুপারমহাদেশ গন্ডোয়ানাল্যান্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে এই দেশের উদ্ভিদ ও প্রাণীকূল পৃথিবীর মূল ভূখণ্ডের থেকে অনেকটাই আলাদা৷