Tag Archives: Derek O’Brien

TMC| Parliament Security allegation| সংসদে ঢোকা নিয়ে ধুন্ধুমার! তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে নিগ্রহের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ লোকসভার নিরাপত্তা কর্মীর!

#নয়াদিল্লি: গতকাল রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার এবং শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ আনলেন লোকসভার মহিলা নিরাপত্তা কর্মী চন্দ্রকলা। রাজ্যসভার কাচের দরজা ভাঙা, তাতে আহত হওয়ার ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানিয়ে লোকসভার সচিবকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য এই ঘটনায় অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন অর্পিতা ঘোষও। সব মিলিয়ে রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদদের বরখাস্ত হওয়ার ঘটনার রেশ তো কাটলই না, বরং নতুন মাত্রা পেল তরজা।

তৃণমূল অবশ্য অন্য দাবি জানিয়ে আসছে গতকাল থেকেই। আজই সময় ধরে ধরে এই ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।  ট্যুইটারে একটি ভিডিও তুলে দিয়ে ডেরেক লিখেছেন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ পেগাসাস কাণ্ডে আলোচনা করতে নিমরাজি হয় সরকার। এরপর ৩০ জন বিরোধী সাংসদ ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সকালে ১১টা ১৩ মিনিট নাগাদ প্ল্যাকার্ড হাতে থাকার কারণে বরখাস্ত করা হয় ৬ সাংসদকে। এরপর দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিট নাগাদ সেদিনের মতো মুলতুবি হওয়ার পরেই তিন তৃণমূল সাংসদকে সংসদ কক্ষে ঢুকতে  একজন পুরুষ মার্শাল তাদের বাধা দেন। গোটা ঘটনা তুলে ধরে ডেরেকের প্রশ্ন, এটা কি গণতন্ত্র চলছে!


তৃণমূলের যুক্তি, রাজ্যসভায় সাংসদ দোলা সেনের ব্যাগ রয়ে গিয়েছিল। তিনি সেটি আনতে যেতে চাইলেও তাঁকে আনতে দেওয়া হচ্ছিল না। অথচ অধিবেশন শেষ হয়ে গিয়েছিল সেদিনের মতো অর্থাৎ সাসপেনশান উঠেও গিয়েছিল।  পরে ডেরেক ও’ব্রায়েন নিয়ম দেখিয়ে সুর চড়াতেই সুর নরম করে সরকার পক্ষ।

ঘটনাপরম্পরা বলছে একদিনে পেগাসাস নিয়ে যেমন বিরোধী সরকার দ্বন্দ্ব চরমে, তখন নিরাপত্তার প্রশ্নটি নতুন মাত্রা নিতে পারে। তৃণমূল ছেড়ে কথা বলবে না। দেখার সরকার কী অবস্থান নেয়। একটি সূত্রের খবর, চতুর্দিক থেকে কোনঠাসা সরকার চাইছে যত দ্রুত সম্ভব লোকসভা অধিবেশন শেষ করতে। এখন দেখার এই নতুন তরজার জল কত দূর গড়ায়।

Derek o Brien: ‘নন্দীগ্রাম সহ বাংলা জয় করছে তৃণমূল’, বাবুলের ‘হার’ নিয়েও তুমুল কটাক্ষ

#কলকাতা: নন্দীগ্রামে কে জিতছেন? বাংলাই বা এবার কার দখলে? বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহরা (Amit Shah) বারবার রাজ্যে এসে দাবি করছেন, তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত। এমনকী নন্দীগ্রামের (Nandigram) ভোটের দিন রাজ্যে প্রচারে এসে মোদি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘দিদির মুখই বলে দিচ্ছে বাংলার ফল। দিদির মুখই বাংলার এক্সিট পোল।’ যদিও মোদির দাবিকে ফুৎকারে উড়িয়ে মমতার পালটা দাবি, ‘মানুষের আশীর্বাদে আমি জিতছি নন্দীগ্রামে। আর বাংলাতেও ২০০-র বেশি আসনে জিতব আমরা।’ আর রাজ্যের চতুর্থ দফা ভোটের আগের দিন সেই বিষয়টাই উসকে দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O’Brien)।

শুক্রবার সকালেই ট্যুইটে ডেরেক লেখেন, ‘আমরা বাংলা জয় করছি। আমরা নন্দীগ্রামে ইতিমধ্যেই জিতে গেছি। যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এখানে প্রার্থী হয়েছেন, তিনিও হারবেন।’ প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo) প্রার্থী করেছে বিজেপি। টালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে বাবুলের প্রতিদ্বন্দ্বী রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শনিবারই ভোট রয়েছে টালিগঞ্জে। তার আগেরদিনই তৃণমূল মুখপাত্রর কটাক্ষ রাজনৈতিক তরজায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

অপরদিকে, মমতাকে উদ্দেশে করে শুভেন্দু অধিকারীর করা ‘সাম্প্রদায়িক’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে নোটিশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই বিষয়টি নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ডেরেক। ট্যুইটে লিখেছেন, ‘বাংলার বিজেপি প্রার্থী গত ২৭ মার্চ নিজের বক্তব্যে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট ভেঙেছিলেন। শেষমেশ দশ দিন পর তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আমি ভুলে গিয়েছি, ইলেকশন কমিশন কোন দায়িত্বে রয়েছে।’

এদিকে, প্রথম নোটিশের পর এদিন ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত বুধবার কোচবিহারের নির্বাচনী জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘সিআরপিএফ (CRPF) যদি অশান্তি করে মহিলারা এগিয়ে আসুন, সিআরপিএফ-কে রুখে দিন। বিজেপির চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিন।’ আর মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকেই উস্কানিমূলক বলে সরব হয়েছিল বিজেপি। এরপরই এদিন ফের ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মমতাকে নোটিশ পাঠাল কমিশন।