Tag Archives: Dharmatala

TMC 21 july rally: সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না, তবু ২১ জুলাই হাজির নাজির আলম

সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না, অথচ প্রতি বছর একুশের মঞ্চে আসেন বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন নাজির আলম। উত্তর দিনাজপুর থেকে একুশের সমাবেশে যোগ দিতে কলকাতায় হাজির নাজির।

লোকসভা ভোটের জয়ের পর তৃণমূলের সামনে এবার ২১ জুলাইয়ের মেগা ইভেন্ট। ব্যবস্থাপনাও নজরকাড়া। ধর্মতলায় প্রস্তুতি শেষের পথে। এবার মূল সমাবেশ মঞ্চ হিসাবে তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে। তৃণমূল সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেস এখন বড় দল। তাই শীর্ষ নেতৃত্ব, অভ্যাগত, আমন্ত্রিত, নেতাদের নিয়ে প্রায় ৫০০ জন বসতে পারেন, এমনভাবেই বড় করে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ।

Mamata Banerjee on 21 july: শৃঙ্খলাই শেষ কথা! দলে থাকতে গেলে কী কী করতে হবে জানিয়ে দিলেন মমতা

কলকাতা: ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট এখন তৃণমূলের পাখির চোখ। চলতি বছর লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর দলের কমজোরী জায়গাগুলোও অধিক যত্ন সহকারে দেখা হচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে। সে দিক থেকে, ২০২৪ সালের ২১ জুলাইয়ের তাৎপর্য আলাদাই। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ঝেড়ে ফেলে সাংগঠনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন দলের নেতারা।
দলকে আরও বেশি করে জনমুখী করার বার্তা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবার থেকে পারফরম্যান্স দেখেই পদ। পুরনো-নতুন ভারসাম্য রেখেই চলতে হবে বলে জানান তিনি। জাতীয় রাজনীতিতে আরও বেশি করে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রাসঙ্গিক করা তাঁর লক্ষ্য বলে জানান মমতা।

তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, দলীয় শৃঙ্খলাই শেষ কথা। দলের সিদ্ধান্ত না মানলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, বাঁকুড়ার ঘটনায় তার প্রমাণও মিলেছে।

মমতার সাফ কথা, “লোকসভায় একাধিক আসন পেয়ে ঘরে বসে থাকলাম তা চলবে না। দল একাধিক কর্মসূচী নিচ্ছে। তার পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে জনসংযোগ করায় কোনও ফাঁকি দেওয়া যাবে না। পারফরম্যান্স শেষ কথা। পদ আঁকড়ে বসে থাকলাম, আর ফল দিতে পারলাম না, এটা চলবে না।” তিনি জানান, পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে সাংগঠনিক নেতা প্রত্যেকে কে কী কাজ করছেন তার মূল্যায়ণ করবে দল।

মমতা জানান, নেতা ধরে পদোন্নতি আর নয়। কাজই হবে দলীয় পদোন্নতি ও ভোটে লড়ার মাপকাঠি। বেশি করে সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। দলের কথা দলের অন্দরেই বলতে হবে। তাঁর কথায়, “সাংসদ হয়ে গেলাম মানে দিল্লি অভিমুখে চলে গেলাম তা নয়। নিজের এলাকায় নিয়মিত সময় দিতে হবে।”

আরও পড়ুন- উড়বে ড্রোন, বহুতলের ছাদ থেকে চলবে নজরদারি, ২১ জুলাই কেমন নিরাপত্তা ধর্মতলায়? 

জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর আরও চড়াবেন মমতা। জোটে থাকার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে তৃণমূল। কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের দাদাগিরি না-পসন্দ। বিভাজনের রাজনীতি নয়, উন্নয়নের অস্ত্রেই বাজিমাত। ২১ জুলাইয়ের এলাহি আয়োজন ও প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই নজরে এসেছে। ধর্মতলায় সমাবেশে
হাজির থাকবেন সব সাংসদ, বিধায়করা। হাজির থাকতে পারেন ইন্ডিয়া জোটে শামিল হওয়া দুই শরিকের প্রতিনিধিরা। আসবেন অখিলেশ যাদব, কিরণময় নন্দ ও উদ্ধব শিবিরের নেতারা। হতে পারে যোগদান, ২১শের মঞ্চেই।

উড়বে ড্রোন, বহুতলের ছাদ থেকে চলবে নজরদারি, ২১ জুলাই কেমন নিরাপত্তা ধর্মতলায়?

