Tag Archives: Network18

PM Modi Lok Sabha Poll Prediction: পশ্চিমবঙ্গে কটা আসন পেতে চলেছে বিজেপি? Network 18 স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি! ‘বড়’ পূর্বাভাস

নয়াদিল্লিঃ ক্রিকেট দলে একজন অধিনায়ক থাকে। কবাডিতেও তাই। ইন্ডিয়া জোটের অধিনায়ক কে? তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটের আগে নেটওয়ার্ক 18-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। যার জবাবে নিজের সবভাবসুল্ভ ভঙ্গিতে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সির লড়াইয়ে নামা মোদি বলছেন, গোটা বিশ্ব পূর্ণ জনমত-সহ স্থিতিশীল সরকারে বিশ্বাস করে। সেখানে ইন্ডিয়া ব্লক ‘এক বছরে এক প্রধানমন্ত্রী’র ফরমুলায় ‘শপথ সমারোহে’ আটকে যাবে আর দেশ পড়বে ‘সংকট সমারোহে’। আর সেই সূত্রেই এসেছে, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে কতগুলি আসন পাবে বিজেপি? আগাম অনুমানে এই দুই রাজ্যে মোদি জয়ের যে সম্ভাবনার কথা বলেছেন, তা রীতিমতো চমকপ্রদ।

নেটওয়ার্ক 18-এর গ্রুপ সম্পাদক রাহুল জোশী মোদিকে বলেন, ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে ৪২ আসনের মধ্যে ১৯ আসন পেয়েছিল বিজেপি, যা রীতিমতো আশাব্যঞ্জক ছিল। এবার পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ৩৬ আসনে জয়ের কথা CNN-News 18-এ এসে এক্সক্লুসিভলি জানিয়েছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

এ প্রসঙ্গে মোদি অবশ্য বলেন, কিছু মানুষের সমস্যা, তারা ১০ বছর পরেও বিশ্বাস করতে প্রস্তুত নয় যে, এই দেশের নাগরিকরা তাদের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদি নামক কাউকে নির্বাচিত করেছেন। একটি অংশ আছে, যারা দেশের রায় মানতে রাজি নন। এটা একটা বাস্তবতা- দেশের মানুষ আমাদের সমর্থন করছে। আপনি ভেবেছিলেন যে এটি ঘটবে না। এটা আপনার ভুল।”

আরও পড়ুন: লটারিতে এক কোটি টাকা জিতলে ট্যাক্স কেটে হাতে কত পাওয়া যায়? জেনে নিন

মোদির সংযোজন, “আমি সম্প্রতি মালদহে ছিলাম। সেখানে দেখলাম, মানুষ বিশ্বাস করে যে কেন্দ্রে একটি শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল সরকার রয়েছে এবং বাংলারও এর থেকে উপকৃত হওয়া উচিত। তৃণমূলের শাসনে নারীরা অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। সন্দেশখালির ঘটনা গোটা জাতিকে নাড়া দিয়েছে। জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে এবং তারা এই প্রক্রিয়ায় তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করবে। সুতরাং, ক্ষোভ স্বাভাবিক। নোটের স্তুপ বাজেয়াপ্ত করতে দেখেছেন মানুষ। এত টাকা মিলতে দেখেছেন আগে? সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, আপনি ৫০ কোটি, ৩০০ কোটি, ২৫০ কোটি, ২০০ কোটি টাকা উদ্ধার হতে দেখেছেন। গোটা দেশ হতবাক। যতই আড়াল করার চেষ্টা করা হোক না কেন, জাতি এখন বোঝে যে এই সমস্ত লোকেরা লুটেরা।”

বিজেপি এবার বাংলায় বড় জয়ের আশা করছে কিনা জানতে চাইলে মোদি স্পষ্টই বলেন, “অবশ্যই, বাংলায় ক্লিন সুইপ হবে।” বিহারে জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোটে রয়েছে বিজেপি। ২০১৯ সালে ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টি আসনে জিতেছিল এনডিএ। এবারের প্রত্যাশা সম্পর্কে মোদি বলেন, “প্রথমে আমরা একসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছি। পরে তারা কোথাও গিয়ে আবার ফিরে আসে। জনগণের নির্দেশে আমরা একসঙ্গে আছি। আমি সম্প্রতি বিহারে ছিলাম এবং আমি তা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি মানুষ কী চাইছেন। এই গরমে যখন কোনও তাঁবু বা কিছু নেই, তখনও লাখ লাখ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। আগে আমরা বিহারে এক আসনে হেরেছি, কিন্তু এবার হয়ত একটা আসনেও হারব না।”

News18’s Mega Opinion Poll: ২১ রাজ্যের ৫১৮ লোকসভা আসনে সমীক্ষা, ‘মেগা ওপিনিয়ন পোল’ এবার নিউজ18-এ

নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের ‘মেগা ওপিনিয়ন পোল’ নিয়ে আসছে নিউজ 18 নেটওয়ার্ক। ২১টি রাজ্যের ৫১৮টি লোকসভা নির্বাচনী এলাকা জুড়ে সমীক্ষা চালানো হয়। তার ফলাফলই ১৩ এবং ১৪ মার্চ প্রকাশিত হচ্ছে।

মেগা ওপিনিয়ন পোলে ১,১৮,৬১৬ জনের উপর সমীক্ষা চালিয়েছে নিউজ 18। উত্তরদাতারা ৯৫ শতাংশ লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন। বিপুল উত্তরদাতার এই সংখ্যাই এটাকে দেশের বৃহত্তম সমীক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে।

১৩ মার্চ অর্থাৎ আজ সন্ধ্যা ৬টায় নিউজ18-এর পর্দায় মেগা ওপিনিয়ন পোলের ফলাফল দেখতে পাবেন দর্শকরা। এ থেকে আগামী কয়েক মাসে ভারতীয় রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে কী হতে চলেছে, তার আন্দাজ পাওয়া যাবে। লোকসভা ভোটের আগে ভোটারদের চিন্তাভাবনা এবং পছন্দের বিশদ বিশ্লেষণও করা হবে।

শুধু তাই নয়, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সমস্ত প্রধান রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ভোট এবং আসন ভাগাভাগির অনুমান-সহ সমীক্ষার বিশদ ফল দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হবে।

আরও পড়ুন– মেয়ের বিয়েতে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক; এর পর যা করলেন বরের বাবা… সেই ঘটনার চর্চাই এখন সারা দেশে!

এই সমীক্ষার জন্য ১১টি আঞ্চলিক ভাষায় প্রশ্নমালা তৈরি করা হয়েছিল। তারপর র‍্যান্ডম বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের মুখোমুখি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। নিরপেক্ষ সমীক্ষার জন্য অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্র এবং সেই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র এবং পাঁচটি পোলিং বুথ নির্বাচন করা হয়।

১০টি ভিন্ন ফিল্ডওয়ার্ক এজেন্সির প্রশিক্ষিত কর্মীরা কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সঙ্গে সমীক্ষা চালিয়েছেন। সমীক্ষা শুরুর আগে নমুনা প্রশ্ন নিয়ে মক সেশনও আয়োজিত হয়। যাতে সমীক্ষায় কোনও ফাঁক না থাকে। পাশাপাশি সমীক্ষার মান অন-দ্য-স্পট পরীক্ষা করে দেখেন সিনিয়র ফিল্ড ম্যানেজার এবং এক্সিকিউটিভরা। ভোটারদের সঙ্গে প্রতিটা সাক্ষাৎকারের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য জিও ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন- ভোটের আগেই জনগণের মতের আন্দাজ! আজ দেখুন ওপিনিয়ন পোল

নিউজ18-এর মেগা ওপিনিয়ন পোলের ফলাফল ১৬টি ভাষায় নিউজ18 ইন্ডিয়া, সিএনএন-নিউজ18, নিউজ18 রিজিওনাল চ্যানেল-সহ ২০টি নিউজ18 নেট ওয়ার্কের চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ফলাফলগুলি নিউজ 18-এর ১৬টি ওয়েবসাইটেও প্রদর্শিত হবে, যা ল্যান্ডমার্ক সমীক্ষার ভ্যাপক প্রসার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কভারেজ নিশ্চিত করবে।

নিউজ18 মেগা ওপিনিয়ন পোল পরিচালনা করেছে নিউজ 18-এর পোল হাব। নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতার জন্য সমীক্ষার বিশদ প্রতিক্রিয়া এবং পদ্ধতি News18.com-এ দেখা যাবে।

