Tag Archives: coin

History of Coins: মহারাজ শশাঙ্ক থেকে মোঘলদের মুদ্রা কেমন দেখতে ছিল এই জেলার মানুষরা নিজের চোখে দেখলেন

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ জেলা মানেই ইতিহাস। সেই ঐতিহাসিক জেলাতে আয়োজন হল মুদ্রা প্রদর্শনী। বহরমপুরে পুরনো কয়েন ডাক টিকিট সহ বিভিন্ন দস্তাবেজের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হল। বহরমপুর শহরের বেসরকারি হোটেলে মুঘল আমলের কয়েন থেকে ঐতিহাসিক বিভিন্ন মুদ্রার প্রদশনীর আয়োজন করা হয়। শখের বাজার নামক এই মুদ্রা প্রদশনী দেখতেও ভিড় ছিল ভালই। এছাড়াও ঐতিহাসিক আমলের স্বর্ণমুদ্রা সহ বিভিন্ন মুদ্রা ও ডাক টিকিটের প্রদর্শনী করা হয়।

জানা গিয়েছে, এই শখের বাজার নামক প্রদশনীতে বিশেষ আকর্ষণ ছিল মুদ্রা প্রদর্শনী। নবাবী আমলের মুদ্রা সহ বিভিন্ন মুদ্রা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে শখের বাজারে। মৌর্য যুগ থেকে গুপ্ত যুগ, মোগল যুগ এমনকি মুর্শিদাবাদ জেলার নবাবী আমলের মুদ্রা থেকে ব্রিটিশ রাজত্ব কালের মুদ্রা প্রদর্শনী করা হয়েছে। পাশাপাশি, শশাঙ্কের আমলের স্বর্ণ মুদ্রাও প্রদর্শনী হিসেবে রাখা হয়। মুদ্রা প্রদর্শনী দেখতে বহু স্কুলের ছাত্র ও ছাত্রীরা উপস্থিত হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন – IMD Heavy Rain Alert: আবহাওয়ার মেগা বদল, দক্ষিণবঙ্গে বাজের খেলা, প্রবল বৃষ্টিতে জেরবার, উত্তরে বৃষ্টির তেজ তোলপাড়

ভারতের প্রথম থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যত মুদ্রা রয়েছে, প্রত্যেকটির আসল মুদ্রা এই প্রদর্শনীতে দেখানো হয়েছে ৷ মনোমুগ্ধকর তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক তাৎপর্য এবং সাংস্কৃতিক বিবর্তনের গল্প তুলে ধরা হয় এখানে ৷ প্রতিটি মুদ্রার উত্তরাধিকার ও ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে ৷
আয়োজকরা জানান, এই উৎসবে ছিল রাজা শশাঙ্কের প্রচলন করা মুদ্রাও ৷ ইতিহাস বলছে, রাজা শশাঙ্ক বা শশাঙ্কদেব ছিলেন বাংলা অঞ্চলের একীভূত রাষ্ট্রের প্রথম স্বাধীন রাজা । রাজা শশাঙ্ককে গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।

রাজা শশাঙ্কও বাংলার ইতিহাসের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত । সেই রাজা শশাঙ্কর ৬০০ সিই ও ৬২৬ সিই-র মধ্যে সোনার দিনার চালু করেছিলেন । যার ওজন ছিল প্রায় ৮.৯৪ গ্রাম । এই মুদ্রার একদিকে লেখা আছে ‘শিব নিম্বতে’ ৷ সেখানে শিব উপবিষ্ট ডানদিকে মুখ করে শুয়ে থাকা ষাঁড়ের ওপর হেলান দিয়ে ৷ আর বামদিকে রয়েছে চাঁদ । এই মুদ্রার উল্টোদিকে ‘অভিষেক লক্ষ্মী নিম্বতে’ লেখা ৷ ব্রহ্মী কিংবদন্তি শ্রী শশাঙ্কের সঙ্গে পদ্মের উপর আড়াআড়ি পায়ে উপবিষ্ট একটি পদ্ম ধারণ করে রয়েছেন ৷ এই সমস্ত মুদ্রা প্রদর্শনী করা হয়। যা দেখতে ভিড় জমান ইতিহাস প্রেমিরা।

