Tag Archives: Poila Baisakh

Bankura Viral News: একের পর এক ডুব, জমে গেল ভিড়! জলে ১৪৩১ বার ওঠানামা ‘বিষ্ণুপুরের পানকৌড়ি’র, কেন এমন কাণ্ড!

বাঁকুড়া: অভিনব বর্ষবরণ বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী যমুনা বাঁধের জলে। ১৪৩১টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করলেন বিষ্ণুপুরের যুবক সদানন্দ দত্ত। সদানন্দের এই কীর্তি দেখার জন্য প্রতি বছর অপেক্ষায় থাকেন সাধারণ মানুষ। ইংরেজি বর্ষ বরণ এবং বাংলা বর্ষবরণের দিন এক অসাধ্য সাধন করেন সদানন্দ।

আরও পড়ুন: চিনি নয়, চায়ে মেশান এক চিমটে নুন…! ৪ কঠিন রোগ থেকে মুক্তি দেবে এই লবণ চা, শুনে অবিশ্বাস্য লাগলেও সত্যি!

সদানন্দের এই কাণ্ড দেখতে যমুনা বাঁধের চারপাশে ভিড় করতে দেখা গেল স্থানীয়দের। সদানন্দের ইচ্ছে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এ নাম তোলার। সেই কারণেই বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী লালবাঁধে ২০২৪টি এবং যমুনাবাঁধে ১৪৩১টি ডুব দিলেন তিনি। তাঁর নাম ‘বিষ্ণুপুরের পানকৌড়ি’। বিষ্ণুপুরের যুবক সদানন্দ দত্ত জানান, “অনেকেই অনেক কিছু করছে, আমার ইচ্ছা জলে ডুব দিয়ে রেকর্ড বুকে নাম তোলার, সঙ্গে বিষ্ণুপুরবাসী হিসেবে বিষ্ণুপুরের নাম উজ্জ্বল করতে চাই।”

বিষ্ণুপুরের যুবক সদানন্দ অভিনব পদ্ধতিতে নতুন বছরকে বরণ করে নিলেন। বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের ইতিহাস জড়িয়ে যমুনাবাঁধে। এই বাঁধে প্রতি বছরই বাংলা এবং ইংরেজির নতুন বছরকে এই ভাবেই বরণ করেন সদানন্দ দত্ত। ১৪২৯ সালে ১৪২৯টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করেছেন। ১৪৩০ সালে ১৪৩০টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করেছেন সদানন্দ। এবার ১৪৩১ সাল, তাই ১৪৩১টি ডুব দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করলেন বিষ্ণুপুরের যুবক।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Bizarre News: জানলার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিতেই বিছানায় এমন কান্ড! হতবাক প্রতিবেশীরা

উত্তর ২৪ পরগনা: বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনই বরাহনগরে এ কী ঘটল! বাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হল তিনজনের দেহ! জানা গিয়েছে বরাহনগর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জন সেন নগরে বাসিন্দা শঙ্কর হালদারের বাড়ির সামনে থেকে এদিন দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। এরপরই বিষয়টি স্থানীয় এলাকার মানুষদের মাধ্যমে খবর পান কাউন্সিলার ঊষা বেরা। এরপর ঘটনাস্থলে এসে তিনি অন্যান্য প্রতিবেশীদের নিয়ে ঘরের ভেতরে উঁকি দিতেই দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে একটি দেহপাশে মাটিতেও একটি দেহ পড়ে থাকা দেখতে পান জনপ্রতিনিধি।

এরপরই খবর দেওয়া হয় বরাহনগর থানায়। পুলিশ এসে অবশেষে তালা ভেঙে বাড়ির ভেতর থেকে দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ৭০ বছর বয়সের বাবা শঙ্কর হালদারের মাথায় ভারী কোন বস্তু দিয়ে আঘাত করে প্রথমে খুন করে ছেলে বাপ্পা হালদার।

আরও পড়ুন – KKR Team News: পয়লা বৈশাখে ইডেন হল পয়া, কেকেআর জার্সিতে সেরা বোলিং করে মন জিতলেন স্টার্ক

