![যখন আমরা পছন্দের খাবার খেতে বসি, সীমা পরিসীমা ভুলে গিয়ে খেতেই থাকি। অনেক সময় মনে হয় পেট খুব ভরেছে, কিন্তু মন ভরছে না। এমনটা হলে প্রায়ই পেট সংক্রান্ত কিছু সমস্যা শুরু হয়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/03/food1-2024-03-99bf710a4b80cdab9ef055f491447820.jpg)
![এটি সরাসরি আমাদের পরিপাকতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে, প্রতিটি খাবার হজম হতে কত সময় লাগে, তা আমাদের জানা গুরুত্বপূর্ণ।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/03/food2-2024-03-8dc83e25668b933cbf4f069933bf7fd2.jpg)
![কিছু খাবার খাওয়ার পরেও আপনি কিছু সময় পর থেকেই ক্ষুধার্ত বোধ করতে শুরু করেন। আবার কিছু খাবার খাওয়ার পর অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। এর কারণটি জড়িয়ে আছে সেগুলি হজম করার সময়ের সঙ্গে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/03/Taj-Bengal-Holi-Special-Food-2024-03-279a6fef31c15fb3a668e17691c547d5.jpg)
![আপনি কি জানেন খাবার খাওয়ার পর পরিপাকতন্ত্রে পৌঁছাতে কতক্ষণ সময় লাগে? আমাদের পরিপাকতন্ত্র খাদ্যকে পুষ্টিতে ভেঙে দেয়। আমাদের শরীর এই পুষ্টি ব্যবহার করে। শরীরের পুরো সিস্টেম পরিপাকতন্ত্রের উপর নির্ভর করে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/03/howtoeateverytwohours1706323833-2024-03-93cc1345bc6512edda8bf9b48cae7677.jpg)
![হজমের সময় খাবারের পরিমাণ এবং প্রকারের উপর নির্ভর করে। যে খাচ্ছে, তার লিঙ্গ, বিপাক এবং অনেক হজমের সমস্যাও হজম প্রক্রিয়ার গতিকে প্রভাবিত করতে পারে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/03/Food-7-2024-03-f512d62d16d1577bfd3d4d02ab57d052.jpg)
![এই প্রক্রিয়া যা মুখের মধ্যে খাদ্য যাওয়ার সঙ্গে শুরু হয়, এতে চিবানো এবং লালা গ্রন্থি দ্বারা উত্পাদিত লালার মাধ্যমে কার্বোহাইড্রেটের ভাঙন শুরু হয়। খাওয়ার পরে খাদ্য খাদ্যনালীর মধ্য দিয়ে যায়। একটি পেশী নল যা মুখকে পেটের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এতে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/03/Food-3-2024-03-2fc82ebd21c21a8d170e7fdb219e2625.jpg)
![পাকস্থলীতে পৌঁছায়, যেখানে তা গ্যাস্ট্রিক জুস এবং হজমকারী এনজাইমের সঙ্গে মিশে যায়। এই অংশটি খাদ্য কণার ভর বিভাজনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এটি সাধারণত ২-৪ ঘণ্টা সময় নেয়। গ্যাস্ট্রিক প্রক্রিয়াকরণের পরে, হজম হওয়া খাবার ক্ষুদ্রান্ত্রে পৌঁছায়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/03/Food-4-2024-03-cfcd3c9caf3d2d6c963b06243621d5a6.jpg)
![এখানে, প্রায় ৪-৬ ঘণ্টা সময়ে হজমকারী এনজাইম এবং পিত্ত খাদ্যকে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের মতো পুষ্টিতে ভেঙে দেয়। তারপরে অবশিষ্ট পদার্থগুলি জল, ফাইবার এবং অপাচ্য পদার্থের আকারে বৃহদন্ত্রে চলে যায়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/03/Food-2-2024-03-6a230d7a60a05c8502bb8be1e34dbb11.jpg)
![এখানে ১২-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোলন বর্জ্য পদার্থ থেকে জল এবং ইলেক্ট্রোলাইটগুলি শোষিত হয়, ফলে মল তৈরি হয়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/KetoDietFoods-2024-02-dd50f3015dcf125a96ead9b497b38f10.jpg)
