বিশ্বের সবকিছুর সঙ্গেই জড়িত বাস্তুতন্ত্র৷ সেরকমই মনে করেন বাস্তু বিশেষজ্ঞরা৷ এমনকি স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক বা দাম্পত্যও তার ব্যতিক্রম নয় বলে তাঁদের মত৷
যে কোনও দাম্পত্যে মতবিরোধ বা মনোমালিন্য থাকে৷ সেটা অল্পবিস্তর হলে মাত্রা ঠিক আছে৷ কিন্তু তার বেশি হলেই ছন্দোপতন হবে৷ কিছু বাস্তু টিপস মেনে চললে বিবাদ বিরোধ এড়িয়ে সুখী দাম্পত্য সম্ভব বলে মত বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত হিতেন্দ্রকুমার শর্মার৷
শোওয়ার ঘরে যেন সব সময় আলোবাতাস প্রচুর থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে৷ তবে সূর্যালোক সরাসরি বিছানায় পড়বে না৷ পড়বে ঘরের মেঝেতে৷ বিছানার পিছনে বা বাঁ দিক থেকে আলো প্রবেশ করতে হবে বেডরুমে৷
সিলিং-য়ে কোনও বিমের নীচে বিছানা রাখবেন না৷ বিমের নীচে খাট রাখলে সম্পর্কে বাধাবিঘ্ন তৈরি হয় বলে মনে করা হয়৷ যদি একান্তই বিমের নীচে খাট রাখতে হয় তাহলে খাটের পাশে একটা বাঁশি বা উইন্ড চাইম রাখুন৷
বাস্তু মতে বাথরুম কখনওই শোওয়ার ঘরের সঙ্গে লাগোয়া বা অ্যাটাচড হবে না৷ যদি অ্যাটাচড হয়ে থাকে তাহলে দরকার ছাড়া বাথরুমের দরজা সবসময় বন্ধ রাখুন৷ বিছানার নীচে বাতিল জিনিস জমিয়ে রাখবেন না৷
শোওয়ার ঘরের দেওয়ার কখনওই সাদা, লাল বা উজ্জ্বল রঙের করবেন না৷ সবুজ, গোলাপি বা হালকা আকাশি রঙের করতে পারেন শোওয়ার ঘরের দেওয়াল৷ এতে পজিটিভ এনার্জিও ছড়িয়ে পড়ে৷
হিংস্র বন্যপ্রাণীর ছবি কখনওই বেডরুমের দেওয়ালে রাখবেন না৷ সূর্যাস্ত, হতাশ ব্যক্তির অবয়ব রাখবেন না বেডরুমে৷ তাতে নেগেটিভ এনার্জি ছড়িয়ে পড়ে৷
দাম্পত্যে ঝগড়া হয়েই থাকে৷ কিন্তু অতিরিক্ত বিবাদ বা কথা কাটাকাটিতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তিক্ততা বাড়ে৷ সম্পর্কে তার প্রভাবও পড়ে৷ ক্রমাগত ঝগড়া এবং বিবাদে বিষাক্ত হয়ে যায় পরিবেশ৷ কী করে জীবনসঙ্গীর রাগ সামলাবেন, তার জন্য রইল কিছু টিপস৷
জীবনসঙ্গী রগচটা, বদমেজাজি হতেই পারেন৷ তবে মনে রাখবেন প্রত্যেকেরই একটা সীমারেখা আছে৷ প্রচণ্ড রেগে আপনার সঙ্গী কটূক্তি করতে পারেন৷ এমনকি গায়েও হাত তোলেন অনেকে৷ এই আচরণ মনে নেবেন না৷ নিজের মধ্যে তার কুপ্রভাব পড়তে দেবেন না৷ তবে তাই বলে তখনই তাঁর সঙ্গে ঝগড়াও করবেন না৷
স্বামী বা স্ত্রী যখন রেগে আছেন, তখন নিজের মেজাজ হারাবেন না৷ তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে৷ সে সময় মাথা ঠান্ডা রাখুন৷ পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে বুঝিয়ে বলুন৷
মাথা গরম থাকলে চুপ করে থাকার চেষ্টা করুন৷ তাহলে অশ্রাব্য কটূক্তি বেরবে না আপনার মুখ থেকেও৷ প্রতিক্রিয়া না দেখানো বা রিঅ্যাক্ট না করা কিন্তু ঝগড়া কমানোর একটা কৌশল৷
যখন কেউ রেগে থাকবে, তখন সেই অবস্থাকে তার চরিত্র বলে ধরে নেবেন না৷ ব্যক্তিগত অপমান বলেও ধরে নেবেন না৷ তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত হবে৷
পুরনো ক্ষত, পুরনো মান অপমান কথায় কথায় ফিরিয়ে আনবেন না৷ বাকবিতণ্ডার সময় পুরনো প্রসঙ্গ তুলবেন না৷ বিষয়টি ভুলেও যাবেন না৷ পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে শান্ত মাথায় কথা বলুন৷
দরকারে সঙ্গীকে থ্যাঙ্কইউ বলতে ভুলবেন না৷ আপনার নিজের ভুল হলে স্যরি বলুন৷ তাহলে ঝগড়ার পরিস্থিতি তৈরি হবে না৷ প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করান৷ মনোবিদের সাহায্য অবশ্যই নিন দরকারে৷
নতুন বছর শুরু হয়েছে। প্রতিটি বছরই নতুন আশায় বুক বেঁধে শুরু করেন প্রত্যেকে। কিন্তু নতুন বছর কোনও কোনও মানুষের জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে। আবার কারও কারও জীবনে তৈরি হয় নতুন কোনও অসুবিধা।
তাই সকলেই জানতে চান নতুন বছরে কী ধরনের লাভ বা ক্ষতি হতে পারে তাঁর জীবনে। বিশেষত যাঁরা নতুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন এই বছর, অথবা, সদ্য বিবাহিত, তাঁরা একটি বছর কীভাবে কাটাবেন জেনে নেওয়া যাক।
