Tag Archives: East Bengal

East Bengal: ইস্টবেঙ্গলের কোচকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ওড়িশা, কোথায় যাবেন লোবেরা ?

কলকাতা: সার্জিও লোবেরাকে নিয়ে হঠাৎ করেই একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। স্প্যানিশ ম্যানেজার শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলে আসবেন কিনা এই নিয়ে প্রচুর কানাঘুষ শোনা যাচ্ছে। লোবেরাকে নাকি বিরাট প্রস্তাব দিয়েছে ওড়িশা এফসি এই খবর বাজারে ছড়িয়েছে। তবে কতটা সত্যি বলা যাচ্ছে না। ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তা এবং সমর্থকরা নিশ্চিত ছিলেন ভারতের সেরা কোচ লাল হলুদ ক্লাবে আসবেন।

আশা যে পুরোপুরি চলে গেছে সেটা যেমন বলা যাচ্ছে না, তেমনই লোবেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রবল হচ্ছে সেটাও সত্যি। পরপর ব্য়র্থতার পর ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষ পরবর্তী মরসুমে ভারতে কোচিং করিয়ে খেতাব জয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন কোচকেই দায়িত্ব দিতে আগ্রহী ছিল। সার্জিও লোবেরা মুম্বই সিটির হয়ে লিগ শিল্ড ও আইএসএল উভয়ই জিতেছেন, আবার তত্ত্বাবধানেই এফসি গোয়াও লিগ শিল্ড ও সুপার কাপ খেতাব জেতে।

লিগ তালিকায় নয় নম্বরে শেষ করেছিল লাল হলুদ। আসলে জল কোন দিকে গড়ায় তার জন্য আগামী ৪৮ ঘন্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। একান্তই যদি লোবেরা না আসেন সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুকে চ্যাম্পিয়ন করা কোচ স্প্যানিশ কার্লোস কুয়াড্রাতের সম্ভাবনা আছে বলা যায়।

মেসিকে কোচিং করা ম্যানেজারকে দায়িত্ব দিতে চায় ইস্টবেঙ্গল, হবে দ্রুত সিদ্ধান্ত

কলকাতা: ব্যর্থতার একটা সীমা আছে। কিন্তু শতাব্দী প্রাচীন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে কবে সেই ব্যর্থতা কাটবে কেউ জানে না। প্রতিবার সেই এক ছবি। তবে এবার হয়তো ক্লাবের ইনভেস্টার সংস্থা প্রথম থেকে সময় নিয়ে দল গোছাবেন। স্টিভন কনস্ট্যানটাইন ব্যর্থ। সামনের মরসুমে যে তিনি ইস্টবেঙ্গল কোচ থাকছেন না, তা প্রায় নিশ্চিত। তা হলে এবার কে বসবেন দলের হটসিটে?

দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন জোসেপ গোম্বাউ। লিয়োনেল মেসির প্রাক্তন ক্লাব বার্সেলোনার যুব দলের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। আইএসএলেও কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে জোসেপের। ওড়িশা এফসির কোচ ছিলেন তিনি। এবারের প্রতিযোগিতা শেষে দায়িত্ব ছেড়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন – Sehwag: `কোহলির সঙ্গে ঘর করা সম্ভব নয়’! কোচ না হওয়ার আসল কারণ জানালেন বীরু

প্রথম দু’বার নজর কাড়তে না পেরে এই মরসুমের আগে ভারতের প্রাক্তন কোচ কনস্ট্যানটাইনকে কোচ হিসাবে এনেছিল ইস্টবেঙ্গল। তাতে অবশ্য পরিস্থিতি বদলায়নি। এবারও নবম স্থানে শেষ করেছে দল। এই পরিস্থিতিতে কোচের উপর যে খাঁড়া নেমে আসবে, তা ময়দানের বহু পরিচিত ছবি।

