ট্রেনে নিষিদ্ধ/পাচারকৃত সামগ্রী পরিবহনের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখে ২০২৪ সালের ১৫ থেকে ১৮ জানুয়ারি সময়ের মধ্যে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) ৯.১৪ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের নিষিদ্ধ সামগ্রী উদ্ধার করেছে। রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী এই সময়ের মধ্যে নিষিদ্ধ সামগ্রী পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।

১৮ জানুয়ারি, ২০২৪-এ একটি ঘটনায়, আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে, আগরতলার রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী যৌথভাবে আগরতলার জিআরপির সঙ্গে এক তল্লাসি অভিযান চালায়। তল্লাসির সময়, তারা চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং ৩৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩.৯০ লক্ষ টাকা। পরে উদ্ধারকৃত গাঁজা এবং আটক ব্যক্তিকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসি/জিআরপি/আগরতলার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

১৭ জানুয়ারি, ২০২৪-এ অন্য এক ঘটনায়, কামাখ্যা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন নং ১৫৬৫৮ ডাউন (ব্রহ্মপুত্র মেল)-এ রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর দ্বারা এক তল্লাসি অভিযান চালানো হয়। উক্ত তল্লাসির সময়, ট্রেন থেকে ১২৪টি মদের বোতল বহনকারী ৬টি দাবিহীন ব্যাগ উদ্ধার করা হয়, যার মূল্য প্রায় ২৬ হাজার টাকা। পরে উদ্ধারকৃত মদের বোতলগুলো প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসি/জিআরপি/কামাখ্যার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এছাড়াও, ওই সময়কালে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর দ্বারা অভিযান এবং তল্লাসি চালিয়ে বিভিন্ন ট্রেন এবং স্টেশন থেকে ৩৬.৭ কেজি গাঁজা, যার মূল্য ৩.৬৭ লক্ষ টাকা। ৬২৫ বোতল কফ সিরাপ যার আনুমানিক মূল্য ১.২২ লক্ষ টাকা। ২৮ বোতল মদ যার আনুমানিক মূল্য ৮৯৬০.০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

১৫ জানুয়ারি, ২০২৪-এ অবৈধ গাঁজা বহনকারী একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪-এ অভিযানের সময় অবৈধভাবে মদের বোতল রাখার জন্য আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত অবৈধ মাদক দ্রব্য-সহ আটককৃতদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে হস্তান্তর করা হয়।এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী ২০২৩ ডিসেম্বর মাসে ৭২.১৪ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের নিষিদ্ধ/পাচারকৃত সামগ্রী উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী অবৈধ/চোরাচালান সামগ্রী বহন করার জন্য ৪০ জনকে গ্রেফতার করতেও সফল হয়।

গ্রাহক সংযোগ উন্নত করতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে মালবাহী পরিবহন উন্নত করতে এবং আরও ভাল গ্রাহক সংযোগ প্রদান করতে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এই ধরনের উদ্যোগের অংশ হিসাবে, বিভিন্ন প্রকারের গ্রাহকের দ্বারা বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী সহজ পরিবহনের সুবিধার্থে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখী উভয় পণ্য পরিবহন হ্যান্ডলিং-এর জন্য আরও কয়েকটি স্টেশন খোলা হয়েছে।

গ্রাহক সংযোগ উন্নত করতে এবং ফ্রেট রেভিনিউ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে, রঙিয়া ডিভিশনের অধীনে মির্জা স্টেশনটিকে ০৪.১২.২০২৩ তারিখ থেকে ইনওয়ার্ড অটোমোবাইল ট্রাফিক (শুধু দুই চাকার) হ্যান্ডলিং-এর জন্য খোলা হয়েছে। কাটিহার ডিভিশনে নেপালের সঙ্গে জোগবানি-বিরাটনগর আন্তর্জাতিক কানেক্টিভিটি প্রকল্পের অধীনে ভারতীয় কাস্টম ইয়ার্ড স্টেশনটি ২২.১২.২০২৩ তারিখ থেকে চেসিস স্টাফিং/ডি-স্টাফিং এবং লিফট অফ-লিফ্ট অন অপারেশন-এর ক্ষেত্রে কন্টেইনার ট্র্যাফিক হ্যান্ডলিং-এর জন্য খোলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাড়ির পাশে ‘আগাছা’ হয়ে অবহেলিত, পাত্তা দেন না? এই গাছের সাদা রসে উধাও হয় ডজন ডজন রোগ!

