Tag Archives: Jagadhatri Puja 2023

Jagadhatri Puja 2023: চন্দননগরের পর রিষড়ায় জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে উঠেছে গোটা শহর

হুগলি: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো শেষ হলেও জেলায় এখনও উৎসবের মরশুম। চন্দননগরের পর হুগলি রিষড়ায় এখনও চলছে জগদ্ধাত্রী পুজো। বহু সংখ্যক মানুষ বেরিয়ে পড়েছেন ঠাকুর দেখতে। জগদ্ধাত্রী পুজোয় জনজোয়ারে ভাসছে হুগলির রিষড়া।

হুগলির রিষড়ায় রয়েছে মোট ১১৭ টি জগদ্ধাত্রী পুজো। তাদের মধ্যে ৯৮ টি বারোয়ারি পুজো রয়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে থিমের টেক্কা দিচ্ছে বারোয়ারি পুজো গুলি। অপরূপ মণ্ডপ সজ্জা মন কেড়েছে দর্শনার্থীদেরও।

আরও পড়ুন: রোজ এক গ্লাস গাজরের জুস খেলে কী হয় জানেন? শরীরের বদল জানলে চমকে যাবেন

চন্দননগরের যখন নবমীর পুজো শুরু হয় দিন থেকে শুরু হয় রিষড়ায় ষষ্ঠীর পুজো। ঠিক চন্দননগরের মতো এখানেও ষষ্ঠী, সপ্তমী , অষ্টমী, নবমীর দিন পর্যন্ত চলে দেবীর আরাধনা। এখানেও বেরোয় শোভাযাত্রা। এই বছর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছে মোট ১৭ টি পুজো কমিটি। শুক্রবার মহানবমীর দিনে রিষড়ার রাস্তার অনেক জায়গাতেই পুলিশের তরফ থেকে নোএন্ট্রি করা হয়েছে। রাত যত বাড়ে ততই ভিড় নামে ঠাকুর দেখার।

রাহী হালদার

Jagadhatri Puja 2023: বিশ্বসেরা শোভাযাত্রা! আলোর শহর চন্দননগরে পুজোর শেষদিনের ভিড় কত? শুনলে চমকে যাবেন!

