Tag Archives: fund problem

School Under Crisis: একসময় বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের ভিড়ে গমগম করা এই স্কুল এখন অর্থাভাবে ধুঁকছে

সুস্মিতা গোস্বামী, দক্ষিণ দিনাজপুর : দুই দশকের বেশি সময় ধরে কোনও সরকারি অনুদান না পাওয়ায় পথ চলা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য স্কুলের। এরকমই অভিযোগ বালুরঘাটের এই প্রতিষ্ঠানের। অর্থাভাবে দিশেহারা অবস্থা। বালুরঘাট শহরের ডাঙ্গা গ্রামে রয়েছে এই বিশেষ স্কুল। যেখানে মূক, বধির, দৃষ্টিহীন ও মানসিক দুর্বল পড়ুয়াদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি রয়েছে নিজস্ব হস্টেল। যেখানে একটা সময় পড়ুয়াদের ভিড়ে গমগম করত। এখন সেখানে শুধুই শূন্যতা। যদিও কয়েকজন পড়ুয়া সেখানে পড়াশোনা করছে।

করোনার পূর্ববর্তী সময়েও এখানে পড়ুয়া সংখ্যা যথেষ্ট ভাল ছিল। এই স্কুলে ১০০ জন পড়ুয়ার ধারণ ক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ২৬ জন এখানে পড়াশোনা করছেন। হস্টেলে ২৫ জনের খাওয়ার ও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেখানে থাকছেন মাত্র পাঁচ জন। ১৯৯৭ সালে সরকারি জায়গায় প্রায় ১ একর জায়গার ওপরে স্কুলটি নির্মিত হয়। এখানে স্পেশাল এডুকেটর, ব্রেইল শিক্ষক রয়েছেন। স্পিচ থেরাপি, আকুপ্রেশার, ফিজিওথেরাপি-সহ শিক্ষার সঙ্গে স্বাস্থ্য বিষয়টিও দেখা হয়।

আরও পড়ুন : মাঝসমুদ্রের বন্ধু! হঠাৎ এতবড় গোল গোল কী তৈরি করছে মৎস্যজীবীরা! জানলে চমকে যাবেন

কিন্তু অভিযোগ, ২০০২ সালের পরে কোনও সরকারি অর্থ সাহায্য পায় না এই স্কুল। শুধু কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী দাতাদের অর্থদানের মাধ্যমে স্কুলটি চালাতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ডলি মৈত্র জানান, “পূর্বে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে দিব্যাঙ্গদের মানবিক ভাতা দেওয়া হত। এখন তা পাঁচ বছরের ঊর্ধ্বে দেওয়া হচ্ছে। ফলে পড়াশোনায় আগ্রহ হারাচ্ছে অভিভাবকরা। তাঁদেরও শিক্ষা প্রয়োজন। পুরসভায় সার্ভে করে ৫৩৩ জনকে চিহ্নিত হয়েছে। তাদের অভিভাবকরা শিক্ষাদানে আগ্রহী। পুর কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানাব।” এখন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়ে পাঁচ জন রয়েছে স্কুলটিতে। যেখানে দশটি ক্লাসরুম রয়েছে।