Kaushik Adhikary

Septuagenarian Numismatist: এই ‘নেশা’য় মজে মন, সত্তরোর্দ্ধ বৃদ্ধের শখ শৌখিনতা জানলে অবাক হবেন

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রতিটা মানুষের শখ ভিন্ন ধরনের। শখের কাছে বয়স নিমিত্ত মাত্র। ছোট থেকেই তিনি সংগ্রহ করেছেন একাধিক মুদ্রা। বয়স এক এক করে প্রায় ৭০ পেরিয়েছে। তবে মনেপ্রাণে তিনি যেন যুবক। ছোট থেকে শখ থাকায় তার সংগ্রহে রয়েছে একাধিক পুরানো দিনের কয়েন। রয়েছে বর্তমান সময়ে ব্যবহৃত ৫ টাকা, ১০ টাকার কয়েনও। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রান্তিক এক গ্রামে এই ব্যক্তির ইচ্ছে শুনলে অবাক হবেন।

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার জেনকাপুরের বাসিন্দা সুশীল কুমার কর মহাপাত্র, ওরফে মন্টু বাবু। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পেশাগত জীবন থেকে অবসর নিলেও এখনও বিনামূল্যে চিকিৎসা করেন প্রান্তিক এলাকার সাধারণ মানুষের। তবে চিকিৎসার পাশাপাশি তার শখ আর পাঁচজনের থেকে আলাদা। প্রান্তিক এলাকায় থেকেও বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন কয়েন সংগ্রহে রেখেছেন তিনি। যা বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি ইতিহাস।

আরও পড়ুন : যতই গরম পড়ুক কোনও মতেই তরমুজ দাঁতে কাটবেন না এঁরা! জানুন কারা তরমুজ খেলেই বড় বিপদ! চরম সর্বনাশ

সুশীলবাবুর কাছে রয়েছে, শতাধিক বছরের পুরনো ব্যবহৃত তামার মুদ্রা, রয়েছে পাই, সিকি, এক পয়সা, দু পয়সা, পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা কুড়ি পয়সার কয়েন। ছোট থেকে তাঁর এই কয়েন সংগ্রহের নেশা। ছোটবেলায় বাড়িতে থাকা কয়েন কিংবা বিভিন্ন সময়ে ব্যবহৃত কয়েন তিনি তার সংগ্রহে রেখেছেন। শুধু তাই নয়, করোনার সময় ঘরবন্দি অবস্থায় বাড়ে সংগ্রহের নেশাও। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিশেষ দিনে এবং মনীষীদের ছবি দিয়ে প্রকাশিত পাঁচ টাকার কয়েন তিনি সংগ্রহ করেছেন। বিশেষ দিনে বা বিশেষ ব্যক্তিকে স্মরণ করে প্রকাশিত প্রায় পঞ্চাশ ধরনের ৫ টাকার কয়েন রয়েছে তাঁর সংগ্রহে।

বয়স তাঁর ৭০ পেরিয়েছে। বয়সের ছাপ চোখেমুখে পড়লেও মনে প্রাণে যেন তিনি যুবক। এখনও চালিয়ে রেখেছেন চিকিৎসা। বর্তমানে তিনি রামকৃষ্ণ, মা সারদা ও স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে চর্চা করেন। তবে শখ ও কৌতূহলবশত তিনি সংগ্রহ করেন বিভিন্ন পুরানো মুদ্রাও। তাঁর সংগ্রহে থাকা বেশ কয়েকশো ভারতীয় মুদ্রা যা বর্তমান প্রজন্মের কাছে একটি ইতিহাস। বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে, ছাত্র-ছাত্রীদের দেখিয়ে ধারণা দেন। প্রান্তিক এলাকায় এই ব্যক্তির শখকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে।