দেরাদুন: শনিবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল দেরাদুনে। সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পর্যটকে ভরা দেরাদুনে। শনিবার সকালে দেরাদুন-মুসৌরি সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মুসৌরি-দেরাদুন সড়কের চুনাখালের কাছে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গাড়িটিতে মোট ৬ জন ছিলেন, দুর্ঘটনায় সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চার যুবক ও দুই তরুণী ছিল। ওই ৬ জনই বেড়াতে এসেছিল বলে খবর। দুর্ঘটনার পরই পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এসডিআরএফ-কে উদ্ধার কাজে লাগানো হয়।
ওই ৬ জনই রাজপুর রোডে অবস্থিত একটি কলেজে পড়াশোনা করেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা সকলেই বন্ধু ছিলেন। শনিবার সকালে মুসৌরি থেকে দেরাদুনে ফেরার সময় চুনাখালের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। হঠাৎ তাদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায়, এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত এক যুবতীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার শব্দ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। স্থানীয় লোকজনই বিষয়টি পুলিশ ও এসডিআরএফকে জানায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। অনেক চেষ্টার পর গাড়িটি উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকারী দল যখন খাদে পৌঁছয়, ততক্ষণে গাড়িতে থাকা চার যুবকের মৃত্যু হয়েছে। দুই যুবতীর মধ্যে একজন কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায়। দ্বিতীয় যুবতীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
উত্তরাখণ্ড: পতঞ্জলির ১৪টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করল উত্তরাখণ্ড সরকার। শুধু তাই নয়, পতঞ্জলির দুই কর্তা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ফৌজদারি অভিযোগ। বাতিল হওয়া ১৪টি পণ্যের মধ্যে ১৩টি পণ্যই পতঞ্জলির দিব্য যোগ ফার্মেসির।
পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে এমনিতেই চাপে রয়েছেন পতঞ্জলির দুই কর্তা বাবা রামদেব এবং বালকৃষ্ণ। সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে একটি মামলা চলছে যেখানে বার বার ভর্ৎসনা করে হয়েছে পতঞ্জিলকে, আদালতে রামদেব এবং বালকৃষ্ণ নিঃশর্ত ভাবে ক্ষমা চেয়েও রেহাই পাননি। ২৪ এপ্রিল সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চান রামদেব এবং বালকৃষ্ণ। শুধু তাই নয়, আদালতে সমালোচিত হয় উত্তরাখণ্ডের লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষও। এর মধ্যেই উত্তরাখণ্ড সরকারের এই পদক্ষেপ আরও চাপে ফেলল পতঞ্জলিকে।
হরিদ্বার: উত্তরাখণ্ডের নানকমাট্টা গুরুদ্বারের করসেবা প্রধান বাবা তারসেম সিং হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অমরজিৎ সিং ওরফে বিট্টুকে হত্যা করা হল। মঙ্গলবার ভোররাতে হরিদ্বারের ভগবানপুর থানা এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়েছে উত্তরাখণ্ড এসটিএফ এবং হরিদ্বার পুলিশ। সেই এনকাউন্টারেই নিহত হয়েছে বিট্টু।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিট্টুর দ্বিতীয় শাগরেদ পালিয়ে গিয়েছে। আপাতত এসটিএফ এবং পুলিশ যৌথ ভাবে তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। উত্তরাখণ্ড ডিজিপি অভিনব কুমার সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন যে, বাবা তারসেম সিংয়ের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টাকে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখেছে রাজ্য পুলিশ। ফলে এসটিএফ এবং পুলিশ ক্রমাগত হত্যাকারীদের পাকড়াও করার জন্য তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, উত্তরাখণ্ডে যদি তারা এই ধরনের জঘন্য অপরাধ করে, তাহলে পুলিশ সেই অপরাধীদের কঠোর ভাবে দমন করবে। পুলিশ জানিয়েছে যে, অমরজিৎ সিং ওরফে বিট্টুর বিরুদ্ধে ১৬টিরও বেশি মামলা রয়েছে।
