Tag Archives: School
Actor bought his school to demolish: ছাত্রজীবনে শিক্ষকদের বেদম মারের ‘প্রতিশোধ’! শৈশবের স্কুলবাড়ি কিনে গুঁড়িয়ে ধূলিসাৎ করে দিলেন এই অভিনেতা
তুরস্ক : ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে তুরস্কের অভিনেতা ক্যাগলার এর্তুগ্রুল৷ তাঁর অভিনয়ের জন্য নয়৷ বরং সম্পূর্ণ অন্য কারণে তিনি নেটিজেনদের নজর কেড়েছেন৷ সম্প্রতি তিনি নিজের ফেলে আসা স্কুলবাড়িটি কিনে নিয়েছিলেন৷ না, ফেলে আসা স্কুলজীবনের সুখস্মৃতি মনে করতে নয়৷ বরং শৈশবের তিক্ততা মুছে ফেলতেই৷ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকদের কাছে যথেষ্ট মার খেয়েছিলেন বলে দাবি ক্যাগলারের৷ যন্ত্রণাময় সেই স্মৃতি ভুলতে অভিনেতা স্কুলবাড়িটি কিনে ভেঙে গুঁড়িয়ে ধূলিসাৎ করে দিয়েছেন৷
তার পর ভেঙে পড়া প্রাথমিক স্কুলবাড়ির ধ্বংসস্তূপের উপর পা দিয়ে দাঁড়িয়ে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অভিনেতা৷ লিখেছেন, ‘‘প্রাথমিক স্কুলশিক্ষকরা আমাকে সব সময় মারধর করতেন৷ তাই আমি পুরো স্কুলবাড়ি কিনে পুরো ধ্বংস করে ফেলেছি৷ সেখানে আর কোনও স্কুল হতে দেব না৷ এই পরিস্থিতিতে এটা আমার যন্ত্রণা৷’’
প্রসঙ্গত তুরস্কের অভিনেতা ক্যাগলার এর্তুগ্রাল ২০২০ সালে রোম্যান্টিক কমেডি এবং টেলিভিশন সিরিজে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার ‘গোল্ডেন বাটারফ্লাই’ বা স্বর্ণ প্রজাপতি পুরস্কার পেয়েছেন৷ তাঁর স্কুল ধ্বংস করার পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ অনেকেই তাঁর তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ আবার সমর্থনও জানিয়েছেন অনেকেই৷
View this post on Instagram
একজন লিখেছেন ‘‘অভিনেতা হিসেবে আপনার প্রতি আমার অশেষ শ্রদ্ধা৷ কিন্তু আমার মনে এটা না হলেই ভাল হত৷ শিক্ষকদের সঙ্গে আপনার অভিজ্ঞতা আলাদা৷ তার জন্য পুরো স্কুলবাড়ি ধ্বংস করা মোটেও ভাল নয়৷’’
আরও পড়ুন : যতই ভাল লাগুক, ভুলেও সুজি খাবেন না এঁরা! জানুন কারা এটা খেলে বড় বিপদ
আর একজন লিখেছেন, ‘‘যে প্রজন্ম স্কুলে মার খেয়েছে তারা আজ অত্যন্ত সফল নিজেদের জীবনে৷ বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি তাঁদের অসীম শ্রদ্ধা এবং নিয়মানুবর্তিতা৷’’ আবার তাঁর পাশে যাঁরা দাঁড়িয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন লিখেছেন, ‘‘আমি তোমার কাজকে সমর্থন করি৷ কারণ আমি জানি শৈশবের যন্ত্রণা কতটা যন্ত্রণাদায়ক৷ আমিও আমার হাই স্কুলের সঙ্গে একই জিনিস করতে চাই৷ কারণ অধিকাংশ শিক্ষকই ছিলেন নিম্নরুচির৷’’
Air conditioner in school: ছেলেমেয়েকে স্কুলে এসিতে পড়াতে চান? খরচ দিতে হবে বাবা-মাকেই, নির্দেশ হাই কোর্টের
দিল্লি: দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাপপ্রবাহ চলছে, যার জেরে কষ্ট পাচ্ছেন বহু মানুষ। উষ্ণ আবহাওয়ার জেরে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ভাল নেই ছাত্র-ছাত্রীরাও। গরমের ছুটি পড়ার আগে থেকেই গরমের মধ্যে ক্লাস করতে হচ্ছে। এই সময় অনেক বাবা-মা চাইছেন স্কুলে এসি থাকলে ছেলেমেয়ে নিশ্চিন্তে পড়াশোনা করতে পারবে। মনে রাখবেন, স্কুলে এসি থাকতেই পারে, কিন্তু খরচ দিতে হবে আপনাকেই। সম্প্রতি এক জনস্বার্থ মামলায় এমনই জানিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন: অবশেষে স্বস্তি, সোমবার থেকেই বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে, রাজ্য জুড়ে কমতে চলেছে তাপমাত্রা
দিল্লির এক বেসরকারি স্কুল এসির খরচ বাবদ প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর থেকে প্রতি মাসে ২০০০ টাকা করে নিচ্ছিল, যার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন অভিভাবকেরা। দিল্লি হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ অভিভাবকদের করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়ে জানায়, রশিদ স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে স্কুল এয়ার কন্ডিশনিংয়ের জন্যই অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে, যেই পরিষেবা ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে, তাই বাড়তি খরচ স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করতেই পারেন।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটের বড় যুদ্ধে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকস্তান, জিততে পারবে আইপিএল?