FM Sitharaman | Exclusive Interview: ‘সাধারণ মানুষ এখনও আমাদের আশীর্বাদ করছেন, আপনারা কথা রেখেছেন…’: বিশেষ সাক্ষাৎকারে মন খুললেন নির্মলা সীতারমণ

নয়াদিল্লি: নির্মলাজি, আমাদের এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। বাজেটের পর প্রতি বছরের মতো নিউজ18 নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সিএনবিসি, সিএনবিসি আওয়াজ, সিএনএন-নিউজ18 মারফত আপনি দেশের প্রতিটা প্রান্তে পৌঁছে যান। বিনিয়োগকারীরাও মানিকন্ট্রোল ডট কমের মাধ্যমে বাজেটের প্রতিটা ওঠাপড়া ট্র্যাক রাখেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

প্রশ্ন: আমার প্রথম প্রশ্ন একেবারে স্পষ্ট, কোনও ভণিতা নেই, কোনও জনমোহিনী আশ্বাস নেই। এমনকী ২০১৯-এর অন্তর্বর্তী বাজেটেও সরকার কর ছাড়ের মতো কিছু বড় ঘোষণা করেছিল। কৃষকদের জন্যও ঘোষণা ছিল। এবার সে সব কিছুই হয়নি। ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে। আপনাকেও এর আগে এত স্বাচ্ছন্দ্য দেখিনি। বাজেটের খসড়া করার সময় আপনার মনে কি চলছিল?

উত্তর: প্রতি বছরের মতো বাজেটের পর আমাকে ডাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের দর্শকের সঙ্গে কথা বলার এবং যাঁরা এই অনুষ্ঠান দেখছেন তাঁদের ভারতীয় অর্থনীতি সম্পর্কে জানার জন্য এটা দুর্দান্ত সুযোগ। হ্যাঁ, গতকালের বাজেটে কোনও ছাড় ঘোষণা করা হয়নি। আমরা এটাকে সত্যিকারের ভোট অন অ্যাকাউন্টসের মতোই দেখেছি। হ্যাঁ, এটা অন্তর্বর্তী বাজেট, নাগরিক ক্ষমতায়নের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে, গত দশ বছরে তৃণমূল স্তর থেকে যে রিপোর্ট আমরা পেয়েছি তার উপর ভিত্তি করে। সুবিধাভোগীরাও নিজেদের কথা জানিয়েছেন। মুখের কথা খুব প্রভাবশালী। একজন সুবিধাভোগী যখন সত্যি উপকৃত হন এবং এর মধ্যে যখন মাঝখানে কারোর কোনও ভূমিকা থাকে না, তখন বুঝতে পারা যায়, সরকার তার ভূমিকা পালন করছে। তাই আমি মুখের কথায় আস্থা রাখি। পিএম আবাস যোজনা, পিএম মুদ্রা যোজনা, স্বনিধি যোজনার মতো প্রকল্পগুলিতে যাঁদের মাথার উপর ছাদ নেই, ব্যবসা করার টাকা নেই এমন সাধারণ মানুষ সাহায্য পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশের সেবা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষের সেবা এবং আমজনতাই তার স্বীকৃতি দিচ্ছেন।

এটা এমন নয় যে আপনি শুধু বলছেন বা কতগুলো সংখ্যা দেখাচ্ছেন। না, মাঠেঘাটে সাধারণ মানুষ এ কথা বলছে। আমার প্রতিবেশী বলছে। আমি শুনতে পাচ্ছি। আমিও তো তাঁর প্রতিবেশী।

এই কারণেই আমি এক্সপ্রেশনের কথা বলছি। কর্মে ধর্মনিরপেক্ষতা বোঝাতে চাইছি। আমরা কোনও সম্প্রদায়, ধর্ম, আত্মীয়-অনাত্মীয়ের পার্থক্য করিনি। কোনও পার্থক্য নেই। প্রকল্প প্রত্যেকের জন্য। প্রত্যেকের কাছে পৌঁছেছে। তাঁরা যদি যোগ্য হয় পাবেন, যেই হন না কেন। তাই সরকারের নীতি ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ কার্যকর করা হচ্ছে। আর হ্যাঁ, এটা আত্মবিশ্বাসের অনুভূতি। যখন আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তখন জনগণের আশীর্বাদ পেয়েছিলাম এমন নয়। সাধারণ মানুষ এখনও আমাদের আশীর্বাদ করছেন যে হ্যাঁ, আপনারা কথা রেখেছেন।

প্রশ্ন: প্রধানমন্ত্রীও সে কথা বলেছেন, আভাস দিয়েছেন, দরিদ্র, নারী, কৃষক, যুবকের জন্য। আমি মনে করি, এটাই তাঁর বক্তব্যের ভিত্তি। নির্মলাজি, আপনি কঠিন সময়ে অর্থনীতির হাল ধরেছেন। আমি যদি আপনার গত পাঁচ বছরের দিকে তাকাই, মহামারী গিয়েছে, এখন দুটো যুদ্ধ চলছে, তারপরেও আমরা ৭.৩ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অনুমান করছি। এবার যদি নমিনাল জিডিপি দেখি যা ৪-৪.৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতিতে ১০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি কি মনে করেন যে ৭ শতাংশটা চ্যালেঞ্জিং হবে? আমি বলতে চাইছি, এই পথে এগোনোটা কি বাস্তবসম্মত?

উত্তর: মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টাও তাঁর ভূমিকায় এই নিয়ে বলেছেন। তিনি কীভাবে ৭ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন নয় তা বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন। বিশ্বব্যাপীও বিভিন্ন সংস্থা আছে যারা সমস্ত দেশের অর্থনীতির দিকে নজর রাখে, যেমন আইএমএফ, তাদের নিজস্ব মূল্যায়নও উন্নত করেছে। সুতরাং, আমাদের বৃদ্ধির অনুমান আপগ্রেড করা শুধু কথার কথা নয়। মানুষ দেখছে মৌলিক কর্মকাণ্ড চলছে। অর্থনীতির মজবুতভাব কোথাও এতটুকু কমেনি। তার ‘উচ্ছ্বাস’ বজায় রেখেছে যার সঙ্গে এই জিনিসগুলি ঘটছে, শুধু রাজস্ব সংগ্রহ নয়, আমি ‘উচ্ছ্বাস’-এর কথা বলছি। সুতরাং, বিশ্বাস করার কারণ আছে, হ্যাঁ, এটা সম্ভব। এবং ডিফ্লেটার, শুধু মুদ্রাস্ফীতি নয়, ডিফ্লেটর নিজেই ক্রমাগত, মানে আমরা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের দিকে তাকিয়ে আছি। অন্যান্য কারণও রয়েছে। সুতরাং, ডিফ্লেটর নিজেই একটি ভূমিকা পালন করে। আর তাই আমরা আত্মবিশ্বাসী যে একদিকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব এবং অন্যদিকে প্রবৃদ্ধির দৃঢ়তা বজায় রাখতে পারব যাতে এটি টেকসই বৃদ্ধি হয়। আমরা বৃদ্ধিকে চালনাকারী উপাদান এবং অন্তর্ভুক্তিকে চালনাকারী উপাদান উভয়ের দিকেই নজর দেওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেছি যাতে কেউ এই বৃদ্ধির প্রক্রিয়া থেকে বাদ না পড়ে।

প্রশ্ন: কিছু জিনিস নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এই বাজেটের জন্য আপনিও অনেক প্রশংসা পেয়েছেন। আপনি যদি ফিসকাল গাইড পাথের দিকে তাকান, আমি মনে করি আপনি এই বছরের যাবতীয় অনুমান অতিক্রম করে গিয়েছেন। আপনি পরের বছর ৫.১ শতাংশ প্রজেক্ট করছেন। এটা যথেষ্ট প্রতিশ্রুতিশীল মনে হয়। এখন স্বতন্ত্র রেটিং সংস্থাগুলির প্রতি আপনার বার্তা কী? আপনি কি আপগ্রেড আশা করছেন?

