Tag Archives: West Midnapore

West Medinipur News: সুবর্ণরেখা নদীর পাড়ে মুহুর্মুহু বাজি বিস্ফোরণ! পুলিশ ও সিআইডির ভিড়, কী ঘটল!

পশ্চিম মেদিনীপুর: সুবর্ণরেখা নদীর পাড়ে মুহুর্মুহু বাজি বিস্ফোরণের শব্দ। উপস্থিত দমকল থেকে সিআইডি বম্ব স্কোয়াড। গলগল করে বেরচ্ছে ধোঁয়া। নেভাতে তৎপর দমকল কর্মীরা। হঠাৎই নদীর পাড়ে এমন ঘটনায় স্তম্ভিত সকলে। দুপুর গড়াতে কী এমন ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল অধ্যুষিত প্রত্যন্ত ব্লক কেশিয়াড়িতে?

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের এক প্রান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে শান্ত সুবর্ণরেখা নদী। পুজোর এই মরশুমে চারিদিকে সাদা কাশফুলে ছেয়ে গিয়েছে। এর মাঝেই হঠাৎই বাজি পটকা বিস্ফোরণের শব্দ। পাশেই রয়েছে পুলিশ, দমকল এবং সিআইডি বম্ব স্কোয়াড। তৎপরতার সঙ্গে নেভানো হচ্ছে বিস্ফোরিত বাজি পটকা। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় হতবাক সকলে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, বিভিন্ন সময়ে কেশিয়াড়ির বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ বাজি নিষ্ক্রিয় করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর এই নিষ্ক্রিয়করণের কাজ পুলিশের। প্রসঙ্গত বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানের আগে, বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন নিষিদ্ধ শব্দবাজি ও বাজি উদ্ধার করেছিল কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ। তবে সেই বাজি মঙ্গলবার দুপুর গড়াতে সুবর্ণরেখা নদীর পাড়ে সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে নিষ্ক্রিয় করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর সময় এবং অন্যান্য সময়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রায় ৩০ কেজি বেআইনি বাজে উদ্ধার করেছিল তারা। তার মধ্যে ছিল শব্দ ও আতশবাজি।

আরও পড়ুন: কান্দি মহকুমা হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু! উত্তেজনা হাসপাতালে, নার্সদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

আদালতের অনুমোদন পাওয়ার পর বম্ব স্কোয়াডের সহযোগিতায় দমকল বিভাগের সাহায্য নিয়ে ফাঁকা জায়গায় অর্থাৎ সুবর্ণরেখা নদীর পাড়ে মাটি খুঁড়ে পদ্ধতি মেনেই এই বাজি নিষ্ক্রিয় করার কাজ চালানো হয়। কয়েক ঘন্টা ধরে চলে নিষ্ক্রিয়করণ এর কাজ। স্বাভাবিকভাবে এমন ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান সাধারণ মানুষ। নদীর পাড়ে দমকল সিআইডি এবং পুলিশের আনাগোনা, অন্যদিকে বিস্ফোরণ ও ধোঁয়া দেখতে পাওয়ায় বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। তবে বছরভর এটি রুটিন কাজ বলে দাবি পুলিশের।

রঞ্জন চন্দ

West Medinipur News: সবাই ঘুমিয়ে পড়লে এটাই করেন শিক্ষিকা, চলে রাত পর্যন্ত…, জানলে অবাক হবেন আপনিও

পশ্চিম মেদিনীপুর: তিনি একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষিকা। প্রতিদিন সকাল থেকে বাড়ির বিভিন্ন কাজ সামলে তাকে যাতায়াত করতে হয় প্রায় ৭২ কিলোমিটার। বিদ্যালয় থেকে ফিরে বাড়ির কাজ এবং ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার পর অবসরে রাত্রিতে চলে তার হাতের কাজ। ছোটবেলায় প্রাথমিক অঙ্কন শিক্ষাও নিয়েছেন। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে বিভিন্ন সময় হাতের বিভিন্ন কাজও করতে হয়েছে। তবে বর্তমানে ক্লে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ডমেড জুয়েলারি বানাচ্ছেন এই শিক্ষিকা। শুধু তাই নয়, আসন্ন রাখি বন্ধন উৎসবকে সামনে রেখে তিনি তৈরি করছেন রাখিও। যে রাখি বেশ কয়েক বছর ধরে নষ্ট হবে না।