তবে সুপার কাপেও হয়তো কনস্ট্যানটাইনই দলের দায়িত্বে থাকবেন। তার পরে বিদায় নিতে হতে পারে তাঁকে। লাল-হলুদ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই নাকি জোসেপের সঙ্গে বেশ কয়েক বার কথা বলেছেন কর্তারা। কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়েছে। ভারতে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা থাকায় জোসেপকেই দায়িত্ব দিতে চাইছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মরসুমে তিনিই বসতে পারেন লাল-হলুদ ডাগআউটে। স্পেনের আমপোস্টায় জন্ম জোসেপের। সেই শহরের ক্লাবেই খেলেছেন তিনি। খেলোয়াড় জীবনে গোলরক্ষক জোসেপের কোচিং কেরিয়ার দীর্ঘ। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বার্সার যুব দলের দায়িত্ব সামলেছেন জোসেপ। সেই সময় মেসি ছিলেন বার্সার যুব দলে।

২০১৮ সালে ওড়িশা এফসির কোচ হয়ে ভারতে আসেন তিনি। ২০২০ সাল পর্যন্ত সেই দলের কোচ ছিলেন জোসেপ। আবার ২০২২-২৩ মরসুমে ওড়িশার দায়িত্ব নেন তিনি। গোম্বাউ একটা নিজস্ব ফুটবল স্টাইলে খেলাতে ভালোবাসেন। সেটাই চান নতুন ইনভেস্টর সংস্থা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে শুরু করে ফেডারেশন সবাই চায় ইস্টবেঙ্গলের পারফরমেন্সের উন্নতি। সেটা না হলে ভারতীয় ফুটবলের ক্ষতি।

সুপার কাপের প্রস্তুতি শুরু করছে ইস্টবেঙ্গল, নতুন শপথ কোচ স্টিফেন এবং ফুটবলারদের

কলকাতা: আইএসএলে এবছর স্টিফেন কনস্টানটাইনের হাত ধরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তাতেও কিছু বদলায়নি। ব্যর্থতার ছবিটা সেই একই রকম রয়ে গিয়েছে। আর কতদিন এরকম সহ্য করতে হবে লাল হলুদ সমর্থকদের সেটা জানা নেই। তবু কথায় বলে যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ। মরার আগে মরতে নেই। আর ফুটবলের ক্ষেত্রে এই কথাটা শতভাগ সত্যি।

তাই আবার কোমর বেঁধে নামছে ইস্টবেঙ্গল। হতাশা সরিয়ে রেখে নতুন প্রয়াসে।
আগামী ৮ এপ্রিল থেকে কেরলে শুরু হচ্ছে সুপার কাপের খেলা। প্রতিযোগিতায় ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ ৯ এপ্রিল। লাল-হলুদ ব্রিগেড প্রস্তুতি শুরু করবে শনিবার। সুপার কাপে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কোচ থাকছেন স্টিফেন কনস্টানটাইনই। বুধবার তাঁর শহরে পা রাখার কথা।

আরও পড়ুন – অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে কামব্যাক সঞ্জুর, মোটিভেশন দিয়েছেন স্বয়ং রজনীকান্ত

বিদেশি ফুটবলারদের বলা হয়েছে শুক্রবারের মধ্যে কলকাতায় চলে আসতে। কোচ কনস্টানটাইন মনে করছেন, সুপার কাপের প্রস্তুতির জন্য তিন সপ্তাহ যথেষ্ট। এদিকে, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগে মঙ্গলবার খেলতে নামছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। দলের কোচ বিনু জর্জ। এই দলটি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলারদের নিয়ে গড়া।

লাল-হলুদের সিনিয়র দলের তিন খেলোয়াড় হিমাংশু জ্যাংড়া, তুহিন দাস, অতুল উন্নিকৃষ্ণান আছেন এই দলে। গত মরশুমে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড় জেসিন টিকেও লাল-হলুদ জার্সি গায়ে খেলবেন এই লিগে। সুপার কাপ দেশের অন্যতম সম্মানজনক টুর্নামেন্ট।

তাই এখানে ভাল কিছু করে দেখাতে পারলে সমর্থকদের ভরসা ফিরে পাওয়া যাবে। সেটা জানেন স্টিফেন। ইস্টবেঙ্গল যতই খারাপ খেলুক, মহেশ এবং ব্রাজিলিয়ান ক্লেটন সিলভা উজ্জ্বল ছিলেন লাল হলুদ জার্সিতে। তাই সুপার কাপেও এই দুজনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন সমর্থকরা।

ইস্টবেঙ্গলের ঝগড়া যেন শেষ হওয়ার নয়! কর্তাদের পাঠানো তালিকা কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে ইনভেস্টর?