উত্তর: ঠিক আছে, আমি মনে করি, তারা তাদের কাজ করছে। কিন্তু পর্যায়ক্রমে আমাদেরও উচিত তাদের নজরে আনা যে অর্থনীতি, বিশেষ করে, ভারতের মতো উদীয়মান বাজার অর্থনীতি, প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অনেক সংস্কার, পদ্ধতিগত সংস্কার করছে। আপনি ফল দেখতে পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যদি প্যাডেল না করতেন, বলা যাক রিভিং প্যাডেল, আমরা কোভিড পরিচালনা করেছি, সংস্কার চালিয়ে গিয়েছি, আত্মনির্ভর ভারতের মতো ঘোষণা হয়েছে।

আমরা সকলেই সংস্কারের পক্ষে। নাহলে ৬৮ হাজারের বেশি আইন বদল হত না। সেগুলো এতই পুরনো যে ভাড়া চাওয়া লোকেদের উপকরণ হয়ে উঠেছিল। সুতরাং, পদ্ধতিগত সংস্কারগুলি অব্যাহত রয়েছে, তা প্রাক-কোভিড, জিএসটি এবং আইবিসি হোক না কেন। একই সঙ্গে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির পেশাদারীকরণের মতো অন্যান্য অনেক সংস্কারও হয়েছে। সংস্কারের উপর জোর দেওয়ার পুরষ্কারও আমরা পেয়েছি। এবং আমরা তা চালিয়ে যাব। সেজন্য বাজেটেও আমরা স্বচ্ছতার ওপর জোর দিয়েছি, বাজেটের বাইরে বা কার্পেটের নীচে কিছু লুকিয়ে না রেখে বাজেট প্রক্রিয়ার মধ্যেই সব কিছু করার উপর জোর দিয়েছি।

এগুলো ছোট পদক্ষেপ নয়। গত চার পাঁচ বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে হয়ে চলেছে। এবং তার আগে আমি যেমন বলছিলাম, আইবিসি বা ব্যাঙ্কিং সংস্কার, পাঁচটি প্রধান কাজ। আমরা যেমন বলি, সমস্যা থাকলে তার তালিকা বানাও। এখানে অনেক সমস্যা। কিছু ছোট, কিছু বড়। ছোটগুলোর মধ্যে অর্থনীতিকে উন্মুক্ত, স্বচ্ছ এবং পরিচ্ছন্ন করাটা বড় কাজ। বড়র মধ্যে জিএসটিতে যে অর্থ উঠে আসে তার ফলাফল তুলে ধরা, এগুলো ছোট পদক্ষেপ নয়।

প্রশ্ন: আপনি সংস্কারের কথা উল্লেখ করায় আমি খুশি। মনে হচ্ছে আপনি যে বার্তা দিতে চাইছেন সেটা হল সরকার সংস্কারের পথে চলবে। আমি এর আগে আপনাকে এটা বলেছি, গত বছর নির্বাচনের সময় কর্পোরেট রেট ট্যাক্স কমানো, মানে আপনি কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরবর্তী কী কী সংস্কার আমরা আপনার কাছ থেকে আশা করতে পারি? বিস্তৃতভাবে, মানে, দিকনির্দেশনামূলকভাবে?

উত্তর: প্রথমত আমি যেমনটা বললাম, সিস্টেমকে আরও স্বচ্ছ করতে, রাজ্যগুলির সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করা নিশ্চিত করতে আরও কিছু করতে হবে। এই ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার কাজ করবে। একচেটিয়াভাবে এটা কেন্দ্র করবে কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ওভারল্যাপ হচ্ছে। কিছু রাজ্য উৎসাহের সঙ্গে বলছে যে ‘হ্যাঁ, এ থেকে আমাদেরও উপকৃত হওয়া উচিত’, যা এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার ফল। তাই যখন সংস্কারের কথা বলা হয়, তখন তিনটি স্তরে কাজ করতে হয় – কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং তারপরে স্থানীয় সংস্থাগুলি। এখন রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। গত কয়েক বছরে আপনি অনেক ক্ষেত্রে দেখবেন, আমরা মিলিতভাবে কাজ করছি। স্থানীয় সংস্থা, পুরসভা, পঞ্চায়েতের মধ্যে আরও বেশি চিন্তাভাবনার আদান প্রদান করতে হবে। এবং একসঙ্গে কাজ, সেটাও চলবে।

প্রশ্ন: আমি যদি আপনাকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি যে এয়ার ইন্ডিয়া বাদে আর কোনও কৌশলগত বেসরকারিকরণ হয়নি কেন, কোনও উল্লেখযোগ্য কারণ? সেটা আইডিবিআই, কনকর, এসসিআই ব্যাঙ্কগুলিই হোক না কেন, কেন আপনার সরকার বারবার এই ডিসইনভেস্টমেন্টে কম পারফর্ম করেছে? আমি বলতে চাইছি, সরকারের মধ্যে চিন্তাভাবনার কি কোনও পরিবর্তন হচ্ছে? আপনি কি কৌশলগত বিক্রয়ের দিকে তাকিয়ে আছেন? সম্পূর্ণরূপে বিক্রি করার প্রস্তাব নাও দেওয়া হতে পারে? চিন্তার মধ্যে কি কিছু পরিবর্তন আসছে?

উত্তর: আমি চাই আপনি সর্বপ্রথম সেই প্রশ্নটিকে এই ফ্রেমের মধ্যে রাখুন যা আমি পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজ নীতির বিষয়ে বলেছি। যদি একটি নীতি কাঠামো ঘোষণা করা হয় এবং তাতে যে মূল কৌশলগত খাত রয়েছে, যেগুলি সরকার স্বীকার করে যেখানে সরকারের ন্যূনতম উপস্থিতি থাকবে, এমনকী সেই সেক্টরগুলিতে বেসরকারি খাতকে অনুমতি দেওয়া হবে। সম্পূর্ণ অংশগ্রহণের জন্য তারা উন্মুক্ত। অর্থাত মূল কৌশলগত সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত কোনও একটি সেক্টর থাকবে না, যা একচেটিয়াভাবে পাবলিক সেক্টরের জন্য সংরক্ষিত থাকবে, যেখানে একত্রীকরণ ঘটতে হবে যাতে তাদের যথেষ্ট বড় করে তোলা যায়। ভারত বড় দেশ। এখানে দক্ষতা আনতে হবে, তাদের মান বাড়াতে হবে। সুতরাং, আপনার এই প্রশ্নটি সেই ফ্রেমে ফিট হতে হবে।

আমি মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদিত সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে কোনও পরিবর্তন করব না, তবে একই সময়ে, আপনার সম্ভবত এটিও লক্ষ্য করা উচিত যে তাদের প্রত্যেকের জন্য আমরা কাজ করছি, আমরা তাদের সেখানে থাকতে দিচ্ছি না, যতক্ষণ না তারা বিনিয়োগ না করছে। সমানভাবে, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে তাদের মূল্যায়ন যেন ঠিকভাবে করা হয়। তারা উন্নত হয়। আপনি যদি পাবলিক সেক্টরের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলি এবং আজকের বাজারে তাদের মূল্যায়নের দিকে তাকান তবে আপনি দেখতে পাবেন যে তাদের মধ্যে কী ধরনের প্রাণবন্ততা আনা হয়েছে। শেয়ারের মূল্য বেড়েছে, লভ্যাংশও আগের চেয়ে অনেক ভাল। সুতরাং, বিনিয়োগ একটি জিনিস, তবে তাদের মূল্য আনুন এবং নিশ্চিত করুন যে বাজারগুলি তাদের দিকে একেবারে অনুকূলভাবে দেখছে।

প্রশ্ন: প্রকৃতপক্ষে পাবলিক সেক্টর কোম্পানিগুলি সত্যিই ভাল করেছে এবং পাবলিক মার্কেটগুলিও। আপনি কি কিছু কোম্পানিতে আপনার অংশীদারিত্ব কমিয়ে ৪৯ শতাংশ করার বিষয়ে বিবেচনা করবেন, যার ফলে তারা সরকারি মালিকানাধীন থাকবে না কিন্তু একইসঙ্গে, দুদিকেই সেরা হয় এবং মূল্যায়ন আরও বাড়তে পারে?

উত্তর: না, এমন কোনও বিষয় নয়। বিশেষ করে পলিসিগত হিসেবে। কিন্তু অনেক উপায় আছে। আপনি পর্যায়ক্রমে দেখতে পাবেন। দীপম বিভাগ, যা ডিসইনভেস্টমেন্টের দিকটা দেখে, ধীরে ধীরে কৌশলগতভাবে প্রচুর সরকারি শেয়ার বাজারে ছেড়েছে যাতে ব্যক্তিগত মালিকানা আসতে পারে, তারা নেয়। সুতরাং এটা ইতিমধ্যেই ঘটছে। এবং আমরা জনগণের মালিকানার বৃহত্তর অংশ নিশ্চিত করতে চাই।

প্রশ্ন: এসবিআই বা ওএনজিসি-র মতো কোম্পানিগুলোতে, আমি বলতে চাইছি, কোনও সম্ভাবনা রয়েছে?