তারপর, বাপ্পা-ই ১৬ বছরের ছেলে বর্ণ হালদারকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বরাহনগর এলাকায়।

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন এলাকায় এমন ঘটনা ঘটায় রীতিমতো আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা। কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটাল! গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে বরানগর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আশপাশের প্রতিবেশীদেরও।

Rudra Narayan Roy

Dakkhina Kali: হালখাতার অনুষ্ঠান, মা কালীর আশীর্বাদ, সদাজাগ্রত দক্ষিণা কালী মন্দিরে উপচে পড়া ভিড়

পুরুলিয়া : আপামর বঙ্গবাসীর কাছে অন্যতম উৎসব হল নববর্ষ। মূলত এই দিন ব্যবসায়ীরা হালখাতার পুজো দিয়ে দিনের সূচনা করেন।‌ এছাড়াও এই দিন মন্দিরে ভিড় জমান বাড়ির মহিলা , পুরুষ সহ কচি-কাঁচারা। নতুন বছরের সূচনা ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে করতে চান সকলে। রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি জেলা পুরুলিয়ার বিভিন্ন জায়গাতে দেখা যায় ব্যবসায়ী ও ভক্তবৃন্দদের ভিড়। ঝালদার দক্ষিণাকালী মন্দিরে সকাল থেকেই দেখা যায় ব্যবসায়ী ও ভক্তদের ভিড়। ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের পূর্ণ লগ্নে দক্ষিণা কালীর শরণাপন্ন হন সকলে।

এ বিষয়ে এক ব্যবসায়ী জানান , ‌ সারা বছর যাতে ভালোভাবে তার ব্যবসা চলে সেই প্রার্থনা নিয়েই বছরের প্রথম দিনে মায়ের কাছে পুজো দিলেন তিনি। পুজো দেওয়া এই হালখাতায় সারা বছরের হিসাব থাকবে।

আরও পড়ুন – KKR Team News: পয়লা বৈশাখে ইডেন হল পয়া, কেকেআর জার্সিতে সেরা বোলিং করে মন জিতলেন স্টার্ক

এ বিষয়ে ভক্তরা বলেন , পরিবার ও সন্তানদের মঙ্গল কামনায় তারা মন্দিরে পুজো দিলেন। সকলে যাতে ভালো থাকে ও সুস্থ থাকে ঈশ্বরের কাছে সেই কামনায় করেছেন। বছরের শুরুর এই দিনটাতেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে তারা গোটা বছর সুষ্ঠু ভাবে কাটাতে চান। ‌

এ বিষয়ে মন্দিরের পুরোহিত বলেন , হালখাতা চাহিদা আগের থেকে অনেকটা কমে গেলেও পুরুলিয়া জেলার মানুষদের কাছে হালখাতা পুজো করা অন্যরকম আবেগ। তাই কমবেশি সকলেই এই সময় হালখাতার পুজো করে থাকেন। ব্যবসায়ীরা এই খাতায় সারা বছরের হিসাব নিকাশ করে রাখেন।

Sharmistha Banerjee 

Poila Baishakh: মেলায় মশলা কিনে শুরু হয় নতুন বছর! নববর্ষের এই প্রাচীন নিয়ম জানেন কোথায় আছে?

উত্তর ২৪ পরগনা: শুভ কামনায় মেলা থেকে নানা ধরনের মশলা কিনেই শুরু হয় নতুন বছর। পশ্চিমবঙ্গের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা ধরনের মেলা। বিশেষ বিশেষ পার্বণে সেইসব মেলার জনপ্রিয়তা থাকে স্থানীয়দের মধ্যে৷ তেমনি এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রাচীন মশলা মেলার।

