Tag Archives: Old Coins

Rajasthan News : ২২০০ বছরের পুরোনো মুদ্রা পাওয়া যাচ্ছে এত কম দামে! দেরি না করে কোথায় জানুন

বিকানীর: এখনকার ভারতীয় মুদ্রা অর্থাৎ কয়েন এবং নোট তো আপনি দেখেছেন। কিন্তু হাজার বছর আগে কয়েনগুলো কেমন ছিল? মানুষ আগে কেনার জন্য কোন মুদ্রা ব্যবহার করত? এই মুদ্রা কেমন ছিল? আপনি নিশ্চয়ই এসবের ব্যাপারেও জানতে সমানভাবে আগ্রহী?

আসলে বিকানীরে চলছে মুদ্রার মহোৎসব। দেশ-বিদেশ থেকে অনেক মুদ্রা সংগ্রাহক এসেছেন এখানে। তাদের কাছে কাছে ২০০০ থেকে ৫০০ বছরের পুরনো মুদ্রার সংগ্রহ রয়েছে৷ এই মেলায় কম দামে লোকেদের কাছে তারা পুরোনাে মুদ্রা বিক্রি করছেন। আপনি আগ্রহী থাকলে এবং পুরোনো জিনিস জমানোর শখ থাকলে, দেরি না করে চলে যান এই বিশেষ মেলায়।

আরও খবর : সারা বছর দারুণ আয়, এই চাষ করে মালামাল উত্তরপ্রদেশের কৃষক

রাজকোট থেকে এসেছেন রক্ষিত বাম্বর৷ যিনি মুদ্রা সংগ্রাহক৷ তিনি একটি মুদ্রা দেখালেন যার নাম করচাপার। এর ইতিহাস গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো৷ এটির ওজন সাড়ে তিন গ্রাম এবং এটি রূপো দিয়ে তৈরি। চন্দ্রগুপ্তের আমলে এই মুদ্রার প্রচলন ছিল। বর্তমানে এর দাম প্রায় ৪০০ টাকা। তবে রক্ষিতের মতে, চন্দ্রগুপ্তের সময় এই মুদ্রার মূল্য ছিল আরও অনেক বেশি৷

এই মুদ্রার ইতিহাস কি? মুদ্রা সংগ্রাহক বলছিলেন, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে পঞ্চ চিহ্নিত মুদ্রার প্রবণতা শুরু হয়। বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন মুদ্রা থাকত। এর মধ্যে ছিল রৌপ্য ও তামার মুদ্রা। এগুলোর গায়ে পাঁচ ধরনের চিহ্ন থাকায় এগুলোকে পাঞ্চমার্ক কয়েন বলা হত। এর প্রত্যেকটির আলাদা স্ট্যাম্প ছিল। প্রতিটি ছোট ছোট জেলায় এর প্রচলন শুরু হয়েছিল।

আরও খবর : প্রবল গরম, বালিয়ায় কুলার নিয়ে বর-কনে পক্ষের মারপিঠে ভেঙে গেল বিয়ে!

এখানেই শেষ নয়৷ এসব মুদ্রায় সূর্য, বিভিন্ন প্রাণী, গাছ, পাহাড়ের ছবি ছাপা হতো। প্রাথমিকভাবে ছোট ছোট জেলায় শুরু হওয়ার পর রাজকীয় মৌর্য আমলে এর প্রচলন বৃদ্ধি পায়। এই মুদ্রাগুলি মগধ, চোল, কৌশল, পদ্মাবতী নাগা প্রভৃতি জেলায় প্রচলিত ছিল। মৌর্য শাসনকালে ছবি সম্বলিত মুদ্রা জারি করা শুরু হয়। যেখানে দেব-দেবী, প্রাচীন গল্প, সূর্য, চাঁদসহ অন্যান্য ছবি ছাপা হত। এমন বলা হয় যে, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের আমলে এই ধরনের মুদ্রা প্রচলিত ছিল। পঞ্চ চিহ্ন এবং ফটো সহ মুদ্রা, অর্থাৎ রাজবংশীয় মুদ্রা, প্রায় আটশ থেকে হাজার বছর ধরে প্রচলিত আছে বলে মনে করা হয়।

আপনি কি ইতিহাস ভালোবাসেন? পুরোনো মুদ্রা সংগ্রহ করতে চান? তাহলে আর দেরি করবেন না৷ ঘুরে আসুন বিকানীরের এই মুদ্রা মহোৎসবে৷