কলকাতা: রবিবার ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যে লোকসভা ভোটে ভাল ফলের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম বার্ষিক সম্মেলন। তাই, সমাবেশ উপলক্ষে এবার আরও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে প্রস্তুত শহিদ দিবসের মঞ্চ। সেই মূল মঞ্চের নিরাপত্তা ভাগ করা হয়েছে তিনটি জোনে।

আরও পড়ুন- ২১ জুলাইয়ে তৃণমূলের পাখির চোখ উত্তরবঙ্গ! অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা থেকেও আসছেন নেতারা

জোন ১-এর মধ্যেই আবার প্রথম জোনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ডায়াস ও ভিক্টোরিয়া হাউজ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ১ জন ডিসি, ৩ জন এসি, ৫ ইনস্পেক্টর, ৫ জন এসআই/ সার্জেন্ট, ৩০ জন নিরস্ত্র পুলিশ, ৯৫ জন সাদা পোশাকে পুলিশ (মহিলা ও পুরুষ), ৪০ জন র‍্যাফ (মহিলা ও পুরুষ)। এছাড়াও মঞ্চের সামনে ডি জোনের বাইরে থাকবে ২০ জনের উইনার্স টিম।

জোন ২ হল মঞ্চর পিছন দিক ও সংলগ্ন এলাকা। এই জোনকে সাতটি ভাগে ভাগ করে নজরদারি চলবে। তার মধ্যে পাঁচটি জায়গায় ছাদ থেকে চলবে নজরদারি। জোন ২-এ নিরাপত্তার দায়িত্বে ১ জন ডিসি, ৩ জন এসি, ৬ জন ইনস্পেক্টর, ১২ জন এসআই, ১৭ জন এএসআই, ৬৫ জন নিরস্ত্র পুলিশ, ১০ জন সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবেন। জোন ৩ অর্থাৎ ডি জোনের বাইরে চৌরঙ্গী স্কোয়ার ও স্টেটসম্যন হাউস সংলগ্ন অংশ। এই জোন পাঁচটা ভাগে ভাগ করে থাকছে পুলিশ। নিরাপত্তার দায়িত্বে ১ জন ডিসি, ৫ জন এসি, ৭ জন ইনস্পেক্টর, ১৮ জন এসআই, ১৯ জন এএসআই, ১০৪ জন নিরস্ত্র পুলিশ, ২ জন সাদা পোশাক পরা পুলিশ থাকবেন।

এছাড়াও ২১ জুলাইকে কেন্দ্র করে গোটা শহর ১০ জোনে ভাগ করে করা হয়েছে পুলিশি বন্দোবস্ত। প্রত্যেক জোনে ৫ থেকে ৭টি করে পিকেট থাকবে। প্রত্যেক জোনের কোথাও একজন তো কোথাও দু’জন ডিসি। যাদের অধীনে থাকবেন অন্তত ৭০-৮০ জন করে পুলিশ। এছাড়াও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মঞ্চের আশপাশের বহুতলগুলি থেকে নজরদারি চলবে। মেট্রো রেলেও থাকছে অতিরিক্ত পুলিশ। চলবে ড্রোনে নজরদারিও। মঞ্চকে কেন্দ্র করে ৮টি জায়গার ছাদে থেকে ভিডিও করা হবে। থাকবে অ্যান্টি সাবোটাজ টিম।

লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে তৃণমূলের বৃহত্তর সমাবেশ হতে চলেছে এটি। ব্যাপক জমায়েত হবে ধরে নিয়েই ধর্মতলাতেই শহিদ দিবস পালন হচ্ছে। একাধিক জেলা থেকে প্রচুর গাড়ি আসার সম্ভবনা রয়েছে অনুষ্ঠান স্থলের দিকে। ফলে তিনটে জোনে ভাগ করে করা হচ্ছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এ জোনে থাকবে ৭ টি পার্কিং প্লেস, বি জোনে ১৫ টি পার্কিং প্লেস, সি জোনে ১৯ টি পার্কিং প্লেস। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ডিসি ট্রাফিকের নেতৃত্বে বুধবার রাত ৯টা থেকে ডিউটি মোতায়েন থাকতে বলা হয়েছে। যাতে গাড়িগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় পার্কিং করা যায়। শহরের ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পিকেট থাকবে পুলিশের, ১৫ টি জায়গায় রাখা থাকবে অ্যাম্বুল্যান্স।

Kolkata-Dharmatala: তীব্র শব্দে কেঁপে উঠল ধর্মতলা! ভেঙে পড়ল বহুতলের পিলার, বাজ পড়ে বড় কাণ্ড কলকাতায়

কলকাতা: কলকাতায় বাজ পড়ে বড় দুর্ঘটনা৷ ধর্মতলায় মেট্রো মলের উপর বাজ পড়ে ভেঙে পড়ে একটি পিলার৷ ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়৷ মলের উপরের পিলার থেকে পাথরের টুকরো ভেঙে ছড়িয়ে পড়ে রাস্তায়৷

প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ট থাকার পর রবিবার আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হয়৷ রবিবার সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ মেঘলা। সকালের দিক থেকে আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি হয় নি৷

আরও পড়ুন: দেব-গড়ে অভিষেকের ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রতিশ্রুতি! ভিড়ে ঠাসা ঘাটালের পরতে-পরতে চমক

তবে বেলা বাড়তেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয় বেশ কিছু এলাকায়৷ দুপুর ১টার কিছু আগে ধর্মতলা এলাকায় বাজ পড়ে। তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। তার পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়।

জানা গিয়েছে, ধর্মতলার মেট্রো মলের উপর পড়েছে বাজ৷ বাজ পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মেট্রো মল৷ উঁচু পিলারের একাংশ ভেঙে রাস্তায় ছিটকে পড়ে। অন্তত ১০০ মিটার দূরে পাথরের টুকরো গিয়ে পড়েছিল বলেই দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের৷ এই দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায় নি৷