প্রায় ২০০ বছরের অধিক এই মেলার ইতিহাস ঘাটলে স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, ১৮২৩ সালে গোবরডাঙ্গার জমিদার খেলারাম মুখোপাধ্যায়ের পুত্র কালীপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, যমুনা নদীর ধারে জমিদার বাড়ি লাগোয়া মাঠে শুরু করেছিলেন মশলা মেলার। উদ্দ‍‍্যেশ‍্য ছিল কৃষকরা বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে তাদের জমির উৎপাদিত ফসল বিক্রি করবেন এবং ফসল বিক্রি করে জমিদারের খাজনা মিটিয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন: ৩১-এর সুন্দরী যুবতী অভিনেত্রী! হয়ে গেলেন ‘কল গার্ল’? মন খুলে বললেন,‘আমি খুব খুশি’, আসল ঘটনা জানলে চমকে যাবেন

সেই উদ্দ‍‍্যেশ‍্য নিয়েই সূচনা হয়েছিল এই মেলার। নাম দেওয়া হয়েছিল গোষ্ঠ বিহার মশলা মেলা। আজ অবশ্য জমিদারি প্রথার অবলুপ্তি ঘটেছে। নেই কৃষকদের খাজনা দেওয়ার নিয়মও। তবুও ঐতিহ্য মেনে মেলা চলে আসছে পরবর্তী বহু বছর ধরে। পয়লা বৈশাখের প্রথম দিন ভোর তিনটে থেকে শুরু হয় বেচা কেনা। আজও বহুদূর থেকে কৃষকরা তাদের জমির উৎপাদিত ফসল নিয়ে আসেন বিক্রি করার জন্য।

আবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ক্রেতারা আসেন কৃষকদের কাছ থেকে মসলা কিনতে। বছরের প্রথম দিন পাইকারি বেচাকেনা হলেও পরবর্তীতে আরও ১০ দিন ধরে চলে খুচরো মসলার হাট। মেলাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিক ভাবেই জমজমাট থাকে যমুনা নদীর ধারে এই ময়দান। সমস্ত রকম বিনোদনের ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। যমুনা নদী দিয়ে একসময় নৌকায় করে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পসরা নিয়ে আসা হত। মজেছে নদী, তাই কালের নিয়মে এখন যানবাহনের পরিবর্তন ঘটেছে। জমিদার বাড়ির পাশেই রয়েছে প্রসন্নময়ী কালী মন্দির।

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে মেলার পাশাপাশি মাকে দর্শনের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের ভিড় পরিলক্ষিত হয়। মশলা মেলায় কৃষকরা যেমন পাইকারি মশলা বিক্রি করতে পারেন, তেমনই আবার ব্যবসাদারদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও সারা বছরের প্রয়োজনীয় মশলা বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যান।

বহুদূর থেকে সাধারণ মানুষ মশলা কিনতে চলে আসেন এই দিনে। বহু মশলার ব্যবসায়ী আছেন, যারা মনে করেন বছরের প্রথম দিন এই মশলা হাট থেকে বেচাকেনা শুরু করলে সারাবছর ব্যবসা ভালহবে। এই বিশ্বাস থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নববর্ষের সকালে ব্যবসায়ীরা মশলা কিনতে আসেন গোবরডাঙ্গার এই মশলা মেলায়।

Rudra Narayan Roy

Charak in Poila Boishak: নববর্ষে চড়ক উৎসব! বাংলার এই গ্রাম সবথেকে ব্যতিক্রম, জেনে নিন কোথায়

দক্ষিণ দিনাজপুর: চৈত্র সংক্রান্তিতে চড়ক মেলাকে কেন্দ্র করে উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে থাকেন আপামর বাঙালি। তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের আজমতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মী তলার চরক মেলা আর দশটা মেলার থেকে একটু আলাদা। এই মেলা চৈত্র সংক্রান্তির পরিবর্তে বাংলার নববর্ষের দিনে হয়ে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এই রীতি মেনেই লক্ষ্মী তলার চরক উৎসব হয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবার ৫৪ তম বর্ষে পদার্পন করল এই মেলা। চরক মেলাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকেই ভক্তের সমাগম লক্ষ্য করা যায়।

মূলত, চৈত্র মাসের প্রথম দিন থেকেই গাজনের উৎসব শুরু হয়ে যায়। তবে গ্রাম্য এই সমস্ত মেলাগুলির জৌলুস খুব একটা না থাকলেও গ্রাম্য মেলায় ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতন। স্থানীয় গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে জানা যায়, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে প্রতি বছরের এই চরক মেলাকে কেন্দ্র করে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন Mousuni Island News: উইকেন্ডের ছুটি কাটানোর সেরা ঠিকানা মৌসুনি দ্বীপ, সেখানেই বেঁধেছে বেজায় গন্ডগোল!