বিচারপতির আরও বক্তব্য, কোন স্কুলে ছেলেমেয়ে ভর্তি হবে তা পছন্দ করার সময় অভিভাবকদের মাথায় রাখতে হবে স্কুল কী কী পরিষেবা ছাত্রছাত্রীদের দেবে, সেই অনুযায়ী খরচও বহন করতে হবে অভিভাবকদের।
Viral News: অবাক কাণ্ড! চারিদিকে প্রবল রোদ কিন্তু স্কুলে ঢুকলেই হচ্ছে বৃষ্টি! দেখুন ভিডিও
বাইরে কোথাও মেঘের ঘনঘটা নেই। কিন্তু স্কুল চত্বরে প্রবেশ করলেই বৃষ্টি পড়ছে। আবার স্কুলচত্বর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এলে ছিটেফোঁটা বৃষ্টির দেখা নেই। রামনগরের এই অবাক করা কাণ্ড একটি স্কুল চত্বরে।
Principal punishes teacher viral video: দেরি করে স্কুলে আসায় শিক্ষিককে মার অধ্যক্ষার, ভাইরাল ভিডিও
আগরা: স্কুলে সময়ে পৌঁছনোকে নিয়মানুবর্তিতার গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হিসাবে ধরা হয়। অন্য দিকে দেরি করে আসাকে ’অন্যায়’ হিসাবে মানা হয়। এই অন্যায়ের জন্য শাস্তিও দেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের আগরায় দেরি করে স্কুলে আসার জন্য শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ উঠল।
A Principal in Agra beat up a teacher this bad just because she came late to the school. Just look at her facial expressions. She’s a PRINCIPAL 😭 @agrapolice pic.twitter.com/db8sKvnNvs
— Deepika Narayan Bhardwaj (@DeepikaBhardwaj) May 3, 2024
আরও পড়ুন: এ বার আকাশপথে প্রচারে যাবেন সুকান্ত! পদ্মের রাজ্য ’সেনাপতি’র সফর শুরু পুরুলিয়া দিয়ে
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, স্কুলের অধ্যক্ষা মারধর করছেন স্কুলের শিক্ষিকাকে। শুধু তাই নয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় নিয়ে দিয়ে শুরু হয় তাদের বাক্-বিতণ্ডা। তার পরে দেরিতে আসার জন্য অধ্যক্ষা শিক্ষিকাকে মারতে শুরু করেন। পাল্টা শিক্ষিকারও দাবি স্কুলের অধ্যক্ষা নিজেই চার দিন ধরে দেরিতে অফিসে আসছেন। দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলাকালীন দু’জনেই অপমানজনক কথা বলেন। দু’জনের হাতাহাতির পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন তাঁদের সহকর্মীরা, কিন্ত তাঁরা ব্যর্থ হন।
আরও পড়ুন: বিজেপির মিছিল থেকে চাকরিহারা শিক্ষকদের ধর্নামঞ্চের দিকে ইট ছোড়ার অভিযোগ, তমলুকের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কমিশনের
শিক্ষিকা এবং অধ্যক্ষার এমন ভিডিয়ো ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যমে। দু’জনেই একে অপরের বিরুদ্ধে সিকান্দা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। এমন ঘটনা নিয়ে বেসিক শিক্ষা আধিকারিক জিতেন্দ্র কুমার গন্দ জানিয়েছেন, “আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। বিস্তারিত জানলে আমরা আপনাদের জানাতে পারব”।
Bomb Scare in School: বোমা রাখা আছে স্কুলে, চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল, বাবা-মায়েদের হুড়োহুড়ি, দিল্লিতে তুলকালাম
Teacher: ক্লাসরুম নাকি বেডরুম! স্বামীর সঙ্গে স্কুলের মধ্যেই এ কী করছেন প্রধান শিক্ষিকা! সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
পটনা: বিহারের স্কুলে ধরা পড়ল এক চাঞ্চল্যকর চিত্র। আসলে বিহারের স্কুলকেই রীতিমতো ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন এক শিক্ষিকা। স্কুলের অফিস ভরেছে গৃহস্থালির সামগ্রীতে। এই পরিস্থিতিতে এহেন চিত্র দেখে চমকে উঠছে গোটা দেশের মানুষ। শুধু তা-ই নয়, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের শ্রমিকের মতো খাটানোরও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও চাউর হতেই জামুই জেলার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