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির বাসিন্দা অনিন্দিতা চক্রবর্তী ষড়ঙ্গী। ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের নাগরিপাদা এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষিকা তিনি। নাচ এবং আবৃত্তি তার অন্তরের আত্মা। কিন্তু নিতান্তই সখের বসে তিনি শুরু করেছেন ক্লে দিয়ে জুয়েলারি বানানোর কাজ। শুধু তাই নয় অবসর সময়ে হাতে তৈরি এই জুয়েলারি বিক্রি করে মাসিক লাভ জুটছে শিক্ষিকার। করোনার সময় থেকে বিভিন্ন ভিডিও দেখে শিখেছেন জুয়েলারি তৈরি। গত চার মাস থেকে শুরু করেছেন ক্লে জুয়েলারি বানানোর কাজ। শুধু তাই নয় তিনি অন্যান্য জুয়েলারিও তৈরি করতে পারেন।

আরও পড়ুন-    ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

সামান্য খরচে এবং সামান্য কাঁচামাল দিয়েই এই জুয়েলারি বানাচ্ছেন তিনি। তবে গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার ভাবনা। আগামীতে তিনি জঙ্গলমহলের প্রান্তিক গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এই হ্যান্ডমেড জুয়েলারি তৈরির প্রশিক্ষণ দেবেন বলে চিন্তাভাবনা করছেন। প্রসঙ্গত ছোট থেকেই নাচের প্রতি ভালোবাসা তার। দুর্ঘটনায় একটি পায়ে আঘাত লাগলেও এখনও তিনি সময় করে নাচের অনুশীলন করেন। দুর্দান্ত আবৃত্তিও করতে পারেন। শুধু তাই নয় বাড়িতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাত পর্যন্ত চলে তার জুয়েলারি তৈরির কাজ।

আরও পড়ুন-     মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

প্রসঙ্গত, এই রেজিন ক্লে বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত নষ্ট হয় না। তার হাতে তৈরি গয়নার দাম রয়েছে ১০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়াও পছন্দের মত বানিয়ে দিচ্ছেন তিনি। রয়েছে বাচ্চাদের জন্য পেন্ডেন্ট, গয়নাও। তবে শিক্ষিকার অবসর যাপন এবং গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করার এই বিশেষ ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ

Independence Day 2024: পেশায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক, তাও দেশকে স্বাধীন করার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন আন্দোলনে, কে জানেন?

পশ্চিম মেদিনীপুর: তখন পরাধীন ভারতবর্ষ। অবিভক্ত মেদিনীপুরে জন্ম তাঁর। দেশকে স্বাধীন করতে এগিয়ে এসেছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধে। ঘরের লোক জানতেনই না তাঁর বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের কথা। স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়ে দু’বার হাজতবাসও হয়েছে। পেশাগতভাবে আয়ুর্বেদ চিকিৎসক হলেও দেশকে বাঁচানোর জন্য তিনি নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।

পূর্ব মেদিনীপুরে জন্ম হলেও তিনি জেলবন্দি অবস্থা কাটার পর চলে আসেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকার দাঁতনে। সেখানে ইংরেজ হটাতে স্বাধীনতা আন্দোলনের পাশাপাশি আর্ত-পীড়িত মানুষদের সেবা করতেন। মানুষের আপদে বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। মহামারী হোক কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে, সাহায্য করতে এগিয়ে যেতেন তিনি। দাঁতনে কংগ্রেসের দল প্রতিষ্ঠা লগ্নে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: কখনও খেয়েছেন মালাই পনির স্যান্ডউইচ? জেনে নিন কীভাবে তৈরি হয় এই বিশেষ স্যান্ডউইচ

ইতিহাস ঘাঁটলে সীমানা বাংলা এলাকায় যে কজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম প্রসন্নকুমার গিরি। যার জন্মের সাল পাওয়া না গেলেও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তার জন্ম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নস্করপুর গ্রামে। তৎকালীন পরাধীন ভারতবর্ষে তিনি আয়ুর্বেদ নিয়ে পড়াশোনা করেন। হয়েছিলেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক। তবে তখনই তিনি জড়িয়ে পড়েন স্বাধীনতা আন্দোলনে। স্বাধীনতা আন্দোলনে থাকার কারণে কারাবাস হয় তার। জেলবন্দী অবস্থায় পরিচয় হয় অপর স্বাধীনতা সংগ্রামী চারুচন্দ্র মহান্তির সঙ্গে। এরপর তিনি চলে আসেন দাঁতনে।