![সহজ কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম হয়। জটিল শর্করা, প্রোটিন এবং চর্বি ভেঙে যেতে বেশি সময় নেয়। ফলের মতো অদ্রবণীয় ফাইবার দ্রুত হজম হয়। একই সময়ে, মাংস হজম হতে ২-৩ দিন সময় লাগতে পারে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/drink-water-after-eating-food-4-2024-02-9e442edf9e71053412fd3384813f6de7.jpg)
![ফলমূল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য-সহ উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে। হজম প্রক্রিয়াগুলি বয়সের সঙ্গে ধীর হতে পারে, যা সময় বাড়াতে পারে। শিশুদের হজম প্রক্রিয়া বয়স্কদের তুলনায় দ্রুত হয়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/drink-water-after-eating-food-2-2024-02-71f317e4cc77b68c85d9256ccdca4206.jpg)
![উচ্চ বিপাক হার যে ব্যক্তিদের বেশি, তাদের দ্রুত হজম হয়। একই সময়ে, ধীর বিপাক হার হলে খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/WhatsApp-Image-20240212-at-50002-PM-2024-02-fe7215d72872fc938945e2ee30b6e33c.jpeg)
![মাংস এবং মাছ সম্পূর্ণ হজম হতে ২ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। যে প্রোটিন এবং চর্বি ধারণ করে, তা হল জটিল অণু, যা আপনার শরীরে ভেঙে যেতে অনেক সময় নেয়। ফল এবং সবজি এক দিনেরও কম সময়ে আপনার সিস্টেমে পৌঁছাতে পারে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/02/food-17-2024-02-a94dfff4014d2c3ba7b5d85c40d0e260.jpg)
![উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার পরিপাকতন্ত্রকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কার্যকরী করতে সাহায্য করে। জল হজম হতে সময় লাগে না। তাই বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/01/fried-Food-2024-01-6322d826dce62d6b6ee8626d2056b4a6.jpg)
দক্ষিণ দিনাজপুর : আমিষ হোক বা নিরামিষ সবেতেই বাজিমাত পনির। আর এই পনির দিয়েই তৈরি করা যায় নানান স্বাদের রকমারি রান্না। তবে যাঁরা চাইনিজ খাবার খেতে পছন্দ করেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই খাবার খেতে যেতে হয় বাইরে। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন পনির স্যাটে। প্রতিদিনের সন্ধেকালীন গরম গরম ধোঁয়া ওঠা কফির সঙ্গে ক্রিসপি পনির স্যাটে যদি পাওয়া যায়, তাহলে মন্দ হয় না। কীভাবে বাড়িতে বানাবেন পনিরের এই রেসিপি, জানুন।
প্রথমে একটি পাত্রে বড় কিউব করে কেটে নেওয়া পনির গুলো পরিমাণ মতন দিয়ে দিতে হবে। এরপর তাতে বেশ কিছুটা পরিমাণ টক দই দিয়ে একইসঙ্গে বেটে নেওয়া পিঁয়াজ, আদা, রসুন, কাঁচা লঙ্কার পেস্ট দিতে হবে। তারপরে মশলা হিসেবে পরিমাণ মতন নুন, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধোনে গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে এরপর বেশ কিছুটা পরিমাণ টমেটো সস, সোয়া সস দিয়ে বেশ ভালভাবে একটা মিশ্রন বানিয়ে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে কোনভাবেই যেন পনির ভেঙে না যায়। এরপর ওই মিশ্রনের মধ্যে একে একে কিউব করে কেটে রাখা পিঁয়াজ, টমেটো ও ক্যাপসিকাম দিয়ে আবারও বেশ ভালভাবে মিশিয়ে নিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিতে হবে। যেন সব উপকরণ ভালভাবে মিশে যায়।