স্বাভাবিক ভাবেই জামুই জেলার খাইরা ব্লক এলাকার হড়খদ পঞ্চায়েতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা জানাজানি হতেই তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শীলা হেমব্রম স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। স্কুলে যেটা তাঁর অফিস ঘর হওয়ার কথা, সেটাকেই তিনি নিজের শোওয়ার ঘরে পরিণত করেছেন। ঘরের মধ্যে আরাম এবং বিলাসব্যসনের সমস্ত সামগ্রীরই দেখা মিলবে। এর মধ্যে রয়েছে বিছানা থেকে শুরু করে ফ্রিজ। এমনকী টিভি, আলমারি, টেবিল এবং রান্নাঘরের সামগ্রী রেখে দিব্যি গোটা সংসারটাই তুলে এনেছেন ক্লাসঘরের মধ্যেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শীলা হেমব্রম নিজের স্বামীর সঙ্গে এই ঘরেই এখন থাকছেন। এখানেই শেষ নয়, স্কুলের যে ঘরে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করার কথা, সেই ঘরটিকে ব্যক্তিগত কাজের জন্যও ব্যবহার করছেন ওই শিক্ষিকা।
আরও পড়ুন: বলুন তো, ভারতের সবচেয়ে বড় রেল স্টেশন কোনটি? নামটা শুনেই গর্ব হবে, কিন্তু উত্তরটা জানেন কি?
বরদায়ুঁর ওই আপগ্রেডেড মিডল স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনার জন্য বরাদ্দ হয়েছে মাত্র তিনটি ঘর। প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস হয় প্রথম ঘরটিতে। আবার চতুর্থ শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হচ্ছে দ্বিতীয় ঘরে। আর তৃতীয় ঘরটিতে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পড়ানো হয়। অথচ এই পরিস্থিতিতেও নিজের ব্যক্তিগত কাজের জন্য জরুরি ঘরগুলিকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠছে ওই প্রধান শিক্ষিকার উপরে।
আরও পড়ুন: ভারতের এই রাজ্যে মাত্র একটি রেল স্টেশন! বলতে পারবেন, কোন রাজ্য? অবাক হবেন জেনে
এহেন গুরুতর অভিযোগের মুখে কী বলছেন প্রধান শিক্ষিকা? শীলা হেমব্রমের দাবি, এই মুহূর্তে তাঁর বাড়ি তৈরি হচ্ছে। ফলে আপাতত তাঁদের থাকার কোনও জায়গা নেই। সেই কারণে স্কুলে নিজের অফিস ঘরকেই থাকার কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। জেলাশাসক রাকেশ কুমার এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
স্কুলের ক্লাসেই আতঙ্ক! কীসের ভয়ে কাঁপছে শিশুরা জানেন? দেখুন ভিডিও
স্কুলের ক্লাসেই আতঙ্ক! কীসের ভয়ে কাঁপছে শিশুরা জানেন?
Recipe: বাচ্চা সবজি দেখলেই নাক সিটকায়? শুধু এই পদ্ধতি রান্না করুন, বাটি হবে সাফ! পুষ্টির ভান্ডার
হাওড়া: সবজির তালিকায় প্রথম সারিতে, আবার মিষ্টিতেও বেশ জনপ্রিয়তা এই সবজির! রসগোল্লা বা দই সন্দেশকে হার মানাতে পারে এই মিষ্টি পদ। বাঙালি মানেই শেষ পাতে মিষ্টি। আবার সেই মিষ্টি যদি হয় নিজের হাতে তাহলে তো কোন কথা নেই। মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রধান উপকরণ দুধ। দুধ আর এই সবজি দিয়েই প্রিয়জনকে খুশি করতে নিজে হাতেই বানিয়ে নিতে পারেন এই মিষ্টি মালাই।
আরও পড়ুনঃ বাড়ি থেকে টিফিন আনলেই নষ্ট হয়ে যায়? ঘরোয়া এক টোটকায় নিমেষে মিলবে সবাধান