সাধারণত চৈত্র সংক্রান্তিতে চরক পুজো অনুষ্ঠিত হলেও এই গ্রামের নববর্ষের দিন চরক হওয়ায় আশেপাশের বহু গ্রাম থেকে ব্যাপক সমাগম লক্ষ্য করা যায়।

এই পুজোয় সকলেই উপোস করে পুজো দেন, মানত করেন। মানত পূরণ হলে ফের মায়ের কাছে আসেন পুজো দিয়ে আশীর্বাদ নিতে। কদমা ও খাজা-বাতাসার মানতের ঢল নামে মন্দিরে। সোনা রুপোর অলঙ্কার নিয়ে পুজো দিতে লম্বা লাইন পড়ে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Digha: বাংলার নতুন বছর এল, দিঘায় ঘুরতে যাবেন নাকি, দিঘার মাছ নিয়ে রইল বড়সড় আপডেট  

দিঘা: ইংরেজি নববর্ষের মত বাংলা নববর্ষে উচ্ছ্বাস উন্মাদনা না পাওয়া গেলেও আবেগ রয়েছে পরিপূর্ণ। বাংলা নববর্ষ মানে বাঙালির নস্টালজিয়া। বাংলার ১২ মাসে ১৩ পার্বণ উৎসবের শুরু এই নববর্ষ দিয়েই। আর নববর্ষ মানেই খাওয়া দাওয়া। খাওয়াদাওয়ার প্রসঙ্গ উঠে আসলেই আসে মৎস্য প্রিয় বাঙালির নানারকম মাছের পদ। ইলিশ থেকে গলদা চিংড়ি, পাবদা থেকে ট্যাংরা নানা ধরণের মাছের পদ বাঙালির রসনা তৃপ্তিকে পরিপূর্ণ করে।

তবে এবার বাংলা নববর্ষে দিঘায় মাছ কি পাওয়া যাচ্ছে? কীবলছে মৎস্যজীবীরা জেনে নিন দিঘা রাজ্য তথা পূর্ব ভারতের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্র। দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে প্রতিদিনই নানান ধরনের সামুদ্রিক মাছ কেনাবেচা চলে।

তবে সম্প্রতি মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। টানা দুই মাস এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। মূলত মাছের প্রজনন ঋতুচক্রের কারণে এই দু’মাস সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা। দিঘা সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও মৎস্যজীবীদের দাবি দিঘায় সামুদ্রিক মাছের যোগান রয়েছে। ফলে বাঙালির নববর্ষে রসনা তৃপ্তির জন্য মাছের অভাব হবে না।

আরও পড়ুন – Tarapith Tara Maa: পয়লা বৈশাখের দিনে মা তারার অপরূপ রূপ দেখুন, তারাপীঠে ভিড় গেল উপচে

দিঘা মোহনা ভিসার ফিশারম্যান এন্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানান, ‘সমুদ্রে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এটা মাছ শিকারের মরশুম না। তবুও সামুদ্রিক মাছের যোগান রয়েছে বিক্রয় কেন্দ্রে। মূলত আগে থেকে স্টক করে রাখা মাছ বিক্রি চলছে। বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি পাবদা ইলিশ, ভেটকি সামুদ্রিক চিংড়ি সহ নানান ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে।’ প্রসঙ্গত পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছের খোঁজ প্রথমে পড়ে। ইলিশের পাশাপাশি পাবদা, তোপসে, পারসে, পমফ্লেট ভেটকি সহ নানান ধরনের মাছ খুঁজে বেড়ায় খাদ্য রসিক বাঙালিরা।