উত্তর: অবশ্যই।

প্রশ্ন: এই বাজেটের একটা বড় দিক, যা সকলে ভাবছে, তা হল গবেষণা এবং উদ্ভাবনের জন্য সুদমুক্ত বা স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের জন্য ১ লাখ কোটি টাকার কর্পাসের ঘোষণা। আপনি কি এই বিষয়ে একটু বিস্তারিত বলবেন? কীভাবে এটা কাজ করবে? এটি পরিচালনা করার জন্য কি পৃথক বোর্ড থাকবে? এটা কীভাবে এগোবে?

উত্তর: হ্যাঁ, অবশ্যই। আমি প্রথমে এই প্রসঙ্গে বলি, এমন নয় যে আমরা প্রথমবারের মতো এই কাজ করছি। এর আগেও বিজ্ঞান বা প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রে বেশ কিছু তহবিল ছিল। তাদের একটা সিআইএসআর ছিল। এর নিজস্ব তহবিল ছিল। আপনি তাদের প্রত্যেককে তাদের নিজস্ব দিক থেকে উদ্ভাবনের জন্য সহায়ক কার্যক্রম করতে বলেছেন।

দুই বছর আগে, আমি ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন ঘোষণা করার কথা মনে করিয়ে দিই যা এই সমস্ত বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে থাকা সংস্থানগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছিল। এবং সেখান থেকে প্রতিটি বিভাগ উদ্ভাবন সহায়ক কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে যা কিছু তহবিল দিতে চায় তা দাবি করে। কিন্তু আমরা এখন যা করেছি তা হল তারা হয়তো থাকবে, কিন্তু সরকার এখন এমন একটি প্রতিষ্ঠান বা একটি গাড়ি নিয়ে আসবে, যা এই ১ লাখ কোটি টাকা নিতে পারে যা তাদের আগামী কয়েক বছরে দেওয়া হবে- সুদ-মুক্ত কর্পাস। এটি ব্যবহার করে তারা তখন উদ্ভাবন-সম্পর্কিত অনুশীলনগুলি সনাক্ত করবে যা বেসরকারি খাতে ঘটছে এবং তাদের অর্থায়ন করবে।

আমি এই কর্পাসকে ৫০ বছরের সুদমুক্ত ঋণ দিতে পারি, কিন্তু সেই তহবিলের ব্যবস্থাপক তখন সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে, কী মূল্যে তাঁরা এটি দেবেন। ঝুঁকির কারণ এবং এটি পরিচালনাকারী পেশাদারদের বিচারের উপর নির্ভর করে খরচ পরিবর্তিত হতে পারে। তবে এটি অবশ্যই এমন একটি তহবিল যেখানে ব্যক্তিগত উদ্ভাবনকে সমর্থন করা হবে।

প্রশ্ন: আমি নিশ্চিত যে ভবিষ্যতে আপনাকে এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করা হবে, কিন্তু ১১.১ লক্ষ কোটি টাকা ক্যাপেক্সের জন্য বরাদ্দ, এই বছরে আপনি ১০ লক্ষ কোটি টাকাও করতে পারেননি তা বিবেচনা করে কি এটাকে অনেক বড় লক্ষ্য বলে মনে হচ্ছে?

উত্তর: না, কিন্তু আমরা মাত্র ২ লক্ষ টাকা, ৩ লক্ষ টাকা করেছি, ব্যাপারটা এমনও নয়। আমরা ১০ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি। সবকিছুর নিজস্ব সীমা আছে। রাজ্যগুলি হোক বা ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ বিভাগ, যখন তাদের দেওয়া ব্যয়ের মাধ্যমে মূলধন ব্যয় করা হয়, তখন ১২ মাসের মধ্যেই তাদের তা করতে হয়, এর বাইরে নয়। তাই কখনও কখনও লক্ষ্যে পৌঁছনো, তা যত উচ্চাভিলাষীই হোক না কেন, ১২ মাসের মধ্যে শেষ করতে হয়। আমরা যদি তাদের আরও কয়েক মাস সময় দিতাম, তারা সম্ভবত এটি সম্পূর্ণ করতে পারত। কিন্তু এই মূলধন ব্যয়ের জন্য শর্ত যা আমি গত ২-৩ বছর ঘোষণা করেছি, সেই পরিমাণটি এক বছরের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।

তাই অনেক রাজ্য সরকার, যারা অর্থ নেয়, খুব ভাল বাস্তবায়নও করে, বাস্তবে সেই রাজ্যগুলিই এই সুবিধাটি পেতে উৎসাহী। অসুবিধাটা হল, আপনি যদি তাদের ১২ মাসের মধ্যে এটি ব্যবহার করতে বলছেন। যা আমরা লক্ষ্য করি এবং আমরা চাইও তারা ১২ মাসের মধ্যে এটি ব্যবহার করুক। তাই আমি সেই অর্থে সীমাবদ্ধতা বলছি না তবে ১২ মাসের মধ্যে যখন আপনি সেই অর্থ ব্যয় করবেন বলে আশা করা হয়, কিন্তু কিছু সময় সেটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তারা আংশিকভাবে এটি ব্যবহার করে। সেজন্য ১০ লাখের মধ্যে আপনি ৯ বা ৯.২-এ পৌঁছতে পারেন এবং ১০ হয়ত ছুঁতে পারলেন না। কিন্তু ১২ মাসের মধ্যে ৯.২ অর্জন করাটাও কম নয়। তাই এটাকে ১১-তে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্যমাত্রা। আমি আশাবাদী যে এটা ঘটবে। রাজ্যগুলিকে যে পরিমাণ দেওয়া হচ্ছে তারও ভাল ব্যবহারও হচ্ছে।

প্রশ্ন: নির্মলাজি, যদি আমি ঠিক বুঝতে থাকি তাহলে বলা যায়, সরকার খরচ কমানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। শেষ সাক্ষাৎকারেও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। আপনি আশা করছেন বেসরকারি খাতও বড় লাফ দেবে। আমরা এখন কিছু সেক্টর দেখছি। স্টিল, এভিয়েশন, পাওয়ার, মেশিনারি খাতে বিনিয়োগ আছে, কিন্তু বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণের মাত্রা নিয়ে আপনি কি খুশি? আপনি বলেছিলেন, ওঁরা হনুমানের মতো, আর হনুমানের নিজের ক্ষমতার কোনও ধারণা নেই। কবে এই হনুমান অর্থনীতির পাহাড় তুলবে বলে ভাবছেন?

উত্তর: ঠিক আছে, আপনি যেমন বলছেন, তারা এগোচ্ছে, বিনিয়োগ হচ্ছে। পিএলআই স্কিম তাদের সাহায্য করছে। তাই নতুন এলাকায় বিনিয়োগের গর্ভাবস্থার সময়কাল একটু বেশি থাকে। এটা এমন নয় যে তাদের ব্রাউনফিল্ড প্রকল্পগুলি অতিরিক্ত অর্থ পাচ্ছে। সেটাও হচ্ছে। কিন্তু সানরাইজ সেক্টরে আগ্রহ বাড়ছে। লোকেরা আগ্রহ দেখাচ্ছে। পনি তাদের এগিয়ে আসতে দেখছেন।

প্রশ্ন: এটা হৃদয়বিদারক খবর, গ্রামীণ অর্থনীতিতে যে চাপ দেখা যাচ্ছে, সেই নিয়ে একটা প্রশ্ন। মনরেগাতে উচ্চ বরাদ্দও গ্রামীণ অর্থনীতিতে চাপের ইঙ্গিত। আপনি যদি এফএমসিজি কোম্পানি, কনজিউমার ডুরেবল কোম্পানির ফলাফল দেখেন, এমনকি যদি আপনি নিয়েলসেন ডেটা দেখেন, তবে এটি বোঝা যায় যে গ্রামীণ আয়তনের বৃদ্ধি এখন ধরে শহুরে ভলিউম বৃদ্ধির চেয়ে প্রায় সাত চতুর্থাংশ কম। তাহলে আপনার গ্রামীণ চাহিদার পূর্বাভাস কী এবং আপনি কীভাবে এর সঙ্গে সামনে থেকে মোকাবিলা করবেন?

