Tag Archives: Governor CV Ananda Bose

Governor CV Ananda Bose: দিল্লির জরুরি তলব? সুকান্ত, দিলীপের সঙ্গে বৈঠক সেরেই রাজধানীর পথে রাজ্যপাল!

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে রাজ‍্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে বৃহস্পতিবার রাজভবনে বিজেপির প্রতিনিধি দল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের সঙ্গে রাজভবনে বৈঠক করেন রাজ‍্যপাল। এদিন বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরেই তড়িঘড়ি রাজভবন থেকে বেরিয়ে দিল্লি রওনা দেবেন রাজ‍্যপাল।

রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরজি কর ইস‍্যুতে বৃহস্পতিবার রাজভবনে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করল বঙ্গ বিজেপি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষও। এই বৈঠকের পরেই রাজ ভবন থেকে বেরিয়ে বিমানবন্দর যাবেন সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার জন‍্যই দিল্লি যাচ্ছেন তিনি।

আরও পড়ুন: সাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ! কলকাতা-সহ ৮ জেলায় ধেয়ে আসছে ভারী বৃষ্টি, সঙ্গে প্রবল বজ্রপাত! আবার তবে কি…

প্রসঙ্গত, আরজি কর ইস্যুতে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছে পদ্ম শিবির। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ফের ধরনা কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি৷ ধর্মতলায় বিজেপিকে ধরনার অনুমতি ইতিমধ্যেই দিয়েছে হাইকোর্ট৷ ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধরনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ সকাল ১০ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই ধরনা৷ ধরনায় এক হাজারের বেশি জমায়েত করা যাবে না-ও বলে জানানো হয়েছে৷

Mamata Banerjee: ফের সংঘাত! ‘আপনি লাইনে চলুন, বেলাইনে নয়…’ শপথ বিতর্কে রাজ্যপালকে খোঁচা মমতার

কলকাতা: বিধানসভা অধিবেশনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের  নাম না করে তীব্র কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আপনি লাইনে চলুন, বেলাইনে নয়। আপনি কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করতে পারেন না। মাননীয় রাজ্যপাল যেটা বলছেন (সায়ন্তিকা ও রেয়াত এর শপথ নিয়ে), তাতে আমি মাননীয় অধ্যক্ষকে সম্পূর্ণ সমর্থন করি। রাজভবন তো সিলেকটেড, বিধানসভা তো ইলেকটেড।’

বিধানসভার স্পিকারের কাছ থেকে শপথ বাক্য পাঠ করায় সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা বয়েছে, তাঁদের শপথ বৈধ নয়। কারণ, তিনি ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে শপথ নিতে বলেছিলেন।

 

মমতা জানান, ‘এটা জনতার দরবার, গণতন্ত্রের দরবার। বাংলার সমস্ত ভোট দাতাদের আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। বিজেপি সারা দেশে সিঙ্গল মেজরিটি হতে পারেনি। যদি মিলিয়ে দেখেন পুরো ‘এনডিএ’ ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর ‘ইন্ডিয়া’ জোট আমাদের ভোট মিলিয়ে পেয়েছে ৫১ শতাংশ। মাননীয় অধ্যক্ষ এই বিধায়কদের যে শপথ পাঠ করিয়েছেন, সেটা সর্ব সম্মতিক্রমে হয়েছে। যদি কারও আপত্তি করার বিষয় থাকত, তাঁরা বিধানসভায় উপস্থিত থেকে সেটা করতে পারতেন।’

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘যারা আসল খুনি, ডাকাত, যারা নিট কেলেঙ্কারি করে, তাদের পেনাল্টি হয় না। পেনাল্টি হয় তাদের, যারা সাধারণ মানুষের ভোট নিয়ে জয়ী হয়েছেন। আমি বলব লাইনে চলুন, বেলাইনে চলবেন না। আপনি কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি বায়াসড হতে পারেন না। আপনার বিরুদ্ধে পেনাল্টি কে দেবে? পাঁচশো টাকা করে পেনাল্টি করেছেন। এটা তো ব্রিটিশ আইন। কিন্তু কখনও কখনও কনভেনশন কে মান্যতা দিতে হয়।’

