বৃষ্টিভেজা দিনে মুখরোচক এই খাবার খেতে খুবই ভাল লাগে৷ বিশেষ করে সন্ধ্যা হলেই মনে হয় ফুচকা, আলুকাবলি বা চাট হলে মন্দ হত না৷
কিন্তু জানেন কি বর্ষায় ফুচকা খাওয়া মানে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনা৷ এই সময় কেন ফুচকা খাবেন না, সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল৷
বর্ষায় বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যায়৷ ফলে জীবাণু অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে৷ খাদ্যে সংক্রমণ ও বিষক্রিয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়৷ তাই বদহজম বা পেটের গণ্ডগোল হওয়া বিচিত্র নয়৷
চাট বা ফুচকার সঙ্গে টকদই দেওয়া হয়েই থাকে৷ বর্ষায় টক দই বা কাটা পেঁয়াজ খোলা অবস্থায় পড়ে থাকলে দ্রত সংক্রমিত হয়ে যেতে পারে৷
বর্ষায় আর্দ্রতা বেড়ে যায় বলে ফুচকা-সহ অন্য নোনতা খাবারের স্বাদ কমে যায়৷ দ্রুত নেতিয়ে যায়৷
বর্ষায় জলবাহিত অসুখ বেড়ে যায়৷ বিশেষ করে টাইফেয়েডের মতো রোগ ছড়িয়ে পড়ে নোংরা জল থেকে৷ ফুচকার টক জল যদি স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিস্রুত না হয়, তাহলে রোগের কারণ হতে পারে৷
রাস্তায় যাঁরা খাবার বেচেন, তাঁরা অনেক সময়ই স্বাস্থ্যবিধি মানেন না৷ সেক্ষেত্রে সহজেই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ তাই বর্ষায় মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছে হলে সেটা বাড়িতে বানিয়ে খাওয়াই ভাল৷