Tag Archives: KIngs XI Punjab

সলমন খানের পুরনো ট্যুইট অনুপ্রেরণা, এ বার মিম ময়দানে যোগ দিলেন তারকা ক্রিকেটার

#আবুধাবি: ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের ১৫ তারিখে। মনে পড়ছে কি ওই দিন সম্মুখ সমরে দুবাইয়ের আবু ধাবির ময়দানে নেমেছিল প্রীতি জিন্টার কিংস ইলেভেন পঞ্জাব আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু?

সেই ম্যাচ পঞ্জাব জিতে নেওয়ার পরে ২০১৪ সালে করা সলমন খানের এক ট্যুইট দেখতে দেখতে ভাইরাল হয়ে যায়। যে ট্যুইটে জানতে চেয়েছিলেন বলিউডের দাবাং- জিন্টার টিম জিতেছে না কি!

কথা হল এই যে সে দিনের আগে পর্যন্ত তেমন কোনও জয়ের মুখ দেখেনি কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। চলতি বছরের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের খেলায় তাদের পারফর্ম্যান্স বেশ হতাশ করার মতোই। তাই ভক্তরা মজা শুরু করেন সলমনের ওই ট্যুইট নিয়ে।

সেই পর্ব পেরিয়ে এসে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকেও ছোট করে সলমনের এই ট্যুইটের একটা প্রত্যুত্তর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যা দেখা যাচ্ছে, ঘটনায় মজা যেন আর ফুরোতেই চাইছে না পঞ্জাবের। কেন না, সম্প্রতি এই মিম ময়দানে নেমেছেন দলের ওয়াসিম জাফর। তিনি একটা মিম মারফত ফের প্রত্যুত্তর দিয়েছেন সলমনকে।

উল্লেখ্য, এই সিজনে যে দু’টি ম্যাচ জিতেছে পঞ্জাব, দু’টিই বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে। এর আগের বার ৯৭ রানে জিতেছিল পঞ্জাব। তবে ১৫ তারিখের ম্যাচ অনেকটাই রোমাঞ্চকর ছিল। শেষ দুই ওভারে নয় রান দরকার ছিল। পঞ্জাবের হাতে তখন নয় উইকেট। কিন্তু চহাল ম্যাচটিকে শেষ বল পর্যন্ত নিয়ে যান। তবে কাল পঞ্জাবেরই দিন ছিল। শেষ বলে নিকোলাস পুরনের ছয় যেন সেকথাই বলে দিয়েছিল।

ওই দিন আবু ধাবির মাটিতে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। কিন্তু ওপেনারদের ব্যাট চলেনি গতকাল। দেবদূত পারিক্কল ও অ্যারন ফিঞ্চ দু’জনেই তাড়াতাড়ি মাঠ ছাড়েন। এর পর ম্যাচের হাল ধরেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৩৯ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। এর পর ডেভিলিয়ার্সের ব্যাটও চলেনি। জাদু দেখাতে পারেননি মিস্টার ৩৬০। শেষে ক্রিস মরিসের ৮ বলে ২৫ আর ইসুরু উডানার ৫ বলে ১০ রানের সুবাদে ১৭০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের দেওয়া ১৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই নিজেদের ইনিংস অনেকটা মজবুত করে ফেলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। পাওয়ার প্লে-তে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বোলারদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন অধিনায়ক-ওপেনার কে এল রাহুল ও ময়ঙ্ক আগরওয়াল। ২৫ বলে ৪৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান ময়ঙ্ক আগরওয়াল। এর পর ক্রিজে আসেন ইউনিভার্স বস ক্রিস গেইল। স্বমহিমায় না হলেও গেলের ৪৫ বলে ৫৩ রানের ইনিংস গুরুত্বপূর্ণ। ময়ঙ্ক ও গেইলের সঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ম্যাচ বের করে দেন কে এল রাহুল। তবে পঞ্জাবের লক্ষ্যপূরণ আটকাতে পারেনি কোহলি ব্রিগেড।

 

 

IPL 2020: মুজিবুর রহমানের DRS নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া, বিদ্রুপ ছাড়াল শালীনতার মাত্রা!