এছাড়াও, ডিটকছড়া থেকে বিশ্রামগঞ্জ পর্যন্ত প্রথমবারের জন্য একটি মিনি রেক লোড করা হয়েছিল, যেখানে ৯.৫০ লক্ষ টাকার রাজস্ব প্রাপ্ত হয়েছে। বর্তমান অর্থবর্ষের শেষ পর্যন্ত এই ধরনের ৪০টি মিনি রেক ডিটকছড়া থেকে নিউ হারাংগাজাও পর্যন্ত লোড করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আরও, ২০.১২.২০২৩ তারিখে নাগাল্যান্ডের তুলি এলাকার স্টোন ক্রাশার সেন্টার এবং কয়লা লোডিং পার্টির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আধিকারিকদের দ্বারা একটি বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ইউনিট (বিডিইউ) বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল। বৈঠকের লক্ষ্য তুলি থেকে বিভিন্ন সামগ্রীর লোডিং বৃদ্ধি করা। তুলির ব্যবসায়ীরা বর্তমান অর্থবছরের শেষ ত্রৈমাসিকে তুলি থেকে অন্তত ৩০টি মিনি রেক লোড করার আশাবাদী।

গ্রাহক সংযোগ উন্নতি এবং নতুন টার্মিনাল খোলার ফলে মালবাহী ট্রেনের লোডিং এবং আনলোডিং বৃদ্ধি পায়। যার পরিণামস্বরূপে আগামী বছরগুলিতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। কোভিড পরবর্তী সময়ের পর থেকে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে পণ্য পরিবহণ। সমস্ত ধরনের দ্রব্য সরবরাহ করা হয়।

পণ্য লোডিঙে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের বিকাশের গতি অব্যাহত।  পণ্য লোডিঙের ক্ষেত্রে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ধারাবাহিক অগ্রগতি বজায় রেখেছে এবং ২০২৩-এর ডিসেম্বর মাসে ০.৮৮৩ মিলিয়ন টন পণ্য লোড করেছে, যার ফলে বর্তমান অর্থবর্ষের ২০২৩-এর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৭.৫৩৬ মিলিয়ন টন পণ্য লোডিং বৃদ্ধি হয়েছে। পূর্ববর্তী বর্ষের একই সময়ের তুলনায় ২০২৩-এর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্যান্য বিভিন্ন সামগ্রীর লোডিং বৃদ্ধি-সহ সার ও পি.ও.এল. সামগ্রীর লোডিং ভাল মার্জিনের অগ্রগতি পঞ্জীয়ন করেছে। এই সময়ে সার লোডিং ২৬.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পি.ও.এল. সামগ্রীর লোডিং ৩৯.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পূর্ববর্তী অর্থ বর্ষের একই সময়ের তুলনায় ব্যালাস্ট-এর লোডিং ৫৭.১ শতাংশ এবং অন্যান্য বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর লোডিঙেও ২৭.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পঞ্জীয়ন করা হয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিজেদের গ্রাহকদের  পরিষেবা দিতে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের ব্যবহারকারীদের কাছে সময়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করতে একনিষ্ঠভাবে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। বছরের পর বছর পণ্য লোডিঙের ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি অঞ্চলটির অর্থনৈতিক কার্যকলাপের বিকাশকেই নির্দেশ করে।

আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবারের পরেই আবহাওয়ার পরিবর্তন, সপ্তাহের শেষে ফের জাঁকিয়ে শীতের পূর্বাভাস

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ডিসেম্বর মাসে ১২৫২টি পণ্যবাহী রেক আনলোড। অত্যাবশ্যকীয় ও অন্যান্য সামগ্রীর সরবরাহ বহাল রাখতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে পণ্য আনলোডিঙের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি করে আসছে। ডিসেম্বর, ২০২৩ মাসে ১২৫২টি পণ্যবাহী রেক আনলোড করা হয়েছে। ২০২৩-এর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অর্থবর্ষে দশ হাজারের বেশি পণ্যবাহী রেক উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধীনে আনলোড করা হয়েছে।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এফসিআই চাল, চিনি, লবণ, খাদ্য উপযোগী তেল, সার, সিমেন্ট, কয়লা, অটোমোবাইল, কনটেইনারের মতো পণ্যসামগ্রী ও অন্যান্য সামগ্রী সংশ্লিষ্ট মাসে পরিবহণ করেছে এবং নিজস্ব অধিক্ষেত্রের অধীনে বিভিন্ন গুডস শেডে সেগুলি আনলোড করেছে। ডিসেম্বর, ২০২৩ সময়সীমার মধ্যে অসমে পণ্যবাহী ট্রেনের ৭০৫টি রেক আনলোড করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৯৯টি রেকে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী লোড ছিল।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ সেকশনগুলিতে দ্বৈতকরণের এবং বৈদ্যুতিকরণের কাজ দ্রুতগতিতে সম্পাদন করা হচ্ছে যার ফলে পণ্যবাহী ট্রাফিকের অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে পণ্য আনলোডিং বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি অত্যাবশ্যকীয় ও অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর চলাচলও বৃদ্ধি পেয়েছে।

