Tag Archives: Left Front

Lok Sabha 2024: নজরে কোচবিহার লোকসভা আসন! শক্তি বোঝাতে প্রস্তুত দুই শিবির

কোচবিহারঃ  কোচবিহারে জনগর্জন!’ মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সঙ্গে প্রচুর কর্মী সমর্থকদের পাশে নিয়ে বললেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। নিশীথ প্রামাণিককে উদ্দেশ্য করে বসুনিয়া বলেন, “কোচবিহারের জনগণ বিজেপির এই গুন্ডারাজের অবসান চান”। কোচবিহার লোকসভা এবার রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভোটের উত্তাপ প্রতিনিয়ত টের পাওয়া যাচ্ছে এখানে। কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া এবং জেলা নেতৃত্বের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রোড শো-এ ১৫ হাজারেরও বেশি দলীয় কর্মী উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের। এই কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে নিয়েই জেলাশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছন জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া এবং  আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য তাঁর মনোনয়ন জমা করেন।

আরও পড়ুনঃ মাত্র ১০ টাকা খরচ করে তৈরি হবে সুস্বাদু বিকেলের স্ন্যাকস! বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন

জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া যখন কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে রোড শো করছিলেন, সেই সময় তাঁর হয়ে প্রচার করেন এলাকার মহিলা কর্মীর। মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘‘এবার সত্যকে জয়যুক্ত করতে মসজিদ ও মন্দির দু’জায়গাতেই আমি প্রার্থনা করেছি, আশীর্বাদ চেয়েছি। তৃণমূল কংগ্রেস সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শে বিশ্বাসী। মদনমোহন মন্দিরে পৌঁছনোর আগে আমি আল্লাহ তালার কাছে প্রার্থনা করি যাতে মানুষ এবার উন্নয়নের পক্ষে রায় দেন।’’ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, ‘‘কোচবিহারের মানুষ এখানে বিজেপির গুন্ডারাজের অবসান চান। তাঁরা সেই শান্তি ও উন্নয়ন চান, বিদায়ী সাংসদ নিজেই যার অন্তরায়! কিন্তু, আজকের এই বিপুল জনসমাগম প্রমাণ করছে যে বিজেপির অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে মানুষ কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ! গত পাঁচবছর ধরে বিজেপি সাংসদের অস্ত্র ও গোলাবারুদের রাজনীতির বিরুদ্ধে এবার গর্জন তুলেছেন জনতা।’’

বিজেপি শিবির অবশ্য পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে। কোচবিহার লোকসভা আসন ২০১৯ সাল থেকেই রাজনৈতিকভাবে নজরে। ২০২১ সালেও একাধিক আসনে জোরদার লড়াই হয়। এবার লোকসভায় নজরে সেই কোচবিহার আসন৷

ISF Left front clash: বসিরহাট নিয়ে কাড়াকাড়ি, বামফ্রন্টে কাঁটা এখন আইএসএফ? কড়া আক্রমণ শরিক নেতার

কলকাতা: কিন্তু এবারে সেই আসনটি বামেদের কাছে চেয়ে বসেছে নওশাদ সিদ্দিকির দল।

আবার সিপিএমও এই আসলে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে প্রার্থী করতে চায় বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, সন্দেশখালি কাণ্ডে নিরাপদ সর্দারকে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকেই নিরাপদ সর্দারকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়ে ফেলেছে সিপিএম। যদিও এখনও পর্যন্ত এই আসনটি কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে নারাজ সিপিআই। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাজ্যের ১৬ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বামফ্রন্ট। বাকি আসনগুলি নিয়ে লাগাতার আলোচনা চললেও এখনও পর্যন্ত কোনো সমাধান সূত্র বেরোয়নি।

আরও পড়ুন: চোখের নিমেষে উধাও ২৮ লক্ষ, জলপাইগুড়ির ব্যাঙ্কে বিরাট চাঞ্চল্য! ঘটনাস্থলে পুলিশ