নববর্ষেদিঘায় বিভিন্ন মাছ দোকানে দেখা গেল নানান ধরনের সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি, ইলিশ, ভেটকি, পমফ্লেট তোপসে সহ নানান ধরনের মাছের পসরা। ফলে সমুদ্রে মৎস্য শিকার বন্ধ থাকলেও মাছের যোগানের অভাব নেই। দাম একটু চড়া হলেও নববর্ষ উপলক্ষে মাছ কিনতে পিছু হচ্ছে না খাদ্য রসিক বাঙালিরা।

Saikat Shee

Tarapith Tara Maa: পয়লা বৈশাখের দিনে মা তারার অপরূপ রূপ দেখুন, তারাপীঠে ভিড় গেল উপচে

বীরভূম: বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন মানেই বাঙালি বা ব্যবসায়ীদের কাছে এক আলাদা গুরুত্বপূর্ণ দিন।এই বিশেষ দিনে বিভিন্ন মন্দিরে ভোর থেকেই থেকেই উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। বীরভূমের তারাপীঠ এ ও তার উল্টোটা হয় না। বছরের এই প্রথম দিন তারাপীঠ মন্দিরে মা তারার কাছে দূর-দূরান্ত থেকে হালখাতা নিয়ে পুজো দিতে হাজির হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বছরের শুরুটা যাতে ভাল হয়, সে জন্য মা তারার কাছে পুজো দিয়ে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।

শুধু বছরে প্রথম দিন নয়, বছরের অন্যান্য দিনও হাজার হাজার কোনওকোনওদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। নতুন বছরের প্রথম দিনও দূর-দূরান্ত থেকে হোক বা এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যাতে তাঁদের পুজো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেন, তার জন্য মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে আলাদা করে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ থেকে শৃঙ্খলারক্ষা করার জন্য মন্দির চত্বরে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনেরও এই দিনটির জন্য বিশেষ নজরদারি রয়েছে।

আরও পড়ুন – Rohit Sharma: হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে এ কী হাল রোহিতের! চেন্নাই ম্যাচের আগের দিন শেষমেশ এই কাজ

তারাপীঠ মন্দির কমিটির তথা তারামাতা সেবাইত সংঘের সমিতির সহ সভাপতি ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভক্তদের নিরাপত্তা কথা মাথায় রেখে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একদিকে যখন পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মন্দির কমিটির তরফ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে। সকাল থেকে দূরদূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা হালখাতা নিয়ে মা তারা কাছে পুজো দেওয়ার জন্য উপস্থিত হচ্ছেন।

বাংলা নববর্ষের এই প্রথম দিন সকাল থেকেই তীব্র তাপদাহ রয়েছে বীরভূমে। আর সেই তীব্র তাপদাহকে উপেক্ষা করেই সকাল থেকে ভক্তদের ভিড় একদম চোখে পড়ার মত। সাধারণ ভক্তদের কথা চিন্তা করে মন্দির কমিটির তরফ থেকে মন্দির চত্বরে ত্রিপল খাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। রয়েছে পর্যন্ত জলের ব্যবস্থা।

Souvik Roy

Ushasi Roy: পয়লা বৈশাখ মানেই ঠাকুরমা, গনেশের মুখ আঁকা ক্যালেন্ডার আর গাজনের মেলায় ঘুরতে যাওয়ার স্মৃতি: ঊষসী

সারা বছরই তিনি ব্যস্ত। নিজের জন্য ফুরসত মেলে না বললেই চলে। তবে পয়লা বৈশাখ এলেই অতীতে ফিরে যান ঊষসী রায়। হাতড়ে দেখেন ঠাকুরমার সঙ্গে কাটানো একগুচ্ছ সুন্দর মুহূর্ত। গনেশের মুখ আঁকা ক্যালেন্ডারের স্মৃতি। আর ভাই-বোনদের সঙ্গে গাজনের মেলায় ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ। বিনোদন জগতের আসার পর কেমন কাটে পয়লা বৈশাখ? ছেলেবেলার নববর্ষই বা কেমন ছিল? নিউজ18 বাংলাকে একান্তে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্মৃতির ঝুলি উপুড় করে দিলেন অভিনেত্রী।

আজকের দিনটা কীভাবে কাটাচ্ছেন?

