Tag Archives: Indian River

Open Water Swimming: অঞ্জনা রক্ষার দাবিতে নদীবক্ষে সাঁতার! পাড়ে উপচে পড়া ভিড় মানুষের

নদিয়া: অঞ্জনা নদী রক্ষার দাবিতে কৃষ্ণনগর শহরের উপকণ্ঠে দোগাছি রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশ থেকে অনুষ্ঠিত হল ওপেন ওয়াটার সাঁতার প্রতিযোগিতা। নিয়মিত সাঁতার কাটলে বিশেষ করে নদীর প্রবাহমান জলে সাঁতার কাটার ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপকার হয়। এছাড়াও জীববৈচিত্র্যকে বাঁচিয়ে রাখতে নদী কতখানি ভূমিকা পালন করে, তা যুব সমাজকে বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ বলে জানা যায়।

আরও পড়ুন: সীমান্তে সেনার উপর আতর্কিত হামলা! গুলি চালাতেই ৪.৫ কোটির সোনা ফেলে চম্পট পাচারকারী

স্পোর্টস ভিলেজের সহায়তায়, অঞ্জনা নদী বাঁচাও কমিটি, জলঙ্গী নদী সমাজ, জেলা সাঁতার সংস্থা, যুক্তিবাদী সমিতি, কৃষ্ণনগর ঐকতান, মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও কিশোর বাহিনীদের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানটি করা হয়। জেলার বিভিন্ন স্যুইমিং পুল থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। অনুর্ধ্ব ১২ বছর ও ১২ বছরের ঊর্ধ্বে দু’টি বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অজস্র মানুষ নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে সকলকে পুরস্কৃত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সূচনা হয় অনুষ্ঠানের। নদীর গান শোনান বিশিষ্ট নামকরা এক বাউল সংগীত শিল্পী। বক্তব্যে অংশ নেন সমস্ত সংগঠনের প্রতিনিধিরাই।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ বহু বছর ধরেই অঞ্জনা ও জলঙ্গি নদীকে রক্ষা করার জন্য কৃষ্ণনগরের একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি বছরের নানা সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। কখনও মৎস্যজীবীদের পাশে দাঁড়িয়ে, কখনও বিভিন্ন সমাজ সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে তাঁরা ঐতিহ্যবাহী এই জলঙ্গি নদীকে জীবিত রেখেছে। এই নদীটি বাংলাদেশের মাথাভাঙ্গা নদী হিসেবে এসে এরপর রানাঘাট থেকে চূর্ণী নদী ও কৃষ্ণনগরে এসে জলঙ্গি নদীতে পরিচিত।

জলঙ্গি নদী মিশেছে নবদ্বীপের ভাগীরথী নদীর সঙ্গে। তবে বছরের বিভিন্ন সময় এই নদীর জল দূষিত থাকে। সেই কারণে একাধিক সমাজসেবক সংগঠনেরা লাগাতার প্রচার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক তেমনই নদীপক্ষে সাঁতারের প্রতিযোগিতা রেখে এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয় সমস্ত পরিবেশপ্রেমী মানুষের তরফ থেকে।

Mainak Debnath

Gold in River: ভারতের ‘এই’ নদীতে স্নান করলেই হাতে আসত সোনার কণা…! কিন্তু ঘরে তুললেই… বিপজ্জনক ঘটনা!