উত্তর: গ্রামীণ এলাকায় যা ঘটছে সেটাকে কতটা ভাষায় বোঝাতে পারব আমি নিশ্চিত নই। তবে স্বীকার করতে হবে কর্মসংস্থান যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে বড় পরিবর্তন এসেছে। মাইগ্রেশনকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করতে হবে। অনেক মানুষ কাজ শিখে গ্রামে ফিরে গিয়েছেন এবং ভাবছেন সেখানেই তাঁরা দক্ষতা কাজে লাগাবেন। অনেক সেক্টরেই এখন ওয়ার্ক ফ্রম হোমের অনুমতি দিচ্ছে। যারা ঘোরাঘুরি পছন্দ করেন না তাঁরাও ফিরে যাচ্ছেন। এই বদলটা বুঝতে হবে। এটা বলা যাবে না যে তাঁরা কোনও কাজ ছাড়াই শুধু বাড়িতে বসে থাকছে। সর্বত্র বড় কোম্পানি তৈরি হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটা বড় পরিবর্তন।

দ্বিতীয়ত, মানুষের সামান্য সঞ্চয় রয়েছে। যা আমরা বিভিন্ন স্থায়ী আমানত থেকে দেখতে পাচ্ছি। কিছু মধ্যবিত্ত স্টক মার্কেট, ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন। সুতরাং গ্রামীণ অর্থনীতির অনেক সূচক রয়েছে, যার পরিবর্তন হচ্ছে, আমরা কোনওটাই মিস করতে চাই না। হ্যাঁ, আমি একমত এফএমসিজি বাজার আমাদের বলবে যে টেকসই ভোগ্যপণ্য আগের মতো আর ব্যবহার হচ্ছে না। ওয়েল, এটি একটা সূচক। কিন্তু সমানভাবে, গ্রামীণ এলাকায় এখন যে ধরনের কর্মকাণ্ড হচ্ছে উন্নত সংযোগের কারণে, ডিজিটাইজেশনের কারণে, তা এখনও পরিমাপ করা হয়নি, আমি মনে করি।

প্রশ্ন: চাকরির বাজার সম্পর্কিত একটি বিষয়, বিশেষ করে, আপনি যদি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং এমবিএ কলেজগুলিতে ক্যাম্পাস নিয়োগের দিকে তাকান। সুতরাং একদিকে অর্থনীতি ভাল চলছে এবং সমস্ত সূচক তাই দেখাচ্ছে। কিন্তু অন্যদিকে, ক্যাম্পাসে চলতি বছরের নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে। বেতন কম পেয়েছে, অনেক শিক্ষার্থী এখনও চাকরির অফার পায়নি। সামগ্রিক বড় ছবির সঙ্গে এটিকে কীভাবে দেখছেন?

উত্তর: আমরা বারবার কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিক অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত সেই সূচকগুলিতে ফোকাস করছি, যা গুরুত্বপূর্ণ। আমি এর ভূমিকা অস্বীকার করছি না। তাই কলেজের নিয়োগ, আইআইএম-এর মতো ক্যাম্পাসগুলি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সমানভাবে মধ্যম এবং নিম্ন ক্রমে যে চাকরিগুলি তৈরি হচ্ছে তা মোটেই গণনা করা হচ্ছে না। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ঋণ কীভাবে এবং কতটা দিচ্ছে সেটাও আমি দেখব।

নতুন যেসব কোম্পানি রেজিস্টার্ড হয়েছে, একটা ডেটা আমি এমসিএ থেকে রেখেছি। যে সংখ্যায় নতুন কোম্পানি শুরু হয়েছে তাদেরও তো লোক দরকার? তারা টাকা ঢেলে, দক্ষতায় বিশ্বাস করে, একটি কোম্পানি নিবন্ধন করছে এবং সম্ভবত অন্যদের চাকরি দিচ্ছে। কেন নতুন কোম্পানি আগের তুলনায় একটি বড় সংখ্যায় নিবন্ধিত হবে যদি কর্মসংস্থান না দেয়? কোম্পানিগুলির মানুষ ছাড়া চলবে কী করে! তাই আমি মনে করি, আনুষ্ঠানিক ও অ-আনুষ্ঠানিক উভয় ক্ষেত্রেই ভারতের কর্মসংস্থানের একটি ন্যায্য ও বিস্তৃত চিত্রের একটি বৃহত্তর ভিত্তি থাকতে হবে, এবং আমাদেরকে এমন তথ্য আনতে হবে যাতে আলোচনা হতে পারে।

প্রশ্ন: বৈশ্বিক মন্দা আমাদের কাজের উপরও প্রভাব ফেলছে, বিশেষ করে, উচ্চ প্রান্তে, তাই না? মানে, আইআইএম ক্যাম্পাস বা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ইত্যাদি।

উত্তর: সমানভাবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে আসছে তার কারণে, নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রত্যাশার পরিবর্তন ঘটছে। সুতরাং, পুরনো দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের কাছে এখন একটি নির্দিষ্ট এলাকায় প্রবেশের জন্য অতিরিক্ত নতুন দক্ষতার সেট রয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে, যা এখন পর্যন্ত ছিল না। সুতরাং, এটি বোঝার জন্য প্রচুর তথ্যের প্রয়োজন।

প্রশ্ন: গতকাল বাজেট বক্তৃতায় আপনি আয়করদাতাদের খুব প্রশংসা করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা বেড়েছে। সংগ্রহ বেড়েছে ২.৪ গুণ। আপনি বেশ প্রশংসা করেছেন। আসলে, আমি ভেবেছিলাম যে আপনি তাদের কিছু ফেরত দেওয়া বন্ধ করছেন কারণ এটি ভোট অন অ্যাকাউন্টস ছিল। আমার প্রশ্ন হল বেতনভোগীরা আজ ৩০ শতাংশ দিচ্ছে, যেখানে কর্পোরেটগুলি ২২ শতাংশ ট্যাক্স দেয়। দীর্ঘমেয়াদে, দিকনির্দেশনামূলকভাবে, কর্পোরেট অর্থ একটি সত্ত্বা। সেটা ঠিক, তাই আমি দীর্ঘমেয়াদে বলছি, দিকনির্দেশনামূলকভাবে। আপনি কি মনে করেন যে আপনি কিছু উপায় বা অন্যভাবে এটা করবেন? আমি দীর্ঘমেয়াদের কথা বলছি।

উত্তর: প্রত্যক্ষ কর সংস্কারের কাজ চলছে। তার কিছু ফলাফলও দেখা গিয়েছে। আরও কাজ হচ্ছে। সুতরাং প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থা এমন একটা পদ্ধতি যেখানে করদাতাদের কাজ সহজ করা হয়, আগামীদিনে এটা আরও উন্নত হবে। গতকালও একটি ঘটনা ঘটেছে, ‘করের ক্ষেত্রে গ্রাহককে আরও ভাল ব্যবসার পরিষেবা দেওয়া’ তবে আরও কাজ সবসময় করা যেতে পারে।

প্রশ্ন: হ্যাঁ, আগামীদিনে বেতন নিয়ে আরও আশাবাদী…

উত্তর: কিন্তু এখন কিছু বলার জায়গা আছে?

প্রশ্ন: না, আমি জানি। আমি দিশাগতভাবে বলতে চাইছি, দীর্ঘমেয়াদে। আপনি গত কয়েক বছরে মুদ্রাস্ফীতি খুব ভালভাবে পরিচালনা করেছেন। কিন্তু খাদ্য-মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে কি বলবেন? আসলেই কি সাধারণ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে? ডাল ২০ শতাংশ, সবজি ২৭ শতাংশ বেড়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার কোনও পরিকল্পনা?