ঊষসী: উৎসবের দিনগুলো কাছের মানুষদের সঙ্গে কাটাতেই ভাল লাগে। আজ বাড়ির সকলের সঙ্গে খুব মজা করব। আর যদি ইচ্ছে করে তাহলে বাইরে গিয়ে কোথাও খাওয়া-দাওয়া করতে পারি।

হ্যাঁ, পয়লা বৈশাখ মানেই তো খাওয়া দাওয়া, আজকের দিনে কী ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করেন?

ঊষসী: নতুন বাংলা বছর শুরু হচ্ছে আজ থেকে বাঙালি খাবার না হলে কি জমে! তাই আজ পরিবারের সকলের মিলে কব্জি ডুবিয়ে বাঙালি খাবারই খাব।

খাবারের পাশাপাশি সাজটাও কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কীভাবে সাজবেন আজ, সাবেকি নাকি ওয়েস্টার্ন?

ঊষসী: অবশ্যই সাবেকি, বলা ভাল শাড়ি। শাড়ি ছাড়া আমার নববর্ষ সম্পূর্ণ হয় না। আজকের সকালটা শুরুই হয়েছে পাট ভাঙা নতুন শাড়িতে।

এখন তো শাড়ি, কিন্তু ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখের সাজটা কেমন হত?

ঊষসী: তখন পয়লা বৈশাখ আসছে মানেই নতুন জামা। মনে আছে, পয়লা বৈশাখের কয়েক দিন আগে মায়ের হাত ধরে নতুন জামা কিনতে যেতাম। বৈশাখ মানেই তো গরম। তাই মা আমাকে সুতির ফ্রক কিনে দিতেন। এখন তো কাজের জন্য বছরের নানা সময়ই নতুন পোশাক পড়তে হয়, সঙ্গে জুড়েছে পছন্দও। কিন্তু তখন এত পছন্দ-অপছন্দ ছিল না। মা ভালবেসে যা কিনে দিতেন তাতেই খুশি হয়ে যেতাম। নতুন বছরে নতুন জামা পেয়েছি এটাই ছিল সবচেয়ে বড় আনন্দ।

পয়লা বৈশাখ মানেই তো হালখাতা, এখনও কি হাল খাতা করতে যাওয়া হয়?

ঊষসী: না, এখন বলে নয়, কখনওই সেভাবে হালখাতা করতে যাওয়া হয় না। তবে ছোটবেলায় বাড়ির বড়রা হালখাতা করে হাতে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে আসত। সেই মিষ্টিগুলো সব ফ্রিজে রাখা থাকত। আমরা ভাই-বোনরা সবার নজর এড়িয়ে সেগুলো মাঝে মাঝেই ফ্রিজ থেকে বার করে খেতাম।

ছোটবেলায় তার মানে পয়লা বৈশাখটা বেশ জমজমাট হত…

ঊষসী: হ্যাঁ, ছেলেবেলায় এই সময়টায় স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়ে একটা ছুটি পড়ত। তাই আমি পয়লা বৈশাখে ঠাকুরমার কাছে বা আমার মামার বাড়ি কৃষ্ণনগরেই থাকতাম। মনে আছে, হালখাতার পর যত বাংলা ক্যালেন্ডার আসত, সব নিয়ে ঠাকুরমার সঙ্গে গুনতে বসতাম। গনেশ যে যে ক্যালেন্ডারে থাকত, সেগুলো দেখে আলাদা করে গুনে রাখতাম। আবার মামার বাড়ি থাকলে বিষয়টা হত অন্যরকমের। এই সময় ওখানে গাজনের মেলা বসত। সেখানে আমার মামাতো দিদিদের সঙ্গে যেতাম। সবাই মিলে খুব আনন্দ করতাম। মামার বাড়ির বাগানে ভাই-বোনদের সঙ্গে আম কুড়াতাম। আসলে সব মিলিয়ে ছেলেবেলার পয়লা বৈশাখটা খুব মিস করি।