দাঁতনে এসে প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় মানুষদের সেবা শুশ্রূষার পাশাপাশি কংগ্রেসকে ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কয়েকজন মিলে দাঁতনে কংগ্রেস দল প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়ে দু’বার জেল খেটেছেন। দাঁতনে তৃণমূল স্তরে কংগ্রেস সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তিনি ১৯২১ সালে দাঁতন থানার কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক হন। তিনি ১৯৪৩ সালে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার সময় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং বিনামূল্যে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে সক্রিয় ভূমিকা নেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সক্রিয় রাজনীতিও করেছেন।

স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান দাঁতন লাইব্রেরি গড়ে তোলার পিছনে বেশ ভূমিকা ছিল তাঁর। ভারত স্বাধীন হওয়ার পরে স্বাধীনতা সংগ্রামীর মর্যাদাও পেয়েছিলেন। এখনও তাঁর বাড়িতে তাঁর উত্তর পুরুষেরা বিভিন্ন ধরনের দরকারি কাগজপত্র, বিপ্লবী প্রসন্ন গিরির বিভিন্ন ইতিহাসকে গুছিয়ে রেখেছেন। তবে স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।

রঞ্জন চন্দ

রেলওয়ে ট্র্যাকে বসে পড়ুয়ারা, বাংলা ওড়িশা সীমান্তে ধুন্ধুমার, কী এমন ঘটল?

পশ্চিম মেদিনীপুর: করোনার পর থেকে দাঁতন স্টেশনে দাঁড়ায় না আপ কিংবা ডাউন জগন্নাথ এক্সপ্রেস। জগন্নাথ এক্সপ্রেস স্টপেজ চেয়ে বারবার রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। একাধিকবার ডেপুটেশনও দেওয়া হয়েছে। এবার দাবি না মানায়, ট্রেন অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থিত দাঁতন ভট্টর কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা।

শনিবার বেলা ১১ টা নাগাদ রেল ট্রাকে বসে বিক্ষোভ দেখায় তারা। দাঁতন কলেজ থেকে মিছিল করে গিয়ে দাঁতন স্টেশনে রেলওয়ে ট্র্যাকে বসে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র-ছাত্রীরা। হাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পতাকা এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন- RG Kar Hospital: রামপুরহাট হাসপাতালে আউটডোর বন্ধ, বিপাকে রোগীরা

ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভের কারণে সামান্য কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে যেতে হয় দূরপাল্লার একটি ট্রেনকে। প্রায় আধ ঘণ্টা পর রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়।

প্রসঙ্গত, রাতে দাঁতন রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে পাস হয় জগন্নাথ এক্সপ্রেস। অন্যদিকে ভোরে হাওড়া অভিমুখে যায় এই ট্রেনটি। তবে দাঁতনবাসীর পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি ছিল এই ট্রেনটি স্টপেজ দিতে হবে দাঁতন স্টেশনে।

করোনা পূর্ববর্তী সময়ে দাঁতন স্টেশনে দাঁড়াতজগন্নাথ এক্সপ্রেস। তবে পুনরায় সেই ট্রেনের স্টপেজচেয়ে পূর্ব নির্ধারিত অবরোধ কর্মসূচি। প্রায় আধ ঘন্টার বেশি সময় অবরোধের কারণে রেল চলাচল সাময়িক বিঘ্নিত হয়।

আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে তুমুল বৃষ্টি! এক নাগাড়ে বজ্রপাতে ফালাফালা আকাশ, ভাসবে দক্ষিণের ৬ জেলা

পরে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের। সোমবার, রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। তবে দাবি না মানা হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

রঞ্জন চন্দ

West Medinipur News: ক্ষেতে ফলন-খাতায় কবিতা, প্রান্তিক জেলার বি.এড পাশ কৃষক বুঁদ সাহিত্যচর্চায়, জানুন জীবনকাহিনি

পশ্চিম মেদিনীপুর: সামান্য চেহারার মানুষ তিনি। বয়সও ৬৫ পেরিয়েছে। চাষাবাদের পাশাপাশি সমানতালে চলে সংস্কৃতি চর্চা। কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প লেখায় কলম থামে না। গ্রামীণ এলাকার নানা সংস্কৃতি-ইতিহাস চর্চা করেন তিনি। প্রান্তিক জেলায় থেকে পৈতৃক জমিতে চাষাবাদ করে সংসার চালান। তবে পরিচিতি তাঁর কলমের জন্যই।