গত ২৮ মার্চ নিজের ডেরাতেই খুন হন নানকমাট্টা গুরুদ্বারের করসেবা প্রধান বাবা তারসেম সিং। বাইকে চেপে এসে দুই আততায়ী বাবা তারসেম সিংকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর তড়িঘড়ি আশঙ্কাজনক অবস্থায় খাতিমার এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই বাবা তারসেম সিংকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে, মোটরসাইকেলে চেপে দুই দুর্বৃত্ত ডেরার খোলা ফটক দিয়ে প্রবেশ করে। সেখানেই চেয়ারে বসেছিলেন বাবা তারসেম সিং। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এই জঘন্য অপরাধের দিন দুয়েক পরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল।
এফআইআর-এ দুই আততায়ীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হল সরবজিৎ সিং এবং অমরজিৎ সিং। এর পাশাপাশি এফআইআর-এ উল্লেখ রয়েছে আইএএস অফিসার হরবনস সিং চুঘের নামও। এই আইএএস অফিসার আবার নানকমাট্টা গুরুদ্বার প্রাবন্ধক কমিটির প্রধান। এছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বাবা অনুপ সিং এবং প্রীতম সিং সান্ধুর বিরুদ্ধেও।
নয়াদিল্লি: গত বছরের অক্টোবর মাসে দক্ষিণ লোনক হ্রদ ফেটে ধসে গিয়েছিল। যার ফলস্বরূপ বিধ্বংসী বন্যার কবলে তলিয়ে গিয়েছিল সিকিম। তবে একই রকম ভাবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে উত্তরাখণ্ডের হিমালয়ের হিমবাহপুষ্ট হ্রদ ভিলাঙ্গনা। কারণ সেটি দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে।
ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজি (ডব্লিউআইএইচজি)-র ডিরেক্টর ড. কালাচাঁদ সাইন বলেন, বিগত ৪৭ বছরে ভিলাঙ্গনা হ্রদটি ০.৩৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, ভাগীরথী ক্যাচমেন্ট এলাকায় অবস্থিত এই হিমবাহ হ্রদটি দ্রুত হারে প্রসারিত হয়েই চলেছে। আর বিশ্বের ক্রমবর্ধমান উষ্ণতার জেরে এটা হ্রদের নিম্ন অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনছে।
ড. সাইন নিউজ18-এর কাছে বলেন যে, “এই হ্রদটি অনেক উঁচুতে অবস্থিত। আর নীচের দিকে এর ঢাল অত্যন্ত বড় – ২৫ ডিগ্রিরও বেশি। আমরা বিষয়টার উপর নজর রেখে চলেছি। এমনকী হ্রদ সম্প্রসারণের বিষয়টা আমরা উত্তরাখণ্ড রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি। ২০১৩ সালে কেদারনাথ বিপর্যয়ের সময় যে চোরাবাড়ি গ্লেসিয়ার লেক ফেটে যাওয়ার মতো ঘটনা যদি ঘটেও যায়, তাহলে আমরা নীচের অংশে বসবাসকারী মানুষদের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হব।”
হিমবাহের বিশাল চাদর গলে গিয়ে যখন সেই জল জমতে শুরু করে, তখনই তৈরি হতে থাকে হিমবাহী হ্রদ। আসলে সারা বিশ্বের তাপমাত্রাই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাও গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। যার ফলস্বরূপ বহু হিমবাহই দ্রুত হারে গলতে শুরু করছে। আর এর ফলে এই ধরনের একাধিক হিমবাহ তৈরি হচ্ছে। তা স্থিতিশীলতার পর্যায়ে না থাকলে বিশাল জলরাশির ধারা বইতে শুরু করবে, সেই সঙ্গে বিধ্বংসী বন্যার কবলে চলে যাবে।
বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাতের ধরন বদলে যাচ্ছে, ফলে এই ধরনের হ্রদগুলিও আয়তনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, উত্তরাখণ্ড হিমালয়ে এই ধরনের হাজার হাজার হিমবাহ হ্রদ তৈরি হয়েছে। সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট দ্বারা আয়োজিত অনিল আগরওয়াল ডায়লগ ২০২৪-এর অনুষ্ঠানে ড. সাইন সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে, “উত্তরাখণ্ডে আমরা এই ধরনের ১৩টি হিমবাহ হ্রদ শনাক্ত করেছি। যেগুলি মূলত মোরাইন-বাঁধে থাকা হ্রদ। এর মধ্যে ১০টি হিমবাহের উপর ক্রমাগত নজরদারি করা হচ্ছে। যা নিম্নধারার বাসিন্দাদের জন্য বিপদ বয়ে আনছে। ঠিক একই রকম ঘটনা আমরা দেখেছি ২০১৩ সালের কেদারনাথ বিপর্যয়ে কিংবা ২০২১ সালে ঋষিগঙ্গা-ধৌলিগঙ্গা হিমবাহী তুষারঝড়ের সময়। এমনকী খুব সাম্প্রতিক অতীতে সিকিমের দক্ষিণ লোনক হ্রদের ঘটনাও দেখেছি।”
দেরাদুনের প্রতিষ্ঠানের একদল গ্লেসিওলজিস্ট হিমালয়ের হিমবাহগুলির পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করছেন। যা শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের ইঙ্গিত করছে না, এর পাশাপাশি ভবিষ্যতের বিপদেরও আভাস দিচ্ছে। ইন্ডিয়ান হিমালয়ান রিজিয়ন (আইএইচআর)-এ রয়েছে প্রায় ৯৫৭৫টি হিমবাহ। তবে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জিএসআই) তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে শুধুমাত্র ৯৮০টি হিমবাহ অবস্থান করছে উত্তরাখণ্ড রাজ্যেই। এর মধ্যে সবথেকে সংবেদনশীল হিমবাহগুলির উপরেও রাখা হয়েছে নজর।
দেবপ্রিয়া সরকার, আইনজীবী, কলকাতা হাই কোর্ট (BA.LLB.LLM)
কলকাতা: ইউনিফর্ম সিভিল কোড (UCC)-র উত্তরাখণ্ড সংস্করণ কীভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে, তার সুপারিশ জমা করার আগে ভারতের ২২তম আইন কমিশনকে সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় উত্তরাখণ্ড কোড পাশ হয়েছিল। এটি ভারতের নবীন-প্রবীণ মানুষদের মধ্যে চর্চার একটি বিষয় হয়ে উঠেছে। আর এটিই দেশের প্রথম রাজ্য, যা নির্দিষ্ট ব্যবস্থার জন্য কঠোর আইন প্রতিষ্ঠা করেছে।
এই আইনটি এমন ভাবে লিভ-ইন সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করছে, যেখানে বলা হচ্ছে যে, লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একজন পুরুষ এবং মহিলা বিবাহ পরবর্তী জীবনের মতো একটি বাড়িতে একসঙ্গে বসবাস করেন। নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলি যুক্তি দিয়ে জানিয়েছে যে, এই আইনের ব্যাখ্যা একাধিক দিক থেকে সকলকে অস্বস্তিতে ফেলছে। সংশ্লিষ্ট আইনের ব্যাখ্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হল সঙ্গী বা পার্টনারের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক, আর যাঁরা সেটা করতে ব্যর্থ হবেন, তাঁদের শাস্তি এবং সঙ্গীর বয়স একুশের নীচে হলে তাঁর মা-বাবাকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো।
গত বছরের একটি LGBTQ+ অধিকার মামলায় ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় রাজ্যগুলিকে প্রকৃত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করার জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের সম্মতির স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের এক সিদ্ধান্তে সুপ্রিম কোর্টের একটি পৃথক বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে, সঙ্গী পছন্দ করার বিষয়টা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিটি মানুষের মৌলিক গোপনীয়তার মধ্যেই পড়ে। যা অবিচ্ছেদ্য। যদিও উত্তরাখণ্ডের আইনে বলা হয়েছে যে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে যদি রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ লিভ-ইন সম্পর্কে থাকেন, তাঁদের তিন মাস জেলে কাটাতে হবে। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাও গুনতে হবে। এর পাশাপাশি রেজিস্ট্রারের বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার এক মাসের মধ্যেই লিভ-ইন সঙ্গীরা যদি নিজেদের সম্পর্ক রেজিস্ট্রেশন না করেন, তাহলে তাঁদের ৬ মাসের কারাবাসের সম্মুখীন হতে হবে। এমন কী ২৫,০০০ টাকা জরিমানাও দিতে হতে পারে। উত্তরাখণ্ড কোড কিন্তু এখনও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায়নি।
কোডটি এই বিষয়ে আরও জটিলতা এবং কঠোরতা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। নতুন প্রজন্মের মুক্ত নাগরিক এবং নাগরিক অধিকার সংস্থা উভয়ই মনে করছে যে, এই আইনটি ভীষণ ভাবেই অযাচিত। আর তা অনধিকার ভাবে সম্পর্কের মধ্যে প্রবেশ করছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তরফে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। এর জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমস্ত বয়সের নাগরিকদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গিয়েছে:
এই ধরনের মনোযোগ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয় না:
মোটামুটি ভাবে ১৮-২৬ বছর বয়সীদের প্রশ্ন করা হলে তাঁরা প্রায় সকলেই জানান, এই রায় তাঁদের উপর চাপ ফেলছে। তাঁদের বক্তব্য, কোনও যুগলের সুরক্ষার পরিবর্তে তাঁদের মানসিক সমস্যা বৃদ্ধি – এটাই যেন আইনের মূল উদ্দেশ্য। অসামঞ্জস্যের কারণে আজকাল বহু বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে। আবার কিছু কিছু সম্পর্ক না ভাঙলেও তাতে অশান্তির মেঘ ঘনাচ্ছে। হিংসা-নিগ্রহও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিয়ে করার আগে সঙ্গীকে ভাল করে জানার ক্ষমতা যদি বাদ দেওয়া হয়, তা হলে সমস্যা কমার পরিবর্তে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাবে।
মহিলাদের ভূমিকা সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে:
এক্ষেত্রে যাঁদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, তাঁদের বয়স ৩০ বছরের মধ্যেই। তাঁদের বক্তব্য, এই রায় অত্যন্ত নারীবিদ্বেষী। নারী অধিকার সংগঠনগুলি নির্দিষ্ট কর্মসূচি পালন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে মহিলাদের সঠিক ভাবে সম্মান জানানোর বিষয়টা গ্রাম এবং শহরতলি এলাকার মানুষদের শেখানো হচ্ছে। এই ধরনের প্রয়াস খুবই নগণ্য টাকায় স্বল্প পরিসরেই পরিচালনা করছে কিছু এনজিও। সামাজিক শিক্ষা হল আমাদের পুরনো ঐতিহ্যের একটি অপরিহার্য উপাদান। তা বৃদ্ধির পরিবর্তে এই ধরনের সীমা সমাজের কোনও অংশকে উপকৃত করবে না। এটি আর একটি রাজনৈতিক মুখোশ হিসেবে থাকবে।
যাঁদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশেরই বিশ্বাস, সরকারের সঙ্গে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন ভাগ করে নেওয়ার ফলে ক্ষুদ্র সম্প্রদায়গুলিতে সহিংসতার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। মহিলাদের বেশভূষা, শিক্ষা এবং তাঁদের জীবনের অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রচলিত মতামত রয়েছে একাধিক ধর্মীয় এবং সামাজিক সম্প্রদায়গুলির। তাই, গ্রাম এবং শহর উভয় জায়গার ক্ষুদ্র-সম্প্রদায়গুলি স্বাধীন ইচ্ছাকে বাধা দেওয়ার জন্য আরও কারণ খুঁজে পাবে। আর সবথেকে বড় কথা হল, অধিকাংশ বাধাই খুব হিংস্র উপায়ে আসবে।