Poila Baisakh: এই কয়েকটি মন্দিরে মহা জাগ্রতা দেবী মা, তাই নবরাত্রিতে মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু করুন নতুন বছর

রাত পোহালেই পয়লা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের শুরু। এদিন মন্দিরে পুজো দিয়ে দিন শুরু করেন অনেকে। জেনে নিন জেলার চারটি বিখ্যাত মন্দির, যেখানে আপনি পুজো দিতে যেতে পারেন। মাতৃ আরাধনার মাধ্যমে শুরু করতে পারেন নতুন বছর।
রাত পোহালেই পয়লা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের শুরু। এদিন মন্দিরে পুজো দিয়ে দিন শুরু করেন অনেকে। জেনে নিন জেলার চারটি বিখ্যাত মন্দির, যেখানে আপনি পুজো দিতে যেতে পারেন। মাতৃ আরাধনার মাধ্যমে শুরু করতে পারেন নতুন বছর।
কল্যানেশ্বরী মন্দির। এটি আসানসোলের সবথেকে প্রাচীন মন্দির বলে শহরবাসীর বিশ্বাস। যেকোনও উৎসবের দিন শুধু আসানসোল নয়, বাইরে থেকেও বহু মানুষ এখানে পুজো দিতে আসেন। বছরের প্রথম দিনটা চাইলে আপনিও এই মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু করতে পারেন।
কল্যানেশ্বরী মন্দির। এটি আসানসোলের সবথেকে প্রাচীন মন্দির বলে শহরবাসীর বিশ্বাস। যেকোনও উৎসবের দিন শুধু আসানসোল নয়, বাইরে থেকেও বহু মানুষ এখানে পুজো দিতে আসেন। বছরের প্রথম দিনটা চাইলে আপনিও এই মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু করতে পারেন।
মা ঘাগর বুড়ির মন্দির। আসানসোলের অন্যতম আরও একটি বিখ্যাত মন্দির। এই চন্ডীমন্দিরে বছরের প্রত্যেকদিন ভক্ত সমাগম লেগে থাকে। নেতা-মন্ত্রী থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, সকলেই আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। বছর শুরু করার জন্য আপনি পৌঁছে যেতে পারেন এই মন্দিরেও।
মা ঘাগর বুড়ির মন্দির। আসানসোলের অন্যতম আরও একটি বিখ্যাত মন্দির। এই চন্ডীমন্দিরে বছরের প্রত্যেকদিন ভক্ত সমাগম লেগে থাকে। নেতা-মন্ত্রী থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, সকলেই আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। বছর শুরু করার জন্য আপনি পৌঁছে যেতে পারেন এই মন্দিরেও।
দুর্গাপুরের সবথেকে বিখ্যাত এবং প্রাচীন ভিড়িঙ্গী কালী মন্দির। আসানসোলের দেবী কল্যাণেশ্বরী যতটা বিখ্যাত, ঠিক ততটাই বিখ্যাত দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গী কালীর মন্দির। নববর্ষে এই মন্দিরে থাকে উপচে পড়া ভিড়। বছর শুরু করার জন্য আপনি এই মন্দিরেও পুজো দিতে যেতে পারেন।
দুর্গাপুরের সবথেকে বিখ্যাত এবং প্রাচীন ভিড়িঙ্গী কালী মন্দির। আসানসোলের দেবী কল্যাণেশ্বরী যতটা বিখ্যাত, ঠিক ততটাই বিখ্যাত দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গী কালীর মন্দির। নববর্ষে এই মন্দিরে থাকে উপচে পড়া ভিড়। বছর শুরু করার জন্য আপনি এই মন্দিরেও পুজো দিতে যেতে পারেন।
দুর্গাপুরের অন্যতম প্রাচীন একটি মন্দির হল গড় জঙ্গলের শ্যামারুপার মন্দির। গভীর জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত এই মন্দিরে দেবী দুর্গার আরাধনা হয়। এখানে দেবী শ্যামরুপা রূপে অধিষ্ঠিত। চাইলে আপনি বছরের প্রথম দিনে এই মন্দিরে গিয়ে পুজো দিতে পারেন।
দুর্গাপুরের অন্যতম প্রাচীন একটি মন্দির হল গড় জঙ্গলের শ্যামারুপার মন্দির। গভীর জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত এই মন্দিরে দেবী দুর্গার আরাধনা হয়। এখানে দেবী শ্যামরুপা রূপে অধিষ্ঠিত। চাইলে আপনি বছরের প্রথম দিনে এই মন্দিরে গিয়ে পুজো দিতে পারেন।