হাতে অল্প সময় বিশেষ দিন বা অতিথি আপ্যায়নে আরও বেশি আনন্দঘন মুহূর্ত পেতে হলে বানাতেই পারেন এই মালাই। একদম ঝামেলা ছাড়া, অথচ কোনও নামী দোকানের দই-মিষ্টি’কে তুরি মেরে উড়িয়ে দেবে এই মালাই। মিষ্টি সুবাস আর স্বাদে ছোট বড় সকলের মন জয় করবে। দুপুর ও রাতের খাবারের শেষ পাতে অথবা জল খাবারে এই মালাই বেশ মানান সই। এ মালাই রাঁধুনির বেশ সুনাম যুগিয়ে দেবে তা বলা যেতেই পারে। আমরা বলছি, বাঁধা কপির মালাই এর কথা। নাম শুনে ভুরু তুলে ফেললেন নাকি? একবার চেখে দেখলে ভুলতে পারবেন না।
বাঁধা কপির মালাই তৈরিতে প্রয়োজন। দু কাপ বাঁধাকপি কুঁচি, দুধ ১ লিটার, ৪-৬ চামচ চিনি, ২-৩ চামচ ঘি, ৪-৬ টি এলাচ, আর অল্প চিনি। মালাই তৈরিতে এই সামান্য উপকরণ-ই যথেষ্ট। সাজানোর জন্য কাজু পেস্তা বা আমন্ড কেশর বাঁধাকপি অল্প লবণ এবং ২ টুকরো দারুচিনি দিয়ে ভাপিয়ে নিন। কপি ভাপানো হলে জল ঝরিয়ে ঘি দিয়ে ভাল ভাবে ভেজে নিতে হবে।এবার পাত্রের দুধ ঢেলে একটু মেরে নিতে হবে। তারপর ভাজা বাঁধাকপি ঢেলে কিছুক্ষণ মৃদু আঁচে রেখে নেড়েচেড়ে চিনি এবং শেষে এলাচ দিয়ে ভাল করে নেড়ে চেড়ে নামিয়ে নিন। একটু মোটা হয়ে এলে প্লেটে বা বাটিতে নামিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হলে কাজু পেস্তা এবং কেশর দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
রাকেশ মাইতি
Inspiration: ভিক্ষাজীবী থেকে হন ট্যাক্সিচালক, যাত্রীদের অর্থ সাহায্যে নিজের গ্রামে স্কুল, অনাথাশ্রম তৈরি করেছেন এই স্কুলছুট
সুমন সাহা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : নিজে একজন ট্যাক্সিচালক। সংসারের অভাব অনটনের মধ্যে পড়াশোনা করে উঠতে পারেননি তিনি। তবে নিজের মনের জোর আর অদম্য শক্তিকে পাথেয় করে মানবিকতার এক অনন্য নজির হয়ে গেলেন জালালউদ্দিন গাজী।
জালালউদ্দিন কলকাতার একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার। অভাবের তাড়নায় ইচ্ছা সত্ত্বেও ছোটবেলায় নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াকালীন পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে তাঁকে ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করতে হয়। সে সময় তিনি কলকাতার এন্টালি, মৌলালি অঞ্চলের ফুটপাতে ভিক্ষা করতেন। সে ভিক্ষা থেকে উপার্জিত অর্থেই চলত তাঁর জীবন। পরবর্তীকালে তিনি রিকশা চালান এবং বর্তমানে একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসেবে নিজের জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন। কিন্তু তাঁর মতো অভাবের তাড়নায় যাতে অন্য কোনও শিশুকে পড়াশোনার পথ থেকে বিচ্যুত হতে না হয় সেই কারণে তার ট্যাক্সিতে আসা আরোহীদের কাছ থেকে ভিক্ষা চেয়ে নিজের গ্রামে নির্মাণ করেছেন দুটি স্কুল এবং একটি অনাথআশ্রম।
আরও পড়ুন : গুড়ের পাকে বাদাম চাক কি ব্লাড সুগারে খাওয়া যায়? নাকি চরম ক্ষতিকর? জানুন ভালমন্দ
প্রথমে সে সময়ে যে বাড়িতে তাঁরা থাকতেন সেই বাড়ির এক কামরায় তৈরি হয় প্রথম স্কুল। এরপর এক কামরার স্কুল থেকে প্রথমে হয় একটি বড় স্কুল, তার পর আরও একটি স্কুল এবং একটি অনাথ আশ্রম করেছেন তিনি। অবশেষে তার এই সুচেষ্টা সফলতা লাভ করেছে এবং বর্তমানে সমান ভাবে ছেলেমেয়ে উভয়ই এই স্কুলে পড়াশোনা করতে আসে।
পরবর্তীকালে তাঁর এই মানবিক কাজের জন্য ডাক পেয়েছেন কেবিসিতেও । অর্থ সাহায্য করেছেন অমিতাভ বচ্চন, আমির খান। কেবিসি থেকে পাওয়া ২৫ লক্ষ, অমিতাভ বচ্চনের দেওয়া ২১ লক্ষ এবং আমির খানের দেওয়া ১১ লক্ষ টাকা নিয়ে নরেন্দ্রপুরে জমি কিনে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুল খোলার কাজ বর্তমানে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।