সায়ন্তিকা ও রেয়াতকে জরিমানা করার প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘লাইনে চলুন, বেলাইনে চলবেন না। মন্ত্রীদের শপথ রাজভবনে হয়, কিন্তু বিধায়কদের শপথ সাধারণত বিধানসভা তেই হয়। এটাই রীতি। বিধানসভার যে রুলস রয়েছে, সেই রুলস অনুযায়ী মাননীয় অধ্যক্ষ সঠিক কাজ‌ই করেছেন।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজভবনের আপত্তি সত্ত্বেও চারজন নতুন বিধায়ককেই শপথ বাক্য পাঠ করালেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নিলেন মানিকতলার বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর।

‘আমার ১ সেকেন্ড লাগবে…!’ রাজ্যপালকে ‘বিস্ফোরক’ তোপ কুণালের, ‘শুধু তাজ প্যালেস দিল্লি নয়’

কলকাতা: “বিধানসভায় মানুষ চেয়েছেন দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে। কিন্তু রাজভবন সৌজন্যকে দুর্বলতা ভাবছেন।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। তাঁর সাফ কথা, “বিশেষ অধিবেশন বসলে বসবে। আমরা রাজভবনকে বলছি, যাঁদের শপথ নেওয়ার কথা। তাঁদের বিরুদ্ধে আপনারা মানহানির মামলা করলেন! রাজ্যপালকে ছাড়া শপথ হয় না এটা ঠিক নয়। অধ্যক্ষ যথেষ্ট সৌজন্য, উদারতা দেখিয়েছেন।”

এরপরেই কুণালের তীব্র তোপ, “রাজ্যপালকে সম্মান করি। তাঁকে শ্রদ্ধা করি। তিনি যখন মানহানির মামলা করেছেন তাঁকে বলি, ‘আনটোল্ড স্টোরির’ জন্য মামলা যদি করে থাকেন। তাহলে বলে দিই আনটোল্ড স্টোরি তথ্য প্রমাণ-সহ সব আছে। তবে শুধু তাজ প্যালেস দিল্লি নয়। এরপরেও একই মানুষের সঙ্গে অসভ্যতা করার চেষ্টা রাজভবনেও হয়েছে। তার তথ্য প্রমাণও আছে। আর ওইসব মামলা আমাকে দেখিয়ে লাভ নেই। আনটোল্ড স্টোরি বলতে আমার এক সেকেন্ড লাগবে। আদালতকে আমি শ্রদ্ধা করি। তাজ প্যালেস হোটেলে যদি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে সেই একই ঘটনা রাজভবনেও ঘটে থাকলে, আমি আমার বক্তব্য প্রত্যাহার করব না। আইনের রাস্তা যখন দেখিয়েছেন, তখন আমিও আনটোল্ড স্টোরির প্রতি পাতা দেখাব। আমাকে মানহানির মামলা দেখিয়েছেন, তাই আমি বলতে শুরু করলাম…”

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত…! অতিভারী বৃষ্টি সতর্কতা জেলায় জেলায়! লাগাতার ঝড়-জল থামবে কবে? বিগ আপডেট দিল আলিপুর

প্রসঙ্গত, গত সোমবার ৩টে পর্যন্ত শপথ জটিলতা কাটাতে রাজ্যপালকে সময় দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় অতিক্রান্ত। তবুও নীরবই ছিলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। অবশেষে বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি হোটেলের ছবি দিয়ে কুণাল ঘোষ লিখলেন, ”হোটেল তাজ প্যালেস, নয়াদিল্লির অকথিত কাহিনির নায়ক ভুলে যাচ্ছেন, আইনত চলতি শপথ বিতর্কে তাঁর ভূমিকা নেই। তিনি ছাড়াও সব হতে পারে। সৌজন্যকে দুর্বলতা ভাবা ভুল। যাদের বুদ্ধিতে চলছেন, তারা আপনাকে আরও ডোবাবে। বিধানসভার অধ্যক্ষের সাংবাদিক বৈঠকে নজর রাখুন।” কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্ট ঘিরেই ফের তোলপাড় রাজ্য রাজনীতিতে।