কথায় আছে বাঙালি আজ যা ভাবে দেশ ভাবে তা পরশু। আর চন্দননগর আলো নিয়ে যা ভাবে তা এক বছর পরে দেখতে পায় গোটা দেশ। আলোর শহর চন্দননগরের সবথেকে বড় আলোর খেলা হয় জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানের দিন।
কথায় আছে বাঙালি আজ যা ভাবে দেশ ভাবে তা পরশু। আর চন্দননগর আলো নিয়ে যা ভাবে তা এক বছর পরে দেখতে পায় গোটা দেশ। আলোর শহর চন্দননগরের সবথেকে বড় আলোর খেলা হয় জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানের দিন।
দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন চন্দননগরের বিশেষ আলো দেখার জন্য। কারণ একমাত্র চন্দননগরেই ইলেকট্রনিক্স ও মেকানিক্সের সংমিশ্রনে তৈরি হয় আলো কারিগরি।
দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন চন্দননগরের বিশেষ আলো দেখার জন্য। কারণ একমাত্র চন্দননগরেই ইলেকট্রনিক্স ও মেকানিক্সের সংমিশ্রনে তৈরি হয় আলো কারিগরি।
বড় বড় লরিতে পরিণত হয় মেকাট্রনিক ট্যাবলো তে। কোথাও দেখা যায় আলোর মধ্যে ফুটে উঠেছে বিভিন্ন পশু পাখি জীবজন্তু আবার কোথাও দেখা যায় আলোর দিয়ে তৈরি হয়েছে বর্ণ পরিচয় এর গল্প।
বড় বড় লরিতে পরিণত হয় মেকাট্রনিক ট্যাবলো তে। কোথাও দেখা যায় আলোর মধ্যে ফুটে উঠেছে বিভিন্ন পশু পাখি জীবজন্তু আবার কোথাও দেখা যায় আলোর দিয়ে তৈরি হয়েছে বর্ণ পরিচয় এর গল্প।
আলোর বিভিন্ন ট্যাবলো তৈরি করে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন বারোয়ারি পূজা গুলি। যে আলোর খেলা দেখার জন্য জেলা তথা জেলার বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ আসেন চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী ঠাকুরের বিসর্জন শোভাযাত্রা দেখার জন্য।
আলোর বিভিন্ন ট্যাবলো তৈরি করে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন বারোয়ারি পূজা গুলি। যে আলোর খেলা দেখার জন্য জেলা তথা জেলার বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ আসেন চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী ঠাকুরের বিসর্জন শোভাযাত্রা দেখার জন্য।
প্রথমবার জলের নিচে আরও জ্বলতে দেখেছে মানুষ তাও চন্দননগরের আলোক শিল্পীদের হাতেই তৈরি। চন্দননগরের আলো ছড়িয়ে রয়েছে দেশ পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও। আর জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষে সমস্ত ঘরের আলো ফিরে আসে ঘরে।
প্রথমবার জলের নিচে আরও জ্বলতে দেখেছে মানুষ তাও চন্দননগরের আলোক শিল্পীদের হাতেই তৈরি। চন্দননগরের আলো ছড়িয়ে রয়েছে দেশ পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও। আর জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষে সমস্ত ঘরের আলো ফিরে আসে ঘরে।
আলো দিয়ে যে থিম তৈরি করা যায় তাও জনসমক্ষে নিয়ে এসেছে চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা। চলমান আলো তৈরি হয়েছে ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সংমিশ্রণে।
আলো দিয়ে যে থিম তৈরি করা যায় তাও জনসমক্ষে নিয়ে এসেছে চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা। চলমান আলো তৈরি হয়েছে ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সংমিশ্রণে।

Jagadhatri Pujo 2023: ১০২ বছরের পুরনো জগদ্ধাত্রী পুজো, মূর্তি বিসর্জন হয় না কোনওদিনই…

নদিয়া: অষ্টধাতুর দেবী মূর্তিতে এখানে প্রতিদিন পূজিত হন মা জগদ্ধাত্রী। রানাঘাট সুভাষ এভিনিউর ভট্টাচার্য পরিবারে ১০২ বছর ধরে প্রাচীন রীতি – নীতি মেনে আজও পূজিত হচ্ছেন এই দেবী। দেবীর নিত্য পুজো হলেও জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় কৃষ্ণনগরের প্রচলিত রীতি মেনে এখানে পূজিত হন গৃহদেবী। এই পরিবারে প্রতিদিন দেবীর সঙ্গে পুজিত দেবাদিদেব শিবও। প্রতিদিন মাটির শিবলিঙ্গ গড়িয়ে পুজো করা হয় ভগবান শিবের। এই পুজোর সময় পরিবারের সবাই মিলিত হন ভট্টাচার্য বাড়িতে। আসেন আত্মীয়-স্বজন পরিবার-পরিজন, ভক্তরাও। সারাদিন ধরে চলে পুজো এবং প্রসাদ বিতরণ।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বাড়ির অন্যতম সদস্য বিকাশ ভট্টাচার্য জানান, “আমাদের এই বাড়ি তৈরি হয়েছে ১৯২০ সালে। আর এই জগদ্ধাত্রী পুজো আরম্ভ হয়েছে ১৯২১ সালে। অর্থাৎ এবারে ১০২ বছরের পুজো। আমাদের এই পুজো কোনওদিন বন্ধ হয় না।। চার বছর আগে আমার মা গত হয়েছেন উনি যখন মারা গিয়েছেন তখন গ্রামের থেকে লোকরা এসে পুজো করেছে কিন্তু পুজো বন্ধ হয়নি। এটি আমাদের বাড়ির দেবতা মায়ের মূর্তি অষ্টশত দিয়ে তৈরি সেই কারণেই মায়ের মূর্তি কখনো বিসর্জন হয় না। কেবলমাত্র ঘট বিসর্জন হয়। অষ্টধাতুর এই প্রতিমা খুবই কম দেখা যায়।”