উত্তর: দেখুন, খাদ্য মূল্যস্ফীতিকে একটা ঝুড়িতে রাখা বা এক জিনিস বলে বলা যায় না। এতে বিভিন্ন উপাদান রয়েছে। ডাল আরও বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে, আমরা তাদের চাহিদা মেটাতে আমদানি নির্ভর হয়ে পড়ছি। সেই অর্থে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। আমাদের চাহিদা মেটাতে আমদানি করতে হয়। এবং যখন আপনি আমদানির উপর নির্ভর করেন, তখন দাম আমাদের দ্বারা নয়, সরবরাহকারী দ্বারা নির্ধারিত হয়। তাই যখন ডাল বা অন্যকিছুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, তখন আগে থেকেই গোটা বিষয়টার ভাল দখল নিতে হয়।

আপনি জানেন শুধু ফসল নয়, যা আমদানির প্রয়োজন, তার আগাম পরিকল্পনা করতে হবে। অনেকগুলো দেশকে দেখতে হয়। এতে ব্যবসায়ীদের ভূমিকাটাও গুরুত্বপূর্ণ। এটা একটা জিনিস। দ্বিতীয়ত আপনি অন্যান্য মরশুমি শাকসবজির দিকে তাকান, যা খরা বা অতিরিক্ত বৃষ্টিতে প্রভাবিত হতে পারে। কোনও আমদানি আমাদের সাহায্য করতে পারবে না। যদি হঠাৎ করে আলু বা পেঁয়াজ বা টম্যাটো না পাওয়া যায়, তাহলে শেষ মুহূর্তে অন্য কোথাও থেকে সংগ্রহ করতে গেলে প্রচুর অসুবিধায় পড়তে হয়।

তাই ডাল ও পচনশীল ফসলের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে এবং বলে রাখি চাল, যা সংরক্ষণ করা যায়, সবই কিন্তু আলাদা। এই কারণেই ভারত সরকারের একটি কমিটি রয়েছে যা এর দেখভাল করে। এবং নিশ্চিত করে যে আপনি সময়মতো অনুমানের ভিত্তিতে সেগুলি পেতে সক্ষম হবেন। এটি একটি চলমান কাজ, কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমায় বাঁধা যাবে না। আমি মনে করি কমিটি অনেকাংশে সফল হয়েছে। অন্যথায় আমরা নীতি পরিসরের কাছাকাছি পৌঁছতে পারতাম না।

প্রশ্ন: আমি ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। তিনি সাদা কাগজের কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমাদের সাদা কাগজ নিয়ে আসা উচিত কারণ আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে এমন একটা অর্থনীতি পেয়েছি যা ভঙ্গুর। সেটা প্রাথমিক পর্যায় ছিল। সরকারের সবে ২ বছর বয়স। সেখান থেকে একে টেনে তুলতে কী কী করতে হয়েছে? আপনি গতকাল শ্বেতপত্র সম্পর্কে একই কথা বলেছেন। আপনি বলেন, অর্থনীতিকে শেষ প্রান্ত থেকে টেনে তোলা কঠিন কাজ। সাদা কাগজের পেছনের ধারণা কী? এখন কেন? আর এটা কি বিরোধীদের মোকাবিলার আরেকটা অস্ত্র?

উত্তর: দেখুন, আপনি ঠিকই বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে এটা নিয়ে বলেছিলেন। তখন আপনার সাক্ষাৎকারে, সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে একই পরামর্শ এসেছিল যে সাদা কাগজ নিয়ে আসুন। ভারতীয় অর্থনীতি যে ভঙ্গুর অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিল বলাই বাহুল্য। আমাদের ব্যাঙ্কগুলি কেন এমন ব্ল্যাকহোলে পরিণত হয়েছিল তা বলতে গেলে বলতে হয় ব্যাঙ্কগুলির কিছুই পুনরুদ্ধার করা যায়নি। তারা গভীর সমস্যায় পড়েছিল। এনপিএ-এর সংখ্যা এবং এনপিএ-এর মান দেখুন, মানে আসল মূল্য কত ছিল এবং কতটা? তারা মূল্যহীন অবস্থানের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। তাই সেটা ব্যাঙ্কই হোক, সামগ্রিক অর্থনীতি হোক, প্রতিরক্ষা সংগ্রহ হোক, টেলিকমের গুরুত্বপূর্ণ খাত হোক, খনিজ হোক, প্রতিটি এলাকাই ছিল সমস্যায় জর্জরিত।

এখন, আপনি যদি দুর্নীতির কথা বলেন, এটা একটা জিনিস, আদালতে যেতে হয়, মানুষ শাস্তি পায়, এবং তারপর টাকা ফেরত পায় কিংবা পায় না। মান পুনরুদ্ধার করা যায় বা যায় না। এটা গল্পের এক দিক। কিন্তু অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলেছে? আপনার ব্যাঙ্কগুলিকে আবার স্বাস্থ্যকর অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য, আপনার দেশ নিরাপদ কি না তা নিশ্চিত করার জন্য, প্রতিরক্ষা কর্মীদের দেওয়া পর্যাপ্ত কৌশলগত সরঞ্জাম সহ, আপনার খনিগুলি, যা মাটির নিচে সম্পদ, মানে মাটির নিচে পৃথিবীর ভিতরে, সেগুলি ব্যবহার করার জন্য। দেশের স্বার্থে এগুলোকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে যার মাধ্যমে আপনি নিজের পকেট ভরাতে থাকে তখন অর্থনীতিতে এর কী প্রভাব পড়ে।

ব্যাঙ্কগুলোর অবস্থা ভাল ছিল না, খনি দেওয়া হচ্ছে ভাই-বোনদের যারা দেশের স্বার্থে খনিজ উত্তোলন করেনি, স্পেকট্রাম বরাদ্দ। এসব যদি সময়মতো হয়ে যেত, তাহলে আমাকে বিএসএনএল পুনরুদ্ধার করতে, সময়মতো ২জি বা ৪জি করতে এতটা খরচ করতে হত না। এবং বুঝুন ৪জি সময়মতো না এলে দেশে এর প্রভাব কতটা পড়ে? যেখানে পুরো বিশ্ব ৫জি নিয়ে কথা বলছে।

সুতরাং এটি যে ধরণের প্রভাব ফেলেছিল, সেটা শুধু অব্যবস্থাপনা নয়, ভঙ্গুর নীতি পক্ষাঘাতের কথা নয়, প্রতিটি পদক্ষেপের কথা। কোনটা কোনটা নৈতিক অর্থে অনৈতিক, সঠিক ছিল না, এবং একই ধরনের ইতিবাচক প্রভাব যদি স্বচ্ছ পদ্ধতিতে খুব ভালভাবে ঘটত, তবে সেটা অর্থনীতিতেও পড়ত। আমরা ১০টি গৌরবময় বছর কাটিয়েছি। এটাকে সেই অবস্থানে ফিরিয়ে আনা এবং তারপরে এখান পর্যন্ত টেনে আনা, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির কাছাকাছি যাওয়া কঠিন কাজ, যার জন্য আমি কৃতজ্ঞ এই দেশে মোদীজির মতো একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যিনি একা বলেছিলেন, আমি এই অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করব। এটা আমার জাতির সেবা, না হলে এমন হত না।

তাহলে এখন সাদা কাগজ কেন? হ্যাঁ, আমাদের ১০ বছর ছিল এবং তার আগে ১০ বছর ছিল। যেখানে আপনি এই সব ঘটতে দেখেছেন। নীতি পক্ষাঘাত, দুর্নীতি, জাতি তার সম্পদ হারাচ্ছে ইত্যাদি। প্রধানমন্ত্রী মোদির অধীনে দশ বছরে কী ধরনের সংশোধন হয়েছে, কী ধরনের আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার করেছি আমরা, তা সবাই জানে। আপনি নিশ্চিত করছেন যে বিএসএনএল কর্মীদের বকেয়া দেওয়া হয়েছে, আপনি নিশ্চিত করছেন যে দেশ যেন ৫জি পায়, শুধু ৪জি নয়।

ভারতকে নিশ্চিত করতে হবে যে বিনিয়োগকারীদের আস্থা শুধু অটুট নয়, যেন বাড়ে, আট বছরের মধ্যে, আমি বলব যে আমরা আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫৯৬,০০০,০০০,০০০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। সেই ১০ বছরের সঙ্গে তুলনা করুন, অন্তত নির্বাচিত সম্মানিত প্রতিনিধিদের স্বার্থে যারা সংসদে বসে আছেন, তাদের জানা উচিত তখন কী ছিল, এখন পুনরুদ্ধারে কী কী প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। তাই আমাদের কখনই জাতিকে ভুলে ব্যক্তিগত স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত নয়।

এখন কেন? সংসদেরও জানা উচিত। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি যদি এই আহ্বান না করতেন যে, জাতির স্বার্থে আমরা এটা বের করব না… তিনি তখন শ্বেতপত্র আনেননি, কারণ আপনি জাতিকে প্রথমে রাখেন, আপনি বলেন, যদি আমি এখন এটা করি, আমি খুশি হতে পারি। কিন্তু আমাদের দেশের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যেত। বিনিয়োগকারীরা আসতেন না। আমাদের নিজস্ব লোকেরা সিস্টেমের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলত। তারা বলত, ওহ ভগবান, সরকার আসবে, খাবে আর যাবে। পরের সরকার আসলে তারাও এটাই করবে। আমরা সবাই অলস।

প্রতিষ্ঠানের প্রতি, সরকারের প্রতি, নেতাদের প্রতি, রাজনীতির প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যেত। আমি খুবই কৃতজ্ঞ যে প্রধানমন্ত্রী তা করেননি। বরং সবকিছু পুনরুদ্ধার করেছেন, ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করার জন্য এমন একটি দুর্দান্ত ট্র্যাকে নিয়ে এসেছেন, যাতে আমরা সবাই জানি যে আমাদের কি করতে হবে এবং ভবিষ্যতে আমাদের কী করা উচিত নয়, এই কাগজ।

প্রশ্ন: তাহলে আপনি কখন এটা বের করবেন?