কলকাতা: গত তিন বছর ধরে ব্যর্থ লাল-হলুদ ব্রিগেড। ইনভেস্টর সমস্যার জেরে শেষ তিন বছর ধরে ঠিকঠাক দল গঠনই করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তার প্রভাব পড়েছে দলের পারফরমেন্সেও। ইমামির সঙ্গে গত বছর গাঁটছড়া বাঁধে ইস্টবেঙ্গল। তবে দলগঠনের কাজে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। তাই সামনের মরসুমের জন্য আগেভাগেই আসরে নামল ক্লাব। উন্নত মানের দল গড়তে চেয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে চিঠি পাঠানো হল বিনিয়োগকারী সংস্থা ইমামিকে।

আইএসএল পর্ব মিটতেই ম্যানেজমেন্টকে চিঠি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। নতুন মরসুমে কোচ এবং ফুটবলার বদলে ফেলতে চাইছে লাল-হলুদ। প্রাক্তন ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনা করে কোন ফুটবলারকে রাখা উচিত, কোন ফুটবলারকে নেওয়া প্রয়োজন, এমনকি চার জন কোচের নামও ইমামির কাছে পাঠিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।

আরও পড়ুন – শোয়েবকে দেখে নাকি কাঁপতেন সচিন! বিরাটকে অনেক বেশি সাহসী বললেন আখতার

ইমামি ইস্টবেঙ্গলের প্রধান আদিত্য আগরওয়াল এবং মনীশ গোয়েঙ্কাকে চিঠি দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, এই মরসুমে লাল-হলুদের পারফরম্যান্স সমর্থকদের মন ভেঙে দিয়েছে। সেই কারণে ১৮ ফেব্রুয়ারি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সদস্য এবং কর্তারা মিলে কিছু ফুটবলারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা বিদেশি এবং স্বদেশি ফুটবলারদের নিয়েই বানানো হয়েছে।

এমন কিছু ফুটবলার হয়তো রয়েছেন যাঁদের সঙ্গে অন্য ক্লাবের চুক্তি রয়েছে। ট্রান্সফার ফি দিয়েই নিতে হবে সেই ফুটবলারদের। আশা করব খুব তাড়াতাড়ি সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।”আইএসএল এখনও শেষ হয়নি। সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল বাকি রয়েছে। তার আগেই পরের মরসুমের দল গোছানোর ভাবনা শুরু ইস্টবেঙ্গলের। গত বারের মতো দেরিতে দল গড়তে নামার ভুল করতে রাজি নয় তারা।

কিন্তু ফুটবলার নেওয়া বা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে ইমামি। তাই ইস্টবেঙ্গলের দেওয়া তালিকা ওই সংস্থা মানবে কি না তা বলা কঠিন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে তাতে চার কোচের নাম রয়েছে। স্টিভেন কনস্ট্যান্টাইনকে বাদ দিয়ে অ্যান্টনিও হাবাস, ইভান ভুকমানোভিচ, সের্জিয়ো লোবেরা এবং মানোলো মারকুয়েজের মধ্যে কাউকে আনতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল।

এবারের ২৫ জন ফুটবলারের মধ্যে মাত্র ন’জনকে রাখতে চাইছে তারা। এর মধ্যে ক্লেটন সিলভা ছাড়া আর কোনও বিদেশিকে রাখতে আগ্রহী নয় লাল-হলুদ।তার সাথে ইতিমধ্যেই আগামী মরশুমের চুক্তি স্বাক্ষর সম্পর্ণ হয়েছে।বাকি আট জন হলেন গোলরক্ষক কমলজিৎ, রাইট ব্যাক রাকিপ, দুই সেন্টার ব্যাক সার্থক, নুংগা, মিডফিল্ডার সৌভিক, মোবাসির এবং দুই উইঙ্গার মহেশ ও ভিপি সুহের।

ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসেবে ভাসছে হাই প্রোফাইল ম্যানেজারের নাম, সিলভাকে রেখে দিল লাল হলুদ

কলকাতা: ইস্টবেঙ্গলের সব খারাপের মধ্যে একমাত্র উজ্জ্বল আলো ছিলেন তিনি। ১২ গোল করে আইএসএলর মঞ্চ মাতিয়ে দিয়েছিলেন ক্লেটন সিলভা।
আইএসএলে আরও এক হতাশার মরশুম শেষ করেছে ইস্টবেঙ্গল। গত দু’বারের তুলনায় জয়ের সংখ্যা বাড়লেও, সার্বিকভাবে দলের পারফরম্যান্স সমর্থকদের ভরসা জোগাতে ব্যর্থ। মূলত ফুটবলারদের ধারাবাহিকতার অভাবে ডুবতে হয়েছে স্টিফেন কনস্টানটাইনের দলকে।

তবে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ক্লেটন সিলভা। ২০ ম্যাচে ১২ গোল করে লিগে সর্বাধিক গোলদাতার তালিকায় যুগ্মভাবে শীর্ষে এই ব্রাজিলিয়ান তারকা স্ট্রাইকার। তাই মরশুম শেষ হতেই তাঁর সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি নবীকরণ করল টিম ম্যানেজমেন্ট। ২০২৩-২৪ মরশুম পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন ক্লেটন।

আরও পড়ুন – Messi I Phone: আর্জেন্টিনা দলের সকলকে সোনার আইফোন উপহার মেসির, আবেগপ্রবণ লিও

বৃহস্পতিবার তিনি জানান, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘায়িত হওয়ায় খুবই ভাল লাগছে। আশা করি, আগামী মরশুমে আরও ভালো পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারব। এদিকে, কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের পারফরম্যান্সে খুব একটা খুশি নয় লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশেষত লিগের শেষ দিকে বারবার দলের বাজেট নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করায় তাঁর উপর ক্ষুব্ধ টিম ম্যানেজমেন্ট।

এবার সম্ভবত বরখাস্ত করা হতে পারে স্টিফেনকে। বোর্ড মিটিংয়ে কোচের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছেন ক্লাব ও বিনিয়োগকারীর কর্তারা। ক্লেটনদের পরবর্তী কোচের দৌড়ে নাম ভাসছে খালিদ জামিলের। অতীতে লাল-হলুদে কোচিং করিয়েছেন এই মুম্বইকর। তাঁর প্রশিক্ষণে অল্পের জন্য আই লিগ হাতছাড়া করে দল।

খালিদও কলকাতায় ফিরতে মরিয়া। ইতিমধ্যেই দায়িত্ব ছেড়েছেন বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের। যদিও মুম্বইকর কোচের ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী নয় টিম ম্যানেজমেন্ট। আবার কোথাও শোনা যাচ্ছি ফিলিপ ডি রাইডার এর নাম। উঠে এসেছে অতীতে এটিকেকে চ্যাম্পিয়ন করা কোচ মোলিনার নাম। তবে ইস্টবেঙ্গল কাকে চূড়ান্ত করে সেটা সময়ের অপেক্ষা।

ডার্বি ফের সবুজ মেরুন, ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে প্রথম তিনে জায়গা করে নিল এটিকে মোহনবাগান

কলকাতা: শনিবার আবার এটিকে মোহনবাগানের পক্ষেই গেল ডার্বির ফলাফল। সব মিলিয়ে শেষ আট সাক্ষাৎকারে ৮-০ এগিয়ে গেল সবুজ মেরুন। ইস্টবেঙ্গল লড়াই করলেও আবার দিনের শেষে খালি হাতেই ফিরতে হল। ম্যাচের হিরো মোহনবাগানের সার্বিয়ার ডিফেন্ডার স্লাভকো ডামজানোভিচ। শনিবার বাঙালির চিরকালের দুভাগ হয়ে যাওয়ার সেই ম্যাচে প্রথম থেকেই বলের দখল ছিল এটিকে মোহনবাগানের কাছে।