News18 Bangla এবার Whatsapp-এ, এক ক্লিকেই খবরের আপডেট জানতে সাবস্ক্রাইব করুন- https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপমে ৬৮তম রেলওয়ে উইক অ্যাওয়ার্ড-অতি বিশিষ্ট রেল সেবা পুরস্কার, ২০২৩ অনুষ্ঠিত হবে। রেল, বৈদ্যুতিক ও তথ্য প্রযুক্তি এবং যোগাযোগ বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বিশেষ ক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট প্রদর্শনের জন্য জোনাল রেলওয়ের সমস্ত বিজয়ীকে শিল্ড প্রদান করবেন। অসাধারণ প্রদর্শনের জন্য সব মিলিয়ে ১০০টি ব্যক্তিগত পুরস্কার এবং ২১টি দক্ষতার শিল্ড বিতরণ করা হবে।

২০২২-২৩ সালের মধ্যে সুরক্ষার পরিমাপের ক্ষেত্রে উচ্চ মানের দক্ষতা বজায় রাখার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এবং দক্ষিণ রেলওয়েকে যুগ্মভাবে সেফটি শিল্ড পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। রেল লাইন চ্যুত হওয়া, সংঘর্ষ, সিগনাল ভঙ্গ, সিগনাল পাসিং এট ডেঞ্জার, ট্র্যাকের উপরে অন্যান্য গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা, কর্মীহীন লেভেল ক্রসিঙে সংঘটিত ঘটনা, গবাদি পশুর রান অভার ইত্যাদি বিভিন্ন সুরক্ষা পরিমাপের ক্ষেত্রে অন্যান্য জোনাল রেলওয়ের তুলনায় উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কম সংখ্যক মামলা পঞ্জীয়নের সঙ্গে উচ্চ স্কোর লাভ করেছে।

আরও পড়ুন: রাশিফল ১৪ ডিসেম্বর: আগামিকাল অর্থসমস্যার আতঙ্ক! রাশি মিলিয়ে দেখুন কেমন যাবে দিন

এগুলির পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট প্রদর্শন করার জন্য বিভিন্ন বিভাগ থেকে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ০৯ জন আধিকারিককে অতি বিশিষ্ট রেল সেবা পুরস্কারের ব্যক্তিগত পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন শ্রী শুভানন চন্দ, সিনিয়র ডিভিশনাল সিগনাল ও টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার শ্রী নরেন্দ্র সিং এবং স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট শ্রী প্রাণজিৎ দাসকে পরিচালনা, সুরক্ষার উন্নয়ন, সম্পত্তির উন্নত রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাঁদের অনুকরণীয় কাজের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

নিজেদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপেক্ষা করে রেলওয়েতে জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানকারী ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার শ্রী মিগম দলে এবং সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার শ্রী নরেন্দ্র পালেইকে তাঁদের যোগ্য কাজের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট পার্সোনাল অফিসার শ্রীমতি আমিশ গগৈকে আদর্শ প্রশাসনিক ক্ষমতার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। সিনিয়র ডিভিশনাল সিগনাল ও টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার শ্রী অমিত কুমার মণি এবং সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার শ্রী চন্দন কুমারকে যথাক্রমে নিজ নিজ ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবন বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

টিকিটবিহীন ভ্রমণকারী, চোর ইত্যাদি মোকাবিলা করে রেলওয়ের উপার্জন বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে বিশেষ প্রচেষ্টার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন চিফ ভিজিলেন্স ইন্সপেক্টর শ্রী দেব প্রসাদ হাজরিকা।উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে দেশের প্রত্যেক ব্যক্তির যাত্রা সুরক্ষিত ও মসৃণ করে তুলতে সমস্ত ক্ষেত্রে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েকে প্রদান করা এই পুরস্কার সমস্ত কর্মচারীকে সংস্থার লক্ষ্যে পৌঁছতে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করবে।