#কলকাতা: দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফের হারের মুখ দেখল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। নিকোলাস পুরন ৭৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেও বাকিরা খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ব্যাট হাতে ম্যাক্সওয়েলও ব্যর্থ হয়েছেন। এর মাঝে একটি আউটের সিদ্ধান্ত আর DRS নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ট্রোল শুরু হয়েছে। এই আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই মুজিবুর রহমানকে ঘিরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ছবি শেয়ার করা হয়েছে। অনেকের মতে, ম্যাচে পুরো বিষয়টি কী ছিল তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।

হায়দরাবাদ ও পঞ্জাব ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস। বড় রান তাড়া করতে নেমে ১৪ ওভারে ব্যাট করছেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের মুজিবুর রহমান। ও পারে বল হাতে খলিল আহমেদ। কিন্তু ব্যাটে বলে ঠিকঠাক যোগোযাগ হয়নি। বল ব্যাট ছুঁয়ে ততক্ষণে সোজা জনি বেয়ারস্টোর গ্লাভসে। এর পরই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। স্বভাবতই আউটের আবেদন করা হয় হায়দরাবাদের তরফে। নট আউট না আউট সেই বিভ্রান্তির মাঝেই থার্ড আম্পায়ারের শরণাপন্ন হন আর এক অন ফিল্ড আম্পায়ার। এ বার বাম্প বল কি না তা দেখার জন্য, সিদ্ধান্তকে একটু খতিয়ে দেখেন থার্ড আম্পায়ার। দেখা যায় বল মাটি ছোঁয়নি। তাই ফুটেজ দেখার পর আউট দেওয়া হয় মুজিবুরকে। তবে এই ফাঁকে আলাদা করে আর আল্ট্রা এজ চেক করেননি থার্ড আম্পায়ার। প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটতে শুরুই করেছিলেন মুজিবুর, তবে এ বার এক নতুন জটিলতা তৈরি হয়। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। নেওয়া হয় DRS রিভিউ। এ বার থার্ড আম্পায়ার আবার নতুন করে ফুটেজ দেখতে শুরু করেন। স্নিকোমিটারের সাহায্যে খতিয়ে দেখা হয় আলট্রা এজ। দেখা যায় মুজিবুরের ব্যাট ছুঁয়ে বেরিয়েছে বল। শেষমেশ আবার আউট দেওয়া হয়।

ইতিমধ্যেই এই আউটের ঘটনাটিকে নিয়ে ট্রোল করা শুরু করেছেন নেটিজেনরা। অনেকে সানি দেওলের বিখ্যাত ডায়ালগ তারিখ পে তারিখের সঙ্গে DRS পে DRS মিলিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। কেউ আবার নানা মিম ক্যারেক্টারের সঙ্গে এই DRS-এর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন।

তবে অনেকে অবশ্য এই মিম ও মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের কথা, প্রথমে থার্ড আম্পায়ার বাম্প বলের পরীক্ষা করেছেন। পরে ব্যাটে বলে সংযোগ হয়েছে কি না তা দেখার জন্য আলট্রা এজ চেক করা হয়। এর জেরে একটি সঠিক ও নিঁখুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কোনও ভুল নেই।

উল্লেখ্য, অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জেরেই গতকালের ম্যাচে জয় সুনিশ্চিত করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শুরুতেই ব্যাট করতে নেমে জনি বেয়ারস্টোর ৫৫ বলে ৯৭ রান ও ডেভিড ওয়ার্নারের ৪০ বলে ৫৫ রানের উপর ভর করে পঞ্জাবের সামনে ২০১ রানের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিতে সক্ষম হয় হায়দরাবাদ। পরে বল হাতে রশিদ খান একাই বিপক্ষকে ধরাশায়ী করেন। হাত খুলে খেলতে গিয়েও পঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা তাঁর ওভারে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। গতকাল নির্ধারিত চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন রশিদ। অন্য দিকে পঞ্জাবের হয়ে নিকোলাস পুরন লড়াইটা ভালো শুরু করলেও পরের দিকে পার্টনারশিপের অভাবে অসহায় হয় পড়েন। তাঁর ৩৭ বলে ৭৭ রানের দুরন্ত ইনিংসও দলকে রক্ষা করতে পারেনি।

MI vs KXIP: মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে টসে জিতে ফিল্ডিং নিল পঞ্জাব, জয়ে ফিরতে মরিয়া দু’ দলই

#আবুধাবি: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে টসে জিতে ফিল্ডিংয়েরই সিদ্ধান্ত নিল কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব৷ মূলত শিশিরের ভয়েই সব দল টসে জিতলেও পরে বোলিংয়ের ঝুঁকি নিচ্ছে না৷ আগের ম্যাচে হারের মুখ দেখার পর জয়ে ফিরতে মরিয়া দুই দলই৷

এবারের আইপিএল-এ দু’ দলই একটি করে ম্যাচ জিতেছে পঞ্জাব এবং মুম্বই৷ দু’ দলই ইতিমধ্যে সুপার ওভারে গিয়ে হারের মুখ দেখেছে৷ পঞ্জাব লিগ টেবিলে পাঁচ নম্বরে রয়েছে৷ অন্যদিকে মুম্বই রয়েছে ছ’ নম্বরে৷