ভক্তদের বিশ্বাস  দেবী ভক্তদের মনের সমস্ত ইচ্ছা পূর্ণ করেন। তাই তাঁর দুয়ারে আসার অর্থ  সৌভাগ্যের দরজা খুলে যাওয়া।

Mainak Debnath

Ghost Story: ছাদে দাঁড়িয়ে পেত্নি! চিল চিৎকার দিয়ে ছুটছে মানুষ! এসব কী হচ্ছে কল্যানগড়ে? জানুন

ভুতের আতঙ্ক অশোকনগর কল্যাণগড় এলাকায়, সাদা শাড়িতে পেত্নীর দেখা মিলছে ছাদে
ভূতের আতঙ্ক অশোকনগর কল্যাণগড় এলাকায়, সাদা শাড়িতে পেত্নীর দেখা মিলছে ছাদে
জগদ্ধাত্রী পুজোয় মহিলা পরিচালিত সিটি সেন্টার টু এর এ বছরের ভাবনায় উঠে এসেছে ভূতেদের রাজ্য
জগদ্ধাত্রী পুজোয় মহিলা পরিচালিত সিটি সেন্টার টু এর এ বছরের ভাবনায় উঠে এসেছে ভূতেদের রাজ্য
লাইনে দাঁড়িয়ে সকলেই একবার ভূতেদের দর্শন পেতে চাইছেন। রাক্ষস খোক্ষস সহ নানা ভূতের দেখা মিলছে এখানে
লাইনে দাঁড়িয়ে সকলেই একবার ভূতেদের দর্শন পেতে চাইছেন। রাক্ষস খোক্ষসের সহ নানা ভূতের দেখা মিলছে এখানে
শান্তিপুর থেকে একদল শিল্পী এবারের এই ভূতেদের রাজ্যে নানা বহুরূপী সাজে অংশ নিয়েছেন
শান্তিপুর থেকে একদল শিল্পী এবারের এই ভূতেদের রাজ্যে নানা বহুরূপী সাজে অংশ নিয়েছেন
কেউ মুখে রং মেখে সেজেছেন ভূত, আবার কেউ মুখোশ পরে সেজেছেন ব্রহ্মদৈত্য
কেউ মুখে রং মেখে সেজেছেন ভূত, কেউ আবার মুখোশ পরে সেজেছেন ব্রহ্মদৈতি
মন্ডপে ঢুকতেই আঁতকে উঠে চিৎকার জুড়ছেন অনেকে, ভয়ে পাশে থাকা মানুষকে জড়িয়ে ধরছেন কেউ কেউ
মণ্ডপে ঢুকতেই উঠে চিৎকার জুড়েছেন অনেকে, ভয়ে পাশে থাকা মানুষকে জড়িয়ে ধরছেন কেউ কেউ

Jagadhatri Puja 2023: জগদ্ধাত্রী পুজোয় ড্রোনের নজরদারি! ভিড়ে চন্দননগরকে টেক্কা দিল এই এলাকা

