ফাইল ছবি

TMC: দোকানে চা খাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা, হঠাৎ শুরু হল… ছুটতে হল হাসপাতালে! ভয়ঙ্কর কাণ্ড আমডাঙায়

আমডাঙা: আমডাঙায় ফের নতুন করে উত্তেজনা। আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে দুর্ঘটনার পর পুলিশকে মারধরের ঘটনায় পুলিশ লাঠি চালিয়ে এলাকা ছত্রভঙ্গ করে। সেই সময় এক তৃণমূল নেতার উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হন তৃণমূল নেতা। তারই প্রতিবাদে আমডাঙা থানার সামনে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে তৃণমূল কর্মীরা। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। অবরুদ্ধ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও আমডাঙা থানা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় আমডাঙার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা আমডাঙা ব্লক INTTUC-র সভাপতিকে নির্বিচারে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। লকাপে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় আমডাঙা। আমডাঙা থানার সামনে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ তৃণমূল নেতা মোস্তাক আহমেদ মণ্ডলের অনুগামীদের।

আরও পড়ুন: রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় রেড অ্যালার্ট! চলবে তাপপ্রবাহ! বৃষ্টির দিনক্ষণও জানাল হাওয়া অফিস

রাত ১০ টা থেকে প্রায় ১২ টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। তৃণমূল নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে আমডাঙা থানার সামনে বিক্ষোভে তৃণমূল সমর্থকেরা। পরে অবশ্য আমডাঙা থানায় আসেন পার্থ ভৌমিক, সোমনাথ শ্যাম, সুবোধ অধিকারীরা। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন পার্থ ভৌমিক। তাতেও অবশ্য শান্ত হননি কর্মী সমর্থকেরা।

পরে মধ্যরাতে ওঠে অবরোধ বিক্ষোভ। তৃণমূল নেতা মোস্তাক আহম্মেদকে পুলিশ দিয়ে চক্রান্ত করে মার খাওয়ানোর অভিযোগ আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বিধায়ক রফিকুর রহমান কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।