অস্পষ্টতার ব্যাপক সম্ভাবনা:
এই আইনটি একটি সমালোচনামূলক ধূসর অংশ ব্যাখ্যা করছে। একসঙ্গে বসবাসকারী দু’টি অথবা তার বেশি সংখ্যক মানুষ যে নিশ্চিত ভাবে কোনও সম্পর্কে থাকবেন, তা নয়। আর এই আইনটি একটি বিষয় উত্থাপন করছে, সরকার এখনও বিশ্বাস করে যে, ভিন্ন লিঙ্গের দু’টি মানুষ একসঙ্গে বসবাস করলে তাঁরা অবশ্যই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে রয়েছেন। আর এতে সবথেকে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছেন LGBTQIA+ সঙ্গীরা। যার ফলে একসঙ্গে এক ঘরে বসবাসকারীদের অবস্থার ফারাক করা মুশকিল হয়ে যায়। এক ছাদের তলায় বসবাসকারী কোনও যুগলের উপর এই আইনটি বলবৎ করা হলে তাঁরা যে নিরপরাধ, সেটা প্রমাণ করার পথ থাকবে না। উল্টে একাধিক অযাচিত এবং ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির উদ্রেক হবে।
সংক্ষেপে বলতে গেলে এই আইন সম্পর্কে একটি নয়, একাধিক অমীমাংসিত উদ্বেগ রয়েছে। যা এটিকে আরও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এমনকী যুগান্তকারী তো নয়ই! আইন কমিশন এই জটিল বিবরণ পর্যালোচনা করার জন্য একটি কঠিন কাজের সম্মুখীন হয়েছে। উচ্চ-স্তরের বহু আইনবিদই ব্যক্তিগত ভাবে এই নির্দেশিকাগুলির ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে গোটা দেশের চোখ রয়েছে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের উপরেই। কারণ এই আইন প্রণয়নে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
দেহরাদুন: দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাস হল উত্তরাখণ্ড বিধানসভায়৷ বিল পাস হওয়ার পর উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বিবাহ, খোরপোষ, উত্তরাধিকার এবং ডিভোর্সের মতো বিষয়গুলি নিয়ে প্রত্যেককে সমানাধিকার দেবে৷ বিশেষত মহিলারা এর ফলে উপকৃত হবেন বলেও দাবি করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী৷
পুষ্কর সিং ধামি বলেন, ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি মহিলাদের বিরুদ্ধে অবিচারে ইতি টানবে৷ মাতৃশক্তির উপরে অত্যাচার বন্ধের সময় এসে গিয়েছে৷ আমাদের মা বোনেদের উপরে হওয়া অন্যায় বন্ধ করতেই হবে৷ আমাদের রাজ্যের অর্ধেক জনসংখ্যা এবার সমানাধিকার পাবে৷’
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাস হওয়ার অর্থ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এবার থেকে উত্তরাখণ্ডে বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, সম্পত্তির অধিকারের মতো একাধিক বিষয়ের ক্ষেত্রে একটিই আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে৷
এই বিলে যেমন নির্দিষ্ট ভাবে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই একের বেশি বিবাহকে নিষিদ্ধ উল্লেখ করা হয়েছে৷ একই ভাবে বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের ন্যূনতম ১৮ বছর এবং ছেলেদের ২১ বছর বয়স হতে হবে৷
আবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন না, তারও উল্লেখ রয়েছে৷ যেমন দেওর এবং বিধবা বৌদি অথবা যাঁরা উত্তরাধিকার সূত্রে একই পরিবারের সদস্য, তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন না৷
উত্তরাখণ্ড:এক বছর ধরে তিনি মৃত। দাহ থেকে শেষকৃত্য, সবই সম্পন্ন। তবে এক বছর পর তিনি ফের ফিরে এলেন কীভাবে? এমনকি নিজের স্ত্রীকেই পুনরায় বিয়েও করলেন? আশ্চর্য এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগর জেলায়।
