যখন আমরা পছন্দের খাবার খেতে বসি, সীমা পরিসীমা ভুলে গিয়ে খেতেই থাকি। অনেক সময় মনে হয় পেট খুব ভরেছে, কিন্তু মন ভরছে না। এমনটা হলে প্রায়ই পেট সংক্রান্ত কিছু সমস্যা শুরু হয়।এটি সরাসরি আমাদের পরিপাকতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে, প্রতিটি খাবার হজম হতে কত সময় লাগে, তা আমাদের জানা গুরুত্বপূর্ণ।কিছু খাবার খাওয়ার পরেও আপনি কিছু সময় পর থেকেই ক্ষুধার্ত বোধ করতে শুরু করেন। আবার কিছু খাবার খাওয়ার পর অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। এর কারণটি জড়িয়ে আছে সেগুলি হজম করার সময়ের সঙ্গে।আপনি কি জানেন খাবার খাওয়ার পর পরিপাকতন্ত্রে পৌঁছাতে কতক্ষণ সময় লাগে? আমাদের পরিপাকতন্ত্র খাদ্যকে পুষ্টিতে ভেঙে দেয়। আমাদের শরীর এই পুষ্টি ব্যবহার করে। শরীরের পুরো সিস্টেম পরিপাকতন্ত্রের উপর নির্ভর করে।হজমের সময় খাবারের পরিমাণ এবং প্রকারের উপর নির্ভর করে। যে খাচ্ছে, তার লিঙ্গ, বিপাক এবং অনেক হজমের সমস্যাও হজম প্রক্রিয়ার গতিকে প্রভাবিত করতে পারে।এই প্রক্রিয়া যা মুখের মধ্যে খাদ্য যাওয়ার সঙ্গে শুরু হয়, এতে চিবানো এবং লালা গ্রন্থি দ্বারা উত্পাদিত লালার মাধ্যমে কার্বোহাইড্রেটের ভাঙন শুরু হয়। খাওয়ার পরে খাদ্য খাদ্যনালীর মধ্য দিয়ে যায়। একটি পেশী নল যা মুখকে পেটের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এতে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে।পাকস্থলীতে পৌঁছায়, যেখানে তা গ্যাস্ট্রিক জুস এবং হজমকারী এনজাইমের সঙ্গে মিশে যায়। এই অংশটি খাদ্য কণার ভর বিভাজনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এটি সাধারণত ২-৪ ঘণ্টা সময় নেয়। গ্যাস্ট্রিক প্রক্রিয়াকরণের পরে, হজম হওয়া খাবার ক্ষুদ্রান্ত্রে পৌঁছায়।এখানে, প্রায় ৪-৬ ঘণ্টা সময়ে হজমকারী এনজাইম এবং পিত্ত খাদ্যকে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের মতো পুষ্টিতে ভেঙে দেয়। তারপরে অবশিষ্ট পদার্থগুলি জল, ফাইবার এবং অপাচ্য পদার্থের আকারে বৃহদন্ত্রে চলে যায়।এখানে ১২-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোলন বর্জ্য পদার্থ থেকে জল এবং ইলেক্ট্রোলাইটগুলি শোষিত হয়, ফলে মল তৈরি হয়।সহজ কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম হয়। জটিল শর্করা, প্রোটিন এবং চর্বি ভেঙে যেতে বেশি সময় নেয়। ফলের মতো অদ্রবণীয় ফাইবার দ্রুত হজম হয়। একই সময়ে, মাংস হজম হতে ২-৩ দিন সময় লাগতে পারে।ফলমূল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য-সহ উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে। হজম প্রক্রিয়াগুলি বয়সের সঙ্গে ধীর হতে পারে, যা সময় বাড়াতে পারে। শিশুদের হজম প্রক্রিয়া বয়স্কদের তুলনায় দ্রুত হয়।উচ্চ বিপাক হার যে ব্যক্তিদের বেশি, তাদের দ্রুত হজম হয়। একই সময়ে, ধীর বিপাক হার হলে খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়।মাংস এবং মাছ সম্পূর্ণ হজম হতে ২ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। যে প্রোটিন এবং চর্বি ধারণ করে, তা হল জটিল অণু, যা আপনার শরীরে ভেঙে যেতে অনেক সময় নেয়। ফল এবং সবজি এক দিনেরও কম সময়ে আপনার সিস্টেমে পৌঁছাতে পারে।উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার পরিপাকতন্ত্রকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কার্যকরী করতে সাহায্য করে। জল হজম হতে সময় লাগে না। তাই বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাঙালি হেঁশেলেও এখন নিত্যসঙ্গী কারিপাতা। অড়হর ডাল থেকে চিঁড়েভাজা বা চিঁড়ের পোলাও। স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে এই পাতা অতুলনীয়।জীবনে সুস্থতার অন্যতম শর্ত সুন্দর স্বাস্থ্যকর দেহ ও রোগহীন জীবন। মেদবহুল, চর্বি সর্বস্ব দেহ আর কেই বা চায়। কিন্তু খাদ্য রসিকরা অধিকাংশ সময়েই এই কাজে খাবার দাবারের কাছেই বশ্যতা স্বীকার করে নেন। আর তাই সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।আপনি চাইলেই কিন্তু কিছু রুটিন জীবনে বদল এনে বর্ধিত ওজনকে টাটা বাই বাই করতে পারেন নিমেষে।যদি নিয়ম করে প্রতিদিন এই পাতার রস খেতে পারেন তাহলে কিন্তু একদিনেই ১ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। আকাশ থেকে পড়ছেন শুনে? না খুব একটা কঠিন কিন্তু নয় এই ওয়েট লস জার্নি।যদি সময় থাকে ধোওয়া কারিপাতা ৩-৪ দিন কড়া রোদে রেখে শুকিয়ে নিন। তার পর এয়ারটাইট কন্টেনারে ভরে রাখুন রান্নাঘরে বা ফ্রিজে।কারি পাতার রস খেলে আমাদের শরীর থেকে প্রাকৃতিকভাবে টক্সিন দূর হয়কারিপাতা তাজা থাকলে তবেই খাবারে স্বাদগন্ধ আসে। শুকিয়ে গেলে কোনও গুণই মেলে না।এই রসে লেবু বা মধুও মিশিয়ে দিতে পারেন। ওয়ার্ক আউট করার আধ ঘণ্টা আগে এই পাতার রস খেতে পারেন।এই প্রতিবেদনটি সাধারণ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে লেখা। বিশদ জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ফুচকা ভাল বাসে না বা নাম শুনলে জিভে জল আসে না এমন মানুষ কিন্তু বিরল।ট্রাডিশনাল ফুচকা মানে তেঁতুল জলের ফুচকা বা দই ফুচকা। যুগে যুগে কালে কালে এই ফুচকাতেই মজে থাকত আট থেকে আশি। কিন্তু এখন বাজার গরম করতে এসেছে চিকেন ফুচকা, চকোলেট ফুচকা, পনির ফুচকা বা আইসক্রিম ফুচকাও।এটি এমন একটি স্ট্রিট ফুড যা প্রায় সব জায়গাতেই পাওয়া যায়।কোথাও এর নাম গোলগাপ্পা তো কোথাও এটি এমন একটি স্ট্রিট ফুড যা প্রায় সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। আবার পানিপুরি। কলকাতায় সবাই একে ফুচকা বলেই চেনে।ফুচকা কার না প্রিয়৷ টক, ঝাল, নোনতা সব স্বাদকোরকের সম্পূর্ণ সন্তুষ্টি এই ফুচকার জলেই৷ সেই কারণেই তো বিকেল হলেই পাড়ার মোড়ের দিকে মনটাল পড়ে থাকে! না চাইলেও দু’দিন ছাড়াই ১০ টাকার ফুচকা খাওয়া হয়ে যায়৷ কিন্তু, জানেন কি তেঁতুল জল খেলেও কমে ওজন?কঠিন ডায়েট চলাকালীন অনেকেই ফুচকা এড়িয়ে চলেন। যেহেতু ফুচকায় প্রচুর মশলা রয়েছে তাই একে ওজন বর্ধক হিসাবেই ধরা হয়। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ফুচকা খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম একটি হল ওজন কমানো।এবং দ্রুত ওজন ঝরাতে চাইলে, ফুচকা খাওয়া যেতেই পারে। যেহেতু ফুচকার জল টক ও মশলাদার, তাই এটি খিদে কমাতে সাহায্য করে যা অবশেষে ওজন হ্রাসের জন্য সাহায্য করে।ডায়েটিশিয়ানরা ক্লান্তি কমাতে এবং ওজন কমানোর জন্য ঘরে তৈরি ফুচকার পরামর্শ দেন। বাড়িতে ফুচকা বানানোর একটা সুবিধা হল এটি কম তেলে ভাজা যায়। অতিরিক্ত স্বাস্থ্য উপকারের জন্য ফুচকার সঙ্গে জিরা বা জল জিরার জলও ব্যবহার করা যেতে পারে।তবে এও ঠিক যে, পেটের গোলমাল বা হজমের সমস্য়া থাকলে ফুচকা এড়িয়ে চলাই ভাল। আর রোজ কখনওই ফুচকা খাবেন না। বিশদ জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।