উত্তর: খুব তাড়াতাড়ি।

প্রশ্ন: যখন বাজারের কথা আসে, নির্মলা সীতারমণ কোনও ভুল করতে পারেন না। গত দুই-তিন বছর ধরে বাজার জমজমাট। আপনি কি বাজার এবং এর অংশগ্রহণকারীদের নিশ্চিত করতে পারেন যে মূলধন লাভ কর ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা থাকবে? গত বছর, আপনি আপনার বাজেট বক্তৃতায় ডেট মিউচুয়াল ফান্ডগুলিতে পরিবর্তন এনেছিলেন। সুতরাং, স্থিতিশীলতা কি থাকবে?

উত্তর: অদূর ভবিষ্যতে, নীতিগত স্থিতিশীলতা হল এমন একটি বিষয় যার উপর প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) সত্যিই জোর দিয়েছেন। তিনি ঘনঘন টুইকিং পছন্দ করেন না, তিনি আপনাকে বলবেন যে বড়জোর দুই বছর বা তিন বছর, খেলতে দিন, সেটেল ডাউন হবে। তিনি কখনই দ্রুত মোচড়ের পক্ষে নন। আমিও বলছি না। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন যাঁরা তাঁকে দেখেছেন তাঁরা জানেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদির সবচেয়ে বড় শক্তি নীতির স্থিতিশীলতা।

প্রশ্ন: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের কাজকর্মের উপর বিধিনিষেধ জারি করেছে। আমি বিশদে যেতে চাই না, তবে ফিনটেক শিল্পের জন্য আপনার বার্তা কী? এক্ষেত্রে চোখে পড়ার চেয়ে বেশি কিছু আছে, নাকি এই সেক্টরে আমরা সতর্ক থাকছিই?

উত্তর: আমি কোনও নির্দিষ্ট কোম্পানি সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু, ফিনটেক এমন একটি এলাকা যা নিয়ে আমরা সবাই খুব উৎসাহী। ভারতে এই সেক্টরে অনেক অবদান রেখেছে, যা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। আজ, লোক যখন শুধু সমাধানের খোঁজ করে, বিশেষ করে ফিনটেক সমাধান, তারা ভারতের দিকে তাকায়। আমাদের যুব সমাজ অনেক অবদান রেখেছে; এটি এমন একটি এলাকা যেখানে আমরা অবশ্যই কাজ করতে এবং উৎসাহ দিতে চাই। আমি কোনও একটি কোম্পানি সম্পর্কে মন্তব্য করব না।

প্রশ্ন: আপনি চারপাশ টাইট করে রেখেছেন… আপনার কি মনে হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শিথিল হওয়া উচিত?

উত্তর: আরবিআই সিদ্ধান্ত তাঁদের নিজস্ব। আমি তার প্রশংসা করব যদি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করে এবং বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেয়। তারা নিজেদের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকতে পারে। আমি মনে করি তারা অবিচল থাকবেও, এটাই আমার প্রত্যাশা এবং আশা।

প্রশ্ন: আমরা নির্মলা সীতরমণের একটি ভিন্ন দিক দেখছি। গত কয়েক সপ্তাহে, আপনাকে একজন আক্রমণাত্মক রাজনীতিবিদ হিসেবেও দেখা গিয়েছে। তামিলনাড়ুতে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন। আপনি (এমকে) স্ট্যালিনের ডিএমকে-কে হিন্দু বিরোধী দল বলেছেন এবং বলেছেন যে তারা রাম মন্দিরের ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’-র সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছে। এই বিষয়ে কী বলবেন?

উত্তর: আমি কোনও হালকা কথা বলিনি। আমি যা বোঝাতে চেয়েছি সেটা আমি বিশ্বাস করি। তামিলনাড়ুতে হিন্দুদের উপর আক্রমণের ঘটনা নতুন নয়। আমি অভিজ্ঞতা থেকে কথা বলি। তাই তাড়াহুড়োয় কিছু বলি না। অবিবেচকের মতোও বলি না। তৃণমূল স্তরের ডেটা হাতে থাকলে তবেই সেটা প্রকাশ্যে বলি। দুর্ভাগ্যবশত ওই দলটি গত কয়েক বছরে বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতিবিদদের আদর্শগত সমর্থন দিয়েছে। তারা আজও সে সব সমর্থন করে কি না, আমি জানি না। কিন্তু মাঝে মধ্যেই যে স্বর বেরিয়ে আসে তার সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদের মিল বেশি।

আমার দুঃখ হল কংগ্রেসের মতো একটি জাতীয় দল তামিলনাড়ুতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আজ অবধি এই দলের সঙ্গে জোট না বেঁধে তারা এককভাবে দু-একটা আসনেও জিততে পারেনি। সেখানে বিজেপি অবশ্যই শিক্ষানবিস; জনসংঘের দিন থেকেই তবে শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ চালিয়ে যাব, কিন্তু আমি যে কারণে দুঃখিত তা হল কংগ্রেসের মতো একটি জাতীয় দলও সেই হিন্দু বিরোধী কণ্ঠে যোগ দেয়। ডিএমকে-র হিন্দু-বিরোধী আচরণের নিন্দা করে না। এই ধরনের আচরণের সমর্থন করাটা আরও খারাপ। আজ শুধু তামিলনাড়ুতে নয়, লোকসভার একজন কংগ্রেস নেতা (বর্তমান লোকসভা সাংসদ এবং কর্নাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর ভাই) বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সুরে কথা বলছেন।

সুতরাং, হিন্দু-বিরোধী এক জিনিস, হিন্দু-বিরোধী কার্যকলাপ অন্য জিনিস, যা কর্নাটকেও ঘটছে। প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ুর কংগ্রেস এই ধরনের হিন্দু-বিরোধী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী কণ্ঠকে সমর্থন করে। আজ এই ধারার সঙ্গে কংগ্রেসও যোগ দিচ্ছে। এটা একেবারে জঘন্য।

প্রশ্ন: ভারতীয় জনতা পার্টিকে কি উত্তর ভারতীয় দল হিসেবে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে? এবং, আপনি জানেন, এই উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন, উৎসাহিত করছে যে…

উত্তর: ওরা সবসময় জনতা পার্টিকে দুটো জিনিস বলে। এক, ব্রাহ্মণ-বানিয়ার দল। দুই, হিন্দি পার্টি। আজ দক্ষিণ ভারতে বিজেপি যে ধরনের সমর্থন পায় তা এই সবকিছুকে ভুল প্রমাণিত করেছে। আমি কারও নাম বলতে চাই না, কিন্তু তারা বলে, ওহ ও তো ওই বর্ণের। এই জাতের প্রচার করা হয়েছে। তাই আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি, বিজেপিকে ছাড়া একটা দল দেখান যারা ভারতে উপজাতিদের উন্নতিতে কাজ করেছে। দলিত, তফসিলিদের জন্য কাজ করেছে? সেই সম্প্রদায় থেকে অনেক বড় বড় নেতা এসেছেন, জাতীয় স্তরে মর্যাদা পেয়েছেন।

সেটা ডক্টর বি আর আম্বেদকর হোন, গুরুজি হোন বা বিরসা মুণ্ডা। শিখ গুরুদের ছেলেদের কথা ভাবুন যাঁরা আমাদের দেশের জন্য কৈশোরে প্রাণ দিয়েছিলেন। তাই আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই এই দেশে কি এমন একটি দল আছে যারা বিজেপির মতো কাজ করেছে? তাহলে হিন্দি পার্টি কি? ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন সব ভাষার কথা বলছেন, তখন তিনি তিরুভালুভারের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি পুরানানুরু থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন। তিনি এই ভাষাকে জাতিসংঘে নিয়ে গিয়েছেন। তাই তামিলনাড়ুর রাজনীতি এই ধরনের কথা বলে। দেশের হিন্দিভাষী অংশ জোটবদ্ধ হলেও, বিচ্ছিন্নতাবাদী শব্দ ব্যবহার থেকে দূরে থেকেছে। তাই ভাবছেন, ওহ, আমরা ওই দলের সঙ্গে জোটে আছি। তারা কোনও অন্যায় করতে পারে না। কিন্তু তারা আগে থেকেই এই বিচ্ছিন্নতাবাদী কথাবার্তা বলে আসছে, তারা আগেও হিন্দুবিরোধী কথা বলেছে, শুধুমাত্র ভাষার ব্যবধানের কারণে। তারা যেমন হিন্দি শিখতে চায় না, তেমনই উত্তর ভারতীয়দের অনেকেই তামিল শিখতে চায় না। তাই তামিলনাড়ুতে কী তৈরি হয়েছে তার সম্পূর্ণ বোঝাপড়া কখনও হয়নি।

প্রশ্ন: তাহলে কি আপনি আশাবাদী যে বিজেপি এবার দক্ষিণ ভারতে ভাল ফল করবে? আমি বলতে চাইছি, ১৩১টি আসনের মধ্যে আপনি কটা আসন পাচ্ছেন?