জগদ্ধাত্রী পুজোকে ঘিরে উৎসবের চেহারা অশোকনগরে কল্যাণগড়ে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন সন্ধ্যে নামতেই।
জগদ্ধাত্রী পুজোকে ঘিরে উৎসবের চেহারা অশোকনগর-কল্যাণগড়ে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।
তাই এত মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নজরদারি চালানো হচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে, যেখানে চোখ রাখছেন প্রশাসনের কর্তারাও।
এত মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নজরদারি চালানো হচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে।
জেলা পুলিশের তরফ থেকে সহায়তা কেন্দ্রে সিসিটিভির মাধ্যমেও চলছে নজরদারি, মোতায়ন রয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশোর উপর পুলিশ কর্মী।
জেলা পুলিশের তরফ থেকে সহায়তা কেন্দ্রে সিসিটিভির মাধ্যমেও চলছে নজরদারি, মোতায়ন রয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশোর উপর পুলিশকর্মী।
কল্যাণগড় এলাকায় মোট ৫৯টি পুজো হচ্ছে, যার মধ্যে ১৯ টি হাই বাজেটের পুজো। আর সেই পুজো দেখতেই হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন অশোকনগরে।
কল্যাণগড় এলাকায় মোট ৫৯ টি পুজো হচ্ছে, যার মধ্যে ১৯ টি হাই বাজেটের পুজো। আর সেই পুজো দেখতেই হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।
তাই প্রশাসনের তরফ থেকে করা হচ্ছে যাননিয়ন্ত্রণ। বিকেলের পর থেকেই নো এন্ট্রি করে দেওয়া হচ্ছে যানবাহনের জন্য।
প্রশাসনের তরফ থেকে করা হচ্ছে যান নিয়ন্ত্রণ। বিকেলের পর থেকেই ‘নো এন্ট্রি’ করে দেওয়া হচ্ছে ।
আগামী ২৪ তারিখ পর্যন্ত চলবে অশোকনগর এর এই জগদ্ধাত্রী পূজোকে ঘিরে উৎসব, তাই পুলিশি নজরদারিও চলবে বলে জানানো হয় প্রশাসনের তরফ থেকে।
২৪ নভেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে অশোকনগরে এই উৎসবের আবহ থাকবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Jagadhatri Puja 2023: হ্যারি পটারের জাদু সাম্রাজ্য দেখতে উপচে পড়ছে ভিড়

অশোকনগরেই দেখা মিলছে হ্যারি পটারের জাদুনগরীর। আর সন্ধ্যা নামলেই দীর্ঘ লাইন পরছে এই জাদু সাম্রাজ্য দেখার জন্য
অশোকনগরে উঠে এসেছে হ্যারি পটারের হগ‌ওয়ার্ডস জাদুনগরী। তা দেখতে সন্ধে নামলেই উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়।
পুজো উদ্যোক্তাদের অভিনব চিন্তা ভাবনা সারা ফেলে দিয়েছে মানুষের মধ্যে, দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন ভিড় জমাচ্ছেন এই মন্ডপ দেখার জন্য
পুজো উদ্যোক্তাদের অভিনব চিন্তাভাবনা সাড়া ফেলে দিয়েছে মানুষের মধ্যে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন ভিড় জমাচ্ছেন এই মণ্ডপ দেখার জন্য।
অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বেকারির মোড় ভাতৃ সংঘের জগদ্ধাত্রী পুজোয় দেখা মিলছে এই থিমের
অশোকনগর -কল্যাণগড় পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেকারির মোড় ভাতৃ সংঘের জগদ্ধাত্রী পুজোয় দেখা মিলছে এই থিমের
মন্ডপে প্রবেশের পর নীলচে আলোয় গুহায় প্রবেশের পরই দেখা মিলছে এলইডি স্ক্রিনে হ্যারি পটার জাদুর নগরীর ওপর নির্মিত সিনেমার নানা ঘটনা ও চরিত্রের
নীলচে আলোয় গুহায় প্রবেশের পরই দেখা মিলছে এলইডি স্ক্রিনে হ্যারি পটার জাদুনগরীর উপর নির্মিত সিনেমার নানা ঘটনা ও চরিত্রের
জগদ্ধাত্রী পুজোর এই মন্ডপ দেখতে এখন প্রতিদিন সন্ধ্যায় হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন কল্যাণগড়ে
জগদ্ধাত্রী পুজোর এই মণ্ডপ দেখতে এখন প্রতিদিন সন্ধেয় হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন কল্যাণগড়ে

Jagadhatri Puja 2023: ফেলে দেওয়া লোহার জিনিসের দিয়ে তৈরি মণ্ডপ, শিল্পকর্ম দেখে অবাক সকলে