Poila Baisakh 2024: রাত পোহালেই নতুন বছর, পয়লা বৈশাখে দরজায় কাঁটা ঝোলান এঁরা, কিন্তু কেন

জলপাইগুড়ি: আরও একটা বাংলা বছরের শেষ দিন। সকলেই ব্যস্ত পয়লা বৈশাখের দিন নতুন আরও একটা বছরকে স্বাগত জানাতে৷  সকাল থেকেই এক গোষ্ঠীর মানুষজনদের জলপাইগুড়ির শহর সংলগ্ন বিভিন্ন অঞ্চলের ঝোপঝাড়ে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। ঝোপঝাড় থেকে খুব সন্তর্পনে কিছু ছোট-ছোট-কাঁটা গাছ কেটে নিয়ে যায় এঁরা। এমন দৃশ্য দেখে স্বাভাবিক ভাবেই কৌতউহল বাড়ে আমজনতার।

তবে এই কাঁটা গাছ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে উত্তরবঙ্গের আদি লোকাচার। সমাজতত্ত্ববিদদের মতে ভারত দেশে রয়েছে হাজারের বেশি জনগোষ্ঠী, যার একটিঅংশ রয়েছে উত্তরবঙ্গে, আর এই জনগোষ্ঠী গুলোর মধ্যে অন্যতম রাজবংশী জনগোষ্ঠী। আর এই রাজবংশী সম্প্রদায়ের কয়েকটি লোকাচার ‌যেমন তিস্তা বুড়ির গান, দধি কাদো খেলা, সেই লোকাচারের আরেকটি হলএই দুয়ারে কাঁটা ঝুলিয়ে রাখা।

আরও পড়ুন- KKR Team News: KKR vs LSG ম্যাচের আগেই বড়সড় ভোলবদল! ১৮০ ডিগ্রি বদলে গেল সুনীল নারিনের দায়িত্ব

এই আদি লোকাচার প্রসঙ্গে চাওলা ভিটা গ্রামের বাসিন্দা ভূপেন রায় জানান, ‘‘বছরের প্রথম দিন থেকেই এই কাঁটা যুক্ত ডালপালা বাড়ির সদর দুয়ারে ঝুলিয়ে রাখা হয়, কারণ পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে শুনে আসছি, এই ময়না কাটা, বাঘা চুরা, বৃষ্টিবধ, নামে গাছের ডালপালা সদর দুয়ারে ঝুলিয়ে রাখলে নতুন বছরে ঘরে কোনও বিপদ আপদ, শত্রু, এবং অমঙ্গল হতে পারবে না ।’’

তবে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মধ্যে শুধু যে প্রবীনরাই আজও এই লোকাচার পালন করে আসছে সেটি নয়, নতুন প্রজন্মের কাছে আজও এই লোকাচার যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে তার পরিচয় পাওয়া যায় সদ্য যুবকদেবাশিসরায়ের কথাতেই, অন্যান্য দের মত সকালে কাঁটা সংগ্রহ করেছে নিজের বাড়ির অমঙ্গল ঠেকাতে। এই লোকাচার যা আজওযথাযথ ভাবে পালন করে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষজন।

Surajit Dey