আগের ম্যাচে ২২৩ রান করেও রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারতে হয়েছিল পঞ্জাবকে৷ অন্যদিকে সুপার ওভারে মুম্বইকে হারিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর৷ পঞ্জাবের সবথেকে বড় শক্তি কে  এল রাহুল এবং ময়াঙ্ক আগরওয়ালের ওপেনিং জুটি৷ আগের ম্যাচেই শতরান পেয়েছেন অধিনায়ক রাহুল৷ বোলিংয়ে মহম্মদ শামির মতো অভিজ্ঞ বোলার থাকলেও আগের ম্যাচে বড় রান করে হারতে হয়েছে পঞ্জাবকে৷ ফলে এ দিন লেগ স্পিনার মুরুগান অশ্বিনের বদলে দলে নেওয়া হয়েছে আর অফ স্পিনার কৃষ্ণাপ্পা গৌতমকে৷

অন্যদিকে মুম্বইয়ের হয়েও ভাল ছন্দে রয়েছেন রোহিত শর্মা, ঈষাণ কিষান, কায়রন পোলার্ডরা৷ বোলিংয়ে তাঁদের শক্তি ট্রেন্ট বোল্ট, যশপ্রীত বুমরাহ, রাহুল চহাররা৷ এই ম্যাচেও দল অপরিবর্তিতই রেখেছে মুম্বই৷ এ দিনের ম্যাচে আর ২ রান করলেই আইপিএল-এ পাঁচ রান করার নজির গড়বেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা৷

৫১ বছরেও এক হাতে অবিশ্বাস্য ক্যাচ! জন্টির ক্ষিপ্রতায় মুগ্ধ ক্রিকেটবিশ্ব

#দুবাই: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি ফিল্ডিংকে অন্য স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন৷ ৫১ বছর বয়সেও যে সেই ক্ষিপ্রতায় এতটুকু মরচে পড়েনি, তা প্রমাণ করে দিলেন জন্টি রোডস৷ আইপিএল-এ কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব কোচের দায়িত্বে রয়েছেন জন্টি৷ দলকে অনুশীলন করানোর ফাঁকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরেছেন তিনি৷ যে ভিডিও এখন ভাইরাল৷

কিংগস ইলেভেন পাঞ্জাবের পক্ষ থেকে যে ভিডিওটি ট্যুইট করা হয়েছে, তাতে জন্টিকে দু’ ক্যাচ ধরতে দেখা গিয়েছে৷ তার মধ্য প্রথমটি জন্টির পক্ষে তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই সহজ৷ কিন্তু দ্বিতীয় যে ক্যাচটি জন্টি এক হাতে ধরেছেন, তা ধরতে পারলে বিরাট কোহলি, স্টিভ স্মিথ বা জন্টির আইপিএল দলের অধিনায়ক কে এল রাহুলও মতো এই সময়ের তারকারাও হয়তো গর্বিত বোধ করতেন৷
স্বভাবতই এই ভিডিও ভাইরাল হতে সময় লাগেনি৷ শুধু ক্রিকেট অনুরাগীরাই নন, ৫১ বছর বয়সে জন্টির ফিটনেস দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা৷

দ্বিতীয় যে ক্যাচটি নিয়ে চর্চা চলছে, সেটির ক্ষেত্রে জন্টির শরীর থেকে বেশ কিছুটা দূরে বল ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল৷ প্রচণ্ড ক্ষিপ্রতায় নিজের ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রায় অসম্ভব ক্যাচটি তালুবন্দি করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন তারকা৷
জন্টি ছাড়াও এবারের আইপিএল-এ পাঞ্জাব দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে রয়েছেন অনিল কুম্বলে৷ ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব সামলাবেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার ওয়াসিম জাফর৷ অন্যদিকে বোলিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট৷

আইপিএল-এর ইতিহাসে এখনও সেভাবে সাফল্য পায়নি প্রীতি জিন্টার দল৷ ২০১৪ সালে একবারই ফাইনালে পৌঁছেছিল তাঁরা৷ যদিও রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় পাঞ্জাবকে৷ এ ছাড়া একবার মাত্র প্লে অফে পৌঁছেছে পাঞ্জাব৷ এবার কুম্বলে, জন্টির মতো কিংবদন্তিরা মিলে পাঞ্জাবকে সাফল্য এনে দিতে পারেন কি না, সেটাই দেখার৷