উড়বে ড্রোন, বহুতলের ছাদ থেকে চলবে নজরদারি, ২১ জুলাই কেমন নিরাপত্তা ধর্মতলায়?

কলকাতা: রবিবার ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যে লোকসভা ভোটে ভাল ফলের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম বার্ষিক সম্মেলন। তাই, সমাবেশ উপলক্ষে এবার আরও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে প্রস্তুত শহিদ দিবসের মঞ্চ। সেই মূল মঞ্চের নিরাপত্তা ভাগ করা হয়েছে তিনটি জোনে।

আরও পড়ুন- ২১ জুলাইয়ে তৃণমূলের পাখির চোখ উত্তরবঙ্গ! অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা থেকেও আসছেন নেতারা

জোন ১-এর মধ্যেই আবার প্রথম জোনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ডায়াস ও ভিক্টোরিয়া হাউজ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ১ জন ডিসি, ৩ জন এসি, ৫ ইনস্পেক্টর, ৫ জন এসআই/ সার্জেন্ট, ৩০ জন নিরস্ত্র পুলিশ, ৯৫ জন সাদা পোশাকে পুলিশ (মহিলা ও পুরুষ), ৪০ জন র‍্যাফ (মহিলা ও পুরুষ)। এছাড়াও মঞ্চের সামনে ডি জোনের বাইরে থাকবে ২০ জনের উইনার্স টিম।

জোন ২ হল মঞ্চর পিছন দিক ও সংলগ্ন এলাকা। এই জোনকে সাতটি ভাগে ভাগ করে নজরদারি চলবে। তার মধ্যে পাঁচটি জায়গায় ছাদ থেকে চলবে নজরদারি। জোন ২-এ নিরাপত্তার দায়িত্বে ১ জন ডিসি, ৩ জন এসি, ৬ জন ইনস্পেক্টর, ১২ জন এসআই, ১৭ জন এএসআই, ৬৫ জন নিরস্ত্র পুলিশ, ১০ জন সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবেন। জোন ৩ অর্থাৎ ডি জোনের বাইরে চৌরঙ্গী স্কোয়ার ও স্টেটসম্যন হাউস সংলগ্ন অংশ। এই জোন পাঁচটা ভাগে ভাগ করে থাকছে পুলিশ। নিরাপত্তার দায়িত্বে ১ জন ডিসি, ৫ জন এসি, ৭ জন ইনস্পেক্টর, ১৮ জন এসআই, ১৯ জন এএসআই, ১০৪ জন নিরস্ত্র পুলিশ, ২ জন সাদা পোশাক পরা পুলিশ থাকবেন।

এছাড়াও ২১ জুলাইকে কেন্দ্র করে গোটা শহর ১০ জোনে ভাগ করে করা হয়েছে পুলিশি বন্দোবস্ত। প্রত্যেক জোনে ৫ থেকে ৭টি করে পিকেট থাকবে। প্রত্যেক জোনের কোথাও একজন তো কোথাও দু’জন ডিসি। যাদের অধীনে থাকবেন অন্তত ৭০-৮০ জন করে পুলিশ। এছাড়াও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মঞ্চের আশপাশের বহুতলগুলি থেকে নজরদারি চলবে। মেট্রো রেলেও থাকছে অতিরিক্ত পুলিশ। চলবে ড্রোনে নজরদারিও। মঞ্চকে কেন্দ্র করে ৮টি জায়গার ছাদে থেকে ভিডিও করা হবে। থাকবে অ্যান্টি সাবোটাজ টিম।

লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে তৃণমূলের বৃহত্তর সমাবেশ হতে চলেছে এটি। ব্যাপক জমায়েত হবে ধরে নিয়েই ধর্মতলাতেই শহিদ দিবস পালন হচ্ছে। একাধিক জেলা থেকে প্রচুর গাড়ি আসার সম্ভবনা রয়েছে অনুষ্ঠান স্থলের দিকে। ফলে তিনটে জোনে ভাগ করে করা হচ্ছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এ জোনে থাকবে ৭ টি পার্কিং প্লেস, বি জোনে ১৫ টি পার্কিং প্লেস, সি জোনে ১৯ টি পার্কিং প্লেস। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ডিসি ট্রাফিকের নেতৃত্বে বুধবার রাত ৯টা থেকে ডিউটি মোতায়েন থাকতে বলা হয়েছে। যাতে গাড়িগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় পার্কিং করা যায়। শহরের ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পিকেট থাকবে পুলিশের, ১৫ টি জায়গায় রাখা থাকবে অ্যাম্বুল্যান্স।