Tag Archives: Nababarsha

Poila Baishakh: মেলায় মশলা কিনে শুরু হয় নতুন বছর! নববর্ষের এই প্রাচীন নিয়ম জানেন কোথায় আছে?

উত্তর ২৪ পরগনা: শুভ কামনায় মেলা থেকে নানা ধরনের মশলা কিনেই শুরু হয় নতুন বছর। পশ্চিমবঙ্গের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা ধরনের মেলা। বিশেষ বিশেষ পার্বণে সেইসব মেলার জনপ্রিয়তা থাকে স্থানীয়দের মধ্যে৷ তেমনি এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রাচীন মশলা মেলার।

প্রায় ২০০ বছরের অধিক এই মেলার ইতিহাস ঘাটলে স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, ১৮২৩ সালে গোবরডাঙ্গার জমিদার খেলারাম মুখোপাধ্যায়ের পুত্র কালীপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, যমুনা নদীর ধারে জমিদার বাড়ি লাগোয়া মাঠে শুরু করেছিলেন মশলা মেলার। উদ্দ‍‍্যেশ‍্য ছিল কৃষকরা বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে তাদের জমির উৎপাদিত ফসল বিক্রি করবেন এবং ফসল বিক্রি করে জমিদারের খাজনা মিটিয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন: ৩১-এর সুন্দরী যুবতী অভিনেত্রী! হয়ে গেলেন ‘কল গার্ল’? মন খুলে বললেন,‘আমি খুব খুশি’, আসল ঘটনা জানলে চমকে যাবেন

সেই উদ্দ‍‍্যেশ‍্য নিয়েই সূচনা হয়েছিল এই মেলার। নাম দেওয়া হয়েছিল গোষ্ঠ বিহার মশলা মেলা। আজ অবশ্য জমিদারি প্রথার অবলুপ্তি ঘটেছে। নেই কৃষকদের খাজনা দেওয়ার নিয়মও। তবুও ঐতিহ্য মেনে মেলা চলে আসছে পরবর্তী বহু বছর ধরে। পয়লা বৈশাখের প্রথম দিন ভোর তিনটে থেকে শুরু হয় বেচা কেনা। আজও বহুদূর থেকে কৃষকরা তাদের জমির উৎপাদিত ফসল নিয়ে আসেন বিক্রি করার জন্য।

আবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ক্রেতারা আসেন কৃষকদের কাছ থেকে মসলা কিনতে। বছরের প্রথম দিন পাইকারি বেচাকেনা হলেও পরবর্তীতে আরও ১০ দিন ধরে চলে খুচরো মসলার হাট। মেলাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিক ভাবেই জমজমাট থাকে যমুনা নদীর ধারে এই ময়দান। সমস্ত রকম বিনোদনের ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। যমুনা নদী দিয়ে একসময় নৌকায় করে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পসরা নিয়ে আসা হত। মজেছে নদী, তাই কালের নিয়মে এখন যানবাহনের পরিবর্তন ঘটেছে। জমিদার বাড়ির পাশেই রয়েছে প্রসন্নময়ী কালী মন্দির।

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে মেলার পাশাপাশি মাকে দর্শনের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের ভিড় পরিলক্ষিত হয়। মশলা মেলায় কৃষকরা যেমন পাইকারি মশলা বিক্রি করতে পারেন, তেমনই আবার ব্যবসাদারদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও সারা বছরের প্রয়োজনীয় মশলা বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যান।

বহুদূর থেকে সাধারণ মানুষ মশলা কিনতে চলে আসেন এই দিনে। বহু মশলার ব্যবসায়ী আছেন, যারা মনে করেন বছরের প্রথম দিন এই মশলা হাট থেকে বেচাকেনা শুরু করলে সারাবছর ব্যবসা ভালহবে। এই বিশ্বাস থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নববর্ষের সকালে ব্যবসায়ীরা মশলা কিনতে আসেন গোবরডাঙ্গার এই মশলা মেলায়।