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তিনটি আসনে প্রার্থী দেয় সিপিআই। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ আসনটিতে দলের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি দুটি আসনের মধ্যে একটি বসিরহাট, আরেকটি ঘাটাল। আবার ঘাটাল আসনটি কংগ্রেসকে ছাড়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তিনটি আসনের মধ্যে দুটি আসন হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সিপিআই-এর। পরিবর্তে তাদের অন্য কোথাও আসন ছাড়া হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আইএসএফ সম্পর্কে নিজের অবস্থান জানাতে গিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, আইএসএফ একটা দলই না। গত কয়েক বছর এদের উত্থান হয়েছে। এটা একটা ‘মব’। অন্যান্য দল বা বামপন্থীদের মতো এদের কোনও সাংগঠনিক ধাঁচা নেই। এবং রাজনৈতিক পরিপক্কতারও যথেষ্ট অভাব আছে। সীমাহীন কোন দাবি নিয়ে বামফ্রন্টের মধ্যে অবস্থান করা সম্ভব নয়। আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই দীর্ঘ প্রায় ৪৭ বছর ধরে একসঙ্গে চলছে। তাদেরকে উপচে গিয়ে হঠাৎ করে তৈরি হওয়া দল একটা সমঝোতার মধ্যে আসবে, সেটা বাস্তবে সম্ভব নয়।”

তৃণমূল নয়, শুভেন্দুর খাসতালুকে বড় জয় তুলে নিল বামেরা! ব্রিগেডের ঠিক পরে জাগল আশা

হলদিয়া: গত রবিবার ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেডে উপচে পড়া ভিড় দেখে আশা জেগেছিল বাম কর্মী- সমর্থকদের মনে৷ সেই আশাকে আরও কিছুটা জোরাল করে হলদিয়া বন্দরের সমবায় নির্বাচনে বড় জয় পেল বামেরা৷ শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক হলদিয়ায় বামেদের এই জয় নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ৷

১৫ আসনের পোর্ট এমপ্লয়িজ ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে ১৫টি আসনের নির্বাচনে ১২ টিতেই জয় পেয়েছে বাম প্রগতিশীল জোট। তৃণমূল জয় পেয়েছে মাত্র ৩ টি আসনে।

আরও পড়ুন: ‘CPIM-র সঙ্গে আপোষ করব না,’ জয়নগরের সভা থেকে বললেন মমতা

বন্দরের এই নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৬৭০ জন। বামফ্রন্ট প্রার্থীরা ১৪টি আসনে লড়াই করে। শাসকদল তৃণমূল অবশ্য ১৫ টিতেই প্রার্থী দিয়েছিল। বিজেপির ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ প্রার্থী দিয়েছিল ১৪টি আসনে প্রার্থী। ২টি আসনে লড়াই করেন নির্দলেরাও। মোট ৪৫জন প্রার্থী ছিলেন এই ১৫টি আসনে লড়াইয়ের জন্য।

ফল বেরোতে দেখা যায়, তৃণমূল এবং বিজেপিকে হারিয়ে সিংহভাগ আসনেই জয় পেয়েছে বামেরা। নির্বাচনে জয়ের পর বামেরা জানান, তিন বছর ধরে কো অপারেটিভে কোনও কমিটি ছিল না। চাপের কাছে নতিস্বীকার করে রাজ্য সরকার অবশেষে ভোট করিয়েছে। ক্রেডিট সোসাইটি বাঁচানোর পক্ষে এরকম তিনটি ইউনিয়নের জোট হয়। সেই জোটে হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের সমস্ত আধিকারিক থেকে কর্মীরা পাশে ছিলেন।

Parliament Election 2024: কংগ্রেসের ‘সিদ্ধান্ত’ ভেবে বসে থাকা নয়! পায়ের তলার জমি শক্ত করার বার্তা আলিমুদ্দিনের

কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কী করবে তার উপর ঝুলে রয়েছে সিপিএমের সাথে এ রাজ্যের জোটের ভবিষ্যৎ। কিন্তু কংগ্রেস সিদ্ধান্ত যাই নিক, তার আগে সংগঠন মজবুত করতে হবে দলকে। রাজ্য কমিটির বৈঠকে জেলা নেতৃত্ব কে কার্যত এমনই বার্তা দিলেন নেতৃত্ব।

বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইন্ডিয়া জোটের মঞ্চে একত্র হয়েছে বিরোধীরা। বিরোধী ভোট যাতে ভাগ না হয় তার জন্য একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার কৌশল নিয়েও চর্চা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে রাজনৈতিক সমীকরণ ভিন্ন। তাই সেই ভারসাম্যে পরিবর্তন হচ্ছে। যেমন এই রাজ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী সিপিএম এবং কংগ্রেস। সিপিএম এবং কংগ্রেস তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে রাস্তায় নামে আন্দোলনের জন্য। আবার একই রকম ভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই দুই দল জোট করে অংশগ্রহণ করে।

সেক্ষেত্রে, লোকসভা নির্বাচনে কী হবে তা নিয়ে চর্চা রাজনৈতিক মহলে। সিপিএমের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের সাথে কোনও সমঝোতা নয়। কিন্তু কংগ্রেসের সাথে জোট করাতে তাদের কোনও আপত্তি নেই। বরং কংগ্রেসের সাথে জোট না হলে লোকসভা নির্বাচনে পায়ের তলার জমি শক্ত হবে না। এমনটাই মনে করে সিপিএমের একটা বড় অংশ। সম্প্রতি সিপিএমের হাওড়া জেলা কমিটির দফতরে দলের বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠক বসেছিল। সেখানেই এই মত উঠে আসে নেতৃত্বের কথায়।

আরও পড়ুন: বার বার চেয়েও মিলছে শিক্ষক নিয়োগের ‘ফাইল’! সিবিআইয়ের বিস্ফোরক অভিযোগ, এবার কি আদালতে?

আর কয়েকমাস পরে লোকসভা নির্বাচন। সেই জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সিপিএম। বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রশ্ন ওঠে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে কোন আসনটি জেতার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারে দল। কোনও জেলার নেতাই এর সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর পরেই বেশ কয়েকটি জেলার নেতা বলেন একক ভাবে না হলেও যদি কংগ্রেসের সাথে জোট হয় তাহলে কয়েকটি আসনে সম্ভাবনা রয়েছে। এরাজ্যে কংগ্রেস ‘স্বাভাবিক জোটসঙ্গী’ এমনটা ধরে নিয়ে সেই প্রস্তুতিও চলেছে।

কিন্তু এরই মধ্যে জোট-প্রশ্নে ‘বিভ্রান্তি’ বাড়িয়েছে কংগ্রেস সাংসদ মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরীর মন্তব্য। ডালু দাবি করেছেন,  ‘‘মালদহ দক্ষিণ এবং বহরমপুর আসন আমাদের (কংগ্রেস) ছেড়ে দিয়েছেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। তবে আমাদের আরও কিছু দাবি রয়েছে। সেগুলি নিয়ে আলোচনা চলছে।’’

আরও পড়ুন: শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পাচ্ছেন! একবার খেয়ে দেখুন এই পাতা…কাজ হবে ম্যাজিকের মতো

আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বুধবার থেকে সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও জানুয়ারিতে ব্রিগেডে যুব সমাবেশের কথা মাথায় রেখে। সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরুতেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম কংগ্রেসকে নিয়ে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন।

বৈঠকে প্রারম্ভিক ভাষণে তিনি বলেছেন, রাজ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলাই সিপিএমের রাজনৈতিক লাইন। তাঁরা অবশ্যই কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা চান। কিন্তু কংগ্রেসকে ঠিক করতে হবে, তারা কী চায়। সেই সঙ্গেই সেলিম পরিষ্কার করে দিয়েছেন, কংগ্রেস যদি কোনও ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা করে আবার অন্য দিকে বামেদেরও সঙ্গে চায়, সেই পথে তাঁরা যাবেন না।

কোনও ভাবেই তৃণমূলের সঙ্গে কোনও ‘সংস্রব’ চলবে না বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। অন্যদিকে বৈঠকের শেষ দিনে রাজ্য নেতৃত্ব জেলা নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন জোট নিয়ে কী হয় তা ভবিষ্যতে দেখা যাবে তার আগে নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে। বুথ কমিটি তৈরি করতে হবে। প্রচারে জোর দিতে হবে। এবং নিজেদের পায়ের তলার জমি নিজেদেরকেই শক্ত করতে হবে।