 

Oath Taking Issue: সায়ন্তিকাদের শপথ জটিলতা তুঙ্গে! রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিধানসভার স্পিকারের, চিঠি গেল আর কার কাছে?

কলকাতা: শপথ জটিলতার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের একবগ্গা মনোভাবের জেরেই রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি জানান, “দুই জয়ী প্রার্থীর শপথকে কেন্দ্র করে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে রাষ্ট্রপতিতে চিঠি দিয়েছি।”

বিমান বাবু আরও জানিয়েছে, “চিঠিতে সমস্ত বিষয় উল্লেখ করেছি। সেখানে আম্বেদকরের কিছু কথা জানিয়ে আমি বলেছি এই জয়ী প্রার্থীরা তাঁদের বিধায়ক হিসেবে কাজ করতে পারছেন না। রাষ্ট্রপতি রাজ্যপালকে নির্দেশ দিন বিধানসভায় এসে শপথ বাক্য পাঠ করাতে। না হলে বিধানসভার অধ্যক্ষ বা উপাধ্যক্ষকে শপথ পাঠ করানো অথরাইজ করুন।” পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতিকেও চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কেও চিঠি দিয়েছি, কারণ তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন।”

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত..! ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ..! আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বিরাট রদবদল! কী হতে চলেছে? জানিয়ে দিল আলিপুর

প্রসঙ্গত, বুধবার দুই জয়ী বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠের জন্য রাজভবনে যেতে বলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তবে তাঁরা বিধানসভায় শপথ নেবেন বলে জানান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। রাজ্যপাল বিধানসভায় না আসায় ধরনায় বসেন তাঁরা। সেই ধরনা এখনও অব্যাহত। বুধবারই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই জটিলতা না কাটলে প্রয়োজনে তাঁরা রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখবেন। সেই কথা মতোই আজ রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিল রাজ্য বিধানসভা। চিঠি পৌঁছল রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা উপরাষ্ট্রপতির কাছেও।

Governor CV Ananada Bose: উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করলেন রাজ্যপাল! কমিশনের দ্বিতীয় অনুরোধেই সিদ্ধান্ত বদল বোসের

কলকাতা: তৃণমূলের তরফে নালিশের পর নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে আবারও অনুরোধ। অবশেষে ভোটের আগের দিন আলিপুরদুয়ার যাওয়ার সফরের সিদ্ধান্ত বদল করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

সূত্রের খবর আগেও অনুরোধ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। আজ আবারও উত্তরবঙ্গ সফর না করার জন্য অনুরোধ যায় রাজ্যপালের কাছে। এরপরেই সিদ্ধান্ত বদলের কথা জানানো হয় রাজভবন সূত্রে।

তাঁর বিবৃতিতে রাজ্যপাল জানান, “আমি আমার চারপাশে অস্বস্তিকর রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াতে চাই না। আমি ইমেল/টেলিফোন 24×7 এর মাধ্যমে পিস রুমে রাজ্যের মানুষের কাছে উপলব্ধ রয়েছি। অস্বাস্থ্যকর রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আমি আজ উত্তরবঙ্গ সফর প্রত্যাহার করছি।”

আরও পড়ুন: বইছে লু…! ছুটছে আগুন…! পুড়ছে চামড়া! ১৮-২১ কী হবে দেশ জুড়ে? কেমন থাকবে বাংলা? আইএমডি-র বিরাট ‘সতর্কবাণী’