উত্তর ২৪ পরগনা: মানুষের ব্যবহার করার পর ফেলে দেওয়া লোহার নানা জিনিসপত্র দিয়ে সেজে উঠেছে মণ্ডপ। কল্যাণগড়ের নেতাজি বাগ জগদ্ধাত্রী পুজোয় এমনই দৃশ্য দেখা গেল। ফেলে দেওয়া লোহার জিনিসের শিল্পকর্ম দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন দর্শনার্থীরাও।

আরও পড়ুন: ১০ তলা ওপিডি বিল্ডিং, উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার পথে রামপুরহাট মেডিকেল

কল্যাণগড়ের এই জগধাত্রী পূজা এবার ৪৭ তম বর্ষের পদার্পণ করেছে। সেখানে মানুষের ব্যবহারের বাইকের অংশ দিয়ে বানানো হয়েছে পিঁপড়ে থেকে ফড়িং। এই রকম নানান ধরনের ফেলে দেওয়া লোহার জিনিস দিয়েই সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা মণ্ডপ। পাশাপাশি আলোর খেলাও রীতিমতো মন কেড়েছে দর্শনার্থীদের। মণ্ডপে প্রবেশের পথে লোহার গোল অয়াশার ব্যবহার করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মানুষের মুখমণ্ডলী। গাড়ির ছোট স্প্রিং ব্যবহার করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন চরিত্র। কল্যাণগড়ের জগদ্ধাত্রী পুজোগুলির মধ্যে এবার অন্যতম নজরকাড়া এই মণ্ডপটি। দেখতে সন্ধ্যের পর থেকেই ভিড় জমছে মানুষের।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ফেলে দেওয়া জিনিসের এমন সুন্দর ব্যবহার দেখে মুঠো ফোনে ক্যামেরাবন্দি করছেন সকলেই। পুজো মণ্ডপে প্রতিদিনই বসছে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে নামিদামি শিল্পীরা পারফর্ম করছেন। ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য মণ্ডপ চত্বরে রাখা হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে ভলেন্টিয়ার। তাই লৌহ মানবের থিমে এই বিশেষ প্যান্ডেল দেখতে আসতেই হবে কল্যাণগড়ে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Jagadhatri Puja 2023: কপালে সিঁদুর পরে, মাথায় শাড়ির ঘোমটা টেনে দেবীকে বরণ করেন পুরুষরা!

হুগলি: নারী নয়, এখানে পুরুষরা মাথায় ঘোমটা দিয়ে বরণ করেন মা জগদ্ধাত্রীকে। ২৩১ বছর ধরে এই প্রথাই চলে আসছে ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলা বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পুজোয়। এই বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। মোট ১৫ জন পুরুষ একেবারে মহিলাদের মতো সেজে মাথায় ঘোমটা দিয়ে দেবীর কনকাঞ্জলি ও বিদায়বরণ সম্পন্ন করলেন সুষ্ঠভাবে।

কথিত ইতিহাস অনুযায়ী, ইংরেজ ও ফরাসিদের ছাউনি ছিল ভদ্রেশ্বরের গৌরহাটি এলাকায়। সেই সময় নিরাপত্তার কারণে মহিলারা বাড়ি থেকে বের হতেন না। তাঁদের অন্দরমহলেই রাখা হত। তাই তৎকালীন সময়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর আচার অনুষ্ঠান পুরুষরাই সামলাতেন। এমনকি পরিবারের মহিলার যেভাবে বাড়ির ঠাকুরকে বরণ করতেন সেভাবেই পুরুষরা এখানে দেবীকে বরণ করেন। মহিলাদের মতই শাড়ি পরে মাথায় সিঁদুর লাগিয়ে বরণ ডালা নিয়ে দেবী জগদ্ধাত্রীকে বরণ করার এই প্রথা আজও চালু আছে। তার পর রীতি মেনেই শোভাযাত্রা বের হয়।