দেশের সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ৪২ বছরের নবীন ভট্ট এক বছরেরও বেশি সময় ধরে মৃত বলেই জানত তাঁর পরিবার।
এক বছর ধরে বাড়ির সঙ্গে কোনও যোগাযোগই ছিল না নবীনের। আসলে এই ঘটনার সূত্রপাত কোভিডের সময়ে। কোভিডের সময়েই রুদ্রপুরের জেলা হাসপাতালের একটি বেওয়ারিশ লাশকে নবীন ভট্ট বলে চিহ্ণিত করা হয়। কারণ লাশের পকেটে নবীনের ছবি এবং মেডিক্যাল চেক আপের কাগজপত্র ছিল।
নবীনের পরিবারকে এই লাশের খবর জানান হলে, তাঁরাও লাশটিকে নবীনের মৃতদেহ ভেবে বাড়ি নিয়ে যান এবং যথারীতি শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। আসলে ওই মৃতদেহের সঙ্গে নবীনের চেহারায় কিছু মিলও ছিল। ফলে নবীনের পরিবারও বুঝে উঠতে পারেনি।
কিন্তু হঠাত্ করেই নবীনের পরিবারের পরিচিত এক ব্যক্তি জানান তিনি এক দিন আগেও নবীনকে দেখেছেন। প্রথমে নবীনের পরিবারের কারও বিশ্বাস না হলেও পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির কথাই সত্যি। নবীন জীবিত ফিরে আসার পর প্রথা মেনে নামকরণ থেকে বিয়ে, সবই নতুন করে করা হয়। নবীনের নতুন নাম এখন নারায়ণ ভট্ট। তিনি ফের নিজের স্ত্রীকেই বিয়ে করেছেন।
পুরশুড়া: ছেলে ১৭ দিন ধরে সুড়ঙ্গে আটকে৷ এই খবর পাওয়ার পর মায়ের মনের যা অবস্থা হয়, একই অবস্থা হয়েছিল হুগলির পুরশুড়ার হরিণখালির বাসিন্দা লক্ষ্মী পাখিরারও৷ দীর্ঘ অপেক্ষার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তরাখণ্ড থেকে সুখবর আসতেই তাই সোজা পাড়ার শিব মন্দিরে ছুটলেন লক্ষ্মীদেবী৷
লক্ষ্মী এবং অসিত পাখিরার ছোট ছেলে শৌভিক উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হওয়া ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে অন্যতম৷ মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়ার পর মা লক্ষ্মীদেবী সহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন শৌভিক৷ মাকে আশ্বস্ত করে ছেলে জানান, তাঁর শরীরে কোনও সমস্যা নেই৷ আগের মতোই সুস্থ আছেন তিনি৷ ছেলের সঙ্গে কথা বলার পর মা লক্ষ্মী পাখিরা বলেন, ভোলে বাবার জয়৷ আমি শিব ঠাকুরকে বার বার বলতাম, আমার সব শক্তি ওকে দিয়ে দেও৷ আজকে কথা বলে মনে হচ্ছে বুক থেকে একটা পাথর নেমে গেল৷ ছেলে বলল ও একদম ঠিক আছে৷
পুজোর সময় শেষ বার বাড়ি এসেছিল শৌভিক৷ তাঁর দাদাও ভিন রাজ্যেই কাজ করে৷ দুই ছেলে বাড়িতে এলে তাই যত্নআত্তিতে ত্রুটি রাখেন না মা৷ এবারও তাই ছেলে বাড়ি এলে নিজের হাতে রান্না করে ছেলেকে তাঁর প্রিয় পদ খাওয়াতে চান লক্ষ্মীদেবী৷ শৌভিকের মা জানালেন, ছেলে দুধ ভাত খেতে খুব ভালবাসে৷ লক্ষ্মীদেবীর কথায়, সুড়ঙ্গে একটানা আটকা থেকে ছেলে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লেও বাড়ি এসে কয়েকদিন তাঁর রান্না খেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে৷
অন্যদিকে হুগলিরই নিমডাঙ্গির বাসিন্দা জয়দেব পরমাণিকও এ দিন শৌভিকের মতোই সুড়ঙ্গ থেকে মুক্তি পেয়েছেন৷ উদ্ধারের পর বাড়িতে ফোন করেন জয়দেবও৷ বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানান তিনি ঠিক আছেন৷ এই খবর পাওয়ার পরই জয়দেবের গ্রামের বাসিন্দারাও উল্লাসে ফেটে পড়েন৷ শুরু হয় বাজি ফাটানো৷ জয়দেব পরমাণিকের বাবা তাপস পরমাণিক বলেন, ফোনে ছেলে বলল,বাবা,মা আমি ভাল আছি। তোমরা ঠিক করে খেয়ে নিও। ভাল করে ঘুমিও। ও আমাদের সবার গর্ব। সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যে শ্রমিকরা এই অসাধ্যসাধন করেছেন,তাঁদেরকে কুর্নিশ। আমাদের পাশে গ্রামের মানুষ যেমন ভাবে ছিলেন,তাতে আমরা অভিভূত।