তৎকালীন সময়ে স্নাতক পাশ করেছেন, করেছেন বি.এডও। তবে পারিবারিক একফসলি জমিতে চাষাবাদ করা, পুকুর রক্ষণাবেক্ষণ করার কারণে চাকরির জন্য আবেদনও করেননি। তাই জীবন কাটছে সাদামাটাভাবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রান্তিক এই মানুষের কৃতিত্ব জানলে চমকে যাবেন।

জেলার বাংলা-ওড়িশা সীমানা এলাকা, দাঁতন থানার জামুয়াপতি এলাকার বাসিন্দা অতনু নন্দন মাইতি। বরাবরই তিনি সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ত। তেমন আড়ম্বর নেই জীবনযাত্রায়। পাঞ্জাবি-পাজামা আর কাঁধে ঝোলানো একটি ব্যাগ, এমনই দেখে অভ্যস্ত সকলে। তবে তাঁর গুণ চমকে দিয়েছে সকলকে।

স্কুলজীবন থেকে লেখালেখি শুরু। স্কুলে প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ এবং কবিতা থেকেই ঝোঁক শুরু। এরপর তিনি কলকাতা-সহ বিভিন্ন পত্রিকায় নানাবিধ লেখা লিখেছেন। দৈনিক এক সংবাদপত্রেও তিনি নিয়মিত নানা প্রবন্ধ ও বিষয়ের উপর লেখালেখি করতেন। এরপর প্রায় ২০ বছর আগেই তিনি একটি পাক্ষিক সংবাদ ও সংস্কৃতি চর্চার পত্রিকা প্রকাশ করছেন। নিজের সম্পাদনাতেই তিনি স্থানীয় ইতিহাস. সংবাদ তাতে তুলে ধরেন। শুধু তা-ই নয় তিনি লোকায়ত সংস্কৃতি, নানা ইতিহাস, গ্রামীণ নানা রীতি নিয়ে লিখেছেন বইও।

আরও পড়ুন: রোজ খাবার পরে পানের নেশা? ভরা পেটে পানপাতা চিবোচ্ছেন? আপনার শরীরে কী ঘটছে জানেন

প্রসঙ্গত বাবা চাকরি করতেন। বাড়িতে তেমন লেখালেখির চল ছিল না। তবে স্কুলজীবন থেকেই লেখালেখি শুরু। এরপর সেই ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন তিনি। এখনও তাঁর কাছে বহু মানুষ আসেন নানা গ্রামীণ সংস্কৃতি, শিল্প এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানতে। দিব্যি চাষাবাদ করে এভাবে সংস্কৃতি চর্চায় ডুবে অতনু। বহুবার বহু সাহিত্যিক, বিশিষ্টজনদের তিনি চিঠি লিখেছেন, পেয়েছেন চিঠির উত্তরও। তবে সাদামাটা জীবনই যেন বেশি ভাল লাগে তাঁর।

এভাবেই পাজামা-পাঞ্জাবী পড়ে সেই পুরনো সাইকেল নিয়েই তিনি সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েন। চাষাবাদের পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা, লেখালেখিতে কাটে সারাদিন। প্রান্তিক জেলায় থেকেই তাঁর এই চর্চাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলের।

রঞ্জন চন্দ

Old Temple: মিষ্টি ভোগ, পায়েসের সঙ্গে প্রতিদিন অন্নভোগ, ৫০০ বছরের প্রাচীন মহাপ্রভুর এই মন্দিরে অগণিত ভক্ত সমাগম

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: বাংলার অলিগলিতে রয়েছে নানা ইতিহাস। প্রাচীন মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে অগাধ কিংবদন্তি। ওড়িশা রীতির বিভিন্ন মন্দির দেখতে পাওয়া যায় বাংলা ওড়িশা সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গায়। ওড়িশা সীমান্ত থেকে খুব কাছেই রয়েছে দাঁতনের কাকরাজিত মন্দির। মন্দিরের কারুকার্য এবং প্রাচীন ইতিহাসের নানা নিদর্শন মন কাড়বে আপনার। এছাড়াও নানা মনস্কামনা নিয়ে বহু ভক্ত প্রতিদিন আসেন মন্দিরে। মন্দিরের নিত্যপুজো ছাড়াও প্রতিদিন মহাপ্রসাদ তৈরি হয়।