জ্যোতিষী পণ্ডিত পঙ্কজ মেহতা গ্রহের অবস্থান দেখে জানিয়েছেন, এই বছর নব দম্পতিকে কী ধরনের সুখ-দুঃখের মুখোমুখি হতে হবে।
জ্যোতিষী পণ্ডিত পঙ্কজ মেহতা বলেন, শাস্ত্র মতে, নতুন বছর শুরু হয় চৈত্রের শেষে। কিন্তু সারা বিশ্বে মান্য ইংরিজি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১ জানুয়ারি থেকে নতুন বছর শুরু হয়, সকলেই তা-ই মানেন।
সেই অনুযায়ী ২০২৪ সাল নব বিবাহিত দম্পতিদের জন্য খুব ভাল ফল দিতে চলেছে। অন্তত গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থানের দিকে তাকালে তাই মনে হয়।
সেখান থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া যায়, এই বছর বৃহস্পতি বর্তমানে মেষ রাশিতে রয়েছেম। এরপর তিনি বৃষ রাশিতে প্রবেশ করবেন। সেই কারণেই এই বছরটি নব বিবাহিত দম্পতিদের জীবনে খুব ভাল ফল দেবে।
অহং বোধ সরিয়ে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। পণ্ডিত পঙ্কজ মেহতা আরও বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুব ভাল সম্পর্ক থাকবে এই বছর। তবে মাঝে মধ্যেই দু’জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে।
এমনটা ঘটবেই কারণ, নতুন বছরে মঙ্গল ও শনি উভয়ই চৈত্র শুক্ল প্রতিপদে প্রবেশ করছে এবং সূর্য মেষ রাশিতে প্রবেশ করছে।
মঙ্গল তার পথ তৈরি করছে এবং তার ফলেই এমন দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে দম্পতিদের মধ্যে। আর এই দ্বন্দ্বে অনুঘটকের কাজ করতে পারে অহং বোধ। তাই পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য অহং বোধকে সরিয়ে রাখতে হবে।
এর পাশাপাশি সমাজে সংঘাতের পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। তাই এই বিষয়ে বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। অহং বোধকে দূরে রাখলে দাম্পত্য জীবন সুখের হবে।
গাজিয়াবাদ : বিয়ে ভেঙে গিয়েছিল ২০১৮ সালে। বিচ্ছেদের ৫ বছর পর ফের বিয়ে করে একসঙ্গে পথ চলা শুরু করলেন গাজিয়াবাদের এক দম্পতি। সম্প্রতি তাঁদের দ্বিতীয় বার গাঁটছড়া বাঁধার ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ চর্চিত।
গাজিয়াবাদের কৌশাম্বীর বাসিন্দা ওই দম্পতি হলেন বিনয় জয়সওয়াল এবং পূজা চৌধুরি। তাঁরা বিয়ে করেছিলেন ২০১২ সালে। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মধ্যে মতবিরোধের জেরে তাঁদের দাম্পত্যে দানা বাঁধে অশান্তি। তিক্ততা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যেতে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে। গাজিয়াবাদের ফ্যামিলি কোর্ট, হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে পাঁচ বছর ধরে আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৮ সালে খাতায় কলমে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাঁদের।
চলতি বছর অগাস্টে বিনয় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এর পর তাঁর ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। পূজার কাছে এ খবর পৌঁছতেই তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। প্রাক্তন স্বামীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। সোজা হাসপাতালে চলে যান প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে। এই সাক্ষাতেই নাকি মান অভিমানের বরফ গলে জল। আবার বিয়ে করে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত প্রাক্তন এই দম্পতি। গত ২৩ নভেম্বর দুই পরিবারের পরিজন ও বন্ধুবান্ধবদের উপস্থিতিতে গাজিয়াবাদের কবিনগরে আর্য সমাজে তাঁরা বিয়ে করেন।
আরও পড়ুন : প্রেমের টানে হবু বধূ করাচি থেকে কলকাতায়, পার্ক সার্কাসের খান পরিবারে উৎসবের সাজো সাজো রব
প্রসঙ্গত বিজয় কর্মরত অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার পদে স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া লিমিটেডে। পাশাপাশি, পূজা ছিলেন শিক্ষিকা। তাঁদের পরিচিতদের আশা, দাম্পত্যের দ্বিতীয় ইনিংস নির্বিঘ্ন ও নিরবচ্ছিন্ন হবে।
Just another WordPress site