যদিও তৃণমূলের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস তাঁর বিবৃতিতে বলেন, “বাংলার মানুষের পাশে থাকাটাই আমার অগ্রাধিকার। আমার ফোকাস রাজ্যে সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করা, বিশেষ করে নির্বাচনের সময়। আমার এলাকা পরিদর্শন এই উদ্দেশ্যেই। কিন্তু রাজভবনকে রাজনীতিকরণের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি কাউকে রাজ্যপালের পদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে দেব না।”

VC Recruitment: ‘দ্রুত ৩১ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য চাই’, রাজভবনকে কড়া চিঠি উচ্চশিক্ষা দফতরের!

কলকাতা: ফের রাজভবনকে কড়া চিঠি উচ্চশিক্ষা দফতরের। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে একাধিক কড়া দাবি। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। গত মার্চ মাসে রাজ্যপাল তথা আচার্য, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন এবং অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরমণি এই বিষয় নিয়েই রাজভবনে বৈঠক হয়েছিল৷ কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।

আরও পড়ুন: রোগে জরাজীর্ণ জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক উৎপলেন্দু! হাসপাতাল থেকে একটিই অনুরোধ ঋতাভরীর বাবার…

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ মোতাবেক দ্রুত ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে পদক্ষেপ করুক রাজ্যপাল। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ করুক রাজ্যপাল। বেআইনি ভাবে যে উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের নিয়োগপত্র প্রত্যাহার করুক রাজভবন।

এছাড়াও চিঠিতে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেল-এ রাজভবন সম্প্রতি চার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের কথা জানিয়েছে, সেই নির্দেশও প্রত্যাহার করুক রাজভবন। উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে এই বয়ানেই কড়া চিঠি রাজভবনকে।

Governor C V Ananda Bose: তছনছ-লণ্ডভণ্ড জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ি, ঝড়-বিপর্যস্ত এলাকায় রাজ্যপাল! রাজভবনে খোলা হল জরুরি সেল

জলপাইগুড়ি: আচমকা ঝড়ে ওলোটপালোট হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ি এলাকা। অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। জরুরি ভিত্তিতে রবিবার রাতেই জলপাইগুড়ি পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর আজ সকালেই রওনা দিয়ে জলপাইগুড়ি পৌঁছেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

রবিবার সন্ধ্যায় আক্ষরিক অর্থেই ঝড়ের তাণ্ডব চলে উত্তরবঙ্গ জুড়ে। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার। তছনছ হয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা। মুহূর্তের ঝড়েই বিপর্যস্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে চার ব্যক্তির। আহত শতাধিক।

আরও পড়ুন: হিটওয়েভ অ্যালার্ট…! রাজ্যে রাজ্যে ‘ভয়ঙ্কর’ আপডেট! ঝড়-বৃষ্টিতে ফের তোলপাড় হবে বাংলা? বিরাট সতর্কবাণী আইএমডি-র

জলপাইগুড়ির ঝড় বিধ্বস্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল রাজভবনে একটি জরুরি সেল গঠন করেছেন। রাজ্যপালের এডিসি মেজর নিখিল কুমারকে এই সেলের নোডাল অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল দিল্লির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন।

রাজভবন সূত্রে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। রাজ্যপাল আজ জলপাইগুড়িতে থাকবেন। গ্রাউন্ড জিরো এবং ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি পরিদর্শন করবেন সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি রাজভবনের পিস রুম জনসাধারণের সুবিধার্থে দিনরাত খোলা থাকবে সোমবার। ( পিস রুম হেল্পলাইন নম্বর 033-22001641) -এ সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন বিপদগ্রস্থ মানুষ।

প্রসঙ্গত, একসময় কেন্দ্রীয় খরা ত্রাণ কমিশনার ছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর কর্মজীবনে তিনি বন্যা ও ঝড়ের মতো বহু দুর্যোগ মোকাবেলা করেছিলেন বিভিন্ন সময়ে।