Tag Archives: jewellery

West Medinipur News: সবাই ঘুমিয়ে পড়লে এটাই করেন শিক্ষিকা, চলে রাত পর্যন্ত…, জানলে অবাক হবেন আপনিও

পশ্চিম মেদিনীপুর: তিনি একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষিকা। প্রতিদিন সকাল থেকে বাড়ির বিভিন্ন কাজ সামলে তাকে যাতায়াত করতে হয় প্রায় ৭২ কিলোমিটার। বিদ্যালয় থেকে ফিরে বাড়ির কাজ এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার পর অবসরে রাত্রিতে চলে তার হাতের কাজ। ছোটবেলায় প্রাথমিক অঙ্কন শিক্ষাও নিয়েছেন। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে বিভিন্ন সময় হাতের বিভিন্ন কাজও করতে হয়েছে। তবে বর্তমানে ক্লে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ডমেড জুয়েলারি বানাচ্ছেন এই শিক্ষিকা। শুধু তাই নয়, আসন্ন রাখি বন্ধন উৎসবকে সামনে রেখে তিনি তৈরি করছেন রাখিও। যে রাখি বেশ কয়েক বছর ধরে নষ্ট হবে না।

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির বাসিন্দা অনিন্দিতা চক্রবর্তী ষড়ঙ্গী। ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের নাগরিপাদা এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা তিনি। নাচ এবং আবৃত্তি তার অন্তরের আত্মা। কিন্তু নিতান্তই সখের বসে তিনি শুরু করেছেন ক্লে দিয়ে জুয়েলারি বানানোর কাজ। শুধু তাই নয় অবসর সময়ে হাতে তৈরি এই জুয়েলারি বিক্রি করে মাসিক লাভ জুটছে শিক্ষিকার। করোনার সময় থেকে বিভিন্ন ভিডিও দেখে শিখেছেন জুয়েলারি তৈরি। গত চার মাস থেকে শুরু করেছেন ক্লে জুয়েলারি বানানোর কাজ। শুধু তাই নয় তিনি অন্যান্য জুয়েলারিও তৈরি করতে পারেন।

আরও পড়ুন-    ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

সামান্য খরচে এবং সামান্য কাঁচামাল দিয়েই এই জুয়েলারি বানাচ্ছেন তিনি। তবে গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার ভাবনা। আগামীতে তিনি জঙ্গলমহলের প্রান্তিক গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এই হ্যান্ডমেড জুয়েলারি তৈরির প্রশিক্ষণ দেবেন বলে চিন্তাভাবনা করছেন। প্রসঙ্গত ছোট থেকেই নাচের প্রতি ভালোবাসা তার। দুর্ঘটনায় একটি পায়ে আঘাত লাগলেও এখনও তিনি সময় করে নাচের অনুশীলন করেন। দুর্দান্ত আবৃত্তিও করতে পারেন। শুধু তাই নয় বাড়িতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাত পর্যন্ত চলে তার জুয়েলারি তৈরির কাজ।

আরও পড়ুন-     মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

প্রসঙ্গত, এই রেজিন ক্লে বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত নষ্ট হয় না। তার হাতে তৈরি গয়নার দাম রয়েছে ১০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়াও পছন্দের মত বানিয়ে দিচ্ছেন তিনি। রয়েছে বাচ্চাদের জন্য পেন্ডেন্ট, গয়নাও। তবে শিক্ষিকার অবসর যাপন এবং গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করার এই বিশেষ ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ

West Medinipur News: স্বনির্ভর হওয়ার উদ্যোগ, দুই কন্যাশ্রীর ভাবনাচিন্তা অবাক করবে

পশ্চিম মেদিনীপুর: যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলে যাচ্ছে মানুষের চাহিদা। এক সময় মানুষের সোনার গয়না পরার চাহিদা থাকলেও বর্তমানে জামা কিংবা শাড়ির ম্যাচিং এ গয়না পরার প্রবণতা বাড়ছে। বাড়ছে হ্যান্ডমেড জুয়েলারি তৈরির পরিমাণ। জাঙ্ক জুয়েলারি পাশাপাশি কাপড়, কাগজ, ক্লে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গয়না বানিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার দিশা দেখাচ্ছে দুই কন্যাশ্রী। শুধু পড়াশোনা নয়, পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে দুই কলেজ ছাত্রীর বিশেষ ভাবনা। গয়না বানিয়ে বিক্রি করে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছে এই দুই পড়ুয়া।

আরও পড়ুনঃ রাতের রাস্তা দখলে রাজপথে নামছে রাজ্যের মেয়েরা! নিরাপত্তায় তৈরি থাকছে পুলিশ

১৪ অগাস্ট কন্যাশ্রী দিবস। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মেয়েদের পড়াশোনা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে এগিয়ে দিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে নিজেদের স্বাবলম্বী করতে এগিয়ে এসেছে নিজেরাই। মানুষের পছন্দমত গয়না বানিয়ে অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমে বিক্রি করে পড়াশোনার পাশাপাশি মাসিক বেশ লাভ মিলছে তাদের। অন্যান্য যুব প্রজন্মকে দিচ্ছে স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা। দুই কন্যাশ্রীর স্বাবলম্বী হওয়ার এই চিন্তা ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা বেলদা কলেজের দুই ছাত্রী ভাস্বতী সাহু এবং অনিভা সেন।কলেজ, টিউশন সামলে অবসরে দুই বন্ধু সুতো, কাপড়, পুঁতি, জরি, কাচ দিয়ে বানাচ্ছে গলার হার, কানের দুল, চুড়িও। অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি করছে এই সব হাতে বানানো গয়না। পাশাপশি অফলাইনে বিক্রি হচ্ছে বেশ। প্রসঙ্গত বর্তমান দিনে বাড়ছে হ্যান্ডমেড জুয়েলারির চাহিদা। পাশাপাশি কিছু করবার ইচ্ছে নিয়ে এই দুই কলেজ ছাত্রী শুরু করে জুয়েলারি বানানো। প্রাথমিকভাবে নানান সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও দেখে শুরু হয় তাদের এই কাজ শুরু করে।তবে গ্রাহকদের চাহিদা মতই বানিয়ে দিচ্ছে গয়নাগুলো। তবে সবই চলে তাদের পড়ার অবসরে।

শুধু তাই নয় জাঙ্ক জুয়েলারি বানানো এবং দৈনন্দিন ব্যবহৃত মহিলাদের হাত ব্যাগ তৈরি করছে তারা। নিত্য নতুন বিভিন্ন ডিজাইনে ফুটিয়ে তুলছে ব্যাগ গুলিকে।স্বাভাবিকভাবে অল্প বয়সে পড়াশোনা বন্ধ করা কিংবা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার সামলানো নয়, পড়াশোনার পাশাপাশি দুই কলেজ ছাত্রীর এই ভাবনাচিন্তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