নদীমাতৃক দেশ ভারত। কিন্তু আজ আমরা আপনাকে এমন এক অনন্য নদীর কথা বলব, যেখানে সোনা পাওয়া যায়। এটিই ভারতের একমাত্র নদী, যেটিতে আজও সোনার কণা প্রবাহিত হয় বলে বিশ্বাস। এটা দেখতে হলে আপনাকে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে যেতে হবে।
নদীমাতৃক দেশ ভারত। কিন্তু আজ আমরা আপনাকে এমন এক অনন্য নদীর কথা বলব, যেখানে সোনা পাওয়া যায়। এটিই ভারতের একমাত্র নদী, যেটিতে আজও সোনার কণা প্রবাহিত হয় বলে বিশ্বাস। এটা দেখতে হলে আপনাকে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে যেতে হবে।
রাঁচির শহরের ব্লকে, আপনি একটি ছোট কূপ দেখতে পাবেন, যাকে রানী চুয়া কূপও বলা হয়। এই ছোট কূপ থেকে ৪৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ স্বর্ণরেখা নদীর উৎপত্তি, যা সরাসরি বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।
রাঁচির শহরের ব্লকে, আপনি একটি ছোট কূপ দেখতে পাবেন, যাকে রানী চুয়া কূপও বলা হয়। এই ছোট কূপ থেকে ৪৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ স্বর্ণরেখা নদীর উৎপত্তি, যা সরাসরি বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।
কথিত আছে, এই কূপটি অত্যন্ত পবিত্র এবং লোকেরা এটিকে পূজাও করে। পুরোহিত দেবেন্দ্র পণ্ডিত বলেন, ‘‘এখান থেকেই সুবর্ণরেখা নদীর উৎপত্তি। এখানে একটি ছোট স্রোত বের হয়, যা পরবর্তীতে বিশাল আকার ধারণ করে।’’
কথিত আছে, এই কূপটি অত্যন্ত পবিত্র এবং লোকেরা এটিকে পূজাও করে। পুরোহিত দেবেন্দ্র পণ্ডিত বলেন, ‘‘এখান থেকেই সুবর্ণরেখা নদীর উৎপত্তি। এখানে একটি ছোট স্রোত বের হয়, যা পরবর্তীতে বিশাল আকার ধারণ করে।’’
আরও জানান, বহুবার মানুষ এই নদীতে সোনার কণা দেখেছে। কথিত আছে যে, যে ব্যক্তি এখান থেকে সোনার কণা নেওয়ার চেষ্টা করে, সে রহস্যজনকভাবে মারা যায় বা দুর্ঘটনায় পড়ে। এ কারণে এখান থেকে স্বর্ণ নেওয়ার কথাও কেউ ভাবে না।
আরও জানান, বহুবার মানুষ এই নদীতে সোনার কণা দেখেছে। কথিত আছে যে, যে ব্যক্তি এখান থেকে সোনার কণা নেওয়ার চেষ্টা করে, সে রহস্যজনকভাবে মারা যায় বা দুর্ঘটনায় পড়ে। এ কারণে এখান থেকে স্বর্ণ নেওয়ার কথাও কেউ ভাবে না।
পূর্বপুরুষরা বলেন, প্রায় ৭০-৮০ বছর আগে এই নদীতে বেশি সোনার কণা বের হত। তাই এই নদীর নাম হয় স্বর্ণরেখা। কিন্তু এখন এখানে সোনার কণার সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। এখন প্রতি মাসে এক বা দুই কণা সোনা দেখা যায়।
পূর্বপুরুষরা বলেন, প্রায় ৭০-৮০ বছর আগে এই নদীতে বেশি সোনার কণা বের হত। তাই এই নদীর নাম হয় স্বর্ণরেখা। কিন্তু এখন এখানে সোনার কণার সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। এখন প্রতি মাসে এক বা দুই কণা সোনা দেখা যায়।
এই নদীটি ঝাড়খণ্ডের দীর্ঘতম নদী। এটি অত্যন্ত পবিত্র নদী হিসেবেও বিবেচিত হয়। মানুষ পূজায় এই নদীর জল ব্যবহার করে। তারা কুয়ো থেকে জল নিয়ে যায় বাড়িতে।
এই নদীটি ঝাড়খণ্ডের দীর্ঘতম নদী। এটি অত্যন্ত পবিত্র নদী হিসেবেও বিবেচিত হয়। মানুষ পূজায় এই নদীর জল ব্যবহার করে। তারা কুয়ো থেকে জল নিয়ে যায় বাড়িতে।
স্বর্ণ উত্তোলন প্রক্রিয়া সারা বছর হয়। আশেপাশের অঞ্চলের স্থানীয় উপজাতীয় শ্রমিকরা বালি ফিল্টার করে নদীর তল থেকে সোনা বের করেন। বর্ষাকাল ছাড়া সারা বছরই এই কার্যক্রম চলে। সোনার কণার আকার ধানের শীষের সমান বা তার চেয়েও ছোট।
স্বর্ণ উত্তোলন প্রক্রিয়া সারা বছর হয়। আশেপাশের অঞ্চলের স্থানীয় উপজাতীয় শ্রমিকরা বালি ফিল্টার করে নদীর তল থেকে সোনা বের করেন। বর্ষাকাল ছাড়া সারা বছরই এই কার্যক্রম চলে। সোনার কণার আকার ধানের শীষের সমান বা তার চেয়েও ছোট।