উত্তর ২৪ পরগনা: “মাদকের নেশা সর্বনাশা” বর্তমান নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে মাদকাসক্তি যেন অভিশাপ হয়ে নেমে এসেছে। প্রতিদিনই মাদক সেবন বা মাদক পাচার-সহ অপরাধমূলক কাজকর্মের জন্য একাধিক ব্যক্তিকেও আটক করা হয় থানায়। তবে এই মাদকাসক্তি থেকে নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের দূরে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে দেখা গেল গোবরডাঙ্গা থানার মহিলা পুলিশ আধিকারিককে।
২৬ জুন বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবস হিসেবে পালিত হয়। আর ঠিক তার আগেই, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা থানার পক্ষ থেকে মাদক বিরোধী একটি সচেতনতা র্যালি করা হল এলাকায়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা ছাড়াও এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। এ দিন গোবরডাঙ্গার পিকোলা মোড় থেকে এই মাদকবিরোধী র্যালি শুরু হয়ে, গোবরডাঙ্গা থানায় এসে তা শেষ হয়।
সেখানেই ছাত্র-ছাত্রীদের এই মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকার সচেতনতা বার্তা দেন গোবরডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পিঙ্কি ঘোষ। মাদকসেবন যে কতটা ক্ষতিকর, সে বিষয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকরা ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষভাবে বোঝান। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামেও মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরা এই মাদকাসক্ত বেশি হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার কথাও বলা হয় পুলিশের তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ২৬ শে জুনকে আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর তাই এদিন মাদক বিরোধী দিবসকে সামনে রেখে বিশেষ এই পদযাত্রার মধ্যে দিয়েই নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে মাদকের নেশা সর্বনাশা এই বার্তাই ছড়িয়ে দিয়ে সচেতন করা হয় গোবরডাঙ্গা থানার পক্ষ থেকে।
কাঁচরাপাড়া: রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া কাঁচরাপাড়ায়! মেয়ের মৃতদেহ আগলে বসে থাকলেন বাবা। ঘটনাস্থলে বীজপুর থানার পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। কাঁচরাপাড়া বিনোদনগরে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে নিতাই কুন্ডুর মেয়ে বছর ৩৬-র টুম্পা কুন্ডুর পচাগলা মৃতদেহ দেহ আগলে দু’দিন ধরে বসেছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই বাড়ির চারপাশ থেকে পচা দুর্গন্ধ বেরচ্ছিল। এরপরই দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে প্রতিবেশীরা নিতাই কুন্ডুর বাড়ি গিয়ে খোঁজ করেন। কিন্তু বাবা নিতাই কুন্ডু তখন মেয়ের মৃত্যুর কথা অস্বীকার করে প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। প্রতিবেশীরা বাধ্য হয়ে গোটা ঘটনার কথা জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বীজপুর থানার পুলিশ। অবশেষে ওই বাড়ি থেকে পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
মনে করা হচ্ছে মেয়ের মৃত্যুর পর মেয়েকে নিজের কাছ থেকে দূরে না করার জন্যই, মৃত্যুর খবর লুকিয়ে মেয়ের দেহ আগলে রেখেছিলেন বাবা। এরপরই গোটা এলাকায় ছড়ায় চাঞ্চল্য। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আমডাঙা: আমডাঙায় ফের নতুন করে উত্তেজনা। আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে দুর্ঘটনার পর পুলিশকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ লাঠি চালিয়ে এলাকা ছত্রভঙ্গ করে। সেই সময় এক তৃণমূল নেতার উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হন তৃণমূল নেতা। তারই প্রতিবাদে আমডাঙা থানার সামনে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে তৃণমূল কর্মীরা। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। অবরুদ্ধ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও আমডাঙা থানা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় আমডাঙার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা আমডাঙা ব্লক INTTUC-র সভাপতিকে নির্বিচারে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। লকাপে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় আমডাঙা। আমডাঙা থানার সামনে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ তৃণমূল নেতা মোস্তাক আহমেদ মণ্ডলের অনুগামীদের।
রাত ১০ টা থেকে প্রায় ১২ টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। তৃণমূল নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে আমডাঙা থানার সামনে বিক্ষোভে তৃণমূল সমর্থকেরা। পরে অবশ্য আমডাঙা থানায় আসেন পার্থ ভৌমিক, সোমনাথ শ্যাম, সুবোধ অধিকারীরা। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন পার্থ ভৌমিক। তাতেও অবশ্য শান্ত হননি কর্মী সমর্থকেরা।
পরে মধ্যরাতে ওঠে অবরোধ বিক্ষোভ। তৃণমূল নেতা মোস্তাক আহম্মেদকে পুলিশ দিয়ে চক্রান্ত করে মার খাওয়ানোর অভিযোগ আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বিধায়ক রফিকুর রহমান কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।