চোট থাকলেও প্রথম থেকেই মাঠে নেমে ছিলেন হুগো বুমু। দিমিত্রি, মনবীর, আশিকরা নিজেদের দখলে বল রেখে যথেষ্ট আক্রমণ তুলে আনছিলেন। কিন্তু বক্সে ফিনিশিং হচ্ছিল না। দিমিত্রি এবং প্রীতম কোটাল পজিটিভ সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু মোহনবাগানের পজিটিভ স্ট্রাইকার না থাকায় বল গোলে যাচ্ছিল না।

উল্টোদিকে প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের সুহের এবং মহেশ হাফ চান্স পেয়েছিলেন। কিন্তু দুই দলের ডিফেন্স বিশেষ ভুল না করায় আসল গোল আসেনি। তবে মেজাজ ছিল আগুনে। রেফারিকে বেশ কয়েকবার হলুদ কার্ড বের করতে হল। ৫২ মিনিটের মাথায় দিমিত্রি র শট পোস্টে লেগে ফিরে এল। এরপর হঠাৎ করেই গ্লেনকে তুলে নিয়ে পুটিয়াকে নিয়ে আসা হল।

৬৭ মিনিটে এগিয়ে গেল এটিকে মোহনবাগান। দিমিত্রি কর্নার থেকে ফ্লিক করেন মনবীর। স্লাভকো হেডে বলটা ঘুরিয়ে দিলেন। পোস্টে লেগে ফিরে এলেও আবার সেই তিনি বল জালে পাঠিয়ে দিলেন। তারপর জার্সি খুলে সেলিব্রেশন সার্বিয়ান তারকার। আজ ব্রেন্ডন হামিল ফিট থাকলে তিনি খেলতেন কিনা সন্দেহ।

কিন্তু বড় ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ গোল এল তার পা থেকে। এরপর অবশ্য মাথা গরম করে হলুদ কার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গলের সিলভা। এরপর হুগোর জায়গায় কিয়ানকে নামালেন হুয়ান। ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে আবার মোহনবাগানের পক্ষে ব্যবধান বাড়ালেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা দিমিত্রি। কিয়ানের শট ফিরে এলে সেই বল জালে জড়িয়ে দিলেন তিনি।

ডার্বিতে আজ হঠাৎ করেই অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল ! বিরাট অনিশ্চয়তায় মোহনবাগান

কলকাতা: আজ আর কয়েক ঘণ্টা পরে বাঙালির সেই চিরকালের বড় ম্যাচ। তার আগে হঠাৎ করে অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল। কার্ড সমস্যায় ডার্বি থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন ব্রেন্ডন হ্যামিল। এছাড়া, কলকাতা ডার্বিতে খেলতে পারবেন না হুগো বুমোস এবং কার্ল ম্যাক হিউ। দুজনেই চোট নিয়ে বাইরে। ফলে হঠাৎ করেই চাপে পড়ে গেল সবুজ মেরুন ব্রিগেড।

তিন বিদেশি হিসেবে থাকছেন স্লাভকো, গায়গো, পেত্রাতস। অর্থাৎ ডিফেন্স মিডফিল্ড এবং আক্রমণ ভাগের ৩ ফুটবলার। ডার্বি জিতলে মোহনবাগানের কাছে সুযোগ রয়েছে বেঙ্গালুরুকে টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে ঘরের মাঠে প্লে-অফ নিশ্চিত করার। হারলেও সেই সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে পরের ম্যাচে কেরলকেও হারতে হবে।

আরও পড়ুন – বাংলাদেশের কোন ফাস্ট বোলারকে দেখে প্রশংসায় সৌরভ? দিলেন পাওয়ার হিটিংয়ের পরামর্শ

মোহনবাগান পয়েন্ট নষ্ট করলে এবং কেরল জিতলে, কেরলই মোহনবাগানকে টপকে চারে উঠে যাবে। সেক্ষেত্রে বিপক্ষের মাঠে গিয়ে প্লে-অফ খেলা ছাড়া উপায় থাকবে মোহনবাগানের। তবে ফেরান্দো জানিয়েছেন, লিগের অবস্থান নয়, ম্যাচ জেতাই তাঁর লক্ষ্য। সবুজ-মেরুন কোচের কথায়, প্লে-অফ বা লিগের পজিশন নিয়ে একেবারেই ভাবছি না।