জয়দেবের মা তপতী পরমাণিক বলেন, আমি আজ খুব খুশি। এই কদিন কিছুই মুখে তুলতে পারিনি। আমার জয় তো কিছুই খায়নি।আমার কোনও কথাই মুখে আসছে না। সবাইকে ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
অন্যদিকে উদ্ধারের পর ফোনে স্ত্রী ছেলের সঙ্গে কথা বলেন কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বাসিন্দা মানিক তালুকদারও৷ এর পরেই স্বস্তি ফেরে মানিকবাবুর পরিবারেও৷
অন্যদিকে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলার তিন জন শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সাহায্য করতে ঘটনাস্থলে বিশেষ দল পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার৷ এ দিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
উত্তরকাশী:১৭ দিন একসঙ্গে বদ্ধ সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে ছিলেন ওঁরা৷ জীবনের সবথেকে কঠিন সময়ে একে অন্যকে সাহস জুগিয়েছেন৷ কিন্তু মুক্তির সময় যখন এল, তখন কে আগে বেরিয়ে আসবেন? উত্তরকাশীর সিল্কইয়ারা সুড়ঙ্গের উদ্ধারকাজের এই অজানা তথ্যই জানালেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি৷
সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ধামি জানান, আটকে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে যাঁরা খর্বকায় ছিলেন, তাঁদেরই প্রথম বের করে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ যাঁদের উচ্চতা তুলনামূলক বেশি, তাঁদেরকে পরে সুড়ঙ্গ থেকে বের করা হয়৷ যদিও এই পরিকল্পনার পিছনে কী কারণ ছিল, তা স্পষ্ট করেননি মুখ্যমন্ত্রী৷
শ্রমিকদের উদ্ধার করে আনতে এনডিআরএফ-এর যে সদস্যরা সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রবেশ করেছিলেন, তাঁরা অবশ্য জানিয়েছেন প্রথমে ভিতরে গিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধারকাজের পরিকল্পনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়৷ এর পর স্ট্রেচারে বসিয়ে শ্রমিকদের বের করা হয়৷ এক- একটি স্ট্রেচারে তিনজন করে শ্রমিককে বের করে আনা সম্ভব হয়৷ ফলে ৪১ জন শ্রমিককে বের করে আনতে খুব বেশি সময় লাগেনি৷
যেভাবে ১৭ দিন ধরে সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে থেকেও এই শ্রমিকরা নিজেদের মনোবল ধরে রেখেছিলেন, তাতে অভিভূত গোটা দেশ৷ শ্রমিকদের এই সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও৷ এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘উত্তরকাশীতে শ্রমিক ভাইদের উদ্ধারকাজের সাফল্য প্রত্যেককে আবেগপ্রবণ করে দেওয়ার মতো৷ সুড়ঙ্গে যাঁরা আটকে ছিলেন, তাঁদের বলব, আপনাদের ধৈর্য এবং সাহস যে কাউকে প্রেরণা জোগাবে৷ আমি প্রত্যেকের মঙ্গল এবং সুস্বাস্থ্যের কামনা করি৷’
মোদি আরও লিখেছেন, ‘এত দীর্ঘ অপেক্ষার পর আমাদের এই সাথীরা এবার তাঁদের প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করবেন, এটা খুবই স্বস্তির৷ এই কঠিন সময়ে এই শ্রমিকদের পরিজনেরাও ধৈর্য এবং সাহসের পরিচয় দিয়েছেন৷ এর জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়৷’
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গে প্রায় ৪০০ ঘণ্টা আটকে থাকলেও ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে প্রত্যেক শ্রমিকই বলেছেন, তাঁরা ঠিক আছেন৷ এমন কি, অ্যাম্বুল্যান্সে বসেই হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা৷ ১৭ দিন পর সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে এসেও তাঁদের মুখে হাসি লেগেছিল৷ শ্রমিকদের এই মনোভাবেরই প্রশংসা করছে গোটা দেশ৷