উত্তর: নির্দিষ্ট আসন সংখ্যা বলা কঠিন, তবে তামিলনাড়ুতে বিজেপির ইউনিট যেভাবে কাজ করছে তা সবাই দেখতে পাচ্ছেন।

প্রশ্ন: আপনি কি তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরলের মতো রাজ্যগুলিতে খাতা খুলতে পারবেন?

উত্তর: আমরা জনগণের জন্য কাজ করেছি। তাঁদের আশীর্বাদ পাওয়ার আশা রাখি।

প্রশ্ন: তামিলনাড়ুতে?

উত্তর: কেরল হোক, তামিলনাড়ু হোক, প্রচুর কাজ হচ্ছে এবং মানুষও সাড়া দিচ্ছেন।

প্রশ্ন: আপনি কি এ বছর লোকসভা ভোটে দাঁড়াবেন?

উত্তর: এই নিয়ে আমি ভাবি না, এটা দলের সিদ্ধান্ত।

প্রশ্ন: একটা শেষ প্রশ্ন। ২০২৪ নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কি? বিজেপি কটা আসন পাবে বলে মনে করেন?

উত্তর: আমি নিশ্চিত নই। আসন সংখ্যা অনুমানের ভিত্তিতে কিছু বলব না।

প্রশ্ন: গতবারের চেয়ে ভাল হবে? না কি খুব ভাল হবে?

উত্তর: আমি মনে করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সততা প্রতিশ্রুতি ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন তা জনগণ দেখছেন। তাঁরা তাঁকে আশীর্বাদ করছেন। মানুষ তাঁর আন্তরিকতাও দেখছেন। দেখতে পাচ্ছেন যে তিনি কীভাবে অবিরাম দেশ ও দেশের জনগণকে সবার আগে রেখেছেন। তাই আমি আত্মবিশ্বাসী।

প্রশ্ন: বিরোধীরা প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যবহার নিয়ে তোপ দেগে চলেছে। সেটা দিল্লির কেজরিওয়াল, পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হোন কিংবা সাম্প্রতিক হেমন্ত সোরেন। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি অযথা হয়রানি করছে। আর যাঁরা বিজেপি যোগ দিচ্ছে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে কী বলবেন?

উত্তর: প্রথমত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিবিআই বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইনকাম ট্যাক্স জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকছে। রাতারাতি কাউকে গ্রেফতার করে না। আপনি অবাক হয়ে যাবেন, মামলাগুলি মূলত ইউপিএ আমলে দায়ের হয়েছিল। এর মধ্যে অনেক মামলা সেই যুগের। আপনি ভারতীয় সিস্টেম জানেন, প্রতিটি পর্যায়ে পেরোতে এবং এই জায়গায় পৌঁছতে মানে যখন সমন পাঠানো হয়, অনেক সময় লাগে। দ্বিতীয়ত, অনুসন্ধানের ব্যাপার থাকে। তারা খালি হাতে এসেছে কি না বলুন। ঘর ভর্তি নগদ টাকা। আমরা যখন ডিজিটাল পেমেন্ট প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া একজন সাধারণ মানুষের কথা বলছি, তখন আপনার বাড়ির লোকেরা কি না বসে আছে টন টন কারেন্সি নোট নিয়ে। আজকাল সব কিছুরই ভিডিও করা হয়। আমি এখানে বসে বলতে পারি না প্রমাণ ছাড়া আপনার বাড়িতে এত নগদ পেয়েছি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাথরুমে, বেডরুমে, লকারে, টন টন নগদ। এর কী ব্যাখ্যা? সুতরাং শাসক দলকে আক্রমণ করার জন্য এসব কথা বলতে পারে যে আপনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা সিবিআই ব্যবহার করছেন। এরা পেশাদার সংস্থা। মামলা কম্প্যাক্ট এবং প্রস্তুত করতে প্রচুর সময় নেয় কারণ চার্জশিট দাখিল করার পরে আদালত সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে। আপনাকে আদালতে নথি জমা দিতে হবে। আপনি সেখানে গিয়ে শুধু মুখে বলতে পারবেন না যে আমি এটি পেয়েছি, ওটা পেয়েছি। রেকর্ড এটা প্রমাণ করে। যুগ বদলাচ্ছে। জনগণ দুর্নীতিবাজ নেতাদের পছন্দ করেন না। তাই যখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গিয়ে দরজায় কড়া নাড়ছে এবং এমন ছবি নিয়ে বেরিয়ে আসছে, সাধারণ মানুষ তা দেখছে। আপনি কান্নাকাটি করতে পারেন, বলতে পারেন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি দুঃখিত, কিন্তু এটা এমন কিছু যা আপনার যুগেও ছিল। আপনি আপনার নিজের বন্ধুর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তারা অপরাধে অংশীদার ছিল, তারপর শুধুই অংশীদার এখন শত্রুও।

প্রশ্ন: নির্মলাজি, আমাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনি সমান আবেগের সঙ্গে অর্থনৈতিক থেকে রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। আপনার সঙ্গে কথা বলা সবসময়ই আনন্দের। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

উত্তর: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ রাহুল।

CNN-News18-এর রেকর্ড! টাইমস নাও ও রিপাবলিক টিভির যুগ্ম বাজার শেয়ারের চেয়েও এগিয়ে চ্যানেল

নয়াদিল্লি: দর্শকের আস্থায় রেকর্ড সৃষ্টি করল CNN-News18। সমস্ত শ্রেণির দর্শকের আস্থার প্রতিফলনেই জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে বাজারের ৪২.৭ শতাংশ শেয়ার দখল করে ফেলেছে CNN-News18, যা নিকটতম প্রতিযোগী রিপাবলিক টিভি এবং টাইমস নাও-এর সম্মিলিত বাজার শেয়ারের চেয়েও বেশি।

ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল (বিএআরসি)-এর পরিসংখ্যান বলছে, এই একই সময়ে রিপাবলিক টিভি ২৩.৪ শতাংশ মার্কেট শেয়ার দখল করেছে। অন্য দিকে, টাইমস নাও-এর কাছে রয়েছে ১৮.৩ শতাংশ শেয়ার। মিরর নাও ১১.১ শতাংশ এবং ইন্ডিয়া টুডে টেলিভিশন ৪.৪ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

CNN-News18 মার্কেট শেয়ারে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সংস্থা কর্তৃপক্ষের দাবি, আসলে এই থেকেই প্রমাণ হয় যে দর্শক-শ্রোতারা নিত্য কোন্দলের চেয়ে খবর দেখতেই বেশি পছন্দ করেন। চ্যানেলের নিরপেক্ষ প্রতিবেদন এবং সমস্ত দৃষ্টিভঙ্গির খবর জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া সংবাদ সম্প্রচার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড তৈরি করে ফেলেছে।

আরও পড়ুন- বাবা ফোন হারাতেই মেয়ের জীবনে এল প্রেম! ভাইরাল চুম্বনের ঘটনায় নতুন তথ্য

গত কয়েক বছরে ক্রমাগত বেড়েছে চ্যানেলটির দর্শক সংখ্যা। সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা খবরের উপর লক্ষ্য স্থির রেখে কাজ করার কারণেই এই জনপ্রিয়তা বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।

CNN-News18-এর ম্যানেজিং এডিটর এ বিষয়ে একটি ট্যুইট করে দর্শকদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘‘আমাদের বিশ্বস্ত দর্শকদের প্রত্যেকের সমর্থন ছাড়া এটা সম্ভব হতে পারত না। ধন্যবাদ…৷’’