রঙিয়া ডিভিশনে পরিকাঠামোমূলক উন্নয়নের কাজের জন্য, কিছু ট্রেন বাতিল ও সময় পুনঃনির্ধারণ করা হচ্ছে৷ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। রঙিয়া ডিভিশনের অন্তর্গত বরপেটা রোড-এর লেভেল ক্রসিং গেট নং. এসকে-৩৭-এ রোড ওভার ব্রিজ নির্মাণ কাজের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নবর্ণিত হিসাবে কিছু ট্রেনের পরিষেবা বাতিল ও সময় পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।

ট্রেন বাতিল:➢ ০২ এবং ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে রওনা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ট্রেন নং. ১৫৭৬৯/১৫৭৭০ (আলিপুরদুয়ার–লামডিং-আলিপুরদুয়ার) ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস বাতিল থাকবে। ➢ ০২ এবং ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে রওনা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ট্রেন নং. ১৫৭৫৩/১৫৭৫৪ (আলিপুরদুয়ার–গুয়াহাটি-আলিপুরদুয়ার) সিফুং এক্সপ্রেস বাতিল থাকবে।

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় দমকলের গাড়ি! নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা নয়নাজুলিতে, জখম চালক-সহ দমকল কর্মী

ট্রেনের সময় পুনঃনির্ধারণ:➢ ০২ এবং ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে রওনা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ট্রেন নং. ০৫৮০১ (নিউ বঙাইগাঁও-গুয়াহাটি) প্যাসেঞ্জারের সময় ০৪:৫০ ঘণ্টার পরিবর্তে পুনঃনির্ধারণ করে ০৬:২০ ঘণ্টা করা হয়েছে। আগরতলা ও সেকেন্দ্রাবাদের মধ্যে স্পেশ্যাল ট্রেন পরিষেবার মেয়াদ বৃদ্ধি, উপকৃত হবেন এই রুটের ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীরা।

অন্যদিকে, যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় হ্রাস করতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে আগরতলা ও সেকেন্দ্রাবাদের মধ্যে স্পেশ্যাল ট্রেনের পরিষেবার মেয়াদ উভয় দিক থেকে বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়েছে। এই স্পেশ্যাল ট্রেনটি নিজের পরিষেবার বিদ্যমান দিন, সময়সূচি ও গঠনের সঙ্গে চলাচল করবে। এর ফলে এই রুটের অন্যান্য ট্রেনের ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীরা উপকৃত হবেন। সেই অনুযায়ী, ০৭০৩০নং. (সেকেন্দ্রাবাদ-আগরতলা) স্পেশ্যাল ট্রেনটির পরিষেবা ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক সোমবার করে অব্যাহত থাকবে। ট্রেনটি সেকেন্দ্রাবাদ থেকে প্রত্যেক সোমবার ১৬.৩৫ ঘণ্টায় রওনা দিয়ে বৃহস্পতিবার ০৩.১০ ঘণ্টায় আগরতলা পৌঁছবে।

একইভাবে, ০৭০২৯নং. (আগরতলা-সেকেন্দ্রাবাদ) স্পেশ্যাল ট্রেনটির পরিষেবা ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক শুক্রবারে চলার জন্য সম্প্রসারণ করা হবে। ট্রেনটি আগরতলা থেকে প্রত্যেক শুক্রবার ০৬.২০ ঘণ্টায় রওনা দিয়ে রবিবার ১৬.১৫ ঘণ্টায় সেকেন্দ্রাবাদ পৌঁছবে। এই স্পেশ্যাল ট্রেনটি উভয় পথে যাত্রার সময় বিজয়ওয়াড়া জং., বিজিয়ানগরম জং., খুরদা রোড জং., ভুবনেশ্বর, খড়গপুর জং., মালদা টাউন, নিউ জলপাইগুড়ি, নিউ বঙাইগাঁও, নিউ হাফলং, বদরপুর জং., নিউ করিমগঞ্জ এবং আম্বাসা স্টেশন হয়ে চলাচল করবে।

News18 Bangla এবার Whatsapp-এ, এক ক্লিকেই খবরের আপডেট জানতে সাবস্ক্রাইব করুন- https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F