ম্যাচ জেতার দিকে আমাদের লক্ষ্য রয়েছে। গোল করার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংহরা আগের ম্যাচের ছায়া। আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা ম্যাকহিউও এই ম্যাচে নেই। ডার্বিতে গোল তা হলে কে করবেন? ফেরান্দো বললেন, রক্ষণ এবং আক্রমণ দুটো নিয়েই আমাকে সমান ভাবে ভাবতে হবে। ওরা গোল হয়তো পাচ্ছে না। কিন্তু ভাল খেলছে এবং যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করছে।

মোহনবাগান সমর্থকরা নিঃসন্দেহে চাপে পড়ে গিয়েছেন তিনজন নির্ভরযোগ্য বিদেশি ছিটকে যাওয়ায়। তবে অভয় দিচ্ছেন কোচ হুয়ান। যারা হাতে আছে তারা যথেষ্ট দক্ষ। এই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা তাদের আছে। এখন দেখার কিয়ান, ফারদিন, রবি রানারা সুযোগ পেলে বড় ম্যাচে নিজেদের প্রমাণ করতে পারেন কিনা। লিস্টনকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে এই ম্যাচে।

নিজের খারাপ ছন্দ কাটিয়ে এই গোয়ান ফুটবলার ডার্বিতে ফর্মে ফিরতে পারেন কিনা এটাই দেখার। পাশাপাশি মর্যাদার লড়াইয়ে জিততে না পারলেও কোনওমতে হেরে ফিরতে রাজি নন মোহনবাগান কোচ। ইস্টবেঙ্গলের হাতে বিদেশি বেশি থাকলেও মোহনবাগান সেরা ফুটবল তুলে ধরার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করা হবে যাতে অন্তত শেষ ১৫-২০ মিনিট হুগোকে মাঠে নামানো যায়। একান্ত না পারলে কিছু করার নেই।

পথ দেখাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল, ডার্বিতে দর্শকদের জন্য থাকছে আধুনিক মেডিকেল ব্যবস্থা

কলকাতা: ডার্বি দেখতে গিয়ে গন্ডগোল বাঁধলে মানুষের প্রাণ নিয়ে টানাপোড়োনের ছবি অনেক দেখা গেছে। এই শঙ্কা নিয়ে যাতে ডার্বি দেখতে না হয় তার ব্যবস্থা করছে ইস্টবেঙ্গল। গ্যালারির ভিতর ও বাইরে থাকবে আধুনিক মেডিকেল ব্যবস্থা। বাইরে ছয়টি গেটে দাড়িয়ে থাকবে অ্যাম্বুলেন্স। শুধু গন্ডগোল হলে নয়, মাঠে কারোর মেডিকেল সহায়তার প্রয়োজন পড়লে চিন্তা করতে হবে না আর কোনো।

পূর্বের হওয়া ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই ইস্টবেঙ্গলের এই পদক্ষেপ। ডার্বি দেখতে এসে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক সমর্থক। গত বছর ২৯সে অক্টোবর ইস্টবেঙ্গল সমর্থক জয়শঙ্কর সাহার হার্ট অ্যাটাক হয় স্টেডিয়ামে। চিকিৎসাধীন করার আগেই মৃত্যু হয় তার। পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা উপলব্ধ থাকলে তার প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হত।

আরও পড়ুন – কলকাতা ডার্বিতে ৮-০ করতে মরিয়া এটিকে মোহনবাগান, পাসিং ফুটবলেই বাজিমাতের লক্ষ্যে সবুজ মেরুন

এই দুঃস্বপ্ন যাতে আবার না হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া অত্যাবশ্যক মনে করছে ইস্টবেঙ্গল। টুইটারে এই সংবাদটি জানিয়েছে লাল হলুদ শিবির।ডার্বির আয়োজক এবার ইস্টবেঙ্গল।তাই শনিবারের ডার্বিতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ভেতরেও বাইরে থাকবে মেডিকেল সহায়তার ব্যাবস্থা করা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। উপলব্ধ থাকবে অ্যাম্বুলেন্স।