History of Coins: মহারাজ শশাঙ্ক থেকে মোঘলদের মুদ্রা কেমন দেখতে ছিল এই জেলার মানুষরা নিজের চোখে দেখলেন

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ জেলা মানেই ইতিহাস। সেই ঐতিহাসিক জেলাতে আয়োজন হল মুদ্রা প্রদর্শনী। বহরমপুরে পুরনো কয়েন ডাক টিকিট সহ বিভিন্ন দস্তাবেজের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হল। বহরমপুর শহরের বেসরকারি হোটেলে মুঘল আমলের কয়েন থেকে ঐতিহাসিক বিভিন্ন মুদ্রার প্রদশনীর আয়োজন করা হয়। শখের বাজার নামক এই মুদ্রা প্রদশনী দেখতেও ভিড় ছিল ভালই। এছাড়াও ঐতিহাসিক আমলের স্বর্ণমুদ্রা সহ বিভিন্ন মুদ্রা ও ডাক টিকিটের প্রদর্শনী করা হয়।

জানা গিয়েছে, এই শখের বাজার নামক প্রদশনীতে বিশেষ আকর্ষণ ছিল মুদ্রা প্রদর্শনী। নবাবী আমলের মুদ্রা সহ বিভিন্ন মুদ্রা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে শখের বাজারে। মৌর্য যুগ থেকে গুপ্ত যুগ, মোগল যুগ এমনকি মুর্শিদাবাদ জেলার নবাবী আমলের মুদ্রা থেকে ব্রিটিশ রাজত্ব কালের মুদ্রা প্রদর্শনী করা হয়েছে। পাশাপাশি, শশাঙ্কের আমলের স্বর্ণ মুদ্রাও প্রদর্শনী হিসেবে রাখা হয়। মুদ্রা প্রদর্শনী দেখতে বহু স্কুলের ছাত্র ও ছাত্রীরা উপস্থিত হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন – IMD Heavy Rain Alert: আবহাওয়ার মেগা বদল, দক্ষিণবঙ্গে বাজের খেলা, প্রবল বৃষ্টিতে জেরবার, উত্তরে বৃষ্টির তেজ তোলপাড়

ভারতের প্রথম থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যত মুদ্রা রয়েছে, প্রত্যেকটির আসল মুদ্রা এই প্রদর্শনীতে দেখানো হয়েছে ৷ মনোমুগ্ধকর তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক তাৎপর্য এবং সাংস্কৃতিক বিবর্তনের গল্প তুলে ধরা হয় এখানে ৷ প্রতিটি মুদ্রার উত্তরাধিকার ও ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে ৷
আয়োজকরা জানান, এই উৎসবে ছিল রাজা শশাঙ্কের প্রচলন করা মুদ্রাও ৷ ইতিহাস বলছে, রাজা শশাঙ্ক বা শশাঙ্কদেব ছিলেন বাংলা অঞ্চলের একীভূত রাষ্ট্রের প্রথম স্বাধীন রাজা । রাজা শশাঙ্ককে গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।

রাজা শশাঙ্কও বাংলার ইতিহাসের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত । সেই রাজা শশাঙ্কর ৬০০ সিই ও ৬২৬ সিই-র মধ্যে সোনার দিনার চালু করেছিলেন । যার ওজন ছিল প্রায় ৮.৯৪ গ্রাম । এই মুদ্রার একদিকে লেখা আছে ‘শিব নিম্বতে’ ৷ সেখানে শিব উপবিষ্ট ডানদিকে মুখ করে শুয়ে থাকা ষাঁড়ের ওপর হেলান দিয়ে ৷ আর বামদিকে রয়েছে চাঁদ । এই মুদ্রার উল্টোদিকে ‘অভিষেক লক্ষ্মী নিম্বতে’ লেখা ৷ ব্রহ্মী কিংবদন্তি শ্রী শশাঙ্কের সঙ্গে পদ্মের উপর আড়াআড়ি পায়ে উপবিষ্ট একটি পদ্ম ধারণ করে রয়েছেন ৷ এই সমস্ত মুদ্রা প্রদর্শনী করা হয়। যা দেখতে ভিড় জমান ইতিহাস প্রেমিরা।

Kaushik Adhikary