ভাস্বতী সাহু ও অনিভা সেন

West Medinipur News: স্বনির্ভর হওয়ার উদ্যোগ, দুই কন্যাশ্রীর ভাবনাচিন্তা অবাক করবে

পশ্চিম মেদিনীপুর: যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলে যাচ্ছে মানুষের চাহিদা। এক সময় মানুষের সোনার গয়না পরার চাহিদা থাকলেও বর্তমানে জামা কিংবা শাড়ির ম্যাচিং এ গয়না পরার প্রবণতা বাড়ছে। বাড়ছে হ্যান্ডমেড জুয়েলারি তৈরির পরিমাণ। জাঙ্ক জুয়েলারি পাশাপাশি কাপড়, কাগজ, ক্লে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গয়না বানিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার দিশা দেখাচ্ছে দুই কন্যাশ্রী। শুধু পড়াশোনা নয়, পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে দুই কলেজ ছাত্রীর বিশেষ ভাবনা। গয়না বানিয়ে বিক্রি করে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছে এই দুই পড়ুয়া।

আরও পড়ুনঃ রাতের রাস্তা দখলে রাজপথে নামছে রাজ্যের মেয়েরা! নিরাপত্তায় তৈরি থাকছে পুলিশ

১৪ অগাস্ট কন্যাশ্রী দিবস। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মেয়েদের পড়াশোনা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে এগিয়ে দিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে নিজেদের স্বাবলম্বী করতে এগিয়ে এসেছে নিজেরাই। মানুষের পছন্দমত গয়না বানিয়ে অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমে বিক্রি করে পড়াশোনার পাশাপাশি মাসিক বেশ লাভ মিলছে তাদের। অন্যান্য যুব প্রজন্মকে দিচ্ছে স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা। দুই কন্যাশ্রীর স্বাবলম্বী হওয়ার এই চিন্তা ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা বেলদা কলেজের দুই ছাত্রী ভাস্বতী সাহু এবং অনিভা সেন।কলেজ, টিউশন সামলে অবসরে দুই বন্ধু সুতো, কাপড়, পুঁতি, জরি, কাচ দিয়ে বানাচ্ছে গলার হার, কানের দুল, চুড়িও। অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি করছে এই সব হাতে বানানো গয়না। পাশাপশি অফলাইনে বিক্রি হচ্ছে বেশ। প্রসঙ্গত বর্তমান দিনে বাড়ছে হ্যান্ডমেড জুয়েলারির চাহিদা। পাশাপাশি কিছু করবার ইচ্ছে নিয়ে এই দুই কলেজ ছাত্রী শুরু করে জুয়েলারি বানানো। প্রাথমিকভাবে নানান সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও দেখে শুরু হয় তাদের এই কাজ শুরু করে।তবে গ্রাহকদের চাহিদা মতই বানিয়ে দিচ্ছে গয়নাগুলো। তবে সবই চলে তাদের পড়ার অবসরে।

শুধু তাই নয় জাঙ্ক জুয়েলারি বানানো এবং দৈনন্দিন ব্যবহৃত মহিলাদের হাত ব্যাগ তৈরি করছে তারা। নিত্য নতুন বিভিন্ন ডিজাইনে ফুটিয়ে তুলছে ব্যাগ গুলিকে।স্বাভাবিকভাবে অল্প বয়সে পড়াশোনা বন্ধ করা কিংবা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার সামলানো নয়, পড়াশোনার পাশাপাশি দুই কলেজ ছাত্রীর এই ভাবনাচিন্তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