অপরদিকে অন্য একটি পাত্রে পরিমাণ মতন কনফ্লাওয়ার, গোলমরিচ গুঁড়ো ও সামান্য জল দিয়ে একটা ব্যাটার বানিয়ে নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে মিশ্রণ যেন খুব পাতলা না হয়। এরপর পূর্বে তৈরি করে রাখা পনিরের মিশ্রণ থেকে একটা স্টিকে প্রথমে ক্যাপসিকাম, টমেটো, পিঁয়াজ, পনির আবারও পিঁয়াজ, পনির, টমেটো, শেষে ক্যাপসিকাম দিয়ে মুখ বন্ধ করে এইভাবে এক এক করে বারবার একই জিনিস দিয়ে প্রতিটা স্টিক বানিয়ে নিতে হবে। দেখতে একদম কালারফুল হবে।
এরপর গ্যাসে পাত্র বসিয়ে বেশ কিছুটা সাদা তেল গরম করে নিতে হবে। এরপর পনিরের স্টিক গুলো কনফ্লাওয়ারের ব্যাটারে এপিঠ ওপিঠ ভালভাবে মিশিয়ে নিয়ে করাইতে ডুবো তেলের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। এইভাবেই প্রতিটি পনিরের স্টিক ব্যাটারে দিয়ে ডুবো তেলে ছেড়ে হালকা এপিঠ ওপিঠ করে ভেঁজে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনভাবেই পুড়ে না যায়। বেশ ভালভাবে ডিপ ফ্রাই হয়ে গেলেই তৈরি পনির স্যাটে। অতিথি আপ্যায়ন হোক বা বাড়ির সান্ধ্যকালীন আড্ডা, ধোঁয়া ওঠা গরম চা বা কফির সঙ্গে মুচমুচে পনির স্যাটে, এর যেন নেই কোন জুড়ি মেলা ভার।
সুস্মিতা গোস্বামী
হাওড়া: স্যাটে মানেই অনেকের কাছে ‘ চিকেন স্যাটে ‘ মনে হবে। তবে চিকেন ছাড়াও যে সুস্বাদু স্যাটে হতে পারে তা হয়ত অনেকই ভাবতে পড়বেন না। এই স্যাটে কোনও অংশে চিকেন স্যাটে’র থেকে কম নয়। এক ঘেঁয়েমি চিকেন স্যাটে, সেই জায়গায় বিষয়ে উপকরণে তৈরি এই ভেজ স্যাটে জনপ্রিয়তা বেশ।
এই স্যাটে তৈরিতে নিয়মে বিশেষ কিছু পরিবর্তন নেই। প্রয়োজনীয় সবজির দিক থেকে সমস্ত কিছুই লাগে। একটু বড় করে কেটে নেওয়া পেঁয়াজ। সেই মত মাপ করে কেটে নেওয়া ক্যাপসিকাম। এর সঙ্গে বিশেষ উপকরণ ফ্রাই পকোড়া স্টিকে গেঁথে নিয়ে বেটারে ডুবিয়ে তেলে ভেজে নেওয়া। এভাবেই তৈরি ভেজ স্যাটে। যে সমস্ত মানুষ চিকেন এভয়েড করে থাকেন। তাদের জন্য একেবারে দারুন উপযোগী। অন্যদিকে চিনেক স্যাটে’র এক ঘেঁয়েমি ভাব কাটাতেও বেশ এই স্যাটে।
এই ভেজ স্যাটে তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপকরণ পেঁয়াজ বাটা, আদা রসুন বাটা, জিরে ধনে, লঙ্কা গুঁড়ো এবং গোল মরিচ গুঁড়ো, একটু টক দই/ লেবুর রস, ময়দা ও কনফ্লাওয়ার পরিমাণ মত লবণ এবং সামান্য চিনি ভাল করে মিশিয়ে বেটার তৈরি করে নিন।
আরও পড়ুন Fuchka Papri is Bad for Health: আলু বা টক জল নয়, ফুচকার পাপড়ি কেন শরীরের জন্য বিষ, জানুন
অন্যদিকে পেঁয়াজ এবং ক্যাপসিকাম মাপ অনুযায়ী কেটে নিতে হবে। চিকেন ছাড়া এই স্যাটের স্বাদ বাড়াতে এই ভেজ স্যাটে তৈরিতে প্রয়োজন মসুর ডাল দিয়ে তৈরি পকোড়া। মসুর ডাল কিছুক্ষন জলে ভিজিয়ে বেটে নেওয়া। পেঁয়াজ বাটা, অল্প আদা রসুন বাটা, গরম মশলা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, সামান্য হলুদ লবণ এবং চিনি এবং অল্প কনফ্লাওয়ার ভাল করে মিশিয়ে আদ ভাজা ফ্রাই তৈরি করে নিতে হবে। ডালের আধভাজা ফ্রাই এবং কাঁচা সবজি স্ট্রিকে গেঁথে ব্যাটারে ডুবিয়ে তেলে ভেজে নিলেই তৈরি সুস্বাদু ভেজ স্যাটে।
রাকেশ মাইতি