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার কাকরাজিত গ্রামে রয়েছে সুপ্রাচীন এক মন্দির। মন্দিরে বিরাজমান মহাপ্রভু। বিশাল মন্দিরে প্রতিটি ইটে লেগে আছে ইতিহাস। শুধু তাই নয়, মন্দিরে এলে প্রশান্তি মিলবে। জেলা ছাড়িয়ে পূর্ব মেদিনীপুর এমনকি ওড়িশা রাজ্য থেকেও বহু মানুষ আসে এই মন্দিরে। বছরে নির্দিষ্ট সময় হয় বড় পুজো। মন্দিরটি প্রত্নতাত্ত্বিক দিক দিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পুরনো দিনের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে মন্দিরটি বেশ প্রাচীন। পাশে পুকুর থেকে মিলেছে একাধিক প্রত্ন নিদর্শন। তবে নতুনভাবে কারুকার্য করে তৈরি করা হয়েছে এই মন্দির।

আরও পড়ুন : আসছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি! আগামী ২-৩ ঘণ্টায় ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাগুলি! জানুন কলকাতায় কবে ঢুকছে স্বস্তির বর্ষা

তবে বিভিন্ন মনস্কামনা নিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ আসেন এখানে। মিষ্টি ভোগ, পায়েস নিবেদনের পাশাপাশি প্রতিদিন অন্নভোগ নিবেদন করা হয় মহাপ্রভুকে। জানা যায় প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন এই মন্দির। ছোট্ট একটি মন্দিরে মহাপ্রভু আগে বিরাজ করলেও বর্তমানে সুবিশাল মন্দির হয়েছে এখানে। প্রতিদিন শতাধিক মানুষের ভিড় থাকে। শুধু তাই নয়, এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে রয়েছে নানান ইতিহাসের কথাও। বলা হয়, চৈতন্যদেব সুবর্ণরেখার পথ ধরে নীলাচলে যাওয়ার সময় এই গ্রামেই নাকি বিশ্রাম করেছিলেন।

Septuagenarian Numismatist: এই ‘নেশা’য় মজে মন, সত্তরোর্দ্ধ বৃদ্ধের শখ শৌখিনতা জানলে অবাক হবেন

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রতিটা মানুষের শখ ভিন্ন ধরনের। শখের কাছে বয়স নিমিত্ত মাত্র। ছোট থেকেই তিনি সংগ্রহ করেছেন একাধিক মুদ্রা। বয়স এক এক করে প্রায় ৭০ পেরিয়েছে। তবে মনেপ্রাণে তিনি যেন যুবক। ছোট থেকে শখ থাকায় তার সংগ্রহে রয়েছে একাধিক পুরানো দিনের কয়েন। রয়েছে বর্তমান সময়ে ব্যবহৃত ৫ টাকা, ১০ টাকার কয়েনও। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রান্তিক এক গ্রামে এই ব্যক্তির ইচ্ছে শুনলে অবাক হবেন।

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার জেনকাপুরের বাসিন্দা সুশীল কুমার কর মহাপাত্র, ওরফে মন্টু বাবু। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পেশাগত জীবন থেকে অবসর নিলেও এখনও বিনামূল্যে চিকিৎসা করেন প্রান্তিক এলাকার সাধারণ মানুষের। তবে চিকিৎসার পাশাপাশি তার শখ আর পাঁচজনের থেকে আলাদা। প্রান্তিক এলাকায় থেকেও বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন কয়েন সংগ্রহে রেখেছেন তিনি। যা বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি ইতিহাস।

আরও পড়ুন : যতই গরম পড়ুক কোনও মতেই তরমুজ দাঁতে কাটবেন না এঁরা! জানুন কারা তরমুজ খেলেই বড় বিপদ! চরম সর্বনাশ

সুশীলবাবুর কাছে রয়েছে, শতাধিক বছরের পুরনো ব্যবহৃত তামার মুদ্রা, রয়েছে পাই, সিকি, এক পয়সা, দু পয়সা, পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা কুড়ি পয়সার কয়েন। ছোট থেকে তাঁর এই কয়েন সংগ্রহের নেশা। ছোটবেলায় বাড়িতে থাকা কয়েন কিংবা বিভিন্ন সময়ে ব্যবহৃত কয়েন তিনি তার সংগ্রহে রেখেছেন। শুধু তাই নয়, করোনার সময় ঘরবন্দি অবস্থায় বাড়ে সংগ্রহের নেশাও। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিশেষ দিনে এবং মনীষীদের ছবি দিয়ে প্রকাশিত পাঁচ টাকার কয়েন তিনি সংগ্রহ করেছেন। বিশেষ দিনে বা বিশেষ ব্যক্তিকে স্মরণ করে প্রকাশিত প্রায় পঞ্চাশ ধরনের ৫ টাকার কয়েন রয়েছে তাঁর সংগ্রহে।