২৩১ বছরের আগে কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান দাতারাম সুর গৌরহাটিতে বাস করতেন।তিনি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অনুমতি নিয়ে দুই বিধবা কন্যাকে নিয়ে নিজের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন। পরবর্তীতে সেই পুজো বন্ধ হয়ে যায়। বদলে সেই পুজো আবার শুরু হয় তেঁতুলতলা বারোয়ারির হাত ধরে। ইংরেজ শাসনকালে এই অঞ্চল জঙ্গলে ভরা ছিল। মহিলারা বাড়ির অন্দরে থাকতেন। এই এলাকাগুলিতে গোরা সৈনিক থাকার কারণে নিরাপত্তা অভাব সব সময় লেগেই থাকত। মহিলাদের উপর অত্যাচারের কারনে তারাও আর বাড়ি থেকে বেরোতেন না। তাই সেই পরিস্থিতিতে কয়েকশো বছর ধরে চলে আসা পুরুষদের দিয়েই বরণের প্রচলন আজও চলে আসছে।

রাহী হালদার

Jagadhatri Puja 2023: যমরাজের দরবারে কীভাবে বিচার হয় দেখতে উপচে পড়ছে ভিড়

উত্তর ২৪ পরগনা: মৃত্যুর পর কী হয়, কেমন হয় জীবন! ইহলোকে দোষ করলে পরলোকে কি শাস্তি পেতে হয়? অশোকনগর-কল্যাণগড়ের জগদ্ধাত্রী পুজোর থিম মৃত্যুর পর যমালয়ের বিচারসভা! ফুটবল কোচিং সেন্টারের ২৪ তম বর্ষের পুজোয় এই ভাবনা ফুটে উঠেছে।

আরও পড়ুন: ১০ তলা ওপিডি বিল্ডিং, উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার পথে রামপুরহাট মেডিকেল

বিচারসভায় দেখা মিলছে চিত্রগুপ্ত, যমরাজের মতো চরিত্রদের। রয়েছে চিত্রগুপ্তের সেই বিশেষ খাতা, যেখানে হিসেব রাখা হয় সমস্ত দোষ-গুণের। আর তা মিলিয়ে বিচার করেই শাস্তি মেলে যমরাজের দরবারে। কল্যাণগড়ের জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এটি। এই পুজোর উদ্বোধন করেছেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অশোকনগর কল্যাণগড়ের পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমীর দত্ত সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এখানে প্রতিমাতেও বিশেষত্ব আছে। এই থিম দর্শকদের পছন্দ হয়েছে। তা বিচারকদেরও মন ছুঁয়ে যাবে বলে উদ্যোক্তাদের আশা। মৃত্যুর পর যমরাজের দরবারে কেমনভাবে বিচার হয় তা জানতে আপনিও এখানে আসতে পারেন।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Jagadhatri Puja 2023: নিরঞ্জনের আগে বড়মাকে দেখে যান ছোটমা! ৩০০ বছর ধরে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের জগদ্ধাত্রী পুজোয় এটাই রীতি

শান্তিপুর: একপাশে পীরের মাজার, তার পাশেই গড়া শান্তিপুর সূত্রাগড় পীরের হাট অঞ্চলের জগদ্ধাত্রী মণ্ডপ। প্রায় ৩০০ বছরের ধরেই এই অঞ্চলে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন। এই পীরের হাট অঞ্চলে হিন্দু ও মুসলমান একসঙ্গে বসবাস করত। এই দুই সম্প্রদায়ের মেলবন্ধনের সঙ্গে এই পুজো জড়িয়ে আছে। শান্তিপুরের জগদ্ধাত্রী পুজোগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন এই বারোয়ারীর পুজো। প্রায় ৩০০ বছর আগে মাজারের পাশে হাট বসত। এখানেই ছিল রাজা কৃষ্ণচন্দ্রর হাতিশালা। সেখানেই শুরু হয়েছিল এই পুজো।

আরও পড়ুন: চাঁদার জুলুম নয়, এখানে গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রসাদ

কথিত আছে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় দেবী জগদ্ধাত্রীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে প্রথম রাজবাড়িতে দেবীর পুজো শুরু করেন। দেবীর পুজোর মাহাত্ম্য প্রচারের জন্য তিনি পরবর্তীকালে তাঁর লেঠেলদের সহযোগিতায় হাতিশালাতেও জগদ্ধাত্রী পুজো করেছিলেন। ৩০০ বছর আগে স্বয়ং মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের নামে এই পুজোর সংকল্প হয়েছিল। সেই রীতি বজায় রেখে আজও মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের নামেই এই পুজোর সংকল্প হয়। পুজোর কদিন কোনরকম বাদ্যযন্ত্র বা মাইক বাজে না এখানে।

দেবীর নির্দেশে মহারাজ একদিনে তিন পুজো করেছিলেন বলে এখনও পর্যন্ত পুরোহিত একই দিনে দেবীর সপ্তমী,অষ্টমী, নবমীর পুজো করেন। ঊষাকালে পুরোহিত দেবীর পুজোয় বসেন এবং তা শেষ হতে হতে প্রায় রাত্রি হয়ে যায়। এই পুজো করে থাকেন শান্তিপুরের স্বনামধন্য পুরোহিত শ্রী সব্যসাচী পাঠক মহাশয়। তিনি বংশ পরম্পরায় এই পুজো করে থাকেন। দেবীর রূপ এখানে পীতবর্ণা, ত্রিনয়না, চর্তুভূজা, সিংহবাহিনী এবং দেবীর পদতলে শায়িত করিন্দ্রাষুরের ছিন্ন মস্তক ।

এই বারোয়ারীর প্রধান বৈশিষ্ট্য, দেবীর পিছনের চালচিত্র। তা পাড়ার সকল যুবক মিলে বহুদিন ধরে তৈরি করে। দেবীর সামনে ইক্ষু, কলা ও কুস্মান্ড বলি দেওয়া হয়। এ ছাড়াও যতক্ষণ পুজো চলে ততক্ষণ (প্রায় ১৫-১৬ ঘণ্টা) দেবীর হোমকুন্ডে হোম সম্পাদিত হয়। এখানে দেবীর ভোগে খিচুড়ি, চচ্চরি, পুষ্পান্ন, পরমান্ন, বিভিন্ন ভাজা, চাটনী, মিষ্টি ইত্যাদি দেওয়া হয়। এক দিনে তিন পুজোয় তিনবার ভোগ নিবেদন করা হয়। এ ছাড়াও দেবীর চন্ডীপাঠ অনুষ্ঠান হয়। বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে নিজস্ব মনোবাঞ্ছা পুরোনের আশায়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এখানে দেবী জগদ্ধাত্রীকে মানুষ বড়মা বলে ডেকে থাকে। এই দেবীর অনুরূপ আরও একটি জগদ্ধাত্রী মায়ের মূর্তি আছে, তিনি শান্তিপূর সূত্রাগড় অঞ্চলের ছোটমা নামে খ্যাত। প্রতি বছর ছোটমা নিরঞ্জনের পূর্বে বড়মা-কে দেখতে আসেন। একাদশী তিথিতে দেবীর নিরঞ্জন হয়। আগে মুর্শিদাবাদ থেকে বেয়ারারা কাঁধে করে নিরঞ্জন করত। কিন্তু এখন তা আর সম্ভব হয় না। এখন ট্রাকটরে করে নিয়ে গিয়ে বির্সজন হয়। এই পীরের হাট অঞ্চলের মধ্যে একটি প্রকান্ড তেঁতুল গাছ আছে। রীতি অনুযায়ী নিরঞ্জনের পূর্বে দেবীকে মন্দির থেকে বার করে ওই তেঁতুল তলায় বিশ্রাম দেওয়া হয়। পরে বাজনা, আলোর রোশনাই সহযোগে দেবীর নিরঞ্জন সম্পূর্ণ হয়।

মৈনাক দেবনাথ