আমরি হাসপাতালের তরফ থেকে চারটি ব্লকে ফার্স্ট এইড কিয়স্ক তৈরি করা হয়েছে। এ ব্লকের সেবা কেন্দ্রে, প্লাজা কিউ এবং আর রাম্পে। বি ব্লকে বি ১ এর ৬ নম্বর রাম্প এবং বি ২ এর ৭ নম্বর রাম্পে থাকবে। সি ব্লকে সি ১ এর রাম্প ১৩, সি ২ এর রাম্প ১২ এবং সি ৩ এর রাম্প ১৮ তে।

ডি ব্লকে ডি ১ রাম্প ২৫ এবং ডি ২ রাম্প ২৪ সে থাকবে মেডিকেল কিয়স্ক, যেখানে ফার্স্ট এইড চিকিৎসা পাওয়া যাবে।গেট নম্বর ১, ২, ৩, ৩এ, ৪ এবং ৫ এ উপস্থিত থাকবে আমরি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স। দ্রুত চিকিৎসার অভাবে কারোর যাতে প্রাণ সংশয় না হয় সেই ব্যবস্থা করে রাখছে ইস্টবেঙ্গল।

মুম্বইকে হারিয়ে দিয়ে চমক ইস্টবেঙ্গলের, ডার্বির আগে মশাল জ্বলে উঠল আরব সাগরের ধারে

কলকাতা: আজ ইস্টবেঙ্গলের সামনে ছিল ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল। লাল হলুদের ব্রাজিলীয় তারকা ক্লেটন সিলভাকে নিয়ে প্রবল চিন্তায় ছিলেন স্টিফেন। একটা হলুদ কার্ড দেখলেই কলকাতা ডার্বিতে খেলা হত না তার। খেলতে পারেনি স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেসও। কদিন আগে সংবাদমাধ্যমে রটে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের ব্রিটিশ কোচ স্টিফেনের সঙ্গে নাকি লম্বা চুক্তিতে যাচ্ছে ক্লাবের ইনভেস্টর সংস্থা।

কিন্তু কোচ নিজে জানিয়েছেন এমন কোন প্রস্তাব তিনি পাননি। ব্রিটিশ কোচ জানেন কিছুটা সম্মান নিয়ে শেষ করতে না পারলে পরের বার চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই রবিবার এক নম্বর দল মুম্বই সিটিএফটির বিরুদ্ধে কিছুটা সম্মানজনক প্রদর্শন করতে চেয়েছিল লাল হলুদ। প্রথম সাক্ষাৎকারে কলকাতার মাঠে ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ উড়িয়ে দিয়েছিল শীর্ষস্থানে থাকা মুম্বই।

চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছে ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলে গত দু’বারের তুলনায় যা ভাল। তবে একইসঙ্গে হারের নিরিখে লজ্জার নজির গড়েছে স্টিফেন কনস্টানটাইনের ছেলেরা। ১৮ ম্যাচে ১২টি’তে খালি হাতে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ক্লেটন সিলভাদের।

তবে যেহেতু মুম্বই কোয়ালিফাই করে গিয়েছে এবং লিগ, শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে – তাই আজ স্টুয়ার্ট, গ্রিফিথ, আপুইয়াদের মতো প্রথম দলের ফুটবলারদের বিশ্রাম দিয়েছিল তারা। ছিলেন না বিক্রম প্রতাপ, মেহতাব সিং ও। প্রথমার্ধে গোল করার তিনটে সুযোগ পেয়েছিল মুম্বই। চংটে, বিপিনরা বল জালে পাঠাতে পারেনি। ইস্টবেঙ্গল লড়াই করছিল বটে, কিন্তু সেভাবে ওপেন সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না।