বয়স তাঁর ৭০ পেরিয়েছে। বয়সের ছাপ চোখেমুখে পড়লেও মনে প্রাণে যেন তিনি যুবক। এখনও চালিয়ে রেখেছেন চিকিৎসা। বর্তমানে তিনি রামকৃষ্ণ, মা সারদা ও স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে চর্চা করেন। তবে শখ ও কৌতূহলবশত তিনি সংগ্রহ করেন বিভিন্ন পুরানো মুদ্রাও। তাঁর সংগ্রহে থাকা বেশ কয়েকশো ভারতীয় মুদ্রা যা বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি ইতিহাস। বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে, ছাত্র-ছাত্রীদের দেখিয়ে ধারণা দেন। প্রান্তিক এলাকায় এই ব্যক্তির শখকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে।

Job Alert: মোটা বেতনের চাকরি খুঁজছেন? গবেষণা সংক্রান্ত কাজের সুযোগ IIT-তে, আজই আবেদন করুন

পশ্চিম মেদিনীপুর: চাকরি খুঁজছেন? মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরির সুযোগ দিচ্ছে ভারতের প্রযুক্তি বিদ্যার অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান আইআইটি খড়গপুর। বিশেষ এক গবেষণা প্রকল্পে কাজের সুযোগ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে। এখনই আবেদন করুন। ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি), খড়্গপুরে রয়েছে গবেষণা সংক্রান্ত কাজের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে।

আপনার কি কম্পিউটার সায়েন্স কিংবা সমতুল্য কোনও বিষয়ের উপর ডিগ্রী রয়েছে? তবে অস্থায়ী ভিত্তিতে এই বিশেষ প্রকল্পে কাজের জন্য আবেদন জানাতে পারেন। আইআইটি খড়্গপুরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সিনিয়র রিসার্চ ফেলো (এসআরএফ) নেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানের তরফে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে গবেষণা প্রকল্পে কাজ করতে হবে। ‘সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ বোর্ড’ প্রকল্পটি স্পনসর করছে। ৩০ মাসের জন্য থাকবে কাজের মেয়াদ। যদিও প্রয়োজন অনুযায়ী মেয়াদ বাড়তে পারে। প্রতি মাসে ৪২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই বিশেষ প্রকল্পে কাজে আবেদনের জন্য যে কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অথবা সমতুল্য কোনও বিষয়ে ব্যাচেলর অফ টেকনোলজি ডিগ্রি থাকতে হবে। পাশাপাশি, গ্র্যাজুয়েট অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট/ ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট উত্তীর্ণ হওয়া প্রয়োজন। প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছরের মধ্যে থাকা দরকার। গবেষণা সংক্রান্ত কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ১২ এপ্রিল আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। বাকি প্রয়োজনীয় যোগ্যতা জানতে মূল বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে পারেন।

প্রার্থীকে প্রথমে আইআইটি খড়্গপুরের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ‘হোমপেজ’ থেকে ‘জবস’-এ যেতে হবে। সেখান থেকে যেতে হবে ‘টেম্পোরারি পজিশন’-এ। সেখানে গেলে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিটি দেখা যাবে। সরাসরি ওই বিজ্ঞপ্তি থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

রঞ্জন চন্দ

৫ পিস চিকেন পকোড়া মিলছে মাত্র ২০ টাকায়, জেনে নিন কোথায়

খেতে সকলেই কমবেশি পছন্দ করেন। তাও যদি হয় সুস্বাদু স্ট্রিট ফুড, তবে তো আর কোনও কথাই নেই। আর সেই দাম যদি সাধ্যের মধ্যে হয়, তবে হয়ত ডেইলি আসতে হবে এই দোকানে। বিভিন্ন দোকানে কিংবা রেস্টুরেন্টে গিয়ে এক প্লেট চিকেন পকোড়া খেতে গাঁটের কড়ি বেশ খরচ হয়