Rudra Narayan Roy

Bengali New Year: বাঙালিয়ানা ভুড়ি ভোজ! পয়লা বৈশাখে নানা বাঙালি পদ নিয়ে হাজির জনপ্রিয় ক্যাফে

পয়লা বৈশাখ মানেই বৈশাখী আড্ডা ও বাঙালি খানা৷ পেটপুরে বাঙালি পদ না খেলে যেন পয়লা বৈশাখ পালনই হয় না৷ তবে বাড়িতে নয়, বিশেষ বাঙালি পদের জন্য তৈরি শহরের নামী-দামি ক্যাফে৷
পয়লা বৈশাখ মানেই বৈশাখী আড্ডা ও বাঙালি খানা৷ পেটপুরে বাঙালি পদ না খেলে যেন পয়লা বৈশাখ পালনই হয় না৷ তবে বাড়িতে নয়, বিশেষ বাঙালি পদের জন্য তৈরি শহরের নামী-দামি ক্যাফে৷
বাঙালি নববর্ষে বাঙালিয়ানা ভুড়ি ভোজ নিয়ে তৈরি ক্যাফে ড্রিফ্টার৷
বাঙালি নববর্ষে বাঙালিয়ানা ভুড়ি ভোজ নিয়ে তৈরি ক্যাফে ড্রিফ্টার৷
তাদের রয়েছে আমিষ থালি, নিরামিষ থালি সঙ্গে নানা বাঙালি মিষ্টির সম্ভারও রয়েছে৷ এমনকী পূর্ব বাংলার কিছু পদও যোগ হয়েছে তাদের নববর্ষের খাদ্য তালিকায়৷
তাদের রয়েছে আমিষ থালি, নিরামিষ থালি সঙ্গে নানা বাঙালি মিষ্টির সম্ভারও রয়েছে৷ এমনকী পূর্ব বাংলার কিছু পদও যোগ হয়েছে তাদের নববর্ষের খাদ্য তালিকায়৷
কী কী রয়েছে এবারের পয়লা বৈশাখ স্পেশ্যাল মেনুতে? আমপোড়া সরবত, কাজু কিসমিস পোলাও, এঁচোরের কোফতা, মটন ঘি রোস্ট, স্যালাড৷ এরই সঙ্গে জুড়তে পারে আম কাসুন্দি চিকেন কাঠি কাবাব, হাঁসের ডিমের ডেভিল, মোচার কাটলেট, ককটেল ফিশ কবিরাজি, ছানার পকেট, মিষ্টি দই টিরামিসু৷
কী কী রয়েছে এবারের পয়লা বৈশাখ স্পেশ্যাল মেনুতে? আমপোড়া সরবত, কাজু কিসমিস পোলাও, এঁচোরের কোফতা, মটন ঘি রোস্ট, স্যালাড৷ এরই সঙ্গে জুড়তে পারে আম কাসুন্দি চিকেন কাঠি কাবাব, হাঁসের ডিমের ডেভিল, মোচার কাটলেট, ককটেল ফিশ কবিরাজি, ছানার পকেট, মিষ্টি দই টিরামিসু৷
সবটাই থাকছে পকেট ফ্রেন্ডলি৷ ১১০০ এবং ১০০০ টাকার আমিষ থালি এবং ১০০০ টাকার নিরামিষ থালি৷ তাহলে আজই প্ল্যান করে নিন কব্জি ডুবিয়ে পয়লা বৈশাখের খাওয়ার৷
সবটাই থাকছে পকেট ফ্রেন্ডলি৷ ১১০০ এবং ১০০০ টাকার আমিষ থালি এবং ১০০০ টাকার নিরামিষ থালি৷ তাহলে আজই প্ল্যান করে নিন কব্জি ডুবিয়ে পয়লা বৈশাখের খাওয়ার৷