কিন্তু হঠাৎ করেই গতির বিপরীতে ৫২ মিনিটে গোল করে দিল ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটনের মাইনাস সুহের ফলস দিলে মহেশ জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন। কিছুই করার ছিল না মুম্বই গোল রক্ষকের। মাঠে উপস্থিত অল্প কয়েকজন লাল হলুদ সমর্থক এরপর ইস্টবেঙ্গলকে মোটিভেট করতে থাকেন। তবে গোল খেয়ে মুম্বই মরিয়া হয়ে ওঠে। ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক কমলজিত বেশ কিছু ভাল সেভ করেন।

চেন্নাই এক্সপ্রেসের ধাক্কায় বেসামাল ইস্টবেঙ্গল, আবার হেরে লজ্জা বাড়ল স্টিফেনের দলের

চেন্নাই – ২
ইস্টবেঙ্গল – ০

চেন্নাই: চলতি আইএসএলে ধারাবাহিকতার অভাবে বারবার ভুগতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। ঘরের মাঠে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের পরেই ‘লাস্ট বয়’ নর্থইস্টের কাছে পয়েন্ট খুইয়েছে স্টিফেন কনস্টানটাইনের দল। চলতি আইএসএলে টানা দু’ম্যাচে জয়ের স্বপ্ন এখনও অধরা লাল-হলুদ ব্রিগেডের। যদিও পরিসংখ্যান ভুলে কোচ স্টিফেনের লক্ষ্য, লিগের বাকি তিন ম্যাচে ভাল ফল করে সম্মানজনকভাবে অভিযান শেষ করা।

রবিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ ছিল পয়েন্ট টেবিলে অষ্টম স্থানে থাকা চেন্নাইয়ান এফসি। দক্ষিণের দলটি শেষ আট ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি। ছন্নছাড়া চেন্নাইকে হারিয়ে লিগ টেবিলে অবস্থানের উন্নতি করাই লক্ষ্য ছিল ক্লেটন সিলভাদের। আইএসএলের শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গল আপফ্রন্টকে একার কাঁধে টানছেন ক্লেটন সিলভা।

এই মুহূর্তে লিগের টপ স্কোরার তিনিই। নামের পাশে ১২ গোল। গত দু’ম্যাচে জ্যাক জার্ভিসের অন্তর্ভূক্তিতে অনেকটা চাপমুক্ত দেখিয়েছে ক্লেটনকে। স্টিফেনও মানছেন, ব্রিটিশ স্ট্রাইকারটি আসায় আপফ্রন্টে ভারসাম্য বেড়েছে। এদিনও প্রথমদিকে জ্যাক জার্ভিস গোলের সুযোগ হারালেন। সুহেরও মিস করলেন। চেন্নাই যে সুযোগ পায়নি এমন নয়।

৪৮ মিনিটে এগিয়ে গেল চেন্নাই। থাপর সেন্টার থেকে গোল করে গেলেন কারিকারি। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স ধরতেই পারেনি জার্মান ফুটবলার জুলিয়াসের ফ্রিকিক। তবে এরপরেও যে ইস্টবেঙ্গল খেলা থেকে হারিয়ে গিয়েছিল সেটা বলা যাবে না। জেরি, মবাশির, জর্ডান, জ্যাক চেষ্টা করলেন, কিন্তু কিছুতেই গোল আসছিল না। সুযোগ পেলেই কাউন্টার আক্রমণ তুলে আনছিল দক্ষিণের দল।

আজকেও ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে প্রচুর পরিশ্রম করলেন মহেশ। লড়াই করলেন বাংলার সার্থক। কিন্তু আজ ক্লেটন সিলভা নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন না। কি যেন বল না পান সেদিকে বিশেষ নজর ছিল চেন্নাইয়ের। তাই তিনি বল ধরলেই দুজন করে ডিফেন্ডার জায়গা নিয়ে নিচ্ছিলেন।

ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সে প্রথম দিকে ভালো খেললেও চুনুঙ্গার পারফরম্যান্স প্রতিদিন খারাপ হচ্ছে। ৮৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে গেল চেন্নাই। এদুইনের পাস থেকে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ালেন রহিম আলি। এখানেই শেষ হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের লড়াই। আমার একটা হার। আবার লজ্জা। এটাই হয়তো লাল হলুদের ভবিতব্য।